Sunday, December 29, 2013

कोलकाता में आप की धमक।आम आदमी की सादगी और भ्रष्टाचार विरोधी मुहिम अब दीदी को चुनौती देने लगी है।

कोलकाता में आप की धमक।आम आदमी की सादगी और भ्रष्टाचार विरोधी मुहिम अब दीदी को चुनौती देने लगी है।


पलाश विश्वास


हिमाचल के हरनोटजी,नैनीताल के उमेश तिवारी विश्वास और मुंबई के फिरोज मीठीबोरवाला के बाद अब कोलकाता की बारी है।शारे आकलन को गलत साबित करते हुए बंगाल की ध्रूवीकृत राजनीति में शायद पहलीबार किसी तीसरी शक्ति के धूमकेतु के तौर पर उदित होने के हालात बन रहे हैं।


रविवार को नव वर्ष के अवकास के मौके पर उत्सवी मिजाज में कोलकाता वालों ने मेट्रोचैनल पर आप कार्यकर्ताओं के चार लैपटाप में अपना दाखिला भी दर्ज करा लिया।इस जाहिर है,लहर नहीं कह सकते,यह पहल है।लेकिन बंगाल की यथास्थिति किसी अस्मिता की राजनीति से टूटने वाली नहीं है,इसका सबूत भी है यह।


अस्मिताओं से बाहर बौद्धमय विरासत के बंगाल का जो चरित्र है,भले ही विशुद्ध कारपोरेट हो या फिर एनजीओ टाइप,उसमें बंगाल के अलग तरह के अभिव्यक्त हो जाने की संभावना बनने लगी है।


यह अस्मिता की राजनीति से बंगाल को बदलने का ख्वाब सजाने वाले लोगों के लिए बाकायदा एक सबक है।


सबसे खास बात तो यह है कि अप्रतिद्वंद्वी और अपराजेय समझे जाने वाली ममता बनर्जी के चुनाव क्षेत्र दक्षिण कोलकाता में ही आप का कुछ ज्यादा ही असर होने लगा है।आम आदमी की सादगी और भ्रष्टाचार विरोधी मुहिम अब दीदी को चुनौती देने लगी है।



আপ-এ নাম লেখাতে ভিড় কলকাতাতেও

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

দিল্লির সাফল্যের পর পশ্চিমবঙ্গে সদস্য সংগ্রহে নেমে প্রথম দিনে ভালই সাড়া পেল আম আদমি পার্টি (আপ)।

ছুটির দিনে কলকাতার ধর্মতলায় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চেয়ার-টেবিল পেতে ল্যাপটপ নিয়ে বসে আপ কর্মীরা দু'হাজারেরও বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। সদস্যকরণ অভিযানের প্রথম দিনেই যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ! বিশেষত সেই রাজ্যে, যেখানে মাত্র আড়াই বছর আগে পরিবর্তন হয়েছে এবং তার পরেও একের পর এক ভোটের ফলে পরিবর্তনের কাণ্ডারী রাজনৈতিক দল তৃণমূলেরই জয়জয়কার দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং বামেদের ক্ষয়িষ্ণু প্রভাবের পাশেই যে তৃতীয় একটি পরিসর মাথাচাড়া দিচ্ছে, এ দিন আপ-এর সদস্য হওয়ার জন্য বিভিন্ন বয়সের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ তারই ইঙ্গিত।

ধর্মতলায় এ দিন সাত ঘণ্টা ধরে আপ-এর ল্যাপটপ-টেবিলের সামনে নাম নথিভুক্ত করতে লাইনে দেখা গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রী, সদ্য কলেজ পাশ করা তরুণ-তরুণী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, ডাক্তার দম্পতি, এমনকী অবসরপ্রাপ্তদেরও। তাঁরা ওই কর্মসূচির খবর পেয়েছিলেন ফেসবুক, এসএমএস, খবরের কাগজ, টিভি বা পরিচিত জনেদের মারফৎ।

*

ধর্মতলায় আম আদমি পার্টির সদস্য সংগ্রহ। রবিবার।—নিজস্ব চিত্র।

খড়্গপুরের গিরি ময়দান স্টেশন সংলগ্ন আরকন্যা বিদ্যালয়ের মাঠে এ দিনই দিল্লির 'আম আদমি' মুখ্যমন্ত্রী এবং খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ছাত্র অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থনে মাথায় সাদা টুপি পরে বৈঠক করেছেন প্রায় একশো জন। তাঁদের মধ্যে দু'জন আইআইটি-র ছাত্র, বাকিদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা। সভার আহ্বায়ক খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ঠিকাকর্মী মহাবীর যাদব বলেন, "দিল্লির রামলীলা ময়দানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে ঐতিহাসিক লড়াইয়ের শুরু হয়েছিল তা আজ সফল। আমরা ওই লড়াইটাকেই আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে চাই।"

গত কাল দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু রাজ্যে আপের মুখপাত্র রঞ্জনা সিংহের বক্তব্য, "আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। মানুষকে জাগ্রত করতে এসেছি।" সারদা কেলেঙ্কারির মতো সুনির্দিষ্ট দুর্নীতি-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়েও কিছু বলতে রাজি নন তিনি। তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "ওঁদের দল বলা হবে না মঞ্চ, তা এখনও পরিষ্কার নয়।" কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সির মতে, "দল হিসেবে ওদের অনেক পরীক্ষা দিতে হবে।" সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কথায়, "তৃণমূলের হামলা ছাড়া ওঁরা যে প্রথম দিন সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন, ভাল কথা!"

http://www.anandabazar.com/30raj7.html

আপ-ছায়ায় মোদীও আন্দোলনমুখী

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি

২৯ ডিসেম্বর

ধোনির শহরে চল্লিশ মিনিটের নিখুঁত ইনিংস। তিনি খেললেন ধরে। মেরে খেলল দল।

গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার মামলায় আদালত তাঁকে রেহাই দেওয়ার পর আজই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন নরেন্দ্র মোদী। মাঝে তিনি ব্লগে দুনিয়াকে জানিয়েছেন, যন্ত্রণা-পর্ব পেরিয়ে এসে এখন তিনি মুক্তি ও শান্তি অনুভব করছেন। রাঁচির মঞ্চে আজ যেন সে ভাবেই পেশ করলেন নিজেকে।

'শাহজাদা', 'সাহাবজাদা'র পরে এ দিন তিনি রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁর ঘোষণাকে 'আকাশবাণী' বলে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু আক্রমণের ঝাঁঝ ছিল তুলনায় কম। মিনিট চল্লিশের মধ্যে ধরে ধরে তিনি বোঝালেন, দাঙ্গার ভূত আপাতত ঘাড় থেকে নামার পর এখন তাঁর ভাবনা শুধুই কংগ্রেসের হাত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে সুশাসন দেওয়া।

এর সমান্তরালে আক্রমণের দায়িত্ব সামলালেন দলের অন্য নেতারা। ভোট মেরুকরণের কথা মাথায় রেখেই উগ্র ভাবে তাঁরা কখনও আক্রমণ করলেন পাকিস্তানকে, কখনও মার্কিন প্রশাসনকে। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা তো ঘোষণাই করে দিলেন, "দাঙ্গার মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার পরেও যদি স্বয়ং বারাক ওবামা এসে মোদীকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে যান, তা হলে আমরাও (ক্ষমতায় এলে) ওবামার ভিসা বাতিল করে দেব।"

*

জনসমুদ্রের উদ্দেশে। রবিবার রাঁচির জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রশান্ত মিত্রের তোলা ছবি।

নরম-গরমের এই মোদী-প্যাকেজের আর একটি দিকও বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠল এ দিনের সভায়। তা হল, দল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে উপেক্ষা করে চলার কৌশল নিলেও তাঁর রাজনীতির সদ্য-সফল ধারাটি থেকে দূরে থাকতে চান না বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তা হল মানুষকে নিয়ে চলা। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে দরবার করা। গোটা দেশে সুশাসন আনার জন্য আজ এই পথেই গণ-আন্দোলনের ডাক দিলেন মোদী। মুখে কেজরিওয়ালের কথা না বলুন, কিন্তু মোদীর ওই আহ্বানের নেপথ্যে কেজরিওয়ালেরই ভাবনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রামদেবও আজ মোদীর হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করার কথা বলেছেন।

দিল্লিতে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া কেড়ে নিয়ে বিজেপিকে বড় রকমের ধাক্কা দিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। তাঁর আন্দোলনের ধারাকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে চাইলেও মোদী কিন্তু নিশানায় রাখছেন রাহুলকেই। যাতে আগামী লোকসভা ভোটটা হয়ে ওঠে শুধুই কংগ্রেস-বিজেপি-র লড়াই। তাই কেজরিওয়ালের পাখির চোখ যদি হয় স্বচ্ছ প্রশাসন, সেখানে মোদী তাঁর সুশাসনের স্বপ্নের ডালিতে রাখছেন সকলের সব সমস্যা ঘোচানোর অঙ্গীকার। এমন সুশাসন, যা মূল্যবৃদ্ধি রুখবে, রোজগার বাড়বে, উন্নয়ন হবে এবং প্রশাসনকে করবে দুর্নীতিমুক্ত।

