Thursday, December 27, 2012

দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও বেশকিছু দাওয়াই বাতলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বনাশের এজেন্ডা রুপায়িত করতে মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে কোনও খামতি রাখছেন না ভারতীয় জায়নবাদী কর্তৃত্ব।। বিপত্তির সুচনা উত্তর প্রদেশে মাযাবতী ও মুলায়মের ক্ষমতার লড়াই থেকে।এই দুই নেতা নেত্রী বর্ণহিন্দু ভোটের লোভে তফসিলী ওবিসি একতায় ফাটল ধরিয়ে ভারতবর্ষে বহুজনসমাজ নির্মাণের রাস্তা কন্টকাকির্ণই করলেন না, সংস্কার এজেন্ডায় কর্তৃত্বের অন্ধ সমর্থন করে ভারতবর্ষের বহসংখ্যক মানুষের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। অবশ্য বাংলার ব্রাহ্মণ্যবাদী পরিবেশে তফসিলিরা ব্রাহ্মণ্য আধিপাত্যে দুধে ভাতেই আছেন, তাঁদের এই প্রসঙ্গে কোনও মাথাব্যথা আছে বলে অন্ততঃ আমার ত মনে হয় না। পলাশ বিশ্বাস http://basantipurtimes.blogspot.in/

দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও বেশকিছু দাওয়াই বাতলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বনাশের এজেন্ডা রুপায়িত করতে মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে কোনও খামতি রাখছেন না ভারতীয় জায়নবাদী কর্তৃত্ব। বিপত্তির সুচনা উত্তর প্রদেশে মাযাবতী ও মুলায়মের ক্ষমতার লড়াই থেকে।এই দুই নেতা নেত্রী বর্ণহিন্দু ভোটের লোভে তফসিলী ওবিসি একতায় ফাটল ধরিয়ে ভারতবর্ষে বহুজনসমাজ নির্মাণের রাস্তা কন্টকাকির্ণই করলেন না, সংস্কার এজেন্ডায় কর্তৃত্বের অন্ধ সমর্থন করে ভারতবর্ষের বহসংখ্যক মানুষের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন। অবশ্য বাংলার ব্রাহ্মণ্যবাদী পরিবেশে তফসিলিরা ব্রাহ্মণ্য আধিপাত্যে দুধে ভাতেই আছেন, তাঁদের এই প্রসঙ্গে কোনও মাথাব্যথা আছে বলে অন্ততঃ আমার ত মনে হয় না

 পলাশ বিশ্বাস

দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও বেশকিছু দাওয়াই বাতলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সর্বনাশের এজেন্ডা রুপায়িত করতে মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে কোনও খামতি রাখছেন না ভারতীয় জায়নবাদী কর্তৃত্বখুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, ডিজেল ভতুর্কি হ্রাস, বছরে পরিবারপিছু এলপিজি সিলিন্ডারের সংখ্যা বেধে দেওয়া সহ বেশকিছু সংস্কারমুখী সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে মনমোহন সিং সরকার। ২০১৪-র আগে সংস্কার ইস্যুতে তিনি যে ফ্রন্টফুটেই খেলবেন, এদিনের ভাষণে সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।মায়াবতীকে ফুসলে কংগ্রেস বিজেপি জোট গণসংহার সংস্কৃতির স্বার্থে জরুরী আইন সংসদে প্রণয়ন করিয়ে নিয়েছে।আমি আগেই লিখেছি দিল্লী গণধর্ষণ কান্ড ভারতবর্ষের দাঙ্গা রাজনীতির মতই সুনিয়োজিত পরিকল্পনা সংরক্ষণ বিল আটকানোর জন্য। মজার কথা হল, সংবিধান অনুযায়ী তফসিলীদের পদোন্নতিতে সংরক্ষন নূতন কোনও অনুদান নয়, এটি আগে 1955  থেকেই সুপ্রচলিত ছিল কিন্তু 2006 এ ভারতের বর্ণহিন্দুকর্তৃত্বের সুপ্রীম কোর্ট এই অধিকারের উপর অধিকারের তিন দফা বাধা নিষেধ জারী করে

প্রাচীন ভারতে ঋগ্বেদসংহিতাব্রাহ্মণমহাভারত এবং বৌদ্ধদের পালি শাস্ত্রে রাজনীতিবিদদের কথকতা উল্লেখ আছে। তক্ষশীলায় অবস্থানকারী চাণক্যছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তিনি অর্থশাস্ত্র রচনা করেন যাতে রাজনৈতিক চিন্তাধারা, অর্থনীতি এবং সামাজিক ভারসাম্যের কথা তুলে ধরেছেন। এতে মুদ্রা ব্যবস্থা ও আর্থিক নীতি, কল্যাণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, যুদ্ধের আত্মরক্ষামূলক কলাকৌশল-সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। চাণক্য যুগের অবসানের দুই শতক পরবর্তীকালে রচিত মনুস্মৃতি গ্রন্থেও ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রামাণ্য বিষয় হিসেবে স্বীকৃত।

মাযাবতীর সর্বজন রাজনীতিই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী, কেননা উত্তরপ্রদেশের হাই কোর্টে এই মামলায় শুনানীর সময় মাযাবতী সরকারের পক্ষে কোনও উকিল দাঁড়ায়নি প্রধানতঃ সতিশ মিশ্রের কারসাজিতে, বর্ণহিন্দু ভোটের লোভে মায়াবতীও গরজ দেখাননি।হাইকোর্টের একতরফা নির্ণয়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পদোন্নতিতে সংরক্ষনে বাধানিষেধ আরোপ করে। অথচ বিহারে নীতীশ কুমারের শাষণে এই ব্যবস্থা এখনও বহাল আছে

প্রত্যাশা মতোই এই বৈঠকে সরকারের আর্থিক সংস্কারের নীতির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমাতে ও সবশ্রেণির মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজন ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণ। দরকারে বিদুতের দাম বাড়ানোর মতো অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতেও যে সরকার পিছপা হবেনা এদিন সেটাও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। 

দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের জাতীয় উত্পাদনের গড় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণও বতর্মান আর্থিক পরিস্থিতে কষ্টসাধ্য বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। নয়াদিল্লিতে জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার সংস্কারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।  প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াই, দেশের সব মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে  হলে ভতুর্কিতে রাশ টানা ছাড়া উপায় নেই। 

 বিপত্তির সুচনা উত্তর প্রদেশে মাযাবতী ও মুলায়মের ক্ষমতার লড়াই থেকে।এই দুই নেতা নেত্রী বর্ণহিন্দু ভোটের লোভে তফসিলী ওবিসি একতায় ফাটল ধরিয়ে ভারতবর্ষে বহুজনসমাজ নির্মাণের রাস্তা কন্টকাকির্ণই করলেন না, সংস্কার এজেন্ডায় কর্তৃত্বের অন্ধ সমর্থন করে ভারতবর্ষের বহসংখ্যক মানুষের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন

আমার ধারণা যে অমুলক নয়, সংরক্ষনবিরোধী আন্দোলনের যাবতীয় শক্তি বাজার, মীডিযা, কংগ্রেস বিজেপি  জোট, সংঘ পরিবার ও হিন্দুত্বের একতাবদ্ধ চেহারাই বলে দিছ্ছে।সংসদের অধিবেশন চলার কথা ছিল 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত, দশ মিনিটেই সংরক্ষণবিল পাশ হয়ে যাওয়ার কথা, যেমনটা সংস্কার সহায়ক বিল গুলির ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সহমতিতে হয়েছে, কিন্তু দলিত কন্যা স্পীকার মাযাবতী প্রথমে লোকসভা চার দফা স্থগিত করে দেন।ওদিকে উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি সমর্থকেরা সরকারী দফতরগুলিতে তালা লাগিয়ে ষোলো লক্ষ কর্মচারিকে সংরক্ষণবিরোধী তকমা দেওয়ার সুযোগ সর্বার্থে কাজে লাগায়।আসলে কর্মচারিরা সংরক্ষণবিরোধিতায় রাস্তায় নামেইনি।বর্ণহিন্দু  মীডিয়া কিন্তু সেটাই দেখিয়েছে। তারপরই দিল্লীতে গণধর্ষণ সংস্কার কর্মসুচির পক্ষে যাবতীয় তথ্য গোপন করার কাজ করে দেয়। বিপ্লবী সেই আন্দোলন নিজ লক্ষ্যে সফল এবং আন্দোলন স্তিমিত, অথচ সারা ভারতে গণধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ, দেহ ব্যবসা, পণ্যহিসাবে নারীকে ব্যবহার অবাধে চলছে

 অবশ্য বাংলার ব্রাহ্মণ্যবাদী পরিবেশে তফসিলিরা ব্রাহ্মণ্য আধিপাত্যে দুধে ভাতেই আছেন, তাঁদের এই প্রসঙ্গে কোনও মাথাব্যথা আছে বলে অন্ততঃ আমার ত মনে হয় না 


উত্তুরে হাওয়ার দাপটে দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে শীত। গত দশবছরের রেকর্ড ভেঙে আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেল দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে আগামিদিনে আরও জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। গতকাল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বর্ধমানে শুরু হয়ে গিয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। ঠান্ডায় আসানসোলে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বনাশের এজেন্ডা রুপায়িত করতে মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতেঃ

জাতীয় উত্পাদনের গড় হার বাড়াতে হলে, বাড়াতে হবে রাজস্ব সংগ্রহ। 

রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য দরকার করের হার বৃদ্ধি। 

শিল্পের উপযোগী আর্থিক পরিস্থিতি তৈরির জন্য  কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  কাজ করতে হবে। 

শিল্প ও কৃষি দুই ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে হবে। 

আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করতে হবে। মন্দা পেরিয়ে হাঁটতে হবে আর্থিক উন্নয়নের পথে।

সরকারের বেশকিছু নীতি উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, স্বীকার  করেছেন প্রধানমন্ত্রী

নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে ভর্তুকি বেধে রাখতে না পারলে, রাজস্ব ঘাটতির বোঝা আরও বাড়বে, বাদ দিতে হবে উন্নয়ন কর্মসূচি।

ভতুর্কিকে নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে বেধে রাখতে, ও সরকারের ঘাড় থেকে রাজস্ব ঘাটতির বোঝা  কমাতে বিদুত, পেট্রোল, কয়লার দাম বাড়ানোর পক্ষেও এদিন জোরালো সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মহিলাদের নিরাপত্তা সরকারের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে প্রবল অস্বস্তির মুখে আজ একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে ধর্ষণকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, আইন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। 

একই সঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একযোগে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে দেশজোড়া প্রতিক্রিয়ায় রীতিমত চাপে কেন্দ্র। রাজধানীতে তুমুল বিক্ষোভের মুখে ঘটনার নিন্দা করে আগেই শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। 

দিল্লির ঘটনায় ধৃতদের কঠোর শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার বিচারবিভাগীয় কমিশনের হাতে দিল কেন্দ্র। বুধবার অর্থমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদম্বরম জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ছিল কি না, তা দেখার পাশাপাশি কী ভাবে দিল্লিকে আরও নিরাপদ করে তোলা যায়, তা নিয়েও এই কমিটি পরামর্শ দেবে। তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

এদিন চিদম্বরম জানিয়েছেন, 'মেট্রো-সহ দেশের সবক'টি শহরে ধর্ষণের মতো সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে সরকার সচেষ্ট। দিল্লিতে যা ঘটেছে, তা লজ্জার।' কমিশনের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'ঘটনার তদন্ত করবে এই কমিশন। পুলিশের কোনও গাফিলতি থাকলে তা খুঁজে বের করবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর উপায় জানাবে।' সমাজের বিভিন্ন স্তরের মহিলাদের পরামর্শ নিতেও সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। 

বিক্ষোভকারীদের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে চিদম্বরম বলেছেন, 'যা ঘটেছে, তাতে সরকার অত্যন্ত দুঃখিত। পুরো বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে এবং দিল্লিকে আরও নিরাপদ করতে কেন্দ্র মরিয়া। কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে কমিশনের রিপোর্ট সংসদে পেশ করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতে আমরা আইনত বাধ্য।'

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহিলাদের অংশগ্রহণ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু যেভাবে মহিলাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলিকেও একযোগে কাজ করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।


আজ চতুর্থবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১১টা নাগাদ আহমেদাবাদের সর্দার পটেল স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হয়। শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়াল।

নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্রত্যাশা মতোই তারকাখচিত ছিল। রাজনীতির অলিন্দ্য ছাপিয়ে শপথ মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন সিনেমা থেকে ক্রিড়া জগতের বিশিষ্টরা।    উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এল কে আডবানি, রাজনাথ সিং, ভেঙ্কাইয়া নাইডু, বিজেপি সভাপতি নীতীন গড়করি, লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলি। তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ছাড়াও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবেক ওবেরয়, সুরেশ ওবেরয়, কিরণ খের, নভজ্যোত সিং সিধুর মতো তারকারাও। 

হাই প্রোফাইল এই শপথানুষ্ঠানের জন্য আহমেদাবাদ শহরকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৭-এ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।


উন্নয়ণের সঙ্গে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রিত্বও
মসনদে মোদী।
নয়াদিল্লি: কানায় কানায় পূর্ণ সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে বুধবার শপথ নিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী৷ এই নিয়ে টানা চার বার৷ 

আর তাঁর শপথগ্রহণে এনডিএ-র প্রায় সব শরিক দলকে হাজির করিয়ে তিনি ফের 'চলো দিল্লি' বার্তাই দিয়ে রাখলেন৷ ব্যতিক্রম শুধু জনতা দল ইউনাইটেড৷ নীতীশ কুমারের দলকে তিনি 'সৌজন্য'-র খাতিরেও আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি মোদী৷ হিসেবটা একেবারেই পরিষ্কার, তাঁর 'প্রধানমন্ত্রিত্বের' পথে 'একমাত্র বাধা' ওই নীতীশই, তাই তাঁকে মোদী গ্রাহ্যের মধ্যেই আনেননি৷ এমনটাই ব্যাখ্যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ 

'ব্যক্তিগত' কারণে অনুপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, টিডিপি-র চন্দ্রবাবু নাইডু, নবীন পট্টনায়েক ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী৷ 

তবে উপস্থিতের তালিকাও চোখ কাড়ার মতো৷ তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এআইএডিএমকে প্রধান জয়ললিতা ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল, মহারাষ্ট্রের তিন নেতা শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, এমএনএসের রাজ ঠাকরে ও আর পি আই-এর দলিত নেতা রামদাস আটওয়ালে, হরিয়ানা লোকদলের ওম প্রকাশ চৌতালা৷ এখনও পর্যন্ত এই কোনও নেতাই মোদীর 'প্রধানমন্ত্রিত্বের' বিষয়ে কোনও আপত্তি করেনি, তাই 'বন্ধু' নেতারাই ছিলেন এ দিনের অনুষ্ঠানে৷ আর ছিলেন বিজেপি-র প্রথাম সারির সব নেতারাই৷ মোদী-বিরোধী লালকৃষ্ণ আদবানি, সুষমা স্বরাজ ও অরুণ জেটলিরা তেমনই উপস্থিত পুরুষোত্তম রূপেলার মতো আনন্দি প্যাটেলের মতো নেতারা৷ সঙ্ঘ পরিবার বারবারই তাদের কোনও 'কাছের মানুষ'কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছে৷ কাজেই প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, তারা মোদীর পাশেই আছে৷ 

