Thursday, December 20, 2012

রাজ্যসভায় পাশ সংরক্ষণ বিল, তফসিলিদের জীবন যাত্রা এবার বদলে যাবে কি? পলাশ বিশ্বাস http://basantipurtimes.blogspot.in/

রাজ্যসভায় পাশ সংরক্ষণ বিল, তফসিলিদের জীবন যাত্রা এবার বদলে যাবে কি?

পলাশ বিশ্বাস
http://basantipurtimes.blogspot.in/

রাজ্যসভায় পাশ সংরক্ষণ বিল, তফসিলিদের জীবন যাত্রা এবার বদলে যাবে কি? একচেটিয়া মনুস্মৃতি করপোরেট রাজ থেকে মুক্তি পাবে বহুজনসমাজ?সংরক্ষনের কল্যাণে বর্ণহিন্দুদের সঙ্গে একাসনে তফসিলি সম্প্রদায়ের যারা, তারা এ যাবত নিজ সমাজের জন্য কি করেছেন?রাজনৈতিক সংরক্ষনে যারা ক্ষমতা ভোগ করেছেন বহুজন বিরোধী গণসংহার সংস্কৃতি ও আম জনতার বিরুদ্ধে একচেটিয়া আক্রমণ প্রতিহত করতে তাঁদের ভূমিকা কি?প্রমোশন পেয়ে তফসিলি বিশিষ্টজনেরা আধিপাত্যবাদের বিরুদ্ধে কতটা রুখে দাঁড়াবেন? যে ধর্ম জাতীয়তাবাদ এ যাবত সংরক্ষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে, যে সংঘ পরিবার মন্ডল কমিশন ও সাচ্চার কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে জেহাদ টালিয়ে আসছে, কমন্ডলের পূত জলে সংরক্ষণ ধূয়ে ফেলার তাকীদে বাবরি ধ্বংস সংগঠিত করেছে, গুজরাতে জঘন্য গণহত্যা যাদের গর্বিত করে, শিখ নিধন যাদের ইতিহাস, তাঁর কোন স্বার্থে ভোল পালটে মাযাবতীর হাত ধরে প্রোমোশনে সংরক্ষনের পক্ষে ভোট দিলেন? নির্বাচনী দায়বদ্ধতা ভুলে গিয়ে যে তৃণমুল কংগ্রেস তফসিলিদের উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে মন্ত্রিত্ব উপহার ছাড়া কার্যত কিছুই করেনি, মতুয়া কেন্দ্র ঠাকূর নগর ও ঠাকুর পরিবারের উন্নয়ন ছাড়া যে মতুয়া ব্রাহ্মণ কন্যা মমতা ব্যানার্জি আজ অবধি মা মাটি মানুষের সরকারি আমলে রাজ্যের তফসিলিদের জন্য কিছুই করেনি এবং তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ বামপন্থীরা যাঁরা পয়ত্রিশ বছর ধরে ব্রাহ্মণ্য ফ্রন্টের সরকার চালিয়েছেন, তাঁরা হঠাত একযোগে এফডিআই বিবাদ শেষ হতে না হতে কংগ্রেস সরকারের ত্রাতা হয়ে আবির্ভতই হলেন কেন?অথচ রাজ্যের এই দুই প্রবল প্রতিপক্ষ তফসিলি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব হননের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা বেআইনী আধার কার্ড যোজনার আজ অবধি বিরোধিতা করেননি? মাযাবতীর সমর্থন ছাড়া আর্থিক সংস্কার কল্পে জরুরী যাবতীয় আইন প্রণয়ন অসম্ভব সংখ্যালঘু কেন্দ্র সরকারের পক্ষে, তাহলে যে রাজনীতি গণহত্যার সংস্কারনীতির বিরুদ্ধে জেহাদের নাটক চালিয়ে যাচ্ছে, সেই রাজনীতি নিজ বর্ণহিন্দু ভোট ব্যান্কে ধ্বস নামার ঝুঁকি নিয়ে মাযাবতীর সমর্থন কেন করছে? সংস্কার সংবিধানবিরোধী, পুঁজি লগ্নিতে তফসিলিদের কোনও স্বার্থ নেই, অশ্বমেধ অভিযানে জল জমি জীবিকা নাগরিকত্ব থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে বহুজন মুলনিবাসী মানুষদের, অথচ সংসদে অবাধ সংস্কার আইন প্রণয়ণের স্বার্থে বর্ণ হিন্দুদের চটিয়ে সংঘ পরিবার, তৃণমুল ও বামপন্থীরা সংরক্ষন বিলের পক্ষে শুধু এইজন্যে ভোট দিলেন যে তাঁরা ভালো করে জানেন, বেসরকারিকরণ বিশ্বায়ন ও বিদেশী পুঁজির বর্ণহিন্দু একচেটিয়া আধিপাত্য সুনিশ্চিত হলে মুষ্টিমেয় সরকারি কর্মচারিরা হয়ত বর্তে যাবেন, কিন্তু তাঁরা কর্তৃত্বের স্বার্থবিরোধী কাজ করবেন না নিজের বর্তমান ও ভবিষতের কথা মনে রেখে এবং সংস্কার চালূ থাকলে এই সংরক্ষন স্বখাত সলিলে নিয়তিবদ্ধ?সংরক্ষনে কি জাতি উন্মুলন হয়েছে? অস্পৃশ্যতা কি ভারতবর্ষের কঠিন বাস্তব নয়? সংরক্ষন থাকলে জাতি ব্যবস্থাও থাকছে এবং পূণা প্যাক্ট রাজনৈতিক সংরক্ষনের গুলামগিরি চলবে?বহুজনসমাজের ক্ষমতায়ন বহুজনসমাজের নির্মাণে, মনুস্মৃতি রাজ ও দোসর করপোরেট রাজ কায়েম থাকলে কি বহুজন সমাজ নির্মাণ আদঔ সম্ভব?