মোদীর পরোক্ষ বার্তাটি স্পষ্ট, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপি-ই একমাত্র বিকল্প শক্তি গোটা দেশে। এবং যে কারণে গণ-আন্দোলনের কথা বলা ভিন্ন মেজাজের এই মোদীও কিন্তু রাহুলকে নিরন্তর কটাক্ষ করে যাওয়া থেকে সরে আসছেন না। ক'দিন আগেই দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি রুখতে দিল্লিতে কংগ্রেস-শাসিত মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন রাহুল। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি দুর্নীতি রোখার ব্যাপারে তাঁর মনোভাবের কথা জানিয়ে দায় চাপান বিজেপির ঘাড়েই। রাহুলের ওই আক্রমণেরই আজ জবাব দিলেন মোদী। তাঁর কথায়, "পুরনো জমানায় আকাশবাণীর কথা শুনেছি। যাকে খুবই গুরুত্ব দেওয়া হত। আর এখন এক নতুন আকাশবাণী আসে। এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে, যাঁর হাতে রয়েছে দুর্নীতি দূর করা থেকে শুরু করে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর যাবতীয় দায়িত্ব ও অধিকার।"

এখানেই শেষ নয়। রাহুলকে বিদ্রুপ করে মোদী আরও বলেন, "আকাশবাণী করেই লুকিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। নিজের দায় ঝেড়ে ফেলে রাজ্যের ঘাড়ে ঠেলে দেন। যার থেকে তাঁর কপটতা ধরা পড়ে।" এর পরেই মোদী চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, "দুর্নীতির লালনপালন হচ্ছে কংগ্রেসের কোলেই। আকাশবাণীতে এতটাই সততা থাকলে তার জবাব দিন।"

মোদীর দাবি, কংগ্রেস জনতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই আকাশবাণী জনতার মঙ্গল করতে পারে না। তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। তাই বিকল্প পথের হদিস দিতে মোদী বলেন, "হেলিকপ্টারে আসতে গিয়ে দেখছিলাম, মাইলের পর মাইল পথ মানুষ হেঁটে আসছেন এই সভায় যোগ দিতে। জানি না তাঁরা পৌঁছতে পেরেছেন কি না। এঁরা আসছেন কুশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। সুশাসনের প্রত্যাশায়। দেশ জুড়ে তাই সুশাসনের দাবিতেই শুরু হোক গণ-আন্দোলন।"

আগামী ক'মাসে দেশের আম ভোটারের কাছে এবং ভোটের আগে-পরে যে সব রাজনৈতিক দল পাশে আসতে পারে, তাদের সকলের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোটা বড় চ্যালেঞ্জ মোদীর সামনে। যে কারণে ভোট মেরুকরণের ভার নিজের হাতে না রেখে, এ ব্যাপারে সামনে রাখছেন দলের অন্য নেতাদের। গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে আদালত ক্লিনচিট দেওয়ার পরে সুদীর্ঘ নিবন্ধ লিখে নিজের যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন মোদী। আজ সে প্রসঙ্গ ছুঁয়েছেন শুধু কংগ্রেসের সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে। এই প্রসঙ্গে সওয়াল করে গিয়েছেন বিজেপি-র অন্য নেতারা।

দলের সভাপতি রাজনাথ সিংহ যেমন বললেন, "২০০২ সালের এক দাঙ্গাকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদীকে বারবার সাম্প্রদায়িক বলা হয়েছে। এ বারে যখন আদালত তাঁকে ক্লিনচিট দিল, কংগ্রেস মোদীকে বিপাকে ফেলার জন্য নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করল। মোদী নাকি গোয়েন্দাগিরি করছেন। মোদী তদন্ত কমিশন গঠন করার পরেও কেন্দ্র আবার কমিশন গঠন করছে।"

মোদী নিজে এড়িয়ে গেলেও দলের সভাপতিই এ দিন তাঁকে হিন্দুত্বের সঙ্গে জড়িয়ে নেন সুকৌশলে। রামের সঙ্গে মোদীর তুলনা টেনে রাজনাথ বলেন, "ভগবান রাম যাতে সিংহাসনে বসতে না পারেন, তার জন্য মন্থরাও এমন ষড়যন্ত্র করেছিল যে, রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রামকে সিংহাসনে বসা থেকে কেউ ঠেকাতে পারেনি। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস যত ষড়যন্ত্র করবে, ততই মোদী শক্তিশালী হবেন। কেউ তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া আটকাতে পারবে না।"

মোদীর সুশাসনের বার্তার সঙ্গে রাজনাথের ওই উপমা দুইয়ে মিলে তৈরি হল এক নিখুঁত মোদী-প্যাকেজ। যেখানে মোদী আর দলের চোখে পোস্টার বয় নন, খোদ রাম। যিনি সুশাসন দিতে সক্ষম।

http://www.anandabazar.com/30desh1.html



প্রত্যাশার চাপে সময় চাইলেন কেজরিওয়াল

নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি

২৯ ডিসেম্বর

কুয়াশা কাটিয়ে তখনও সূর্যের মুখ দেখেনি দিল্লি। কৌশাম্বির গিরনার টাওয়ারের সামনে ভিড় জমতে শুরু করল।

শহরের নানা প্রান্ত থেকে। নানা পেশার। নানা বয়সের। নানা চাহিদারও।

সেই নানা চাহিদার চাপ কতটা, ভিড়ের সঙ্গে ক'ঘণ্টা কাটিয়েই তা টের পেলেন গিরনার টাওয়ারের একটি তিন কামরার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী।

কালই রামলীলা ময়দানে শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। এখনও সরকারি বাংলো নেননি। নিতে চাননি সরকারি নিরাপত্তা। জানিয়েছেন, লাল বাতি লাগানো গাড়ি চাই না তাঁর।

তাতে কী? আম আদমির তো চাহিদার শেষ নেই। এবং সেটা কতটা, তা প্রথম দিন জনতা দরবারে এসেই বুঝে গেলেন অরবিন্দ। কতকটা যেন বাধ্য হয়েই তাই প্রথম দিন দরবারে ভিড় করা জনতার কাছে সময় চেয়ে নিয়ে বললেন, "আমাকে সাত থেকে দশ দিন সময় দিন। কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। আমরা সবে দায়িত্ব নিয়েছি। সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা তৈরি করতে সময় লাগবে।"

সময় যে লাগবে, সেটা বিলক্ষণ বোঝেন অরবিন্দ। তবু দ্রুত এগোতে চেয়ে প্রথম দিন থেকেই পা ফেলতে শুরু করেছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত নিজের 'টিম' গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎসচিব আর কে বর্মা, দিল্লি জল পর্ষদের সিইও দেবশ্রী মুখোপাধ্যায়-সহ ন'জন আমলাকে বদলি করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের সচিব এম এম কুট্টিকে সমাজকল্যাণ দফতরে পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষা সচিব রাজেন্দ্র কুমারকে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি নিয়োগ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ দফতরের আমলাদের নিয়ে কৌশাম্বির ফ্ল্যাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনাড়ম্বর ভাবে কয়েকটা বৈঠকও করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, বর্ষশেষের উৎসব আসছে ঠিকই, কিন্তু তিনি নিজে ছুটি নেবেন না। আমলাদেরও ছুটি মিলবে না।

ছুটি মিলবে কী করে? প্রথম দিন জনতার দরবারে পা রেখেই কয়েক'শো আবেদন হাতে এসেছে তাঁর! দিল্লি পরিবহণ নিগমের আড়াইশো অস্থায়ী কর্মচারী সাতসকালেই পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। দাবি, ঠিকা কর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা বন্ধ করে পাকা চাকরি। এমনটাই প্রতিশ্রুতি ছিল আম আদমি পার্টির ইস্তাহারে। নিজেদের সমস্যা নিয়ে হাজির ছিলেন বাল্মিকী সম্প্রদায়ের মানুষ। কেজরিওয়াল শপথ নেওয়ার ঠিক আগেই বাস-অটোর জ্বালানির দাম বেড়েছে। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অটো চালকদের দাবি, হয় জ্বালানির দাম কমুক। না হলে ভাড়া বাড়ানো হোক। ব্যক্তিগত ও স্থানীয় সমস্যা নিয়েও হাজির হয়েছিলেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব অভিযোগ নেওয়া হবে। শুধু পদক্ষেপ করার জন্য একটা ব্যবস্থা তৈরির সময় চাই। দরবারের জনতাকে তাঁর অনুরোধ, "আপনাদের সাত-দশ দিন পরে আবার আসতে হবে। ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গেলেই সকলের আবেদন নেওয়া হবে।"

কিন্তু আম আদমির এই বিপুল প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারবেন অরবিন্দ? প্রথম দিনের দরবারে হাজির অটোচালক খাজান সিংহ কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, "কেন পারবেন না? যাঁর কাজ করার ইচ্ছা আছে, যিনি মানুষের সেবা করবেন বলে উঁচু পদের চাকরি ছেড়ে এসেছেন, তিনি না পারলে কে পারবেন?" সগর্বে দশ টাকার রসিদ বের করে দেখালেন, তিনিও আপ-এর সদস্য। দাবি করলেন, অরবিন্দকে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসানোর পিছনে তাঁরও অবদান আছে। কী রকম? খাজান সিংহের যুক্তি, "গত তিন-চার মাসে যাঁদেরই অটোতে বসিয়েছি, আম আদমি পার্টির কথা বলেছি। বুঝিয়েছি, এই লোকটা সৎ। অনেকে বলেছে, অভিজ্ঞতা নেই। আমি বলেছি, দুর্নীতি ছাড়া আর সব কিছুর অভিজ্ঞতা আছে।" খাজানের একটাই চিন্তা। কংগ্রেস-বিজেপি এই সরকারকে কাজ করতে দেবে তো?