মোদী এ দিন তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে মানুষের সামনে ঐক্যবদ্ধ বিজেপি ও এনডিএ-র চেহারাটা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন৷ তাতে তিনি খানিক সফলও বটে৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদী তাঁর এই সাফল্যের পর প্রমাণ করে দিতে চেয়েছেন, তিনি ছাড়া আর কোনও যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এনডিএ জোটে নেই৷ আর তাতে যে বিজেপি-র একাংশের সায় আছে, তা তিনি জানেন৷ ফলে এই মঞ্চকে ব্যবহার করে তিনি এ দিন এনডিএ-র সামনেও তাঁর দাবিদারী প্রমাণ করতে চেয়েছেন৷ 'কাঁটা' নীতীশকে তাই দূরেই রেখেছেন৷ বিজেপি-তে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে মোদীকে চিহ্নিত করার বিপক্ষে, তাঁদের প্রধান যুক্তি দুটি৷ মোদী এলে, লড়াইটা পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষতা বনাম সাম্প্রদায়িকতায় পরিণত হবে এবং তার ফলে শেষ পর্যন্ত এন ডি এ ভেঙে যেতে পারে৷ মোদী এ দিন এনডিএ ভাঙার তত্ত্বকে অসার বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন৷ 

যে 'প্রাক্তন' এনডিএ নেতারা এ দিন উপস্থিত ছিলেন না, যেমন মমতা, চন্দ্রবাবুদের না থাকার অর্থ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলেও নরেন্দ্র মোদী কতটা ছাপফেেলতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন৷ কারণ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, কেরালা ও অসম বাদে উত্তর পূর্বাঞ্চল-কে পুরোপুরি হাতে বাইরে রেখে নামতে হবে মোদীকে৷ কারণ, এই সব রাজ্যে কোনও শরিক দল থাকবে না, বিজেপি-র নিজের শক্তিও খুবই নগণ্য৷ এই রাজ্যগুলিতে মোট আসনসংখ্যা ২৭৬টি৷ এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশও রয়েছে৷ এখন যা পরিস্থিতি, নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নিলেও সমাজবাদী, বহুজন সমাজ পার্টি ও কংগ্রেসের সঙ্গে লড়ে উত্তরপ্রদেশে খুব বেশি হলে গোটা দশেক আসলে জিততে পারবে বিজেপি৷ সে ক্ষেত্রে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৬৬টি আসন হাতের বাইরে রেখে শুরু করতে হবে মোদীকে৷ বাকি ২৭৭টি আসনের মধ্যে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলি আসন জিততে পারবেন তিনি? রাজনীতি সবসময় অঙ্কের হিসাবে হয় না এই তত্ত্ব মেনে নিয়েও বলা যায়, গণতন্ত্রে অঙ্কের হিসাবটা বড়ই জরুরি৷ সেখানে অনেকখানিই পিছিয়ে থাকছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ 

তাছাড়া মোদী এ দিন এনডিএ-র 'পাশে থাকার' যে ছবিটা দিতে চেয়েছেন, তাও ধাক্কা খাবে যখন নীতীশ কুমার জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেলে৷ তিনি জানিয়েই রেখেছেন, মোদী যদি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন, তা হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এনডিএ ছাড়বেন ও বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন৷ নীতীশ ছাড়া মানে বিহার শুধু হাতের বাইরে চলে যওয়া নয়, সেই রাজ্যে সরকারেরও পতন৷ যেহেতু সুশীল মোদী সহ বিহার বিজেপি-র সিংহভাগ নেতা নীতীশ কুমারকে সমর্থন করছেন, তাই তাঁরা তখন কী করবেন, থাকবে সে প্রশ্নও৷ তবে শপথ নিয়ে মোদী প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে একটা কথাও বলেননি, বরং মানুষের 'আকাঙ্ক্ষা' পূর্ণ করার আশ্বাস দিয়ে চতুর্থ ইনিংসের জন্য তিনি পুরোপুরি তৈরি, দিয়েছেন সেই বার্তাই৷ বলেন, 'আজ আমার জীবনের অত্যন্ত স্মরণীয় দিন৷ আমাদের উপর মানুষ যে বিশ্বাস করেছেন তার সম্পূর্ণ মর্যাদা আমরা দেব৷' তিনি গুজরাটের মানুষ ও বিজেপি নেতৃত্বকে তাঁর সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ 

তাই মোদী চেষ্টা করছেন ঠিকই, কিন্ত্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়াটা খুব সহজ নয়৷ হলেও দলকে জেতানোর কাজটা আরও অনেক কঠিন৷ ফলে, সারা দেশকে জেতানোর স্বপ্ন সফল করাটা 'মাস্টার ট্যাকটিশিয়ান' নরেন্দ্র মোদীর পক্ষেও কতটা মেলানো সম্ভব হবে, তা এখনই বলা কঠিন৷ 


ভর্তুকির খরচ কমাতে আগামী দশ মাসে ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর কথা ভাবছে তেলমন্ত্রক৷ সেই সঙ্গে আগামী দু'বছরে কেরোসিনের দামও ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে৷ 

তেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ডিজেলের দাম বাড়ানোর ছাড়া আপাতত কোনও উপায় নেই৷ সামনের বছর প্রতি মাসে ডিজেলের লিটার পিছু দাম এক টাকা করে বাড়ানো যেতে পারে৷ এ ভাবে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম দশ মাসে দশ টাকা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ ভর্তুকি দিয়ে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজি বিক্রি করে সরকারের আর্থিক ঘাটতি পৌঁছেছে এক লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকায়৷ এই ঘাটতি পূরণ করতেই এ বার সব রকম জ্বালানির ভর্তুকিতে কোপ ফেলতে চাইছে তেলমন্ত্রক৷ যদিও মন্ত্রকের প্রস্তাব এখনও গৃহীত হয়নি ক্যাবিনেটে৷ তেলমন্ত্রকের আরও প্রস্তাব ডিজেলের পাশাপাশি 'গরিবের জ্বালানি' কেরোসিনের দামও বাড়ানো হোক৷ কারণ গত বছর জুনের পর কেরোসিনের দাম কিন্ত্ত একবারও বাড়েনি৷ বর্তমানে কলকাতায় লিটার প্রতি কেরোসিনের দাম ১৪.৮৪ টাকা৷ ডিজেলের দাম ৫০.৭৮ টাকা প্রতি লিটার৷ 

গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ টাকার মতো ডিজেলের দাম বাড়িয়েছিল সরকার৷ তার পরও বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি লিটার প্রতি ৯.২৮ টাকা লোকসান করে ডিজেল বিক্রি করে৷ কিন্ত্ত তেলমন্ত্রকের দাবি, ডিজেলের দাম যদি লিটার পিছু ১০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তা হলে তেল সংস্থাগুলির লোকসান রোখা যাবে৷ সরকারও ভর্তুকির বোঝা থেকে মুক্তি পাবে৷ ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়ামের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ'মাসে ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাস বিক্রি করে ৮৫,৫৮৬ কোটি টাকার লোকসান করেছে৷ শুধুমাত্র ডিজেল বিক্রি করেই সংস্থাগুলির মোট ক্ষতি হয়েছে ৫২,৭১১ কোটি টাকা৷ ৮৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসানের ভার বইতে এই সংস্থাগুলির উদ্ধারে সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে৷ অর্থবর্ষের বাকি ছ'মাস সংস্থাগুলি যা লোকসান হবে তা পূরণ করতেও অর্থমন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে তেলমন্ত্রক৷ 

এ বছর ডিজেল ও রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি দিতে মোট ১০৫,৫১৫ কোটি টাকা অর্থমন্ত্রকের কাছে চেয়েছে তেলমন্ত্রক৷ আশা করা যাচ্ছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত দামে ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন বিক্রি করে চলতি অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত তৈল সংস্থাগুলির মোট লোকসান হবে ১,৬৩,০০০ কোটি টাকা৷ এই ক্ষতি পূরণ করতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে ওএনজিসি, অয়েল ইন্ডিয়া ও গেইলের মতো তেল উত্পাদনকারী সংস্থা৷ কারণ খুচরো তেল সংস্থাগুলির লোকসানের ৪০ শতাংশ বহন করে তেল উত্পাদনকারী সংস্থাগুলি৷ আর বাকি টাকাটা আসবে অর্থমন্ত্রকের কাছ থেকে৷ 

অন্যদিকে, ভর্তুকি-যুক্ত এলপিজি সিলিন্ডিারের সংখ্যা খুব শীঘ্রই ৬ থেকে ৯ করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে তেলমন্ত্রক৷ এবং মন্ত্রকের আশা এলপিজি ব্যববহার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে কেরোসিনের ব্যবহার প্রায় ২০ শতাংশ কমে যাবে৷ কলকাতায় ১৪.২ কেজি ভর্তুকি যুক্ত সিলিন্ডারের দাম এখন ৪১২ টাকা৷ ভর্তুকির বাইরে সিলিন্ডার কিনতে হলে দিতে হয় ৯১৩ টাকা৷ এ ছাড়া বাণিজ্যিক কাজকর্মে ব্যবহূত সিলিন্ডারের খরচ পড়ে ১১০০ টাকার উপরে৷ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম পড়ে ১৬১৯ টাকা৷ বাড়িতে ব্যবহূত ভর্তুকি যুক্ত গ্যাস, বাড়িতে ব্যবহূত ভর্তুকির বাইরে কেনা গ্যাস, কোনও সমাজকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহূত গ্যাস ও হোটেল-রেস্তোরাঁর মতো বাণিজ্যিক কাজে-কর্মে ব্যবহূত গ্যাস- বর্তমানে এ দেশে এলপিজি সিলিন্ডারের এই চার ধরনের রেট রয়েছে৷ কিন্ত্ত তেলমন্ত্রক ভর্তুকি যুক্ত সিলিন্ডার ও মার্কেট থেকে কেনা সিলিন্ডার-এই দু'ধরনের রেট চালু করার আর্জি জানিয়েছে৷ 


এসইজেডে নতুন কর ছাড়ের ভাবনা কেন্দ্রের, সিদ্ধান্ত জানুয়ারির শেষে

নানা ধরনের কর চাপানোয় ম্লান হয়ে পড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে (এসইজেড) উজ্জীবিত করতে নতুন বছরের প্রথম মাসেই এ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নতুন প্রস্তাবে কর ছাড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে৷ 

কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন, 'এক মাসের মধ্যে, অর্থাত্‍ জানুয়ারির মধ্যেই এসইজেডের নির্দেশিকা নিয়ে নতুন কিছু আশা করতে পারেন৷ নতুন নির্দেশিকায় অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের উত্‍সাহ দেওয়া হবে৷' 

বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যসচিব, রেভিনিউ সচিব ও অর্থসচিবের মধ্যে কথা হয়েছে৷ আমি এ নিয়ে চিদম্বরমকে চিঠি দিয়েছে এবং সরাসরি কথাও বলেছি৷ বাণিজ্যমন্ত্রক ও অর্থমন্ত্রকের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে৷' 

২০১০-১১ সালে এসইজেডের জন্য সরকার মিনিমাল অল্টার্নেটিভ ট্যাক্স (ম্যাট) ও ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (ডিডিটি) জারি করে যদিও তার আগে এসইজেডে প্রায় কোনও ধরনের করই ছিল না৷ কর ধার্য করার পরেই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে রন্তানির পরিমাণ দৃশ্যতই কমতে থাকে৷

আনন্দ শর্মা বলেন, 'ম্যাট আনার সিদ্ধান্তে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি ছিল৷ আমরা চেয়েছিলাম ডিডিটির সঙ্গে এটিকে এক করে দিতে, কিন্ত্ত বাস্তবে তা হয়নি৷' 

বুধবার মন্ত্রী বলেন, 'আমার চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত হত না কারণ কোনও পরিকল্পনার স্থায়িত্ব এবং তার কার্যকাল সম্বন্ধে আগাম আঁচ করা দেশের ও বিদেশের বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত জরুরি৷ তাঁরা সংসদে সহমতের ভিত্তিতে তৈরি যে নীতির উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করছেন সেটির স্থায়িত্ব থাকতে হবে৷' 

প্রত্যক্ষ কর নীতি (ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড বা ডিটিসি) নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে সংসদে৷ ডিটিসিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, এসইজেড থেকে আয়কর বাদ দেওয়া এবং বিভিন্ন ত্রনের যুক্তকরের আওতা থেকে এসইজেড-কে মুক্ত করা৷ এসইজেড প্রকল্পের আসল কথাটাই হল বেশি মুনাফার সুযোগ করে দেওয়া৷ 

২০০৬ সালে যখন প্রথমবার এসইজেড চালু হয় তখন বহু সংস্থা প্রকল্প গড়তে আগ্রহী ছিল এবং রিয়েল এস্টেটেও বিপুল সুযোগ তৈরি হয়েছিল৷ 

চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল সেপ্টেম্বরে আগের অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের তুলনায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে রপ্তানি ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার কোটি টাকা হয়েছে৷ ২০১১-১২ অর্থবর্ষে এসইজেড থেকে বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা৷ বিনিয়োগ হয়েছিল ২ কোটি ২ লক্ষ কোটি টাকা৷ এই ক্ষেত্রে ৮ লক্ষ ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে৷  


বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগ এনে আজ জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও এআইএডিএমকে সুপ্রিমো জয়ললিতা। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বক্তব্য রাখার জন্য মাত্র দশমিনিট বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে হেনস্থা করতেই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন জয়ললিতা।  

আজকের উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তার পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অন্যদিকে, পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটিই ছিল প্রথম উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক। আজকের বৈঠকে অরুণাচলপ্রদেশ, আসাম, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম, উত্তরাখণ্ডকে কেন্দ্রের তরফ থেকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। 


অতি সঙ্কটে দিল্লি গণধর্ষণের শিকার তরুণীটি৷ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউ-য়ে চিকিত্সা চলছে তাঁর৷ হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'আইসিইউ-য়ে ভর্তি ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক৷ তাঁর চিকিত্সা শুরু হয়েছে৷ ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷' তরুণীর চিকিত্সার যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার৷ 

বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল পাঁচটা নাগাদ সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই তরুণীকে নিয়ে পেঁৗছয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স৷ তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে৷ ভর্তি করা হয় আইসিইউ-য়ে৷ সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার এই খবর জানিয়েছেন৷ বুধবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই তরুণীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়৷ তাঁর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য সুনাম রয়েছে সিঙ্গাপুরের এই হাসপাতালটির৷ হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণীটির চিকিত্সার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর বাড়ির লোকেদেরও যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে৷ সফদরজঙ্গ হাসপাতাল থেকে বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ অ্যাম্বুলেন্সে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১-ডি টার্মিনালে আনা হয় ওই তরুণীকে৷ সেখানে উড়ানের জন্য তৈরি ছিল ১২ আসনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স৷ ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর যান তরুণীটির বাবা-মা, দু'জন আত্মীয়, দু'জন নার্স এবং দু'জন ডাক্তার৷ ছিলেন তরুণীর বাড়ির লোকেরাও৷ 

বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে সিঙ্গাপুর পাঠানো নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে৷ জানিয়েছেন ওই দেশে কয়েক সন্তাহ ধরে তরুণীটির চিকিত্সা চলবে৷ এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তরুণীর বাড়ির লোকেদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ কেন উন্নত চিকিত্সার জন্য সিঙ্গাপুরকেই বেছে নেওয়া হল, তাও জানিয়েছেন শিন্ডে৷ তাঁর কথায়, 'তরুণীটির শারীরিক অবস্থা এবং কতক্ষণ সফর করতে পারবেন, তার ভিত্তিতেই ডাক্তাররা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল অন্যতম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন৷ এর পরই ভারতীয় হাইকমিশনকে যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় সরকার৷ তরুণীটির চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা ওই হাসপাতালের ডাক্তারদের তরুণীটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদে জানান৷' সব কিছু খতিয়ে দেখার পর ওই তরুণীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর উড়িয়ে আনা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ 

কেন হঠাত্ করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'ঘটনাটা ঘটার পর থেকেই ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছিলাম৷ তাঁকে সেরা চিকিত্সা দেওয়াটাই ছিল আমাদের অন্যতম লক্ষ্য৷ আমাদের চিকিত্সকদের সব রকমের চেষ্টার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল৷ এই অবনতিটা আমাদের প্রত্যেককেই উদ্বেগে রেখেছে৷' এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ওই তরুণীর চিকিত্সার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে৷ ডাক্তাররা তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন৷ তার পরই সরকার যাবতীয় খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন শিন্ডে৷ 


দিল্লি গণধর্ষণ নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই সারা দেশ জুড়েই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। এবার গাড়িতে লিফট দেওয়ার নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিনজনের বিরুদ্ধে। বিয়াল্লিশ বছরের ওই মহিলা আদতে জয়পুরের বাসিন্দা। গতকাল রাতে বৃন্দাবন থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। সেসময়, লিফট দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে গাড়িতে তোলে তিনজন। 

এদের মধ্যে একজন মহিলার পূর্ব পরিচিত বলে জানা যাচ্ছে। গাড়ি করে ওই তিনজন মহিলাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই অভিযুক্তরা তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।  ধর্ষণের পর ওই মহিলাকে দিল্লির কালকাজি থানা সংলগ্ন এলাকায় ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাল রাতেই রাত ৯ টা ১৫ নাগাদ এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে অচৈতন্য রাস্তায় পরে থাকতে দেখে পুলিসে খবর দেন। জ্ঞান ফেরার পর আক্রান্ত মহিলা কালকাজি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিস। বাকি দুজন এখনও পলাতক।


এই সময়: চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে যখন দিল্লি-সহ সারা ভারত তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে, এবং জনমতের চাপে কেন্দ্রীয় সরকার যখন নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে, তখনও টনক নড়ছে না বিকৃতকামদের৷ তারই প্রমাণ দিল বুধবার দেশের তিন প্রান্তের তিনটি ঘটনা৷ 

প্রথম ঘটনাস্থল, ভোপাল৷ সরকারি হাসপাতালে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করল ৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী৷ নিজের দগ্ধ শিশুকন্যার চিকিত্‍সার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন ওই মহিলা৷ অভিযোগ, তিনি শৌচাগারে গেলে তাঁকে অনুসরণ করে সেখানে পৌঁছে যায় রাহুল, সানি ও শচীন নামে তিন জন ঝাড়ুদার৷ সেই শৌচাগারেই গণধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে৷ শনিবারে এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার গোপালগঞ্জ থানায় এফএইআর দায়ের করেন ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী৷ তার পরই ব্যাপারটি জনসমক্ষে আসে৷ গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ৩ ঝাড়ুদারকে৷ 

পরের ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলা৷ ভিরুধাচলম শহরের কাছে মণিমুক্তা নদীর তীরে এক ২০ বছর বয়সি তরুণীকে গণধর্ষণ করে ১০ জনের একটি দল৷ ওই তরুণী কুড্ডালোর জেলার গুরুমঙ্গলম গ্রাম থেকে এসেছিলেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে৷ নদীর তীরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কতীরা৷ ওই আত্মীয় বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধোর করা হয়৷ তার পরেই গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী৷ পরে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ১০ জন অভিযুক্তকেই গ্রেন্তার করেছে পুলিশ৷ ধর্ষিতাকে মুনিদিয়মপক্কম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ 

তৃতীয় ঘটনাস্থল, গাজিয়াবাদ৷ ধর্ষিতা তরুণীকে হত্যার চেষ্টা করল অভিযুক্ত ব্যক্তি৷ শুধু তাই নয়, ঘটনা জানা সত্ত্বেও পদক্ষেপ করতে অনীহা দেখাল পুলিশ৷ অভিযোগ, চার বছর আগে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল ঋষি নামে এক ব্যক্তি৷ সেই ঘটনায় অভিযুক্তের জেলও হয়৷ কিন্ত্ত কিছু দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পায় ঋষি৷ তার পরই ওই ধর্ষিতা তরুণীকে খুন করার চেষ্টা করে সে৷ অভিযোগ, পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি৷ গাজিয়াবাদের উর্ধ্বতন পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট (এসএসপি) প্রশান্ত কুমারের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'আরে মশাই ছাড়ুন তো৷ দিল্লির গণধর্ষণ তো ইতিমধ্যেই শিরোনামে চলে এসেছে৷ অভিযুক্তের জেল হওয়ার পরেই ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল৷ আর সে যখন জেল থেকে ছাড়া পায় তত দিনে মেয়েটি আরও একবার বিয়ে করেছে৷' অবশ্য ওই তরুণী দু'বার বিয়ে করলে অভিযুক্ত ঋষির অপরাধ কী ভাবে লঘু হয়ে যায়, এসএসপি-র কাছ থেকে তার কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ 

বিপাকে পড়লেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিম। গড়ফা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপর থেকেই পলাতক বাপি করিম। আজ আলিপুর আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বাপি করিমের পরিবারের তরফে মহিলাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। 

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে আড়াই বছর ধরে সহবাস করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমের বিরুদ্ধে। ২০১০ সাল থেকেই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক। এমনকী তিনি বিবাহিত এই তথ্য গোপন রেখেই শুরু হয় মেলামেশা। মৌলবী ডেকে মিথ্যা বিয়ে করা হয় বলেও অভিযোগ। আইনি বিবাহের কথা তুললেই মহিলাকে মারধর করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, মহিলার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন বাপি করিম। ওই টাকাতেই হাওড়ার পাঁচলা এলাকায় জমি ছাড়াও একটি গাড়ি কেনেন মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক। মহিলার পরিচালিত সংস্থার যুগ্ম ডিরেক্টর হন বাপি করিম। সেইসূত্রে মহিলার কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাত্‍ করেন বাপি করিম। এরপরই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে বাপি করিম। 
 
গোটা বিষয়টি পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জানান ওই মহিলা। পরিবহণমন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। উনিশে ডিসেম্বর মহিলা গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবাহ(৪৯৪), ধর্ষণ(৩৭৬), খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে মারার চেষ্টা(৩২৮), প্রতারণা(৪২০), ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়(৩৮৪) প্রভৃতি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত বাপি করিম পলাতক। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বাপি করিমের পরিবারের তরফে মহিলাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিসের কাছে সেকথা জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।

দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে চলতে থাকা প্রতিবাদ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিত মুখোপাধ্যায়। জঙ্গিপুরের এই কংগ্রেস সাংসদের মতে, দিল্লির প্রতিবাদে সামিল হওয়া এখন ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁদের সঙ্গে বাস্তবের কোন যোগাযোগ নেই বলে মনে করেন তিনি। দিল্লিতে প্রতিবাদের নামে `নৌটঙ্কি` চলছে। অভিজিত বাবুর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের গোটা পরিবার। 

রাষ্ট্রপতি পুত্রের বক্তব্য, কিছু মহিলা সাজগোজ করে মুখে রংচঙ মেখে ডিস্কোথেক থেকে ইন্ডিয়াগেটে ধর্ষণের প্রতিবাদ করতে আসেন। 

পরে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন প্রণব পুত্র অভিজিত মুখোপাধ্যায়। জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিত বলেন, কাউকে অসম্মান করার জন্য তিনি এই মন্বব্য করেননি। পাশাপাশি দিল্লির আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত বলেও অভিজিত জানান।

এই পুরো প্রতিবাদ কর্মসূচীটি কোন রাজনৈতিক দলের দ্বারা সংঘটিত বলে মনে করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের একটি সভায় দিল্লিতে চলা প্রতিবাদ নিয়ে বক্তব্য পেশ করার সময় অভিজিত বাবু বলেন `` দিল্লিতে চলা প্রতিবাদ আন্দোলনের নামে যা চলছে তার সঙ্গে মিশরের তুলনা টানার কোন কারণই নেই। বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু লোক এই আন্দোলন চালাচ্ছেন। ছাত্রী পরিচয় দিয়ে যে সব মহিলারা মুখে রংচঙ মেখে টিভি ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তাঁদেরকে দেখে কোন ভাবেই ছাত্রী বলে মনে হয় না। তাঁরা তাঁদের ছেলেমেয়েকে নিয়ে টিভি ক্যামেরায় মুখ দেখাতে আসেন।`` অভিজিত বাবু পরে অবশ্য জানিয়েছেন তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি মোটেও প্রতিবাদকারীদের অসম্মান করতে চাননি। মহিলাদের সাজসজ্জা সম্পর্কিত মন্তব্য নিয়েও তিনি দুঃখপ্রকাশ করে নিয়েছেন। 


এই সময়: দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ নিয়ে তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠার পর বৃহস্পতিবার ক্ষমা চেয়ে নিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, দিল্লির বিক্ষোভ হুজুগে। প্রতিবাদে সামিল হওয়া ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগাযোগ নেই। 

এর পরই ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক মহল তো বটেই, নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে রাষ্ট্রপতির পরিবার। বৃহস্পতিবারই অভিজিতের মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। বলেন, এই মন্তব্যের সঙ্গে তাঁর বা তাঁদের পরিবারের কোনও যোগাযোগ নেই। মন্তব্য একান্ত ভাবেই অভিজিতের ব্যক্তিগত। দিল্লিতে প্রতিবাদে সামিল জনতার প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর পরিবারের পূর্ণ শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে। তাঁদের পরিবারের অন্য ধরনের মূল্যবোধ আছে। 

উত্তরোত্তর চাপ বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত পিছু হটেন অভিজিত্‍। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, 'আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি। আমার কথায় কেউ যদি আহত হয়ে থাকেন, তা হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।' মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। 


 ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে অভিনব পন্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র। দিল্লি গণধর্ষণে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা-সহ ছবি প্রকাশ করা হবে সরকারি ওয়েবসাইটে। উদ্দেশ্য, জনগণের সামনে তাদের পরিচয় প্রকাশ করে একরাশ লজ্জায় ডুবিয়ে দেওয়া। 

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রতনজিত্‍ প্রতাপ নারায়ণ সিং এই প্রচার প্রথমে শুরু হবে নয়াদিল্লিতে। তিনি জানিয়েছেন, 'দিল্লি পুলিশের ওয়েবসাইটে তাদের নাম, ঠিকানা ও ছবি প্রকাশ করা হবে। আমরা এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় দৃঢ় এবং প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ করব।' শুধু দিল্লির গণধর্ষণে অভিযুক্তরাই নয়, একই ভাবে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোকে। তাদের সকলের ছবিই আপলোড করা হবে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ও দোষীদের ছবি সরকারি ওয়েবসাইটে
দিল্লিতে প্রতিবাদ চলেছে বৃহস্পতিবারও। ছবি-- এপি

রাষ্ট্রপতি কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি জানিয়েছেন এই মতামত একান্ত ভাবেই অভিজিত বাবুর ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে তাঁদের পরিবারের কোন সম্পর্কই নেই। দিল্লির প্রতিবাদে সামিল জনতার প্রতি তাঁদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে। 

প্রসঙ্গত, দিল্লির চলন্ত বাসে এক তরুণীর ধর্ষণকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই প্রতিবাদে উত্তাল সারা দেশ। দিল্লিতে ইন্ডিয়াগেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। 


ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিত নিয়ে নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাবে এবার মুখ খুললেন পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের নির্যাতিতা মহিলা। তাঁর পাল্টা দাবি, তাঁর সঙ্গে যে পাশবিক ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও নাটকের ঘটনাক্রম নয়। বরং কঠিন বাস্তব।  ধর্ষণের মত ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আরও সংযত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন নির্যাতিতা মহিলা। ধর্ষণের প্রেক্ষিত নিয়ে দ্বিচারিতা ছেড়ে রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা যাতে সুনিশ্চিত হয় সেজন্য রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের সবস্তরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নাট্যকর্মীদের প্রতিবাদ সভায় অর্পিতা ঘোষ মন্তব্য করেন, প্রেক্ষিতের বিচারে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড ও পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডকে এক করে দেখা উচিত হবে না।

অর্পিতা ঘোষের এই মন্তব্যের সমালোচনা  হয় সবমহলেই। ধর্ষণের মত ঘটনা কি শুধুমাত্র প্রেক্ষিতের মাপকাঠিতে বিচার করা যায়? প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও। বুধবার অর্পিতা ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা। তাঁর মতে ধর্ষণের মত পাশবিক ঘটনা একটি কঠিন বাস্তব। একইসঙ্গে ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আরও সংযত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষার দিকটি সুনিশ্চিত করার বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সমাজের সবস্তরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষের মন্তব্য কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। এবার তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা মহিলা পাল্টা মুখ খোলায় সেই অস্বস্তি আরও বাড়ল মনে করছে সবমহল।


কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সব শেষে কলকাতা

বেঙ্গালুরু: অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগ ২১ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের একটি রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে৷ 

অ্যাসোচ্যামের মহাসচিব ডিএস রাওয়াত বলেন, 'রাজধানী দিল্লি শীর্ষে রয়েছে, এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার৷ মেট্রো শহরের মধ্যে মুম্বইয়ে নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে ৭৭ হাজার, বেঙ্গালুরুতে ৭৫ হাজার ও চেন্নাইয়ে ৪৪ হাজার এবং কলকাতায় সবচেয়ে কম ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে৷' অ্যাসোচ্যাম জানিয়েছে, উক্ত সময়ের মধ্যে দেশজুড়ে পাঁচ লক্ষ তিরিশ হাজার মতো কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে৷ দু'লক্ষ আশি হাজার প্রথম অর্ধে ও দু'লক্ষ চল্লিশ হাজার দ্বিতীয় অর্ধে৷ মঙ্গলবারই 'জব ট্রেন্ডস অ্যাক্রস ইন্ডিয়া ইন ২০১২' শীর্ষক রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে বণিকসভা৷ 

দেশে যে ৫.৩ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র৷ এই ক্ষেত্রে ২.১ লক্ষ সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ এর পরেই রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্র৷ এখানে চাকরি পেয়েছেন ৩৪,৫০০ জন৷ এর পরেই রয়েছে বিমা ও ব্যাঙ্ক, সুযোগ পেয়েছেন যথাক্রমে ২৭,১০০ ও ২৪,৫০০ জন৷ 

তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের উপরে নির্ভর করেছে অ্যাসোচ্যাম রিসার্চ ব্যুরো (এআরবি)৷ টাইমসজব ডট কম, নকরি ডট কম, মনস্টার ডট কম, শাইন ডট কমে চার হাজারের বেশি সংস্থা কাজের সুযোগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেয়৷ এ ছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রের মাধ্যমে ৫৬টি শহরে ৩২টি ক্ষেত্রে কাডের সুযোগ সৃষ্টির দিকে নজর দিয়েছিল এআরবি৷ 

তাদের তথ্য অনুযায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে অটোমোবাইল (২২,৮৯৯০), আর্থিক পরিষেবা (২২,৫০০), উত্পাদন (২০,৪০০), ইঞ্জিনিয়ারিং (১৮৬৫০), হোটেল-রেস্তরাঁ (১৬,১০০) ও তথ্যপ্রযুক্তি-হার্ডওয়্যারে (১৫,৬০০)৷ এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে শিক্ষাক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে (১৬ শতাংশ)৷ অন্য ক্ষেত্রগুলোয় দশ শতাংশ মতো কমেছে কাজের সুযোগ৷ 

অ্যাসোচ্যামের হিসাবে বছরের শেষ অর্ধে অ্যাভিয়েশনে ৭৮ শতাংশ, ক্রীড়ায় ৪১ শতাংশ এবং খুচরো ব্যবসায় ৬ শতাংশ সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ জুলাই থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্য ক্ষেত্রগুলিতে কাজের সুযোগ কমেছে সব মিলিয়ে ৪৬ শতাংশ৷ দিল্লিতে টেলিকম ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুযোগ (৫৩,০০০) তৈরি হয়েছে৷ তার পরে রয়েছে যথাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি (১১,০০০), হোটেল-রেস্তোরাঁ, উত্পাদন, নির্মাণ, বয়ন, ব্যাঙ্কিং, রিয়েল এস্টেট এবং গয়না শিল্পে৷ 

বছরের প্রথম অর্ধে কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল বেঙ্গালুরু৷ জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ৪১,৫০০-র বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছিল সিলিকন ভ্যালিতে৷ ২০১১ সালের শেষ ছ'মাসে এই শহরে ৮,৬০০টি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেই হিসাবে সুযোগ বেড়েছিল ৩৪১ শতাংশ৷ এই তালিকায় বেঙ্গালুরুর পরে রয়েছে মুম্বই (২৫৯), হায়দরাবাদ(১১৪), আমেদাবাদ (৯৩), চেন্নাই (৮১), জয়পুর (৩৩), লখনৌ (১২) এবং কোয়েম্বাটোর(৬ শতাংশ)৷ বছরের প্রথম অর্ধের তুলনায় শেষ অর্ধে বেশি কর্মসংস্থান তৈরির তালিকায় রয়েছে কোচি (৩০ শতাংশ)৷ প্রথমার্ধে ১৫০০ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ২০০টি কাজের সুযোগ এখানে তৈরি হয়েছে৷ এর পরে রয়েছে আগরা (১৪ শতাংশ), আজমের (১২), উদয়পুর (১০), কোটা (৭), কানপুর (৫), ভেলোর (৫) ও জলন্ধর (৪)৷ বছরের প্রথমার্ধে কর্মসংস্থানের হার কমেছিল ২৫ শতাংশ মতো, শেষার্ধে তা কমেছে ১৫ শতাংশ মতো৷ তাই দ্বিতীয়ার্ধের অবস্থা তুলনায় ভালো বলেই মনে করচে অ্যাসোচ্যাম৷ 


কৃষক সমাবেশে বললেন মিশ্র 
মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত বড়দিনের উৎসবে 
কৃষকের জীবনে নেমে এসেছে হাহাকার

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি, ২৬শে ডিসেম্বর— মুখ্যমন্ত্রী যখন বড়দিনের উৎসব করছেন, তখন এরাজ্যের কৃষকদের জীবনে হাহাকার নেমে এসেছে। বুধবার এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও সর্বভারতীয় কৃষকনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সারা ভারত কৃষকসভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ৩৬তম সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ উপলক্ষে এদিন কেশিয়াড়ির জগন্নাথ মন্দির মা‍‌ঠে ২৫ হাজারের বেশি কৃষকের এক জমায়েতে তিনি বক্তব্য রাখেন। সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, রাজ্যের কৃষকরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১২৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দর ঘোষণা করলেও এরাজ্যের কোনো কৃষক এই দরে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে যারা সি পি আই (এম)-র অফিস পোড়াচ্ছে, বামপন্থী কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তারাও কি ১২৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে পেরেছে? শুধু ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না এটাই নয়, সার, বীজ, কৃষি সরঞ্জামের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত কৃষকজীবন। এতটাই দুর্যোগ নেমে এসেছে যে, গত ১৯ মাসে ৭৫ জনের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। মিশ্র বলেন, রাজ্যে যখন এই ভয়াবহ অবস্থা, তখন কৃষকদের পাশে না দাঁ‍‌ড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। এদিন সমাবেশে গণ-আন্দোলনের নেতা দীপক সরকার জেলায় তৃণমূল বামফ্রন্ট কর্মীদের ওপর যেভাবে সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বলেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গ্রামগুলিকে দুর্গে পরিণত করতে হবে কৃষককর্মী‍‌দের। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করতে এলে গণ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদিন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষকসভার নেতা হরেকৃষ্ণ সামন্ত।

এদিন কৃষক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, তৃণমূলের গুণ্ডামির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে কৃষকসভার কর্মীদের। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক স্বার্থবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে গ‍‌ড়ে তুলতে হবে সংগ্রামের বৃহত্তর মঞ্চ। শামিল করতে হবে সমস্ত গরিব ক্ষেতমজুর, মাঝারি কৃষকসহ সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষদের।

সমাবেশে দীপক সরকার বলেন, রাজ্যে শ্রমজীবী মানুষের ওপর আক্রমণ বাড়ছে। পরিবর্তনের পরে গত ১৯ মাসে স্কুল কলেজ সহ যেখানেই নির্বাচন হয়েছে, সেখানেই গুণ্ডামি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, মারধর সহ বুথ দখল করে সংগঠিত হয়েছে ছাপ্পা ভোট। এই প্রসঙ্গে তিনি ঘাটালের মনসুকা হাইস্কুলের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভোটাররা যখন দীর্ঘ লাইনে দাঁ‍‌ড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন, তখন পাশের জেলা হুগলী থেকে নৌকায় করে গুণ্ডাদের আনে তৃণমূল। মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ভোটারদের। বুথ দখল করে নির্বিবাদে চালায় ছাপ্পা ভোট। কেশিয়াড়ির কুসুমপুর বিদ্যালয়ে নির্বাচন ঘিরে শুরু করে সন্ত্রাস, ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে প্রার্থী দেয় বামপন্থীরা। মানুষকে বাধা দেয় ভোট দিতে, তা সত্ত্বেও একটি আসনে জয়ী হয় বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী। কেন একটি আসনে বামপন্থীরা জিতলো এই অপরাধে তৃণমূলীরা পুড়িয়ে দেয় সি পি আই (এম) বিনন্দপুর লোকাল কমিটি কার্যালয়। তিনি বলেন, কেশিয়াড়ির ৫নম্বর অঞ্চলে কালামেটিয়া গ্রামে কৃষকসভার জেলা সম্মেলন উপলক্ষে মাইকে প্রচার করছিলেন কৃষকসভার কর্মীরা। তাঁদের মারধর করে হাঁটানো হয় তৃণমূলের মিছিলে। তৃণমূলের এক সাংসদ বলছেন, 'নির্বাচন কমিশন নয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাই নির্বাচন করবো আমি।' এই তো ওদের গণতন্ত্র! সরকার বলেন, নির্বাচিত পঞ্চায়েতকে পঙ্গু করে তথাকথিত পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ করছে তৃণমূলের তোলাবাজরা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামপন্থীদের প্রার্থী দিতে দেবে না ঘোষণা করেছে তৃণমূলী। ওরা মারধর, গুণ্ডামি করবে, কৃষকসভার কর্মী সহ সাধারণ কৃষকদের দায়িত্ব নিতে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গ্রামগুলিকে দুর্গে পরিণত করা, বামপন্থী প্রার্থীদের উপর আক্রমণ করতে এলে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।

এদিন সূর্য মিশ্র বলেন, গত ১৯ মাস তৃণমূল এরাজ্যের সরকারে আছে। তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে মানুষের কাছে। এরাজ্যে এখন তোলাবাজ চিটফান্ডের সরকার চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫০/৬০টি চিটফান্ড সংস্থা ১৫ হাজার কোটি টাকা তুলেছে রাজ্য থেকে। রাজ্য সরকারের হয়ে গুণগান গাইতে কয়েকটি কাগজ এবং সংবাদ চ্যানেল চলছে চিটফান্ডের টাকায়। তিনি বলেন, ছবি বিক্রি করে কত টাকা হয় জানি না, আসলে চিটফান্ডগুলির কাছে সাধারণ মানুষের জমানো টাকায় চলছে তৃণমূলের নির্বাচন খরচ। যারা টাকা জমা দিচ্ছেন এবং যারা ফিল্ডে কাজ করছেন এজেন্ট হয়ে, সবাই সতর্ক হোন।

সূর্য মিশ্র নি বলেন, বলা হচ্ছে জঙ্গলমহল শান্ত। নিজেদের কাঁধে পা‍‌ রেখে মাওবাদীদের রাজ্যে আসতে সাহায্য করেছিলো তৃণমূল। পাশাপাশি তৃণমূলীরাই রাতারাতি ঝাঁকে ঝাঁকে হয়ে গিয়েছিলো মাওবাদী, রাজ্যে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠার পরে তৃণমূলের যারা মাওবাদী হয়েছিলো নিজেদের মেকআপ খুলে আবার হয়ে গেছে তৃণমূল। ৪০টি খুনের আসামী, কিষেনজীর পাহারাদার, এমন একজনের বিয়ে হলো তৃণমূলের ব্লক সভাপতির সাথে। খুনীদের এখন সামনে পেছনে পাইলট। অবশ্য কিষেনজী মারবার আগে বুঝে গেছেন কাকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে রামধনু জোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই এই সরকার পুরো ৫ বছরই থাকুক। মুখ্যমন্ত্র যেন গদি ছেড়ে না পালায়। কারণ ইতিমধ্যে বহু মানুষ চিনতে পেরেছেন কাকে এনেছেন। ৫ বছর চললে মানুষ আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন।

কৃষকসভার পক্ষ থেকে এদিন মূলত কেশিয়াড়ি ব্লক এবং লাগোয়া এলাকার মানুষদের আসতে বলা হয় সমাবেশে। ২৫ হাজারের বেশি মানুষ এদিন এসেছিলেন এই সমাবেশে। যদিও সমাবেশ যাতে সফল না হতে পারে সেজন্য গত কয়েকদিন ধরে কেশিয়াড়ি ব্লক এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তৃণমূল। মারধর, অফিস ঘর পোড়ানো সহ চলতে থাকে হুমকি। এসব উপেক্ষা করেই সমাবেশে উপস্থিত হয় ব্লকের হাজার হাজার মানুষ। ধামসা মাদল বাজিয়ে শিঙা ফুঁকে মিছিল সহ সমাবেশে শামিল হয় আদিবাসী কিষাণ এবং কিষাণীরা।

http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=33869


রিলায়েন্সের দাবিতে 
কেন্দ্রের কমিটি গৌণ 
করলো সি এ জি-কে

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি, ২৬শে ডিসেম্বর— রিলায়েন্সের দাবি মেনে রিপোর্ট দিলো কেন্দ্রের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। গ্যাস এবং তেলের খনি বেসরকারী সংস্থাকে বরাতের ক্ষেত্রে সি এ জি'র মাধ্যমে পরীক্ষা কার্যত তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজনের নেতৃত্বাধীন কমিটি। গত সপ্তাহে পেশ হওয়া এই রিপোর্টে সুপারিশ, কোল বেড মিথেন উত্তোলন চুক্তিতে রিলায়েন্সের হিসেব এবং কাজের বিস্তৃত রিপোর্ট পরীক্ষার প্রয়োজন নেই সি এ জি'র। কারণ, এক্ষেত্রে কাজ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের চুক্তির ভিত্তিতে। ভবিষ্যতে তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রে উৎপাদন ভাগাভাগির চুক্তির সুপারিশ করে কমিটি বলেছে, সেক্ষেত্রে সি এ জি'র হিসেব পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না। 

কৃষ্ণা গোদাবরী বেসিনের গ্যাস খনি নিয়ে সি এ জি'র হিসেব পরীক্ষায় সমানে বাধা দিয়ে চলেছে রিলায়েন্স। এই খনির চুক্তিতে উত্তোলন বাবদ খরচা মিটিয়ে মুনাফার ভাগ সরকারকে দেওয়ার কথা রিলায়েন্সের। কিন্তু, খরচ বাড়িয়ে দেখিয়ে সরকারকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে। কোল বেড মিথেন খনির চুক্তি অবশ্য কিছুটা আলাদা। সেখানে উৎপাদন বণ্টনের শর্ত রয়েছে। রঙ্গরাজনের বক্তব্য, এই ধরনের চুক্তিতে খরচ পূরণ করার বিষয় নেই। তাই সি এ জি'র নজরদারিও নিষ্প্রয়োজন।


তামিলনাডুতে পর পর,মহারাষ্ট্রে মানসিক 
ভারসাম্যহীন তরুণী ধর্ষিতা

সংবাদ সংস্থা

বিরুধাচলম ও ঔরঙ্গাবাদ, ২৬শে ডিসেম্বর — তামিলনাডুতে ২০বছরের এক তরুণী পর পর ধর্ষণের শিকার হলেন। ১০জন মিলে এই তরুণীকে ধর্ষণ করে। বুধবার পুলিস এখবর জানিয়ে বলেছে, কুড্ডালোর জেলার বিরুধাচলমে মণিমুক্তা নদীর ধারে মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিস জানিয়েছে, ঐ তরুণী তার পরিবারের একজনের সঙ্গে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বিরুধাচলমের কাছে গুরুমঙ্গলম গ্রামে থাকে। তরুণীকে আক্রমণ করলে তাঁকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করায় দুষ্কৃতীরা সেই আত্মীয়কে প্রচুর মারধর করে এবং পরে দল বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ১০জনকেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে মুণ্ডিয়াম্পাক্কাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের ফেলুনগরে। মঙ্গলবার ৬৫বছরের এক ব্যক্তি এই নৃশংস আক্রমণটি ঘটিয়েছে তার উপর। ঐ ব্যক্তি, লক্ষ্মণ বাঙ্কার মহারাষ্ট্র সরকারের পরিবহন দপ্তরের কর্মী ছিলেন। ওসমানপুরে পুলিস থানার অন্তর্গত ফেলুনগরে নিজের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটায় ঐ ব্যক্তি। এদিন পুলিস জানিয়েছে, ঐদিন সন্ধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণীর উপর এই জঘণ্য আক্রমণ ঘটানোর সময় এক প্রতিবেশী তা দেখে ফেলেন এবং তরুণীর পরিবারকে তা জানান। তাঁর পরিবার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানায় নথিভুক্ত করে। লক্ষ্মণ বাঙ্কারকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে এবং আক্রান্ত তরুণীকে সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।