ইতিমধ্যে `হ্যাট-ট্রিক` গড়তে আত্মবিশ্বাসী মোদী, গুজরাত নির্ভোবাচনের দ্বিতীয় পর্বে ভোট পড়ল ৭০%, হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে জোর পদক্ষেপ মোদী রাজের, সংরক্ষণে কি আসে যায়?

সরকারি চাকরির পদোন্নতিতে সংরক্ষণে সংবিধান সংশোধনী বিলে সবুজ সংকেত দিল রাজ্যসভা। তপশীলি জাতি ও উপজাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিতেই এই বিল পাশ। সংবিধানের (১১৭ সংশোধনী) বিল, ২০১২ নিয়ে সোমবার সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটি হয়। বহুজন সমাজবাদী পার্টির তরফে পেশ করা বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২০৬টি। ১০টি ভোট পড়েছে বিপক্ষে। যদিও বিলটি পেশ করা নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে সমাজবাদী পার্টি।

এদিন রাজ্য সরকারের চকরিতে পদোন্নতিতে সংরক্ষণে সমাজবাদী পার্টির বিরোধে দফায় দফায় উত্তাল হয় লোকসভা। সোমবার নিম্নকক্ষের কাজ শুরু হওয়া থেকেই সপা সাংসদরা সংরক্ষণ ইস্যুতে বক্তব্য রাখার দাবিতে সরব হন। শৈলেন্দ্র কুমারের নেতৃত্বে সমাজবাদী সাংসদরা ওয়েলে নেমে আসেন। তাঁদের মত, সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষণ চালু করায় চাকুরিজীবীরা উদ্বেগে রয়েছেন।

বিজেপির তরফে যোগী আদিত্যনাথও জানিয়েছেন, পদোন্নতিতে সংরক্ষণের প্রসঙ্গ সংসদে আসার শুরু থেকেই বৃহৎ সংখ্যক সরকারী চাকুরিজীবীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। এআইডিএমকের সদস্যরাও এই ইস্যুতে করিডোরে তাঁদের রায় রাখতে সরব হন। কিন্তু হট্টগোলের জেরে তাঁদের বক্তব্য চাপা পরে যায়। চাপ কাটাতে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ বলেন, "রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেখানে বিলটি পাস হয়ে গেলেই তা নিম্নকক্ষে আনা হবে।"

যদিও, সাংসদরা তাঁদের অবস্থানে অনর থাকায় প্রথমে দু`দফায় কক্ষের কাজ বেলা ১২টা পর্যন্ত মুলতুবী করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার মীরা কুমার। বেলা ১২টায় সভা বসলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ায় দুপুর দু`টো অবধি ফের মুলতুবী হয় লোকসভা।

একদিকে বহুজন সমাজ পার্টি, অন্য দিকে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতে হাতিয়ার করেছিল এই কোটা বিলকেই। উচ্চবর্ণের ভোটাররা রেগে যেতে পারেন, এই আশঙ্কায় কোটা বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। কিন্তু নিম্নবর্গের ভোটাররা যাঁর 'শক্তি', সেই মায়াবতী যে কোনও প্রকারে বিলটি পাশ করাতে মরিয়া ছিলেন। এফডিআই ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থনও দিয়েছিলেন এই বিল পাশ করানোর শর্তে। মায়াবতীর কাজটা সহজ করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেরা। দু'পক্ষই মায়াবতীর পাশে দাঁড়িয়ে যায়। কেন্দ্র আগাগোড়া এই বিলের পক্ষেই ছিল।