কংগ্রেস-বিজেপি কাজ করতে দেবে কি না, পরের প্রশ্ন। কিন্তু ছেলে যাতে কাজ করতে পারে, সব বাধা দূর করে আম আদমিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে, সে জন্য আজই কৌশাম্বির কাছে এক মন্দিরে যজ্ঞ করেছেন অরবিন্দের বাবা গোবিন্দরাম কেজরিওয়াল। বাবার বিশ্বাস, ছেলের ভগবানে আস্থা রয়েছে। তিনিই ছেলেকে রক্ষা করবেন। ছেলে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরনোর সময় তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তা বদলায়নি। ফলে সব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে অসুবিধা হবে না।

অরবিন্দ যখন আম আদমিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের দৌড় শুরু করছেন, তখন তাঁকে নিয়ে ঘুম ছুটেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্তাদের। কারণ কৌশাম্বি এলাকাটা দিল্লি লাগায়ো উত্তরপ্রদেশে। জনতার দরবারে হাজির হয়ে পুলিশ-কর্তারা অনুরোধ করেন, বাড়ির বাইরে যে ভাবে ভিড় জমছে, তা দেখে অন্তত মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা নিতে রাজি হোন। কিন্তু অরবিন্দ তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আসা দিল্লি পুলিশের কম্যান্ডোদেরও ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে মহা সমস্যায় পুলিশ-কর্তারা। আবাসনের বাইরে মেটাল ডিটেক্টর দরজা বসানো হয়েছে। কিন্তু কেজরিওয়াল যখন জনতার সঙ্গে দেখা করতে বাইরে আসছেন, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তাঁর নিরাপত্তার দরকার নেই। পুলিশ শুধু ভিড় আর ট্রাফিক সামলাক। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাই ট্রাফিক সামলাচ্ছে আর দিল্লি পুলিশের সাদা পোশাকের অফিসাররা আবাসনের ভিতরে মোতায়েন রয়েছেন।



http://www.anandabazar.com/30desh3.html


দুর্নীতি রোখার শপথে শুরু অরবিন্দ জমানা

অনমিত্র সেনগুপ্ত • নয়াদিল্লি

২৮ ডিসেম্বর

এক আশ্চর্য যাত্রা।

সকালেও তিনি ছিলেন আম আদমি। বেলায় যাত্রা শুরু কৌশাম্বি মেট্রো স্টেশন থেকে, আমজনতাকে সঙ্গে নিয়ে। যাত্রা শেষ দুপুরে, রামলীলা ময়দানে। সেখানেই আম জনতার মাঝে দাঁড়িয়ে শপথ নিলেন দিল্লির তরুণতম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।

আম আদমি অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিণত হলেন খাস আদমি-তে।

শপথ নেওয়ার পরে রামলীলার বক্তৃতায় মূলত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেন তিনি। নিজের মন্ত্রীদের সঙ্গে উপস্থিত জনতাকে দিয়েও শপথ করিয়ে নিলেন, "ঘুষ দেব না, নেবও না।" এবং এই শপথবাক্য পাঠের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাজও শুরু করে দিলেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিনই রাজ্যের অর্থসচিব, বিদ্যুৎসচিব, দিল্লি জল বোর্ডের সিইও-সহ ৯ জন পদস্থ আমলাকে বদলি করে দিয়েছেন অরবিন্দ। ভোটের আগে তাঁর দলের প্রধান দুই প্রতিশ্রুতি ছিল অর্ধেক বিদ্যুৎ মাসুল এবং পরিবার-পিছু বিনামূল্যে দৈনিক ৭০০ লিটার জল। অর্থ, পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ, স্বরাষ্ট্র, ভিজিল্যান্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি নিজের হাতেই রেখেছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সোম-মঙ্গলবারের মধ্যেই জল ও বিদ্যুতের দাম নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

সব মিলিয়ে অরবিন্দ জমানার প্রথম দিনের চিত্রনাট্যে তাই নাটক মজুত রইল যথেষ্ট।

তার আগে আজ সকাল থেকে এক অন্য প্রস্তুতি দেখেছে দিল্লি। আম জনতার মুখ্যমন্ত্রীর শপথের প্রস্তুতি।

মেট্রোয় চড়ে শপথ নিতে যাওয়ার কথা গত কালই জানিয়েছিলেন অরবিন্দ। সেই মতো আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গিরনার আবাসন থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রামলীলার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সঙ্গে স্ত্রী-মেয়ে। লক্ষ্য কৌশাম্বি স্টেশন থেকে মেট্রো ধরা।

*

রামলীলা ময়দানে যাওয়ার আগে কৌশাম্বি মেট্রো স্টেশনে

অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ঘিরে সমর্থকদের ভিড়। ছবি: পিটিআই

আম আদমির মুখ্যমন্ত্রী মেট্রোয় চড়ে শপথ নিতে যাবেন, এ খবরের ধাক্কায় গোটা স্টেশন চত্বর তত ক্ষণে চলে গিয়েছে ভিড়ের দখলে। একের পর এক মেট্রো যাচ্ছে, কিন্তু তাতে কেউ চড়ছেই না! সকলেরই ইচ্ছে অরবিন্দের সঙ্গে মেট্রোয় উঠবেন। এ দিকে ভিড় বাড়ছে। পরিস্থিতি দেখে মুখ শুকোচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীদের।

সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ অরবিন্দ ঢুকলেন স্টেশনে। মুহূর্তে ভিড় লাগামহীন। সকলেই এক বার ছুঁতে চান তাঁকে। চতুর্দিকে শঙ্খধ্বনি। তার মধ্যেই ঢুকে পড়ল মেট্রো। ফের এক প্রস্ত ধাক্কাধাক্কি। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় অরবিন্দের স্ত্রী ও মেয়েকে কোনও মতে তুলে দেওয়া হল। তিনি নিজে উঠলেন তৃতীয় কামরায়। সমর্থক, সংবাদমাধ্যমের ভিড়ে তখন সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই! সকলেই চাইছেন অরবিন্দের কাছে যেতে। আনন্দবিহার, লক্ষ্মীনগর কিংবা ইন্দ্রপ্রস্থ সব স্টেশনেই প্রবল ভিড়ের চাপ আছড়ে পড়ছে ট্রেনের উপর। শেষ পর্যন্ত বারাখাম্বা স্টেশনে নামলেন সকলে। নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে কোনও রকমে স্টেশন থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে চড়ে বসলেন। গন্তব্য রামলীলা ময়দান। বেলা বারোটায় শুরু হল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কেজরিওয়ালের পরে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার ছয় সদস্যও।

অরবিন্দ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নেবেন না। নেবেন না সরকারি বাংলো বা লালবাতি লাগানো গাড়ি। কারণ দিনের শেষে তিনি আম আদমিই থাকতে চান। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এ ভাবে কত দিন আম আদমি হয়ে থাকতে পারবেন অরবিন্দ? ক'দিনই বা সফর করতে পারবেন মেট্রোয়? তাঁর দল বলছে, আজকের যাত্রা ছিল নেহাতই প্রতীকী। লালবাতি সর্বস্ব, ভিভিআইপি সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত দিল্লির তথাকথিত রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়াই ছিল অরবিন্দের লক্ষ্য। পরিবারতন্ত্র, পেশি বা অর্থবল না থেকেও লক্ষ্য স্থির রাখলে একজন সাধারণ ব্যক্তিও যে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছতে পারেন, সেই বার্তা দিতেই আজ তাঁর এই যাত্রা।

তবে এ-ও ঠিক, অরবিন্দ আজকের যাত্রায় সচেতন ভাবে বার্তা দিতে চেয়েছেন দিল্লিবাসীকেও। তাই খুব ভেবেচিন্তে মেট্রোকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। রাজনীতিকদের বিশ্লেষণ, নেতা হিসেবে কেজরিওয়ালের অন্যতম সম্পদই হল অনাড়ম্বর, আম আদমি সুলভ ভাবমূর্তি। তিনি প্রশাসনের কাছে আজ থেকে দিল্লির খাস নাগরিক হিসেবে গণ্য হতে পারেন, কিন্তু নিজের ভোটব্যাঙ্কের কাছে সযত্নলালিত ভাবমূর্তি ভাঙতে নারাজ অরবিন্দ। হয়তো সেই কারণেই এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছিল দিল্লির অভিজাত সমাজকে।

এক বছর আগে অণ্ণা হজারের সঙ্গে মতবিরোধ থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই দলের এই সাফল্যের কাহিনি দেশের ইতিহাসে বিরল। সম্ভবত বিশ্বেও। কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করে বিজেপির স্বপ্ন ভেঙে দিল্লির ক্ষমতায় এখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। যা দেখে সমাজমনস্তত্ত্ববিদেরা মনে করছেন, কংগ্রেস, বিজেপির মতো দলগুলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। তারই ফায়দা তুলেছে অরবিন্দের দল।