ইন্দোরে পর পর 
ধর্ষিতা সাফাইকর্মী

সংবাদ সংস্থা

ইন্দোর, ২৬শে ডিসেম্বর — মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে এক মহিলা পর পর ধর্ষণের শিকার হলেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি এই শারীরিক হেনস্তার শিকার হন। বুধবার পুলিস এখবর জানিয়ে বলেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের খাজরানা এলাকায়। ৪৫বছরের এই মহিলা তিন সন্তানের সঙ্গে খাজরানা থানার কাছেই থাকেন এবং এলাকায় সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ করেন। শহরের পুলিস সুপার প্রশান্ত চৌবে জানিয়েছেন, ঐদিন রাতে এক দুধওয়ালা মহিলাকে জানায় তাঁর জন্য ভাড়ায় একটি ঘর সে দেখেছে। ঐ ঘর দেখানোর জন্য তাঁকে নিয়ে যায় এবং অপর এক বন্ধুর সঙ্গে মিলে তাঁকে পর পর ধর্ষণ করে। পরে ঐ মহিলা এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস দুই অভিযুক্ত কুদরত প্যাটেল এবং ইশাককে এদিন খুব ভোরে গ্রেপ্তার করেছে। আক্রান্ত মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইন্দোরেই অপর একটি ঘটনায় এক বাড়িওয়ালা তার ভাড়াটের স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। পলাসিয়া থানা সূত্রে এখবর জানিয়ে বলা হয়েছে, ইন্দোরের বেঙ্গলি চৌরাহা এলাকায় ঘটেছে। অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা ঘটনার পরই বেপাত্তা হয়ে গেছে। তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়ে পুলিস জানিয়েছে, ঐ মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরায়িদাথপাম যৌন কেলেঙ্কারি চাপা দিতে 
চায় সরকার: মহিলা সমিতি

সংবাদ সংস্থা

কোঝিকোড়, ২৬শে ডিসেম্বর — আন্তঃরাজ্য যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কেরালার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউ ডি এফ সরকার। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি (এ আই ডি ডব্লিউ এ) অভিযোগ করেছে, আরায়িদাথপামের এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত অভিযুক্তদের আড়াল করারই চেষ্টা করছে এই সরকার। বুধবার সংগঠনের নেতৃত্ব পি সতীদেবী, বিধায়ক কে কে লতিকা স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন, আক্রান্ত দুজন নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী দল এপর্যন্ত ২১জনকে গ্রেপ্তার করলেও আসল রাঘববোয়ালদের এখনো ধরতে পারেনি তারা। ঐ চক্রের মধ্যে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ আরো বড় ব্যক্তিরা যুক্ত আছে। কিন্তু এদের বাঁচানোর জন্যই সরকার তদন্ত বিলম্ব করে দিচ্ছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হস্তক্ষেপের কারণেই এই বিলম্ব হচ্ছে বলে এ আই ডি ডব্লিউ এ অভিযোগ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সব গণতান্ত্রিক দলকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।


: প্রত্যক্ষদর্শী এবং বিক্ষোভকারীদের যাবতীয় দাবি নস্যাত্‍ করে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হল, বুকে ও ঘাড়ে মারাত্মক আঘাতেরফলেই মৃত্যু হয়েছে কনস্টেবল সুভাষ তোমরের। বুধবার সন্ধেয় দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কেসি দ্বিবেদী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘাড়ে ও বুকে আঘাতের ফলেই তোমরের হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। 

পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বুকে মারণ আঘাত লাগার ফলে বাঁ দিকের তিনটি হাড় ভেঙে যায়। হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও। টিস্যু এবং গলার পেশিতে রক্তক্ষরণ দেখা গিয়েছে। সাধারণত ভোঁতা কিছু দিয়ে সজোরে আঘাত করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। দ্বিবেদী জানিয়েছেন, 'কনস্টেবল তোমর মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিলেন। অটোপসিতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং ভাঙা পাঁজর পাওয়া গিয়েছে।


অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতেই সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হল দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীকে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্‍সা হবে ওই তরুণীর। বুধবার রাত দশটার পর তরুণীকে সফদরজং হাসপাতাল থেকে সরাসরি পালাম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। 

বাবা-মা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন দুই চিকিত্‍সক। মঙ্গলবার রাত থেকে আচমকাই দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পালস রেট নেমে যায় ৫০-এর নিচে। ব্র্যাডিকার্ডিয়ায় ভুগতে শুরু করেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ২৩ বছরের তরুণী। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য কিছুটা উন্নতি হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অবস্থা সঙ্কটজনক। 

বুধবার সকাল  থেকে দফায় দফায় সফদরজং হাসপাতালে আসতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সকরা। তরুণীর শারীরিক অবস্থা দেখে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। তবে চিকিত্‍সার জন্য তরুণীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ আঁটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্‍সকরা তরুণীকে পরীক্ষা করছেন, একথা জানিয়ে দু-দুবার মেডিক্যাল বুলেটিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে চিকিত্‍সার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সফদরজং হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রের সঙ্গে। 

মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ করা হয় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। হাইকমিশনকে তরুণীর চিকিত্‍সায় সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরই দ্রুত বিদেশমন্ত্রক ওই তরুণী এবং তাঁর বাবা-মার পাসপোর্ট, ভিসার বন্দোবস্ত করে। অবশেষে রাত দশটার পর অ্যাম্বুলেন্সে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের সাহায্যে সফদরজং হাসপাতাল থেকে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় পালাম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতা তরুণীকে। বাবা-মা ছাড়াও সঙ্গে যান গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালের দুই চিকিত্‍সক নরেশ ত্রেহান এবং যতীন মেহতা।   


কখনও কমে যাচ্ছে পালস রেট। কখনও প্রবল শ্বাসকষ্ট। মেডিক্যাল বুলেটিন আবার কখনও জানিয়েছে রক্তে কমে গিয়েছে অনুচক্রিকা। গত ১৬ তারিখের পর থেকে এরকমই হাজারো প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণী। তিন তিনবার অস্ত্রোপচারও তাঁর অদম্য প্রাণশক্তিকে এতটুকুও দমাতে পারেনি। তরুণীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের প্রহর কাটিয়েছে গোটা দেশ। গতকাল ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে। মেয়েটির সঙ্গে রয়েছে গোটা দেশের শুভকামনা। সবার চাহিদা এখন একটাই। মেয়েটি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। 

১৬ ডিসেম্বর 
দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী। পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। মুখে ও পেটে লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে মারে দুষ্কৃতীরা।

১৭ ডিসেম্বর
অন্ত্রে মারাত্মক আঘাত নিয়ে ভর্তি সফদরজং হাসপাতালের আইসিইউতে। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। হয় পরপর অস্ত্রোপচার।

১৮ ডিসেম্বর 
সকাল থেকেই অবনতি হয় অবস্থার। বেলার দিকে চিকিত্সকদের দাবি, কিছুটা ভাল আছেন তরুণী। একই সঙ্গে জানানো হয় বিপদ কাটেনি। পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে ৪৮ থেকে ৭২ঘণ্টা। 

১৯ ডিসেম্বর
পাঁচটি অস্ত্রোপচার করে বাদ দিতে হয় ক্ষুদ্রান্ত্রের পচন ধরা অংশ। জানানো হয় অবস্থা সঙ্কটজনক।

২০ ডিসেম্বর 
রক্তে অনুচক্রিকা এবং অন্য কণিকা মাত্রা কমতে শুরু করে। নিজে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলেও ভেন্টিলেশন থেকে বের করার ঝুঁকি নেননি চিকিত্সকেরা।

২১ ডিসেম্বর
স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ রাখা হয় ভেন্টিলেটর ছাড়াই। কিছুটা বাড়ে অনুচক্রিকার সংখ্যাও। কিন্তু বেড়ে যায় বিলিরুবিন ও শ্বেতকণিকাও। দেখা দেয় সেপসিসের আশঙ্কা।

২২ ডিসেম্বর
আবার একটু ভাল খবর। ভেনিটিলেটর ছাড়া শ্বাসপ্রশ্বাস। ডাল আর আপেলের রস খাচ্ছেন তরুণী। এমনটাই জানান চিকিতসকেরা।

২৩ ডিসেম্বর
ফের অবস্থার অবনতি। শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা হওয়ায় ফের ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। সংক্রমণ রুখতে দেওয়া হয় কড়া অ্যান্টিবায়োটিক।

২৪ ডিসেম্বর
পেটের ভিতর শুরু হয় রক্তক্ষরণ। অনুচক্রিকা কমে যাওয়ায় দেওয়া হয় চার বোতল প্লাজমা। 

২৫ ডিসেম্বর
শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি। পেটের মধ্যে রক্তক্ষরণ কমেছে। তবে রাখা হয় ভেন্টিলেশনেই। রাতে পালস রেট নেমে যায় পঞ্চাশের নীচে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি হয়।

২৬ ডিসেম্বর
শেষপর্যন্ত সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


শীলার চিঠির বদলে পাল্টা কমিশনারের


দিল্লির গণধর্ষণের তদন্ত নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ চলতেই থাকল৷ গণধর্ষণের তদন্ত পুলিশ প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডেকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত৷ বুধবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার চিঠি পাঠান স্বরাষ্ট্রদপ্তরে৷ ধর্ষিতা মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়ার সময় সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ঊষা চতুর্বেদীর ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং পুলিশ ক্যামেরার সামনে জবানবন্দি নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শীলা দীক্ষিত৷ 

নীরজ কুমার তাঁর চিঠিতে পুলিশের প্রশংসা করে বলেছেন, মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা চিন্তা করে পুলিশই তাঁর জবানবন্দি দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়৷ তদন্তের কাজ ভালোভাবেই এগোচ্ছে এবং ধর্ষিতাকে ন্যায় বিচার দেওয়ার সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ৷ 

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, তাঁরা দু'টি চিঠিই পেয়েছেন৷ এ ব্যাপারে দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ 

অন্যদিকে, দিল্লির প্রতিবাদের চিত্র বুধবার অনেকটাই শান্ত ছিল৷ ইন্ডিয়া গেট ও রাইসিনা হিলের সামনে নজরদারি চললেও আগের ক'দিনের তুলনায় তা ছিল অনেকটাই শান্ত৷ বুধবার অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানান, দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ঊষা মেহেরার নেতৃত্বে গঠিত কমিশন দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে দিক নির্দেশ করবে৷ তিন মাসের মধ্যে তারা রিপোর্ট জমা দেবে৷ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে এস বর্মার নেতৃত্বে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে আরও কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে অপরাধমূলক আইনে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবে এই কমিটি৷ 

অন্য দিকে ধর্ষণের ঘটনায় একের পর এক প্রশ্নে জেরবার কংগ্রেস বলছে, ছাত্র-যুবদের এই ধরনের বিক্ষোভ ব্যবস্থাটাকে নাড়িয়ে দিয়ে যায় এবং তারপর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন হয়৷ কিন্ত্ত পুলিশ বা প্রশাসনের মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি? এখানে এসেই থমকে যাচ্ছে কংগ্রেস৷ 

দলের মুখপাত্র রেণুকা চৌধুরি বলেছেন, এরকম স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ আগে দেখা যায়নি৷ এটা মিনি-বিপ্লব৷ পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল৷ এই মিনি বিপ্লবও তেমনই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে৷ পরিবর্তন কী আসবে, কতটা আসবে, তা অবশ্য পরে বোঝা যাবে, তবে কংগ্রেস ‌নেতাদের ব্যাখ্যা, ইন্ডিয়া গেটে লাঠি চালনা পুলিশকে আক্রমণ করায় হয়৷ তবে শিন্ডের কথাকে দল সমর্থন করেনি৷ যথেচ্ছ পুলিশি শক্তিপ্রদর্শন যে অন্তত বদলাবে না, সে বিষয়ে অন্তত একমত হচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও! 

ষোলো তারিখ রাত থেকে সফদরজং হাসপাতালের আইসিইউতে শুয়ে নিজের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের লড়াইটা শুরু করেছিলেন ওই তরুণী। আর শনিবার সকাল থেকে তাঁর প্রতিবাদে ভাষা যোগ করেছিল রাজধানী  দিল্লি। নজিরবিহীন প্রতিবাদ। শুধু এই গণধর্ষণকাণ্ড নয়, প্রতিবাদে উঠে এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলাদের সম্মিলিত কণ্ঠ। আর এই সম্মিলিত স্বরই হয়তো সকলের অলক্ষ্যে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ওই তরুণীকে জুগিয়ে গিয়েছে হার না মানার শক্তি। ভেন্টিলেটরে থাকা প্যারা মেডিক্যালের ওই ছাত্রীর সেই অদম্য প্রাণশক্তিকে কুর্নিশ করেছেন চিকিত্সকেরাও। দেশজুড়ে প্রতিবাদের জেরে তরুণীর চিকিত্সার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। ধর্ষণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে শীলা দীক্ষিত সরকার এবং পুলিস প্রশাসনের চরম দ্বন্দ্ব। কিন্তু, সবকিছু ছাপিয়ে সামনে চলে এসেছে নির্যাতিতার আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা। তাই বুধবার রাতে যখন সিঙ্গাপুরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতা তরুণীকে তখন তাঁর সঙ্গে ছিল গোটা দেশের শুভকামনা।


মনুস্মৃতি – অধ্যায় (মনুসংহিতা – অধ্যায় )