কোটা বিল নিয়ে দু'দিনের বিতর্কে ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন বুঝতে পেরে সোমবার তূণ থেকে নয়া অস্ত্র বের করেন মুলায়ম। শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের দাবি করে বসে সমাজবাদী পার্টি। বলা বাহুল্য, এই 'ব্রহ্মাস্ত্র' কাজ করেনি। মুসলিম সংরক্ষণের সপা দাবি এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে, এদিন সকালে আধ ঘণ্টার জন্য রাজ্যসভার কাজ মুলতুবি করে দিতে হয়। অধিবেশন ফের শুরু হলে সপা সাংসদ রামগোপাল যাদব বলেন, প্রশ্নপর্ব মুলতুবি রেখে মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করতে তিনি নোটিশ দিয়েছেন। বলেন, দলিতদের থেকেও মুসলিমদের অবস্থা শোচনীয়। তাই তাঁদের সংরক্ষেণর জন্যও সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এই দাবি তুলে ওয়েলে নেমে যান সপা সাংসদরা। ফের ৩০ মিনিটের জন্য মুলতুবি করে দিতে হয় রাজ্যসভা।

ভোটে হেরে যাওয়ার আগে কেন্দ্রকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রামগোপাল যাদব বলেন, 'অন্যায় তো অন্যায়ই। নিজেদের বিবেকের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেবেন না। আদালতে কিন্তু প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিলটি খুঁটিয়ে দেখা হবে।'

নিসান হাইস্কুলের সামনে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি। তা সত্ত্বেও ভিড় যেন বাধ সাধছে না। কিছুক্ষণের মধ্যে স্করপিও চেপে তিনি এলেন। পরনে সেই ট্রেড মার্ক গেরুয়া কুর্তা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কিছুটা আগেই নেমে গেলেন গাড়ি থেকে। গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন তাঁর মূল্যবান ভোট দিতে। ভিড় চাইছে একবার তাঁকে ছুঁতে। আর আত্মবিশ্বাস ছলকাচ্ছে মোদীর চোখে-মুখে। প্রথমদফার নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়ার পর, সোমবার শেষ দফার নির্বাচনেও হাজারে হাজারে মানুষ ভোট দিয়েছেন। আর তাই নির্বাচনী বড় ইনিংসে `হ্যাট-ট্রিক` গড়ার স্বপ্ন দেখছেন গুজরাত রূপকার।

গুজরাতে ১৮২টি আসনের মধ্যে ভোট চলছে ৯৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ২৩ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। আজ ১ কোটি ৯৮ লক্ষ মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অভিকার প্রয়োগ করেছেন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট ভোট পড়ল ৭০ শতাংশ।

অন্যদিকে, ভোট দিয়ে বেরিয়ে দু`আঙুলের ফাঁকে বিজয়ের প্রতীক দেখিয়ে বিতর্ক উস্কেছেন মোদী। এই ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এদিন ভোটদানের পর নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আমি নিশ্চিত বিজেপি হ্যাট-ট্রিক করবেই।" সেইসঙ্গে, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচনে প্রথম দফার তুলনায় বেশি ভোট পড়বে বলেও আশাবাদী মোদী।

শুধু আত্মবিশ্বাসের ঝলকই নয়, মোদীর কথায় ছিল ভাবী মুখ্যমন্ত্রীর সুরও। তিনি বলেন,"নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। এই ভোটে আসল প্রতিদ্বন্দ্বী গুজরাতের আম জনতা।" নির্বাচনে মহিলা-যুবদের এগিয়ে আসার জন্য তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী। সুশাসন ও উন্নয়নের রথে সওয়ার হওয়ায় ২০১২-র বিধানসভার ভোট ঐতিহাসিক নজির সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেন মোদী।

মানিনগড় বিধানসভায় বিজেপির মুখ নরেন্দ্র মোদীর লড়াই আইপিএস আধিকারিক সঞ্জীব ভাটের স্ত্রী শ্বেতার সঙ্গে। কংগ্রেস প্রার্থী শ্বেতা এদিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভোট দিতে পৌঁছন। ভোটদানের ঠিক আগে তিনি জানান, "আমি সত্যের জন্য লড়ছি।" রাজ্যের প্রক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলিও এদিন ভোট দিয়েছেন।

যদিও নির্বাচন ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তিরও খবর পাওয়া গিয়েছে। পঞ্চমহল জেলায় এক বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। গুলিতে জেঠভাই ভরওয়াদ নামে ওই প্রার্থী আহত হয়েছেন।

দ্বিতীয় দফায় ভোট ময়দানে রয়েছেন ৮২০ প্রার্থী। আর আজকের ভোটেই ইভিএম বন্দি হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাগ্য। নির্ধারিত হবে শঙ্করসিং বাঘেলার ভাগ্যও। এই দফাতেও সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় দফাতেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ময়দানে রয়েছে কেশুভাই প্যাটেলের গুজরাত পরিবর্তন পার্টি। চুরাশিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে জিপিপি। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ৮৭টি আসনে হয়েছিল ভোটগ্রহণ। ভোট পড়েছিল প্রায় ৭১ শতাংশ।

No comments:

Post a Comment