আপ-এর এই সাফল্যের পটভূমি কিন্তু প্রস্তুত হয়েছে নাগরিক আন্দোলনের হাত ধরেই। বছর দুয়েক আগে, রাজধানীর মাটিতে জন লোকপাল বিল নিয়ে অণ্ণা হজারের আন্দোলনের সময় থেকেই এই সাফল্যের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নির্ভয়া কাণ্ডে সরকার বিরোধী যে জনরোষ দিল্লির রাজপথে আছড়ে পড়েছিল, তারই প্রতিফলন এ বার ভোটের বাক্সে দেখা গিয়েছে বলে মানছেন সকলে। আপ-এর এই সাফল্যের পিছনে যে অণ্ণারও ভূমিকা রয়েছে, তা আজ প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দল গড়া নিয়ে আপত্তি ছিল অণ্ণার। তিনি মনে করেন, রাজনীতি হল নোংরা জায়গা। কিন্তু আমি ঠিক করি, এই নোংরায় নেমেই তা সাফাই করব।" আজকের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হলেও কেজরিওয়াল এবং তাঁর মন্ত্রিসভাকে অবশ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অণ্ণা।

আজ শপথগ্রহণ হল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও হলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু কত দিন এই সরকার চালাতে পারবেন তিনি? দল জানে, সামনে বহু চ্যালেঞ্জ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে জনতার কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করা, তেমনই বিজেপি-কংগ্রেসকে সামলে আগামী ২ জানুয়ারি আস্থা ভোটে উতরে যাওয়া। কেজরিওয়াল নিজেও সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কায়। তাঁর কথায়, "কত দিন সরকার থাকবে, জানি না। আস্থা ভোটেই সরকার পড়ে যেতে পারে।" তবে তাঁর কাছে স্বস্তির কারণ একটাই। তাঁকে সমর্থন করা নিয়ে দলে বিরোধ থাকলেও কংগ্রেস এখনই ভোট চায় না। তাই এ যাত্রায় সরকার বেঁচেও যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাজ দেখানোর জন্য অন্তত ছ'মাস সময় পাবেন অরবিন্দরা।

আর ওই সময়টুকু ভীষণই প্রয়োজন তাঁদের। তাই আজ এক দিকে যেমন কাজ শুরু করে দিয়েছেন অরবিন্দরা, তেমনই বার্তা দিয়েছেন দিল্লিবাসীকে পাশে পাওয়ার জন্য। শপথ নেওয়ার ঠিক পরের বক্তৃতায় অন্যান্য প্রতিশ্রুতির কথা সে ভাবে না তুললেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা তুলে অরবিন্দ বলেছেন, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে এবং ঘুষ ঠেকাতে বিশেষ হেল্পলাইন চালু করা হবে। জনতাকে বলেছেন, "যদি কোনও ব্যক্তি ঘুষ চায়, তা হলে চুপচাপ তার কথা মেনে নিন। তার পর তার নাম-ঠিকানা আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে জানান।"

সৎ আমলাদেরও অভয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনে তাঁদের উপযুক্ত পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, "অনেক আমলা শুনছি ভয় পাচ্ছেন। নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। আমি মনে করি অধিকাংশ আমলাই সৎ। অথচ সৎ আমলারা এক কোণে পড়েছিলেন আর রাজত্ব করেছেন দুর্নীতিগ্রস্ত আমলারা। সেই ব্যবস্থা পরিবর্তনের সময় এসেছে।"  

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেজরিওয়ালের অত্যন্ত কৌশলী এক দ্বিমুখী চাল। তিনি জানেন, জল-বিদ্যুৎ নিয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণ, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া, জন লোকপাল বিল পাশ করানো এ সব সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আজ অভিনন্দন জানালেও কার্যক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আপ নেতৃত্বের। তাই দায়িত্ব নিয়েই সবার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার সুযোগ ছাড়তে চাননি তিনি। আবার একই সঙ্গে জল-বিদ্যুৎ নিয়ে প্রতিশ্রুতি পালনে তিনি যে সচেষ্ট, সেই বার্তাও দিতে চেয়েছেন প্রশাসনিক রদবদলে।

তবে প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আম আদমিরই সাহায্য চেয়েছেন কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর প্রতি তাঁর বার্তা, "আমার কাছে কোনও জাদু ছড়ি নেই যে, এক দিনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দিল্লির দেড় কোটি মানুষ যদি এক সঙ্গে কাজ করেন, তা হলে অবশ্যই সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।" তাঁর এই 'পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি'-র কৌশলকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা।

অরবিন্দ নিজেও জানেন তিনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। এই সরকারের মেয়াদ যে দীর্ঘ হবে না, তা-ও বিলক্ষণ জানেন তিনি। তা ছাড়া লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তাতেও ভাল করার লক্ষ্য নিয়েছে দল। এই অবস্থায় সুষ্ঠু প্রশাসন ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালনে নিজেদের আন্তরিকতার ছবিটা দ্রুত তুলে ধরতে চান আপ নেতৃত্ব।

এই অবস্থায় আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই দিল্লিতে ভিআইপি সংস্কৃতি বন্ধ করার ফরমান জারি করেছেন অরবিন্দ। দু'দিন আগে দিল্লিতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। কেন, তা জানতে সংস্থাটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুর্নীতি দমনে একটি বিশেষ দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অরবিন্দ। যাদের কাজ হবে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি অফিসারদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করা। যা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট। প্রতিশ্রুতি পালনে তিনি যে বদ্ধপরিকর, প্রথম দিন থেকেই সেই বার্তা দিতে শুরু করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

কিন্তু কত দিন? আদৌও কি কোনও পরিবর্তন হবে? প্রতিশ্রুতি পালন কি করতে পারবেন অরবিন্দ?

সব উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে।

http://www.anandabazar.com/archive/1131229/29desh1.html



বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন ঢাকা,বের হতে দেওয়া হলো না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে,রাজধানীতে শক্তির মহড়া আওয়ামী লীগের Deadly political clashes grip Bangladesh capital, Dhaka

বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন ঢাকা,বের হতে দেওয়া হলো না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে,রাজধানীতে শক্তির মহড়া আওয়ামী লীগের

Deadly political clashes grip Bangladesh capital, Dhaka


পলাশ বিশ্বাস

Police detain a suspected activist of Hizb-ut-Tahrir, which is a banned Islamist militant organisation, in Dhaka. Photo: AFP


রাজধানীতে শক্তির মহড়া আওয়ামী লীগের

http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTJfMzBfMTNfMV8xXzFfOTczMzc%3D

21Like ·  · Share

DAILY ITTEFAQ shared a link.

52 minutes ago

১/১১'র কুশীলবরা ফের সক্রিয় :প্রধানমন্ত্রী :: দৈনিক ইত্তেফাক

www.ittefaq.com.bd

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয় ও সোচ্চার হয়েছেন। এদের ব্যাপারে সবার সজাগ থাকতে হবে। গতকাল রবিবার সকালে গণভবনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এক এগারোর কুশীলবরা এখন অনেক কথা বল

Like ·  · Share

নেতাকর্মীবিহীন অভিযাত্রা

সীমাবদ্ধ ছিল প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মালিবাগে

www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTJfMzBfMTNfMV8xXzFfOTczNDE=

2Like ·  · Share

বছর জুড়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত ছিল নতুন প্রজন্মের গণজাগরণ মঞ্চ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে। দেশের সমাজকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার তরুণদের বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে রাজধানীর শাহবাগ চৌরাস্তা। আন্দোলনরতরা ঘোষণা দেন কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।ছবি-সুবির কুমার

14Like ·  · Share



Police barred Bangladesh's opposition leader from leaving home yesterday to lead a banned march as two people died in battles between her supporters and security forces.

Police fired water cannon and shotguns during clashes across the capital with hundreds of demonstrators, some of them hurling home-made bombs.

Scores of officers blocked Begum Khaleda Zia from leaving her Dhaka home in her car to attend the march, fearing her presence would inflame unrest in the build-up to the January 5 election.

Zia, a two-time former premier, had been scheduled to address supporters converging in Dhaka for the march that she called to try to force Prime Minister Sheikh Hasina Wajed to quit and halt the poll.

Zia, who is under virtual house arrest, harangued the rows of officers barricading her front gate, as she again urged her supporters to converge in the capital for the so-called "March of Democracy".Bangladesh opposition leader Khaleda Zia. Photo: AFP"You're supposed to be on the streets. Why are you at my gate? Don't touch me!" Zia told the officers. "This government is illegal. Democracy is dead," she said.

The march is the latest tactic by the main opposition Bangladesh Nationalist Party (BNP) and its allies in a campaign to force Hasina to quit and make way for a neutral caretaker government to oversee the polls.

Police battled with protesters who tried to gather at the opposition's headquarters and the national press club in Dhaka.

In the Rampura neighbourhood, officers fired shotguns at more than 200 bomb-throwing demonstrators.

A security guard at a Dhaka railway station was killed by a small bomb thrown by protesters. One protester also died in hospital.

Ruling party activists armed with sticks and rocks also attacked pro-opposition lawyers and demonstrators outside the country's top court.

Yesterday's rally was seen as the last major attempt by the opposition to derail the election. More than 150 people have died in political violence since the crisis intensified in October.

The conflict pits an opposition alliance led by Zia's opposition BNP against Hasina, who accuses Zia of protecting people being tried or convicted of war crimes involving the 1971 independence war against Pakistan.