  1. মনুমেকাগ্রমাসীনমভিগম্য মহর্ষযঃ ।
    প্রতিপূজ্য যথান্যাযমিদং বচনমব্রুবন্ ।। 
    The great sages approached Manu, who was seated with a collected mind, and, having duly worshipped him, spoke as follows:
  2. ভগবন্ সর্ববর্ণানাং যথাবদনুপূর্বশঃ ।
    অন্তরপ্রভবানাং চ ধর্মান্নো বক্তুমর্হসি ।। 
    'Deign, divine one, to declare to us precisely and in due order the sacred laws of each of the (four chief) castes (varna) and of the intermediate ones.
  3. ত্বমেকো হ্যস্য সর্বস্য বিধানস্য স্বযংভুবঃ ।
    অচিন্ত্যস্যাপ্রমেযস্য কার্যতত্ত্বার্থবিত্ প্রভো ।। 
    'For thou, O Lord, alone knowest the purport, (i.e.) the rites, and the knowledge of the soul, (taught) in this whole ordinance of the Self-existent (Svayambhu), which is unknowable and unfathomable.'
  4. স তৈঃ পৃষ্টস্তথা সম্যগমিতোজা মহাত্মভিঃ ।
    প্রত্যুবাচার্চ্য তান্ সর্বান্ মহর্ষীংশ্রূযতামিতি ।। 
    He, whose power is measureless, being thus asked by the high-minded great sages, duly honoured them, and answered, 'Listen!'
  5. আসীদিদং তমোভূতমপ্রজ্ঞাতমলক্ষণম্ ।
    অপ্রতর্ক্যমবিজ্ঞেযং প্রসুপ্তমিব সর্বতঃ ।। 
    This (universe) existed in the shape of Darkness, unperceived, destitute of distinctive marks, unattainable by reasoning, unknowable, wholly immersed, as it were, in deep sleep.
  6. ততঃ স্বযংভূর্ভগবানব্যক্তো ব্যঞ্জযন্নিদম্ ।
    মহাভূতাদি বৃত্তোজাঃ প্রাদুরাসীত্ তমোনুদঃ ।। 
    Then the divine Self-existent (Svayambhu, himself) indiscernible, (but) making (all) this, the great elements and the rest, discernible, appeared with irresistible (creative) power, dispelling the darkness.
  7. যোঽসাবতীন্দ্রিযগ্রাহ্যঃ সূক্ষ্মোঽব্যক্তঃ সনাতনঃ ।
    সর্বভূতমযোঽচিন্ত্যঃ স এব স্বযমুদ্বভৌ ।। 
    He who can be perceived by the internal organ (alone), who is subtile, indiscernible, and eternal, who contains all created beings and is inconceivable, shone forth of his own (will).
  8. সোঽভিধ্যায শরীরাত্ স্বাত্ সিসৃক্ষুর্বিবিধাঃ প্রজাঃ ।
    অপ এব সসর্জাদৌ তাসু বীর্যমবাসৃজত্ ।। 
    He, desiring to produce beings of many kinds from his own body, first with a thought created the waters, and placed his seed in them.
  9. তদণ্ডমভবদ্ধৈমং সহস্রাংশুসমপ্রভম্ ।
    তস্মিঞ্জজ্ঞে স্বযং ব্রহ্মা সর্বলোকপিতামহঃ ।। 
    That (seed) became a golden egg, in brilliancy equal to the sun; in that (egg) he himself was born as Brahman, the progenitor of the whole world.
  10. আপো নারা ইতি প্রোক্তা আপো বৈ নরসূনবঃ ।
    তা যদস্যাযনং পূর্বং তেন নারাযণঃ স্মৃতঃ ।। 
    The waters are called narah, (for) the waters are, indeed, the offspring of Nara; as they were his first residence (ayana), he thence is named Narayana.
  11. যত্ তত্ কারণমব্যক্তং নিত্যং সদসদাত্মকম্ ।
    তদ্বিসৃষ্টঃ স পুরুষো লোকে ব্রহ্মৈতি কীর্ত্যতে ।। 
    From that (first) cause, which is indiscernible, eternal, and both real and unreal, was produced that male (Purusha), who is famed in this world (under the appellation of) Brahman.
  12. তস্মিন্নণ্ডে স ভগবানুষিত্বা পরিবত্সরম্ ।
    স্বযমেবাত্মনো ধ্যানাত্ তদণ্ডমকরোদ্ দ্বিধা ।। 
    The divine one resided in that egg during a whole year, then he himself by his thought (alone) divided it into two halves;
  13. তাভ্যাং স শকলাভ্যাং চ দিবং ভূমিং চ নির্মমে ।
    মধ্যে ব্যোম দিশশ্চাষ্টাবপাং স্থানং চ শাশ্বতম্ ।। 
    And out of those two halves he formed heaven and earth, between them the middle sphere, the eight points of the horizon, and the eternal abode of the waters.
  14. উদ্ববর্হাত্মনশ্চৈব মনঃ সদসদাত্মকম্ ।
    মনসশ্চাপ্যহঙ্কারমভিমন্তারমীশ্বরম্ ।। 
    From himself (atmanah) he also drew forth the mind, which is both real and unreal, likewise from the mind egoism, which possesses the function of self-consciousness (and is) lordly;
  15. মহান্তমেব চাত্মানং সর্বাণি ত্রিগুণানি চ ।
    বিষযাণাং গ্রহীতৄণি শনৈঃ পঞ্চৈন্দ্রিযাণি চ ।। 
    Moreover, the great one, the soul, and all (products) affected by the three qualities, and, in their order, the five organs which perceive the objects of sensation.
  16. তেষাং ত্ববযবান্ সূক্ষ্মান্ ষণ্ণামপ্যমিতৌজসাম্ ।
    সংনিবেশ্যাত্মমাত্রাসু সর্বভূতানি নির্মমে ।।
  17. যন্ মূর্ত্যবযবাঃ সূক্ষ্মাস্তানীমান্যাশ্রযন্তি ষট্ ।
    তস্মাচ্ছরীরমিত্যাহুস্তস্য মূর্তিং মনীষিণঃ ।।
  18. তদাবিশন্তি ভূতানি মহান্তি সহ কর্মভিঃ ।
    মনশ্চাবযবৈঃ সূক্ষ্মৈঃ সর্বভূতকৃদব্যযম্ ।।
  19. তেষামিদং তু সপ্তানাং পুরুষাণাং মহৌজসাম্ ।
    সূক্ষ্মাভ্যো মূর্তিমাত্রাভ্যঃ সংভবত্যব্যযাদ্ ব্যযম্ ।।
  20. আদ্যাদ্যস্য গুণং ত্বেষামবাপ্নোতি পরঃ পরঃ ।
    যো যো যাবতিথশ্চৈষাং স স তাবদ্ গুণঃ স্মৃতঃ ।।
  21. সর্বেষাং তু স নামানি কর্মাণি চ পৃথক্ পৃথক্ ।
    বেদশব্দেভ্য এবাদৌ পৃথক্ সংস্থাশ্চ নির্মমে ।।
  22. কর্মাত্মনাং চ দেবানাং সোঽসৃজত্ প্রাণিনাং প্রভুঃ ।
    সাধ্যানাং চ গণং সূক্ষ্মং যজ্ঞং চৈব সনাতনম্ ।।
  23. অগ্নিবাযুরবিভ্যস্তু ত্রযং ব্রহ্ম সনাতনম্ ।
    দুদোহ যজ্ঞসিদ্ধ্যর্থং ঋচ্.যজুস্.সামলক্ষণম্ ।।
  24. কালং কালবিভক্তীশ্চ নক্ষত্রাণি গ্রহাংস্তথা ।
    সরিতঃ সাগরান্ শৈলান্ সমানি বিষমানি চ ।।
  25. তপো বাচং রতিং চৈব কামং চ ক্রোধমেব চ ।
    সৃষ্টিং সসর্জ চৈবৈমাং স্রষ্টুমিচ্ছন্নিমাঃ প্রজাঃ ।।
  26. কর্মণাং চ বিবেকার্থং ধর্মাধর্মৌ ব্যবেচযত্ । 
    দ্বন্দ্বৈরযোজযচ্চৈমাঃ সুখদুঃখাদিভিঃ প্রজাঃ ।।
  27. অণ্ব্যো মাত্রা বিনাশিন্যো দশার্ধানাং তু যাঃ স্মৃতাঃ ।
    তাভিঃ সার্ধমিদং সর্বং সংভবত্যনুপূর্বশঃ ।।
  28. যং তু কর্মণি যস্মিন্ স ন্যযুঙ্ক্ত প্রথমং প্রভুঃ ।
    স তদেব স্বযং ভেজে সৃজ্যমানঃ পুনঃ পুনঃ ।।
  29. হিংস্রাহিংস্রে মৃদুক্রূরে ধর্মাধর্মাবৃতানৃতে ।
    যদ্ যস্য সোঽদধাত্ সর্গে তত্ তস্য স্বযমাবিশত্ ।।
  30. যথর্তুলিঙ্গান্যর্তবঃ স্বযমেবর্তুপর্যযে ।
    স্বানি স্বান্যভিপদ্যন্তে তথা কর্মাণি দেহিনঃ ।।
  31. লোকানাং তু বিবৃদ্ধ্যর্থং মুখবাহূরুপাদতঃ ।
    ব্রাহ্মণং ক্ষত্রিযং বৈশ্যং শূদ্রং চ নিরবর্তযত্ ।।
  32. দ্বিধা কৃত্বাঽত্মনো দেহমর্ধেন পুরুষোঽভবত্ ।
    অর্ধেন নারী তস্যাং স বিরাজমসৃজত্ প্রভুঃ ।।
  33. তপস্তপ্ত্বাঽসৃজদ্ যং তু স স্বযং পুরুষো বিরাট্ ।
    তং মাং বিত্তাস্য সর্বস্য স্রষ্টারং দ্বিজসত্তমাঃ ।।
  34. অহং প্রজাঃ সিসৃক্ষুস্তু তপস্তপ্ত্বা সুদুশ্চরম্ ।
    পতীন্ প্রজানামসৃজং মহর্ষীনাদিতো দশ ।।
  35. মরীচিমত্র্যঙ্গিরসৌ পুলস্ত্যং পুলহং ক্রতুম্ ।
    প্রচেতসং বসিষ্ঠং চ ভৃগুং নারদমেব চ ।।
  36. এতে মনূংস্তু সপ্তান্ যানসৃজন্ ভূরিতেজসঃ ।
    দেবান্ দেবনিকাযাংশ্চ মহর্ষীংশ্চামিতোজসঃ ।।
  37. যক্ষরক্ষঃ পিশাচাংশ্চ গন্ধর্বাপ্সরসোঽসুরান্ ।
    নাগান্ সর্পান্ সুপর্ণাংশ্চ পিতৄণাংশ্চ পৃথগ্গণম্ ।।
  38. বিদ্যুতোঽশনিমেঘাংশ্চ রোহিতৈন্দ্রধনূংষি চ ।
    উল্কানির্ঘাতকেতূংশ্চ জ্যোতীংষ্যুচ্চাবচানি চ ।।
  39. কিন্নরান্ বানরান্ মত্স্যান্ বিবিধাংশ্চ বিহঙ্গমান্ ।
    পশূন্ মৃগান্ মনুষ্যাংশ্চ ব্যালাংশ্চোভযতোদতঃ ।।
  40. কৃমিকীটপতঙ্গাংশ্চ যূকামক্ষিকমত্কুণম্ ।
    সর্বং চ দংশমশকং স্থাবরং চ পৃথগ্বিধম্ ।।
  41. এবমেতৈরিদং সর্বং মন্নিযোগান্ মহাত্মভিঃ ।
    যথাকর্ম তপোযোগাত্ সৃষ্টং স্থাবরজঙ্গমম্ ।।
  42. যেষাং তু যাদৃশং কর্ম ভূতানামিহ কীর্তিতম্ ।
    তত্ তথা বোঽভিধাস্যামি ক্রমযোগং চ জন্মনি ।।
  43. পশবশ্চ মৃগাশ্চৈব ব্যালাশ্চোভযতোদতঃ ।
    রক্ষাংসি চ পিশাচাশ্চ মনুষ্যাশ্চ জরাযুজাঃ ।।
  44. অণ্ডজাঃ পক্ষিণঃ সর্পা নক্রা মত্স্যাশ্চ কচ্ছপাঃ ।
    যানি চৈবং.প্রকারাণি স্থলজান্যৌদকানি চ ।।
  45. স্বেদজং দংশমশকং যূকামক্ষিকমত্কুণম্ ।
    ঊষ্মণশ্চোপজাযন্তে যচ্চান্যত্ কিং চিদীদৃশম্ ।।
  46. উদ্ভিজ্জাঃ স্থাবরাঃ সর্বে বীজকাণ্ডপ্ররোহিণঃ ।
    ওষধ্যঃ ফলপাকান্তা বহুপুষ্পফলোপগাঃ ।।
  47. অপুষ্পাঃ ফলবন্তো যে তে বনস্পতযঃ স্মৃতাঃ ।
    পুষ্পিণঃ ফলিনশ্চৈব বৃক্ষাস্তূভযতঃ স্মৃতাঃ ।।
  48. গুচ্ছগুল্মং তু বিবিধং তথৈব তৃণজাতযঃ ।
    বীজকাণ্ডরুহাণ্যেব প্রতানা বল্ল্য এব চ ।।
  49. তমসা বহুরূপেণ বেষ্টিতাঃ কর্মহেতুনা ।
    অন্তস্সংজ্ঞা ভবন্ত্যেতে সুখদুঃখসমন্বিতাঃ ।।
  50. এতদন্তাস্তু গতযো ব্রহ্মাদ্যাঃ সমুদাহৃতাঃ ।
    ঘোরেঽস্মিন্ ভূতসংসারে নিত্যং সততযাযিনি ।।
  51. এবং সর্বং স সৃষ্ট্বৈদং মাং চাচিন্ত্যপরাক্রমঃ ।
    আত্মন্যন্তর্দধে ভূযঃ কালং কালেন পীডযন্ ।।
  52. যদা স দেবো জাগর্তি তদেবং চেষ্টতে জগত্ ।
    যদা স্বপিতি শান্তাত্মা তদা সর্বং নিমীলতি ।।
  53. তস্মিন্ স্বপিতি তু স্বস্থে কর্মাত্মানঃ শরীরিণঃ ।
    স্বকর্মভ্যো নিবর্তন্তে মনশ্চ গ্লানিমৃচ্ছতি ।।
  54. যুগপত্ তু প্রলীযন্তে যদা তস্মিন্ মহাত্মনি ।
    তদাঽযং সর্বভূতাত্মা সুখং স্বপিতি নির্বৃতঃ ।।
  55. তমোঽযং তু সমাশ্রিত্য চিরং তিষ্ঠতি সৈন্দ্রিযঃ ।
    ন চ স্বং কুরুতে কর্ম তদোত্ক্রামতি মূর্তিতঃ ।।
  56. যদাঽণুমাত্রিকো ভূত্বা বীজং স্থাণু চরিষ্ণু চ ।
    সমাবিশতি সংসৃষ্টস্তদা মূর্তিং বিমুঞ্চতি ।।
  57. এবং স জাগ্রত্স্বপ্নাভ্যামিদং সর্বং চরাচরম্ ।
    সঞ্জীবযতি চাজস্রং প্রমাপযতি চাব্যযঃ ।।
  58. ইদং শাস্ত্রং তু কৃত্বাঽসৌ মামেব স্বযমাদিতঃ ।
    বিধিবদ্ গ্রাহযামাস মরীচ্যাদীংস্ত্বহং মুনীন্ ।।
  59. এতদ্ বোঽযং ভৃগুঃ শাস্ত্রং শ্রাবযিষ্যত্যশেষতঃ ।
    এতদ্ হি মত্তোঽধিজগে সর্বমেষোঽখিলং মুনিঃ ।।
  60. ততস্তথা স তেনোক্তো মহর্ষিমনুনা ভৃগুঃ ।
    তানব্রবীদ্ ঋষীন্ সর্বান্ প্রীতাত্মা শ্রূযতামিতি ।।
  61. স্বাযংভুবস্যাস্য মনোঃ ষড্বংশ্যা মনবোঽপরে ।
    সৃষ্টবন্তঃ প্রজাঃ স্বাঃ স্বা মহাত্মানো মহৌজসঃ ।।
  62. স্বারোচিষশ্চোত্তমশ্চ তামসো রৈবতস্তথা ।
    চাক্ষুষশ্চ মহাতেজা বিবস্বত্সুত এব চ ।।
  63. স্বাযংভুবাদ্যাঃ সপ্তৈতে মনবো ভূরিতেজসঃ ।
    স্বে স্বেঽন্তরে সর্বমিদমুত্পাদ্যাপুশ্চরাচরম্ ।।
  64. নিমেষা দশ চাষ্টৌ চ কাষ্ঠা ত্রিংশত্ তু তাঃ কলা ।
    ত্রিংশত্ কলা মুহূর্তঃ স্যাদহোরাত্রং তু তাবতঃ ।।
  65. অহোরাত্রে বিভজতে সূর্যো মানুষদৈবিকে ।
    রাত্রিঃ স্বপ্নায ভূতানাং চেষ্টাযৈ কর্মণামহঃ ।।
  66. পিত্র্যে রাত্র্যহনী মাসঃ প্রবিভাগস্তু পক্ষযোঃ ।
    কর্মচেষ্টাস্বহঃ কৃষ্ণঃ শুক্লঃ স্বপ্নায শর্বরী ।।
  67. দৈবে রাত্র্যহনী বর্ষং প্রবিভাগস্তযোঃ পুনঃ ।
    অহস্তত্রোদগযনং রাত্রিঃ স্যাদ্ দক্ষিণাযনম্ ।।
  68. ব্রাহ্মস্য তু ক্ষপাহস্য যত্ প্রমাণং সমাসতঃ ।
    একৈকশো যুগানাং তু ক্রমশস্তন্নিবোধত ।।
  69. চত্বার্যাহুঃ সহস্রাণি বর্ষাণাং তত্ কৃতং যুগম্ ।
    তস্য তাবত্শতী সংধ্যা সংধ্যাংশশ্চ তথাবিধঃ ।।
  70. ইতরেষু সসংধ্যেষু সসংধ্যাংশেষু চ ত্রিষু ।
    একাপাযেন বর্তন্তে সহস্রাণি শতানি চ ।।
  71. যদেতত্ পরিসঙ্খ্যাতমাদাবেব চতুর্যুগম্ ।
    এতদ্ দ্বাদশসাহস্রং দেবানাং যুগমুচ্যতে ।।
  72. দৈবিকানাং যুগানাং তু সহস্রং পরিসঙ্খ্যযা ।
    ব্রাহ্মমেকমহর্জ্ঞেযং তাবতীং রাত্রিমেব চ ।।
  73. তদ্ বৈ যুগসহস্রান্তং ব্রাহ্মং পুণ্যমহর্বিদুঃ ।
    রাত্রিং চ তাবতীমেব তেঽহোরাত্রবিদো জনাঃ ।।
  74. তস্য সোঽহর্নিশস্যান্তে প্রসুপ্তঃ প্রতিবুধ্যতে ।
    প্রতিবুদ্ধশ্চ সৃজতি মনঃ সদসদাত্মকম্ ।।
  75. মনঃ সৃষ্টিং বিকুরুতে চোদ্যমানং সিসৃক্ষযা ।
    আকাশং জাযতে তস্মাত্ তস্য শব্দং গুণং বিদুঃ ।।
  76. আকাশাত্ তু বিকুর্বাণাত্ সর্বগন্ধবহঃ শুচিঃ ।
    বলবাঞ্জাযতে বাযুঃ স বৈ স্পর্শগুণো মতঃ ।।
  77. বাযোরপি বিকুর্বাণাদ্ বিরোচিষ্ণু তমোনুদম্ ।
    জ্যোতিরুত্পদ্যতে ভাস্বত্ তদ্ রূপগুণমুচ্যতে ।।
  78. জ্যোতিষশ্চ বিকুর্বাণাদাপো রসগুণাঃ স্মৃতাঃ ।
    অদ্ভ্যো গন্ধগুণা ভূমিরিত্যেষা সৃষ্টিরাদিতঃ ।।
  79. যদ্ প্রাগ্ দ্বাদশসাহস্রমুদিতং দৈবিকং যুগম্ ।
    তদেকসপ্ততিগুণং মন্বন্তরমিহোচ্যতে ।।
  80. মন্বন্তরাণ্যসঙ্খ্যানি সর্গঃ সংহার এব চ ।
    ক্রীডন্নিবৈতত্ কুরুতে পরমেষ্ঠী পুনঃ পুনঃ ।।
  81. চতুষ্পাত্ সকলো ধর্মঃ সত্যং চৈব কৃতে যুগে ।
    নাধর্মেণাগমঃ কশ্চিন্ মনুষ্যান্ প্রতি বর্ততে ।।
  82. ইতরেষ্বাগমাদ্ ধর্মঃ পাদশস্ত্ববরোপিতঃ ।
    চৌরিকানৃতমাযাভির্ধর্মশ্চাপৈতি পাদশঃ ।।
  83. অরোগাঃ সর্বসিদ্ধার্থাশ্চতুর্বর্ষশতাযুষঃ ।
    কৃতে ত্রেতাদিষু হ্যেষামাযুর্হ্রসতি পাদশঃ ।।
  84. বেদোক্তমাযুর্মর্ত্যানামাশিষশ্চৈব কর্মণাম্ ।
    ফলন্ত্যনুযুগং লোকে প্রভাবশ্চ শরীরিণাম্ ।।
  85. অন্যে কৃতযুগে ধর্মাস্ত্রেতাযাং দ্বাপরেঽপরে । 
    অন্যে কলিযুগে নৄণাং যুগহ্রাসানুরূপতঃ ।।
  86. তপঃ পরং কৃতযুগে ত্রেতাযাং জ্ঞানমুচ্যতে ।
    দ্বাপরে যজ্ঞমেবাহুর্দানমেকং কলৌ যুগে ।।
  87. সর্বস্যাস্য তু সর্গস্য গুপ্ত্যর্থং স মহাদ্যুতিঃ।
    মুখবাহুরুপজ্জানাং পৃথক্ কর্মাণ্যকল্পয়ৎ।। (১/৮৭)
    বঙ্গানুবাদ: এই সকল সৃষ্টির অর্থাৎ ত্রিভুবনের রক্ষার জন্য মহাতেজযুক্ত প্রজাপতি ব্রহ্মা নিজের মুখ, বাহু, উরু এবং পাদ- এই চারটি অঙ্গ থেকে জাত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রদের পৃথক পৃথক কার্যের ব্যবস্থা করে দিলেন।