Many citizens are frustrated by the raging chaos. Businesses have said the conflict is affecting the country's progress in the manufacturing sector, including a burgeoning garment industry that earns more than US$20 billion a year from exports.




সেনাবাহিনী, পুলিশ, আধা-সামরিক বাহিনী৷ ত্রিস্তর নিরাপত্তায় প্রায় দুর্গে পরিণত ঢাকা৷ আজ, রবিবার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) নেতৃত্বে ১৮ দলের বিরোধী জোটের ডাকে সমাবেশ ঠেকাতে মরিয়া সরকার যাবতীয় প্রস্ত্ততি সেরে রেখেছে৷ রাতারাতি ঢাকাকে দেশের অন্যান্য শহর থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যাতে বিরোধী কর্মী-সমর্থকরা কোনও ভাবেই সমাবেশে আসতে না পারেন৷ গাড়ি ভাড়া করে যাঁদের আনা হচ্ছিল, তাঁদের সকলকেই ঢাকার বাইরে আটকে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশ ঘিরে অশান্তি হতে পারে৷ নিরাপত্তার স্বার্থে তাই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না৷


৫ জানুয়ারিই নির্বাচন হবে।আর জানুয়ারির যেকোনো একটা সময়ে নতুন সরকার শপথ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।


সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে ১৮ দলের  নেতা-কর্মীরা রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবস্থান নেবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পরে তাঁকে আটক করা হয়।

আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির নেতা হাফিজ। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আমরা হতবাক হয়েছি। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনকে নিয়ে রুচিবিবর্জিত ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন, বিভিন্ন বিদ্রূপ করেছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'

সংবাদ সম্মেলনে হাফিজউদ্দিন জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, 'আগামীকাল ১৮ দলের"গণতন্ত্রের অভিযাত্রা" কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।সেই সঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা রাজপথ, নৌপথ ও রেলপথে অবস্থান নেবে।' নির্বাচনের তফসিল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা ও সুপ্রিম কোর্টে সরকারি দলের বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, 'সরকার জঙ্গি স্টাইলে আজ হামলা চালিয়েছে।' এটি বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হওয়ার সময় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাঁকে পুলিশ আটক করে।

শাহবাগ থানা পুলিশের ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাঁকে আটক করেছে।


আজ রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ এ মন্তব্য করেন।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে নির্বাচন হবে।দেশ সংবিধানের বাইরে গেলে অপশক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে।' এ সময় সংবিধানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।



শেষ পর্যন্ত বের হতে দেওয়া হলো না বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পুলিশের বাধায় ব্যর্থ হয়ে তাঁদের বকাঝকা করে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আবার ঘরে ফিরে যান বিএনপির নেত্রী। যাওয়ার আগে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে গেছেন তিনি।

ঘরে ফিরে যাওয়ার আগে প্রায় আধাঘন্টা তিনি তাঁর বাসভবনের সামনের চত্বরে বসেছিলেন। এক পর্যায়ে পাঁচিল টপকে ঢোকা সাংবাদিকদের বলেন, 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরশু কর্মসূচি চলবে।'


Bangladesh Nationalist Party (BNP) supremo Khaleda Zia Sunday announced that the opposition's march to Dhaka, protesting the holding of the next general elections under the ruling Awami League, will continue Monday.

Being barred by law enforcers from attending the march, former prime minister Khaleda Zia talked to media for a short while and said: "Our march programme will continue on Monday," Xinhua reported.

She said the incumbent government is "illegal" and "undemocratic". "This government is plotting to stay in power," Zia said.

The opposition's "March for Democracy" Sunday triggered widespread violence in parts of the capital, leaving two dead and dozens injured.

Dhaka remained virtually cut off from the rest of the country since Saturday morning with security personnel forming a cordon round it not allowing any ingress.

One Jamaat activist was killed and dozens were injured as Bangladesh opposition supporters clashed with the ruling party activists and law enforcers in Dhaka.

A Bangladesh railway security personnel was killed and two others were injured in a bomb blast at a railway station in Dhaka.

Stray incidents of clashes, explosions of Molotov cocktails, and torching and vandalism of vehicles were also reported elsewhere in the country.

Earlier, Zia got in her car to attend the march in front of her party's headquarters in Dhaka's downtown Naya Paltan area but was barred from leaving her house, where she remained virtually confined since the announcement of the protest programme earlier in the week.

Zia Tuesday urged people from all walks of life to join the march Sunday towards Dhaka to put pressure on Prime Minister Sheikh Hasina's government to scrap the parliamentary elections scheduled for Jan 5.

Dhaka Police did not give permission to BNP for the march.

Police put up barricades on both sides of the road leading to Khaleda Zia's house since Saturday evening. Security was further beefed up Sunday morning in and around her house in Dhaka's diplomatic enclave Gulshan.

The ruling Awami League party has vowed to resist the march and asked its activists to guard all entry points leading to Dhaka.

All modes of transport bound for the capital stopped plying Saturday in an apparent move to keep opposition activists from carrying out their march.

BNP and its 17 allies, including the Jammat-e-Islami, have asked Hasina to allow installation of a non-party caretaker system, or else the opposition will not participate in the next general elections because it fears an election without a non-party caretaker government will not be free and fair.

  


ঢাকা: ১৮ দল ঘোষিত গণতন্ত্রের অভিযাত্রা বা মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি আগামীকালও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জোটনেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।


রোববার বিকেল চারটার কিছু সময় আগে গুলশান-২ এর বাড়ির সামনে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। পুলিশি বাধায় বের হতে না পেরে খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের কাছে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।


আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, "সংসদ এখনো বহাল আছে। আমি এখনো বিরোধীদলীয় নেতা। আপনারা কেন আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছেন। আপনারা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারেন না। দেশের মানুষ কষ্টে আছে। তাদের নিরাপত্তা দিন। আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী জনগণের ওপর নির্যাতন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। "


এর আগে খালেদা জিয়া বাড়ি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। তার বাসার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে এগোতে পারেননি।


নতুন বার্তা/কেএমআর/জবা

আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ


(রেডিও তেহরান): বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলের ডাকা 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' বা 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' প্রতিহত করতে দেশীয় অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজ (রোববার) সকাল থেকেই আওয়ামী নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতোই সাধারণ মানুষ ও যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।  আওয়ামী নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিকের মতো দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর গাবতলী মাজার রোড, টেকনিক্যাল মোড়, কল্যাণপুর এলাকায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি অবস্থান করছে বিপুলসংখ্যক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। কলেজগেট এলাকায় হকিস্টিক, লাঠি হাতে নিয়ে অবস্থান নিয়েছে আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের একটি দল।

রোববার সকাল ১০টায় ১৮ দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাঠি মিছিল করেছে আওয়ামী যুবলীগ।


ঢাকা মহানগর ৫৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের মিছিলটি হাইকোর্টের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাবের সম্মুখের সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।


এ সময় মিছিল থেকে বিএনপি ও মার্চ ফর ডেমোক্রেসি প্রতিহত করতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়া হয়।

এদিকে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচি মোকাবিলায় রাজধানীর আটটি পয়েন্টে পাহারা বসিয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।  

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া গতকাল জানান, বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা যাতে রাজধানীতে ঢুকতে না পারে সে জন্য নেতা-কর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মায়া বলেন, 'ঢাকায় ঢোকার আটটি পয়েন্ট দিয়ে আগামীকাল যেন কোনো মাছিও না আসতে পারে। যদি এই পথ দিয়ে কোনো শয়তান ঢোকে, তাহলে যেসব নেতা-কর্মী দায়িত্ব থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওইসব কমিটি বিলুপ্ত করা হবে। আর যারা ভালো কাজ করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।'

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ১৮ দলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি প্রতিহত করতে সরকারিভাবে অবরোধ- হরতালের পাশাপাশি গণগ্রেফতার চলছে।#

   

গত মঙ্গলবার গণতন্ত্রের অভিযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘিরে রাখে পুলিশ। আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশ সূত্র বলছে, তাঁর বাড়ির সামনে আট প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রাখা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জলকামান, আর সাড়ে তিনটার দিকে যুক্ত হয় র্যাবের ২০ সদস্যের একটি দল।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী সিএসএফের (চেয়ারপারসনস সিকিউরিটি ফোর্স) কর্মী এবং তাঁর প্রেস উইংয়ের দুজন কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান ও দিদারুল আলম ছাড়া বাসভবনের ত্রিসীমানায় কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। এমনকি ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পানের দোকানদারদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে দুটি ও পেছনে দুটি ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে পুলিশ। পৌনে সাতটার দিকে আসে পঞ্চম ট্রাকটি।

ট্রাকচালকেরা জানান, কাল রাতে তাঁদের আমিনবাজার থেকে আনা হয়েছে। ভোর ছয়টা পর্যন্ত থাকতে হবে বলে পুলিশ তাঁদের জানায়। আজ খালেদার বাড়ি ঘিরে রেখেছিল আট প্লাটুন পুলিশ। খালেদা জিয়া গৃহবন্দী কি না, কেন তাঁর বাড়ি এত পুলিশ ঘিরে রেখেছে, কেন পাঁচটি ট্রাক দিয়ে তাঁর যাতায়াতের পথ ঘিরে রাখা হয়েছে—এমন সব প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান গুলশান অঞ্চলের উপকমিশনার লুত্ফুল কবীর। বেলা একটার সময় 'প্রথম আলো'র প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি কাজে ব্যস্ত, পরে জবাব দেবেন। বেলা তিনটার দিকে আবারও সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি 'যথাসময়ে' কথা বলবেন বলে জানান।

এদিকে দুপুর ১২টার পর চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া বেরোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেলা তিনটা নাগাদ তিনি বেরোনোর শেষ চেষ্টা করবেন এমন খবর শোনা যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়ির মূল ফটকের সামনে পুলিশের প্রায় ৭০-৮০ জন সদস্য অবস্থান নেন। তিনটা ১৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসেন র‌্যাব-১-এর কমান্ডিং অফিসার কিসমৎ হায়াৎ। খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিতে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি দেখতে এসেছেন, সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে চান। এরশাদকে বারিধারার বাসভবন থেকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়ার পর কিসমৎ হায়াৎ বলেছিলেন, এরশাদ অসুস্থ। তাই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি ও তাঁর বাহিনীর ২০ জন সদস্য এ সময় খালেদার বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খালেদার বাসভবনের পেছনে থাকা ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকেরা জানান, বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পতাকা হাতে গাড়ি থেকে নেমে এসেছেন। একপর্যায়ে তাঁর বাসভবন থেকে মই এগিয়ে দেওয়া হলে সাংবাদিকেরা তাঁর বাসভবনে ঢোকেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তিনি পুলিশকে উদ্দেশ করে গালমন্দ করেন।


বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ঢাকায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন৷ আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়৷

বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে আসায় ১৮ দলীয় জোটের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচি সফল হয়নি। আজ রোববার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক তথ্য বিবরণীতে এ দাবি করেছে।

তথ্য ও গণসংযোগ কর্মকর্তা আলী হোসেন স্বাক্ষরিত ওই তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, যারা দেশের আইনশৃঙ্খলা-পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এবং সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, মালিবাগ মোড়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের পিকআপ গাড়িতে আগুন দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মো. মানসুর নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান এবং পুলিশের চারজন সদস্য আহত হন। এ ছাড়াও চকবাজারের ডালপট্টিতে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে দুজন এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পুরিন্দা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেল ও ককটেলের আঘাতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হন।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয় ও সোচ্চার হয়েছেন। এদের ব্যাপারে সবার সজাগ থাকতে হবে। আজ রোববার গণভবনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

৫ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে বিশিষ্টজনদের দেওয়া পরামর্শ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, 'তাঁরা কি অসাংবিধানিক পন্থা চাইছেন? নির্বাচন একটা পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন নির্বাচন বন্ধ করতে হলে অসাংবিধানিক পন্থায় যেতে হবে। বিশিষ্টজনেরা কি সেই পন্থা চান? অবশ্য অসাংবিধানিক পন্থা থাকলেই বিশিষ্টজনদের কদর বাড়ে। তাঁদের অবশিষ্ট কাজটুকু হয়ে যায়।'

গতকাল শনিবার এক আলোচনা সভায় সংকট এড়িয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত করার পরামর্শ দেন বিশিষ্টজনেরা। 'সংকটে বাংলাদেশ, নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কিছু বিশিষ্টজন হঠাত্ করেই বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেককে এক-এগারোর সময়ও দেখা গিয়েছিল।' নাগরিক সমাজের এই প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, 'তাঁদের এই চেতনা এত দেরিতে কেন এল? যখন হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল, বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা হলো, তখন উনাদের এই চেতনা কোথায় ছিল? হেফাজতে ইসলাম যখন তাণ্ডব চালাল, আমার আহ্বানের পরও বিরোধীদলীয় নেতা সংলাপে সাড়া দিলেন না, তখন কেন বিশিষ্টজনেদের চেতনা জাগ্রত হলো না?' 'অন্য কিছু হলে' এই বিশিষ্টজনদের ডাক পড়তে পারে এই আশাতেই তাঁরা বসে থাকেন বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আন্দোলনের নামে যখন মানুষ খুন হচ্ছে, সন্ত্রাস হচ্ছে, গাছ কাটা হচ্ছে, তখন পরিবেশবিদদের কেউ তো একটি বিবৃতি দিলেন না। সুশীল সমাজও এ নিয়ে একটা কথাও বলল না।'

শেখ হাসিনা বলেন, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দেওয়ায় বাচ্চাদের মানসিক প্রস্তুতি নষ্ট হয়ে যায়, তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পরীক্ষা দেওয়া কঠিন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ফল দিয়ে আপনারা সবাই অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনারা সবাই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।'

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন।


সরকার অনুগামী পরিবহণ সংগঠনগুলি দু'দিনের ধর্মঘট ডেকেছে৷ ফলে, বাস এবং ফেরি পরিষেবা প্রায় বন্ধ৷ ট্রেনের সংখ্যা বেশ কম৷ এর উপর অন্যান্য পরিবহণ সংগঠনগুলিকে পুলিশের তরফে পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে৷ ঢাকায় ঢোকা বা বেরনোর রাস্তায় আগলে নিরাপত্তারক্ষীরা৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বলেছেন, 'যে কোনও মূল্যে আমরা অশান্তি রুখব৷ এর জন্য কিছু কঠোর পদক্ষেপও করতে হতে পারে৷ বুঝতে পারছি, সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন৷ কিন্ত্ত আগে নিরাপত্তা, তার পর বাকি সব কিছু৷'


বিএনপি-র দাবি, সরকার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নিজেরাই অবরোধ করছে৷ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির বলেন, 'শাসনযন্ত্রের সাহায্যে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকালের অবরোধে নেমেছে৷ এ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঠেকিয়ে রাখা যায় না৷ হাসিনা সরকার আমাদের আটকাতে পারবে না৷' তাঁর কথায় পরিষ্কার, যে কোনও মূল্যে বিরোধীরা আজ ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করবে৷ ফকরুলের হুঁশিয়ারি, 'আমাদের কর্মীরা সবাই ঢাকার বাইরে জমায়েত হচ্ছেন৷ তাঁদের আটকে রাখা হচ্ছে৷ আমরা সমাবেশ করছি, সরকার কী ভাবে আটকায় দেখি৷' এর মধ্যেই শনিবার আওয়ামি লিগের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ৷ তিনি বলেন, 'উন্নতির রাস্তায় সরকার এগোচ্ছে৷ এই সাফল্য বিরোধীদের সহ্য হচ্ছে না৷ তাই অশান্তি করছে৷ আগামী পাঁচ বছরে আমরা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাব৷ দেশবাসীর কাছে এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি৷'


প্রস্ত্তত হচ্ছে আওয়ামি লিগও৷ এদিন রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা৷ আওয়ামি লিগের ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিরোধীনেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, 'আপনি যদি রবিবার জাতীয় পতাকার অবমাননা করেন, তা হলে আপনাকে বিপদে পড়তে হবে৷ আপনার ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেব আমরা৷' দলের কর্মীদের বলেন, 'ঢাকায় ঢোকার আটটি পয়েন্ট দিয়ে রবিবার যেন মাছিও গলতে না পারে৷ এই পথ দিয়ে যদি কোনও দুষ্কৃতী শহরে ঢোকে, তা হলে সে পথের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে৷ আর আটকাতে পারলে মিলবে পুরস্কার৷'


ট্রেন বোঝাই করে বিরোধী নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন ঢাকার দিকে৷ বাংলাদেশের উত্তর প্রান্ত থেকে আসা ট্রেনগুলিকে আটকে দেওয়া হয়েছে টাঙ্গাইলে৷ সেখান থেকেই সেগুলিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে৷ শনিবার সকালে আটকে দেওয়া হয় পদ্মা এক্সপ্রেস ও নীলসাগর এক্সপ্রেস৷ যাত্রীদের টাঙ্গাইলে নেমে যেতে বলে পুলিশ৷ সেখানেই বহু বিরোধী কর্মীকে আটক করা হয়৷ কয়েকটি বাস ঢাকায় ঢুকেছে ঠিকই, কিন্ত্ত বিস্তর তল্লাশির পর সেগুলিকে ছাড়া হয়েছে৷ এ ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে৷


বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচি নিয়ে আজ রোববার দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা। নানা নাটকের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে গুলশানের বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে আগামীকাল সোমবারও একই কর্মসূচি দিয়ে ঘরে ফিরে যান বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

কর্মসূচিতে শামিল হতে গিয়ে মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মানসুর প্রধানীয় (২৪) নামের শিবিরের এক নেতার, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণে আবুল কাশেম নামে একজন নিরাপত্তাকর্মীর এবং তল্লাশির নামে সময়ক্ষেপণের কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাভারে গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধা মাবিয়া বেগমের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক খুলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর দফায় দফায় চড়াও হন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দেন আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আর নয়াপল্টনে যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে প্রেসক্লাবের পাশে কদম ফোয়ারার সামনে বসে সমাবেশ করার সময় হামলার শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী একদল শিক্ষক।

তল্লাশি-হয়রানি, ক্ষমতাসীনদের হাতে লাঠিসোঁটা

আজকের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত থেকেই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকে কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকায় প্রবেশের মুখে বুড়িগঙ্গা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেতু; গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে টঙ্গীর স্টেশন রোড ও চেরাগআলী, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে ঢাকায় বাসের প্রবেশ কার্যত বন্ধ হয়ে পড়লে মানুষ রিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন বিকল্প পথে রাজধানীতে আসার সময় মোড়ে মোড়ে তল্লাশির মুখে পড়েন।