  88. অধ্যাপনমধ্যয়নং যজনং যাজনং তথা।
    দানং প্রতিগ্রহঞ্চৈব ব্রাহ্মণানামকল্পয়ৎ।। (১/৮৮)
    বঙ্গানুবাদ: অধ্যাপন, স্বয়ং অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান ও প্রতিগ্রহ (উপহার বা দান-সামগ্রি গ্রহণ)- এই ছয়টি কাজ ব্রহ্মা ব্রাহ্মণদের জন্য নির্দেশ করে দিলেন।

  89. প্রজানাং রক্ষণং দানমিজ্যাধ্যয়নমেব চ।
    বিষয়েম্বপ্রসক্তিশ্চ ক্ষত্রিয়স্য সমাসতঃ।। (১/৮৯)
    বঙ্গানুবাদ: প্রজারণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, নৃত্যগীতবনিতাদি-বিষয়ভোগে অনাসক্তি, এই কয়েকটি কাজ ব্রহ্মা ক্ষত্রিয়গণের জন্য সংক্ষেপে নিরূপিত করলেন।

  90. পশূনাং রক্ষণং দানমিজ্যাধ্যয়নমেব চ।
    বণিক্পথং কুসীদঞ্চ বৈশ্যস্য কৃষিমেব চ।। (১/৯০)
    বঙ্গানুবাদ: পশুদের রক্ষা, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, বাণিজ্য (স্থলপথ ও জলপথ প্রভৃতির মাধ্যমে বস্তু আদান-প্রদান করে ধন উপার্জন), কুসীদ (বৃত্তিজীবিকা- টাকা সুদে খাটানো) এবং কৃষিকাজ- ব্রহ্মা কর্তৃক বৈশ্যদের জন্য নিরূপিত হল।

  91. এতমেব তু শূদ্রস্য প্রভুঃ কর্ম সমাদিশৎ।
    এতেষামেব বর্ণানাং শুশ্রূষামনসূয়য়া।। (১/৯১)
    বঙ্গানুবাদ: প্রভু ব্রহ্মা শূদ্রের জন্য একটি কাজই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, -তা হলো কোনও অসূয়া অর্থাৎ নিন্দা না করে (অর্থাৎ অকপটভাবে) এই তিন বর্ণের অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের শুশ্রূষা করা।
  92. ঊর্ধ্বং নাভের্মেধ্যতরঃ পুরুষঃ পরিকীর্তিতঃ ।
    তস্মান্ মেধ্যতমং ত্বস্য মুখমুক্তং স্বযংভুবা ।।
  93. উত্তমাঙ্গোদ্ভবাজ্ জ্যেষ্ঠ্যাদ্ ব্রহ্মণশ্চৈব ধারণাত্ ।
    সর্বস্যৈবাস্য সর্গস্য ধর্মতো ব্রাহ্মণঃ প্রভুঃ ।। (১/৯৩)
    বঙ্গানুবাদ: ব্রহ্মার পবিত্রতম মুখ থেকে উৎপন্ন বলে, সকল বর্ণের আগে ব্রাহ্মণের উৎপত্তি হওয়ায়, এবং বেদসমূহ ব্রাহ্মণকর্তৃক রক্ষিত হওয়ার জন্য (বা বেদসমূহ ব্রাহ্মণেরাই পঠন-পাঠন করেন বলে)- ব্রাহ্মণই ধর্মের অনুশাসন অনুসারে এই সৃষ্ট জগতের একমাত্র প্রভু।
  94. তং হি স্বযংভূঃ স্বাদাস্যাত্ তপস্তপ্ত্বাঽদিতোঽসৃজত্ ।
    হব্যকব্যাভিবাহ্যায সর্বস্যাস্য চ গুপ্তযে ।।
  95. যস্যাস্যেন সদাঽশ্নন্তি হব্যানি ত্রিদিবৌকসঃ ।
    কব্যানি চৈব পিতরঃ কিং ভূতমধিকং ততঃ ।।
  96. ভূতানাং প্রাণিনঃ শ্রেষ্ঠাঃ প্রাণিনাং বুদ্ধিজীবিনঃ ।
    বুদ্ধিমত্সু নরাঃ শ্রেষ্ঠা নরেষু ব্রাহ্মণাঃ স্মৃতাঃ ।।
  97. ব্রাহ্মণেষু চ বিদ্বাংসো বিদ্বত্সু কৃতবুদ্ধযঃ ।
    কৃতবুদ্ধিষু কর্তারঃ কর্তৃষু ব্রহ্মবেদিনঃ ।।
  98. উত্পত্তিরেব বিপ্রস্য মূর্তির্ধর্মস্য শাশ্বতী ।
    স হি ধর্মার্থমুত্পন্নো ব্রহ্মভূযায কল্পতে ।।
  99. ব্রাহ্মণো জাযমানো হি পৃথিব্যামধিজাযতে ।
    ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং ধর্মকোশস্য গুপ্তযে ।। (১/৯৯)
    বঙ্গানুবাদ: ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করা মাত্রই পৃথিবীর সকল লোকের উপরিবর্তী হন অর্থাৎ সমস্ত লোকের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হন। কারণ, ব্রাহ্মণই সকলের ধর্মকোষ অর্থাৎ ধর্মসমূহ রক্ষার জন্য প্রভুসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
  100. সর্বং স্বং ব্রাহ্মণস্যেদং যত্ কিং চিত্জগতীগতম্ ।
    শ্রৈষ্ঠ্যেনাভিজনেনেদং সর্বং বৈ ব্রাহ্মণোঽর্হতি ।। (১/১০০)
    বঙ্গানুবাদ: জগতে যা কিছু ধনসম্পত্তি সে সমস্তই ব্রাহ্মণের নিজ ধনের তুল্য; অতএব সকল বর্ণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে ব্রাহ্মণই সমুদয় সম্পত্তিরই প্রাপ্তির যোগ্য হয়েছেন।
  101. স্বমেব ব্রাহ্মণো ভুঙ্ক্তে স্বং বস্তে স্বং দদাতি চ ।
    আনৃশংস্যাদ্ ব্রাহ্মণস্য ভুঞ্জতে হীতরে জনাঃ ।। (১/১০১)
    বঙ্গানুবাদ: ব্রাহ্মণ যে পরের অন্ন ভোজন করেন, পরকীয় বসন পরিধান করেন, পরের ধন গ্রহণ করে অন্যকে প্রদান করেন, সে সবকিছু ব্রাহ্মণের নিজেরই। কারণ, ব্রাহ্মণেরই আনৃশংস্য অর্থাৎ দয়া বা করুণাতেই অন্যান্য যাবতীয় লোক ভোজন-পরিধানাদি করতে পারছে।
  102. তস্য কর্মবিবেকার্থং শেষাণামনুপূর্বশঃ ।
    স্বাযংভুবো মনুর্ধীমানিদং শাস্ত্রমকল্পযত্ ।।
  103. বিদুষা ব্রাহ্মণেনৈদমধ্যেতব্যং প্রযত্নতঃ ।
    শিশ্যেভ্যশ্চ প্রবক্তব্যং সম্যগ্ নান্যেন কেন চিত্ ।।
  104. ইদং শাস্ত্রমধীযানো ব্রাহ্মণঃ শংসিতব্রতঃ ।
    মনোবাক্দেহজৈর্নিত্যং কর্মদোষৈর্ন লিপ্যতে ।।
  105. পুনাতি পঙ্ক্তিং বংশ্যাংশ্চ ? ? সপ্তসপ্ত পরাবরান্ ।
    পৃথিবীমপি চৈবেমাং কৃত্স্নামেকোঽপি সোঽর্হতি ।।
  106. ইদং স্বস্ত্যযনং শ্রেষ্ঠমিদং বুদ্ধিবিবর্ধনম্ ।
    ইদং যশস্যমাযুষ্যং ইদং নিঃশ্রেযসং পরম্ ।।
  107. অস্মিন্ ধর্মেঽখিলেনোক্তৌ গুণদোষৌ চ কর্মণাম্ ।
    চতুর্ণামপি বর্ণানামাচারশ্চৈব শাশ্বতঃ ।।
  108. আচারঃ পরমো ধর্মঃ শ্রুত্যোক্তঃ স্মার্ত এব চ ।
    তস্মাদস্মিন্ সদা যুক্তো নিত্যং স্যাদাত্মবান্ দ্বিজঃ ।।
  109. আচারাদ্ বিচ্যুতো বিপ্রো ন বেদফলমশ্নুতে ।
    আচারেণ তু সংযুক্তঃ সম্পূর্ণফলভাগ্ ভবেত্ ।।
  110. এবমাচারতো দৃষ্ট্বা ধর্মস্য মুনযো গতিম্ ।
    সর্বস্য তপসো মূলমাচারং জগৃহুঃ পরম্ ।।
  111. জগতশ্চ সমুত্পত্তিং সংস্কারবিধিমেব চ ।
    ব্রতচর্যৌপচারং চ স্নানস্য চ পরং বিধিম্ ।।
  112. দারাধিগমনং চৈব বিবাহানাং চ লক্ষণম্ ।
    মহাযজ্ঞবিধানং চ শ্রাদ্ধকল্পং চ শাশ্বতম্ ।।
  113. বৃত্তীনাং লক্ষণং চৈব স্নাতকস্য ব্রতানি চ ।
    ভক্ষ্যাভক্ষ্যং চ শৌচং চ দ্রব্যাণাং শুদ্ধিমেব চ ।।
  114. স্ত্রীধর্মযোগং তাপস্যং মোক্ষং সংন্যাসমেব চ ।
    রাজ্ঞশ্চ ধর্মমখিলং কার্যাণাং চ বিনির্ণযম্ ।।
  115. সাক্ষিপ্রশ্নবিধানং চ ধর্মং স্ত্রীপুংসযোরপি ।
    বিভাগধর্মং দ্যূতং চ কণ্টকানাং চ শোধনম্ ।।
  116. বৈশ্যশূদ্রোপচারং চ সঙ্কীর্ণানাং চ সংভবম্ ।
    আপদ্ধর্মং চ বর্ণানাং প্রাযশ্চিত্তবিধিং তথা ।।
  117. সংসারগমনং চৈব ত্রিবিধং কর্মসংভবম্ ।
    নিঃশ্রেযসং কর্মণাং চ গুণদোষপরীক্ষণম্ ।।
  118. দেশধর্মান্জাতিধর্মান্ কুলধর্মাংশ্চ শাশ্বতান্ ।
    পাষণ্ডগণধর্মাংশ্চ শাস্ত্রেঽস্মিন্নুক্তবান্ মনুঃ ।।
  119. যথৈদমুক্তবাংশাস্ত্রং পুরা পৃষ্টো মনুর্মযা ।
    তথৈদং যূযমপ্যদ্য মত্সকাশান্নিবোধত ।।

১৬. But, joining minute particles even of those six, which possess measureless power, with particles of himself, he created all beings.

১৭. Because those six (kinds of) minute particles, which form the (creator's) frame, enter (a-sri) these (creatures), therefore the wise call his frame sarira, (the body.) ১৮. That the great elements enter, together with their functions and the mind, through its minute parts the framer of all beings, the imperishable one.

১৯. But from minute body (-framing) particles of these seven very powerful Purushas springs this (world), the perishable from the imperishable.

২০. Among them each succeeding (element) acquires the quality of the preceding one, and whatever place (in the sequence) each of them occupies, even so many qualities it is declared to possess.

২১. But in the beginning he assigned their several names, actions, and conditions to all (created beings), even according to the words of the Veda.

২২. He, the Lord, also created the class of the gods, who are endowed with life, and whose nature is action; and the subtile class of the Sadhyas, and the eternal sacrifice.

২৩. But from fire, wind, and the sun he drew forth the threefold eternal Veda, called Rik, Yagus, and Saman, for the due performance of the sacrifice.

২৪. Time and the divisions of time, the lunar mansions and the planets, the rivers, the oceans, the mountains, plains, and uneven ground.

২৫. Austerity, speech, pleasure, desire, and anger, this whole creation he likewise produced, as he desired to call these beings into existence.

২৬. Moreover, in order to distinguish actions, he separated merit from demerit, and he caused the creatures to be affected by the pairs (of opposites), such as pain and pleasure.

২৭. But with the minute perishable particles of the five (elements) which have been mentioned, this whole (world) is framed in due order.

২৮. But to whatever course of action the Lord at first appointed each (kind of beings), that alone it has spontaneously adopted in each succeeding creation.

২৯. Whatever he assigned to each at the (first) creation, noxiousness or harmlessness, gentleness or ferocity, virtue or sin, truth or falsehood, that clung (afterwards) spontaneously to it.

৩০. As at the change of the seasons each season of its own accord assumes its distinctive marks, even so corporeal beings (resume in new births) their (appointed) course of action.

৩১. But for the sake of the prosperity of the worlds he caused the Brahmana, the Kshatriya, the Vaisya, and the Sudra to proceed from his mouth, his arms, his thighs, and his feet.

৩২. Dividing his own body, the Lord became half male and half female; with that (female) he produced Virag.

৩৩. But know me, O most holy among the twice-born, to be the creator of this whole (world), whom that male, Virag, himself produced, having performed austerities.

৩৪. Then I, desiring to produce created beings, performed very difficult austerities, and (thereby) called into existence ten great sages, lords of created beings, ৩৫. Mariki, Atri, Angiras, Pulastya, Pulaha, Kratu, Praketas, Vasishtha, Bhrigu, and Narada.

৩৬. They created seven other Manus possessing great brilliancy, gods and classes of gods and great sages of measureless power, ৩৭. Yakshas (the servants of Kubera, the demons called) Rakshasas and Pisakas, Gandharvas (or musicians of the gods), Apsarases (the dancers of the gods), Asuras, (the snake-deities called) Nagas and Sarpas, (the bird-deities called) Suparnas and the several classes of the manes, ৩৮. Lightnings, thunderbolts and clouds, imperfect (rohita) and perfect rainbows, falling meteors, supernatural noises, comets, and heavenly lights of many kinds, ৩৯ (Horse-faced) Kinnaras, monkeys, fishes, birds of many kinds, cattle, deer, men, and carnivorous beasts with two rows of teeth, ৪০. Small and large worms and beetles, moths, lice, flies, bugs, all stinging and biting insects and the several kinds of immovable things.

৪১. Thus was this whole (creation), both the immovable and the movable, produced by those high-minded ones by means of austerities and at my command, (each being) according to (the results of) its actions.

৪২. But whatever act is stated (to belong) to (each of) those creatures here below, that I will truly declare to you, as well as their order in respect to birth.

৪৩. Cattle, deer, carnivorous beasts with two rows of teeth, Rakshasas, Pisakas, and men are born from the womb.

৪৪. From eggs are born birds, snakes, crocodiles, fishes, tortoises, as well as similar terrestrial and aquatic (animals).

৪৫. From hot moisture spring stinging and biting insects, lice, flies, bugs, and all other (creatures) of that kind which are produced by heat.

৪৬. All plants, propagated by seed or by slips, grow from shoots; annual plants (are those) which, bearing many flowers and fruits, perish after the ripening of their fruit; ৪৭. (Those trees) which bear fruit without flowers are called vanaspati (lords of the forest); but those which bear both flowers and fruit are called vriksha.

৪৮. But the various plants with many stalks, growing from one or several roots, the different kinds of grasses, the climbing plants and the creepers spring all from seed or from slips.

৪৯. These (plants) which are surrounded by multiform Darkness, the result of their acts (in former existences), possess internal consciousness and experience pleasure and pain.

৫০. The (various) conditions in this always terrible and constantly changing circle of births and deaths to which created beings are subject, are stated to begin with (that of) Brahman, and to end with (that of) these (just mentioned immovable creatures).

৫১. When he whose power is incomprehensible, had thus produced the universe and men, he disappeared in himself, repeatedly suppressing one period by means of the other.

৫২. When that divine one wakes, then this world stirs; when he slumbers tranquilly, then the universe sinks to sleep.

৫৩. But when he reposes in calm sleep, the corporeal beings whose nature is action, desist from their actions and mind becomes inert.

৫৪. When they are absorbed all at once in that great soul, then he who is the soul of all beings sweetly slumbers, free from all care and occupation.

৫৫. When this (soul) has entered darkness, it remains for a long time united with the organs (of sensation), but performs not its functions; it then leaves the corporeal frame.

৫৬. When, being clothed with minute particles (only), it enters into vegetable or animal seed, it then assumes, united (with the fine body), a (new) corporeal frame.

৫৭. Thus he, the imperishable one, by (alternately) waking and slumbering, incessantly revivifies and destroys this whole movable and immovable (creation).

৫৮. But he having composed these Institutes (of the sacred law), himself taught them, according to the rule, to me alone in the beginning; next I (taught them) to Mariki and the other sages.

৫৯. Bhrigu, here, will fully recite to you these Institutes; for that sage learned the whole in its entirety from me.

৬০. Then that great sage Bhrigu, being thus addressed by Manu, spoke, pleased in his heart, to all the sages, 'Listen!' ৬১. Six other high-minded, very powerful Manus, who belong to the race of this Manu, the descendant of the Self-existent (Svayambhu), and who have severally produced created beings, ৬২. (Are) Svarokisha, Auttami, Tamasa, Raivata, Kakshusha, possessing great lustre, and the son of Vivasvat.

৬৩. These seven very glorious Manus, the first among whom is Svayambhuva, produced and protected this whole movable and immovable (creation), each during the period (allotted to him).

৬৪. Eighteen nimeshas (twinklings of the eye, are one kashtha), thirty kashthas one kala, thirty kalas one muhurta, and as many (muhurtas) one day and night.

৬৫. The sun divides days and nights, both human and divine, the night (being intended) for the repose of created beings and the day for exertion.

৬৬. A month is a day and a night of the manes, but the division is according to fortnights. The dark (fortnight) is their day for active exertion, the bright (fortnight) their night for sleep.

৬৭. A year is a day and a night of the gods; their division is (as follows): the half year during which the sun progresses to the north will be the day, that during which it goes southwards the night.

৬৮. But hear now the brief (description of) the duration of a night and a day of Brahman and of the several ages (of the world, yuga) according to their order.

৬৯. They declare that the Krita age (consists of) four thousand years (of the gods); the twilight preceding it consists of as many hundreds, and the twilight following it of the same number.

৭০. In the other three ages with their twilights preceding and following, the thousands and hundreds are diminished by one (in each).

৭১. These twelve thousand (years) which thus have been just mentioned as the total of four (human) ages, are called one age of the gods.

৭২. But know that the sum of one thousand ages of the gods (makes) one day of Brahman, and that his night has the same length.

৭৩. Those (only, who) know that the holy day of Brahman, indeed, ends after (the completion of) one thousand ages (of the gods) and that his night lasts as long, (are really) men acquainted with (the length of) days and nights.

৭৪. At the end of that day and night he who was asleep, awakes and, after awaking, creates mind, which is both real and unreal.

৭৫. Mind, impelled by (Brahman's) desire to create, performs the work of creation by modifying itself, thence ether is produced; they declare that sound is the quality of the latter.

৭৬. But from ether, modifying itself, springs the pure, powerful wind, the vehicle of all perfumes; that is held to possess the quality of touch.

৭৭. Next from wind modifying itself, proceeds the brilliant light, which illuminates and dispels darkness; that is declared to possess the quality of colour; ৭৮. And from light, modifying itself, (is produced) water, possessing the quality of taste, from water earth which has the quality of smell; such is the creation in the beginning.

৭৯. The before-mentioned age of the gods, (or) twelve thousand (of their years), being multiplied by seventy-one, (constitutes what) is here named the period of a Manu (Manvantara).

৮০. The Manvantaras, the creations and destructions (of the world, are) numberless; sporting, as it were, Brahman repeats this again and again.

৮১. In the Krita age Dharma is four-footed and entire, and (so is) Truth; nor does any gain accrue to men by unrighteousness.

৮২. In the other (three ages), by reason of (unjust) gains (agama), Dharma is deprived successively of one foot, and through (the prevalence of) theft, falsehood, and fraud the merit (gained by men) is diminished by one fourth (in each).

৮৩. (Men are) free from disease, accomplish all their aims, and live four hundred years in the Krita age, but in the Treta and (in each of) the succeeding (ages) their life is lessened by one quarter.

৮৪. The life of mortals, mentioned in the Veda, the desired results of sacrificial rites and the (supernatural) power of embodied (spirits) are fruits proportioned among men according to (the character of) the age.

৮৫. One set of duties (is prescribed) for men in the Krita age, different ones in the Treta and in the Dvapara, and (again) another (set) in the Kali, in a proportion as (those) ages decrease in length.

৮৬. In the Krita age the chief (virtue) is declared to be (the performance of) austerities, in the Treta (divine) knowledge, in the Dvapara (the performance of) sacrifices, in the Kali liberality alone.

৮৭. But in order to protect this universe He, the most resplendent one, assigned separate (duties and) occupations to those who sprang from his mouth, arms, thighs, and feet.

৮৮. To Brahmanas he assigned teaching and studying (the Veda), sacrificing for their own benefit and for others, giving and accepting (of alms).

৮৯. The Kshatriya he commanded to protect the people, to bestow gifts, to offer sacrifices, to study (the Veda), and to abstain from attaching himself to sensual pleasures; ৯০. The Vaisya to tend cattle, to bestow gifts, to offer sacrifices, to study (the Veda), to trade, to lend money, and to cultivate land.

৯১. One occupation only the lord prescribed to the Sudra, to serve meekly even these (other) three castes.

৯২. Man is stated to be purer above the navel (than below); hence the Self-existent (Svayambhu) has declared the purest (part) of him (to be) his mouth.

৯৩. As the Brahmana sprang from (Brahman's) mouth, as he was the first-born, and as he possesses the Veda, he is by right the lord of this whole creation.

৯৪. For the Self-existent (Svayambhu), having performed austerities, produced him first from his own mouth, in order that the offerings might be conveyed to the gods and manes and that this universe might be preserved.

৯৫. What created being can surpass him, through whose mouth the gods continually consume the sacrificial viands and the manes the offerings to the dead? ৯৬. Of created beings the most excellent are said to be those which are animated; of the animated, those which subsist by intelligence; of the intelligent, mankind; and of men, the Brahmanas; ৯৭. Of Brahmanas, those learned (in the Veda); of the learned, those who recognise (the necessity and the manner of performing the prescribed duties); of those who possess this knowledge, those who perform them; of the performers, those who know the Brahman.

৯৮. The very birth of a Brahmana is an eternal incarnation of the sacred law; for he is born to (fulfil) the sacred law, and becomes one with Brahman.

৯৯. A Brahmana, coming into existence, is born as the highest on earth, the lord of all created beings, for the protection of the treasury of the law.

১০০. Whatever exists in the world is, the property of the Brahmana; on account of the excellence of his origin The Brahmana is, indeed, entitled to all.

১০১. The Brahmana eats but his own food, wears but his own apparel, bestows but his own in alms; other mortals subsist through the benevolence of the Brahmana.

১০২. In order to clearly settle his duties those of the other (castes) according to their order, wise Manu sprung from the Self-existent, composed these Institutes (of the sacred Law).

১০৩. A learned Brahmana must carefully study them, and he must duly instruct his pupils in them, but nobody else (shall do it).

১০৪. A Brahmana who studies these Institutes (and) faithfully fulfils the duties (prescribed therein), is never tainted by sins, arising from thoughts, words, or deeds.

১০৫. He sanctifies any company (which he may enter), seven ancestors and seven descendants, and he alone deserves (to possess) this whole earth.

১০৬. (To study) this (work) is the best means of securing welfare, it increases understanding, it procures fame and long life, it (leads to) supreme bliss.

১০৭. In this (work) the sacred law has been fully stated as well as the good and bad qualities of (human) actions and the immemorial rule of conduct, (to be followed) by all the four castes (varna).

১০৮. The rule of conduct is transcendent law, whether it be taught in the revealed texts or in the sacred tradition; hence a twice-born man who possesses regard for himself, should be always careful to (follow) it.

১০৯. A Brahmana who departs from the rule of conduct, does not reap the fruit of the Veda, but he who duly follows it, will obtain the full reward.

১১০. The sages who saw that the sacred law is thus grounded on the rule of conduct, have taken good conduct to be the most excellent root of all austerity.

১১১. The creation of the universe, the rule of the sacraments, the ordinances of studentship, and the respectful behaviour (towards Gurus), the most excellent rule of bathing (on return from the teacher's house), ১১২. (The law of) marriage and the description of the (various) marriage-rites, the regulations for the great sacrifices and the eternal rule of the funeral sacrifices,

১১৩. The description of the modes of (gaining) subsistence and the duties of a Snataka, (the rules regarding) lawful and forbidden food, the purification of men and of things,

১১৪. The laws concerning women, (the law) of hermits, (the manner of gaining) final emancipation and (of) renouncing the world, the whole duty of a king and the manner of deciding lawsuits,

১১৫. The rules for the examination of witnesses, the laws concerning husband and wife, the law of (inheritance and) division, (the law concerning) gambling and the removal of (men nocuous like) thorns,

১১৬. (The law concerning) the behaviour of Vaisyas and Sudras, the origin of the mixed castes, the law for all castes in times of distress and the law of penances,

১১৭. The threefold course of transmigrations, the result of (good or bad) actions, (the manner of attaining) supreme bliss and the examination of the good and bad qualities of actions,

১১৮. The primeval laws of countries, of castes (gati), of families, and the rules concerning heretics and companies (of traders and the like)- (all that) Manu has declared in these Institutes.

১১৯. As Manu, in reply to my questions, formerly promulgated these Institutes, even so learn ye also the (whole work) from me.

http://banglalibrary.evergreenbangla.com/sanskrit/552


খুনি ধর্ম

No comments:

Post a Comment