জাতীয় পতাকা হাতে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের কর্মসূচি হলেও লাঠিতে পতাকা বেঁধে গোটা রাজধানী ও এর প্রবেশমুখ দখলে রাখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ভোর থেকে লাঠি-পতাকা, হকিস্টিক, ক্রিকেট স্টাম্পসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম হাতে মাঠে নামেন দলটির নেতা-কর্মীরা। যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অবস্থান করেন তাঁরা।

পুলিশের বাড়াবাড়ি, অসুস্থ বৃদ্ধার মৃত্যু

আজ তল্লাশির নামে বাড়াবাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মোড়ে মোড়ে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সময়ক্ষেপণের কারণে এবং ঢাকায় প্রবেশের পর সরকারি দলের কর্মীদের বাধার কারণে সাভারের কাউন্দিয়া থেকে চিকিত্সার জন্য ঢাকায় আসার পথে মাবিয়া বেগম নামের এক অসুস্থ বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ছেলে মোহাম্মদ আলী সকালে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন 'প্রথম আলো'কে বলেন, তল্লাশি করতে গিয়ে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যেতে পারে।

কর্মীশূন্য নয়াপল্টন, খালেদার উপদেষ্টাসহ আটক ৪০

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় জোটের নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। কার্যালয়ের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি। দিনভর কার্যালয়ের আশপাশে ছিল প্রচুর পুলিশ।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদসহ চারজন, প্রেসক্লাব এলাকা থেকে ৩০ জন, মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকা থেকে চারজন এবং বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে দুজনসহ মোট ৪০ জনকে আটক করে পুলিশ।

মালিবাগে শিবিরের নেতা নিহত

বেলা ১১টার দিকে মালিবাগ পদ্মা সিনেমা হলের সামনে থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁরা টায়ারে আগুন দিয়ে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এ ঘটনার পরে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল পাশের একটি গলিতে তল্লাশি করতে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের পাঁচজন সদস্য ও অপর একজন আহত হন। সংঘর্ষ শেষে মানসুর প্রধানীয়কে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মানসুরের বন্ধু মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি আশকোনা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। তিনি বনানীর সিটি ইউনিভার্সিটি নামে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সাংবাদিকদের সভা পণ্ড

দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা লাঠিসোঁটা হাতে প্রেসক্লাবের বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছুড়লে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়। পরে আওয়ামী লীগপন্থী সাংবাদিকদের আরেকটি সমাবেশ করলে সেখানে হামলা হয়। ইটের আঘাত মাথা ফেটে যায় একজন সাংবাদিকের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের ওপর হামলা

'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা'য় যোগ দিতে নয়াপল্টন যাওয়ার পথে বেলা সোয়া দুইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একটি দল প্রেসক্লাবের পাশে কদম ফোয়ারার কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। তাঁরা রাস্তায় বসে সমাবেশ করতে গেলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন ও তাঁদের কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।

পুলিশের উপস্থিতিতে আইনজীবীদের ওপর চড়াও

বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত দফায় দফায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে ও কোর্টের ভেতরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ওপর চড়াও হন ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। এ সময় রেহানা পারভীন নামের এক আইনজীবী আহত হন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ফটক থেকে বের হতে ও ফটকের সামনে জড়ো হতে বাধা দেয় পুলিশ। রঙিন পানি ছুড়ে ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

তল্লাশিকালে বিস্ফোরণে নিরাপত্তাকর্মী নিহত

বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় দুই যুবকের ব্যাগে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরিত হয়ে আবুল কাশেম নামের একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি স্টেশন ইয়ার্ডের ১৭ নম্বর বিটে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

দিনভর অবরুদ্ধ খালেদার বাড়ি

খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে ভোর থেকে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আট প্লাটুন পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে নেওয়া হয় জলকামান। এ ছাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় বালুভর্তি তিনটি ট্রাক ও পেছনের রাস্তায় দুটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে রেখে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বেলা সাড়ে তিনটার আগ পর্যন্ত খালেদার বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের ভিড়তে দেওয়া হয়নি। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব পাশের একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর বেয়ে সাংবাদিকদের একটি দল খালেদা জিয়ার বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের কাছে যায়। এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে তাঁদের জন্য একটি মই দেওয়া হয়। কয়েকজন সাংবাদিক সেই মই বেয়ে বাড়িতে ঢুকে তাঁর কাছে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন।

বেলা তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত চেষ্টা করে বের হতে না পেরে খালেদা জিয়া 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা'র যে কর্মসূচি আজ ছিল, তা কাল সোমবারও অব্যাহত থাকার ঘোষণা দিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যান। এর আগে বিকেল চারটার দিকে খালেদা জিয়ার বাড়ির প্রধান ফটকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাড়ির লনে জাতীয় পতাকা হাতে বসে ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর খালেদা জিয়া বাসার ভেতরে ঢোকেন। আর এর মধ্য দিয়েই কর্মসূচি উপলক্ষে নানা নাটকীয়তা, উত্তেজনা আর সহিংসতার সমাপ্তি ঘটে।


Biplob Rahman

পাক সংগঠন জামায়াত নিষিদ্ধ করাসহ ছয় দফা দাবি সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের | খবর | কালের কণ্ঠ

www.kalerkantho.com

অবিলম্বে পাক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর নেতারা। পাকিস্তানের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে গতকাল

Share · 1 · December 24 at 8:04pm

Biplob Rahman

Fall of Dhaka: 'We should apologise to Bengalis for the discrimination'

tribune.com.pk

'We should apolog­ise to Bengal­is for their suffer­ing at the hands of people from West Pakist­an.'

Share · December 24 at 8:21pm

এ কোন ইসলাম? এই বাচ্চা দুটার কি দোষ? ওরা 'জামাতির বাচ্চা', এটাই ওদের অপরাধ?


বাড়ির আম বাগানে লুকিয়ে রাখা বোমা বিস্ফোরণে রাজশাহী নগরীর এক জামায়াত নেতার নিজের এবং তার ভাইয়ের ছেলে আহত হয়েছে।


সংবাদসূত্রঃhttp://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article721550.bdnews

Like ·  · Share

নাচ শেষে ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমার নাম জহিরুল ইসলাম আপন। বাড়ি কুমিল্লায়। আমি ছাত্রদল করি।"


"ম্যাডামের নির্দেশে আমি বহু বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এখানে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি ম্যাডামও নেই, দলের নেতাকর্মীরাও নেই। তাই নাচছি।

20Like ·  · Share


যার হাতে যা মানায়! — with Ripon Rahim and 2 others.

3Like ·  · Share

রাজাকার ও রাজাকার রক্ষক রা কি সবাই বাম হাতের মানুষ নাকি ??নাকি ডান হাত টা শুধু পাকিস্তানের পতাকা নেওয়ার জন্যে বরাদ্ধ ??নইলে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তারা বাম হাতে নেয় কেনো ?? — withMehedi Mithuu and 2 others.

26Like ·  · Share


বাংলাদেশ

'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' সোমবারও চলবে: খালেদা জিয়া


গুলশানে বাড়ির সামনে খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে তাঁর দলের কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার জন্য গুলশানের বাসা থেকে বের হন স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে৷ এরপর তিনি গাড়িতে উঠে রওয়ানা দিতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাড়ির গেটে আটকে দেন৷ তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাঁকে যেতে দেয়া হবে না৷ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের সদস্য কর্নেল (অব.) আব্দুল মজিদ জানান, তারা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তবে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, নয়াপল্টনে কোন জমায়েত বা সমাবেশের অনুমতি নেই৷ তাই বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সেখানে যেতে দেয়া হবে না৷ আর তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিশের দেখার আছে৷

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়

খালেদা জিয়া বাসার সামনে তাঁর গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন৷ এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পুলিশ বেষ্টনীর কাছে যান৷ তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এরপর গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির ভেতর ফিরে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন৷ এসময় তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ''এই সরকার জালেম এবং অগণতান্ত্রিক৷ এই সরকারের পতন হবেই৷'' তিনি 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' সোমবারও চলবে বলে ঘোষণা দেন৷

এদিকে, রবিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশ আর জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ মালিবাগ রেলগেট এলাকা ও আবুল হোটেল এলাকার কয়েকটি গলি থেকে শিবির কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষে মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও সংঘর্ষে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান৷ রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা জানান, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে অ্যাকশনে যায়৷

এছাড়া, সুপ্রিমকোর্টের বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মূল গেট দিয়ে মিছিল করে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের জল কামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আটকে দেয়৷ এরপর তারা ভিতরে গিয়ে পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল ছোড়ে৷ এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের একদল সমর্থক সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে ঢুকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ সেখানে কয়েকজন আইনজীবী আহত হন৷

  • রাজধানীতে নির্বাচনি আমেজ

  • একই দলের দুই প্রার্থী

  • দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পোস্টারে ঢাকা পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকা৷ রাজধানীর যেসব নির্বাচনি আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে এ আসনটিতেই কিছুটা ভোটের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে৷ ঢাকা-৭ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগের৷ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন৷ তাঁর বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন পুরান ঢাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম৷ তাঁর প্রতীক হাতি৷

12345678910

এর আগে, প্রেসক্লাব থেকে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে তাদেরও বাধা দেয় পুলিশ৷ প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে৷ দুপুরের দিকে প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকেই ঢাকার সব প্রবেশ পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা অবস্থান নেন৷ ঢাকাসহ দূরপাল্লারযানবাহন আগে থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা৷ ফলে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা কার্যত ঢাকায় ঢুকতে পারেনি৷

আর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারপাশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করায় ১৮ দলের কেউ সেখানে ঘেঁষতে পারেনি৷ মহিলা দলের একটি মিছিল সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজনকে আটক করা হয়৷

ঢাকা শহর এখন দৃশ্যত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ বিএনপির নেতা কর্মী বা শীর্ষ নেতাদের মাঠে দেখা যাচ্ছেনা৷ পুলিশ তাদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতারা৷

DW.DE


থাকবেন খালেদা, প্রতিহতের ঘোষণা আওয়ামী লীগের

অনুমতি না মিললেও রবিবারের কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে বিএনপি৷ এদিকে, কর্মসূচি প্রতিহত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ৷ ফলে উৎকণ্ঠায় আছেন ঢাকাবাসী৷ (29.12.2013)

যে-কোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করতে চায় বিএনপি

বিরোধী দলের 'ঢাকা চলো' কর্মসূচিকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে৷ বাস ও লঞ্চের পাশাপাশি ট্রেনও চলাচল করছে না৷ এমনকি ঢাকার মধ্যে সিটি সার্ভিসও বন্ধ৷ (28.12.2013)

রাজধানীতে নির্বাচনি আমেজ

ঢাকা অভিমুখে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' খালেদার

সর্বশেষ আপডেট মঙ্গলবার, 24 ডিসেম্বর, 2013 13:23 GMT 19:23 বাংলাদেশ সময়

ফাইল ফটো

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী ২৯ শে ডিসেম্বর রোববার সারা দেশ থেকে মানুষকে ঢাকায় সমবেত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় তাঁর গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া দেশের সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ঢাকায় আসার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

"এটা হবে 'বাই দ্য ইলেকশন কমিশন, ফর দ্য আওয়ামী লীগ, বাই দ্য আওয়ামী লীগ।"

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া

সম্পর্কিত বিষয়

তিনি বলেন, "বিজয়ের এ মাসে সবাই রাজধানীতে বিএনপির কার্যালয়ের সবাই সমবেত হবেন। বাসে-লঞ্চে যে যেভাবে পারেন ঢাকা আসেন"।

তিনি আরও বলেন, "যারা রাজধানীতে আছেন আপনারাও সেদিন পথে নামুন"।

একি সঙ্গে কর্মসূচিতে কোন বাধা না দিতে সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেন, "যানবাহন, হোটেল-রেঁস্তোরা বন্ধ করবেননা। নির্যাতন, গ্রেফতার বা হয়রানির চেষ্টা করবেননা"।

কর্মসূচিতে বাধা দিলে জনগণ তা মোকাবেলা করবে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।

৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, "এটা ইলেকশন নয়, সিলেকশন। এখানে জনগণ ও প্রতিদ্বন্ধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ নির্বাচন এবং এর মাধ্যমে গঠিত সরকার 'বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল' হবেনা"।

তিনি বলেন, "এটা হবে 'বাই দ্য ইলেকশন কমিশন, ফর দ্য আওয়ামী লীগ, অফ দ্য আওয়ামী লীগ"।

খালেদা জিয়া বলেন এ গণবিরোধী প্রক্রিয়া বন্ধ করার সাধ্য না থাকলে নির্বাচন কমিশনের উচিত পদত্যাগ করা।

সম্পর্কিত বিষয়

আরও খবর: বাংলাদেশ

http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/12/131224_rh_khaleda.shtml


172,000টি ফলাফলের 2 নম্বর পৃষ্ঠা (0.27 সেকেন্ড)

অনুসন্ধানের ফলাফল

  1. মধ্যরাতে সাংবাদিক নেতাদের সাক্ষাত্ : গণতন্ত্রের অভিযাত্রা হবে ...

  2. www.amardeshonline.com/pages/details/2013/12/29/230292

  3. ২৩ ঘন্টা আগে - আজকের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'তে অংশ নিতে দৃঢ়প্রত্যয়ী বিএনপি চেয়ারপারসন ও ১৮ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসভবনে মধ্যরাতে সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তিনি বলেন, 'আজকের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আমি সেখানে যাবই।' বৈঠক শেষে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, উদ্ভূত ...

  4. গণতন্ত্রের অভিযাত্রা-এর চিত্র

  5. - চিত্রগুলি রিপোর্ট করুন

  6. March For Democracy - গণতন্ত্রের অভিযাত্রা । | Facebook

  7. https://www.facebook.com/march44democracy?ref=nf

  8. March For Democracy - গণতন্ত্রের অভিযাত্রা । 68 likes · 1 talking about this. ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা "মার্চ ফর ডেমোক্রেসি" আগামী ২৯শে ডিসেম্বর দেশবাসীকে ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রার আহবান জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সন্ধ্যা পোনে ৬টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ...

  9. ১৮ দলের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আশঙ্কা অনেক কিছুর - Khaskhabor.com

  10. www.khaskhabor.com/details.php?id=3396

  11. ১৬ ঘন্টা আগে - ঢাকা: নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে আজ মুখোমুখি অবস্থানে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত ও গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচি আর তা রুখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী জোট বেছে নিয়েছে কৌশলী পদক্ষেপ। প্রায় বছরজুড়ে.

  12. যায় যায় দিন :: প্রথম পাতা :: অবরুদ্ধ ঢাকায় আজ গণতন্ত্রের অভিযাত্রা

  13. www.jjdin.com/?view=details&type=single...id...

  14. যে কোনো মূল্যে নয়া পল্টনেই সমাবেশঅবরুদ্ধ ঢাকায় আজ গণতন্ত্রের অভিযাত্রাশনিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-সভাপতি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার সকালে যে কোনো মূল্যে তারা নয়া পল্টনে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সমাবেশ করবেন। এই সমাবেশের কার্যক্রম শুরু সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেযাযাদি রিপোর্ট দেশের ...

  15. আগামীকালও চলবে বিএনপির 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' : খালেদা জিয়া ...

  16. www.coxsbazarnews.com/archives/74778

  17. আগামীকালও চলবে বিএনপির 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' : খালেদা জিয়া. তারিখঃ ২৯ ডিসেম্বর,১৩ সময়ঃ৪:২১. Print. khaleda. আগামীকাল ও বিএনপির গণতন্ত্রের অভিযাত্রা চলবে বলে জানিয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।সাংবাদিকদের এই কথা বললেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যতদিন এই কর্মসূচি সফল হবে না, ততদিন এই কর্মসূচি চলবে।

  18. :: Dainik Destiny :: 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' অব্যাহত থাকবে : খালেদা জিয়া

  19. www.dainikdestiny.comপ্রথম পাতা

  20. ৩ ঘন্টা আগে - বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রের অভিযাত্রার যে কর্মসূচি গতকাল ছিল তা আজ সোমবারও অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি বলেন, এ সরকার অবৈধ সরকার, অগতান্ত্রিক সরকার। এ সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সবকিছু করছে। বাড়ির ফটকে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও বের হতে না পেরে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সরকারের পদত্যাগের দাবি.

  21. গণতন্ত্রের অভিযাত্রা – কেন্দ্রবিন্দুতে খালেদা জিয়া Bangla Online ...

  22. bd24live.com/টপ-নিউজ/গণতন্ত্রের-অভিযাত্রা-কে/

  23. ২ দিন আগে - Khaleda Zia - Press নিউজ ডেস্ক: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াতে আগামীকাল রোববার ঢাকা অভিমুখে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচি পালন করবেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে পৌঁছে নয়াপল্টনে সমবেত হওয়ার কথা তাদের। কিন্তু সেখানে গণজমায়েতের অনুমতি ...

  24. বিএনপির 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' হাস্যকর : ওবায়দুল কাদের - গ্রামের কাগজ

  25. www.gramerkagoj.com/details.php?b=&id=17529

  26. 1 দিন আগে - কাগজ ডেস্ক : প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, "দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী আউটসোর্সিং করে আন্দোলন হয় না।"শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের.

  27. 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' বিজয় ছিনিয়ে আনবে: ওয়াহিদুল আলম

  28. www.banglanews24.comজাতীয়

  29. ৪ দিন আগে - চট্টগ্রাম: ঢাকা অভিমুখি গণতন্ত্রের অভিযাত্রা দেশের জনগণ যে কোন মূল্যে সফল করে গণতন্ত্রের বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব আজ ক্ষত বিক্ষত। তাই দেশের গণতন্ত্র পুন: প্রতিষ্ঠায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখে ...

  30. সোমবারও চলবে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা': খালেদা জিয়া | প্রথম সংবাদ

  31. prothomsongbad.com/politics/সোমবারও-চলবে-গণতন্ত্রের/

  32. ৫ ঘন্টা আগে - বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবারও 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা' কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।সোমবারও চলবে 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা': খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন খালেদা জিয়া। রোববার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনের প্রধান ফটকে এই কর্মসূচি ঘোষণা ...