 | সব ধর্মের মৌলবাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হন বন্ধুরা: বাংলাদেশের আন্দোলনকে বিফলে যেতে দেব না আমরা
এবারই আসল পরীক্ষা শুরু। শাহবাগ এর প্রজন্ম চত্বরে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এবং অগনিত সাধারণ মানুষ যেভাবে মৌলবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ গড়ে তুলেছেন, তার বিরুদ্ধে দুই বাংলাতেই শুরু হয়ে গেছে মৌলবাদী তান্ডব। জানতে পারলাম বাংলাদেশের কিছু জায়গায় মৌলবাদীরা তান্ডব শুরু করে দিয়েছে এবং সত্তরের রাজাকারদেরই মত আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। ইটা হবারই ছিল। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে এ আন্দোলনের ক্ষমতা কতটা। বুঝতে পেরেছে এই আন্দোলন ক্রমশ ও ক্রমশ দেশের পরিকাথামকেই পরিবর্তন করে দেবে। দেশ থেকে ধর্মীয় মৌলবাদের চিন্হ পর্যন্ত মুছে যাবে। আর তা হলেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য এক আদর্শ উদাহরণ। এমনটা নয় যে মৌলবাদীরা তান্ডব করলেই আন্দোলনকারীরা হাল ছেড়ে দেবে। কিন্তু এখনি তাদের পরীক্ষা শুরু। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ছাত্র যুবরা ও আজকের প্রজন্মের মানুষরা চুপ করে ছিলেন। তারা প্রতিবাদ করেছেন। এতদিন ধরে জমায়েতে থেকে সারা বাংলা কেন সারা বিশ্বেই গড়ে তুলেছেন প্রতিরোধের অনন্য দৃষ্টান্ত। কিন্তু এবার? আগুন জ্বলবে তা জানতাম। এবার জ্বলছেও। কিন্তু মৌলবাদীরা কজন আছেন এখানে? সারা বিশ্বেই বা মৌলবাদীরা কজন? বাংলেশের সমস্ত মানুষ যদি একযোগে প্রতিরোধ করেন তবে এই মৌলবাদীদের মুছে ফেলা অসম্ভব নয়। আমার মতে ইসলামের শত্রু যদি কেউ হয়ে থাকে তবে এই ইসলামিক মৌলবাদীরাই। যেমন ভাবে হিন্দুদের শত্রু হিন্দু মৌলবাদীরাই। বাংলাদেশের এই আন্দোলন আসলে সমস্ত ধর্মের মৌলবাদকে নিশ্চিন্হ করে তলার আন্দোলন। বাংলাদেশের এই আন্দোলন আসলে দলন্তন্ত্রভোজা রাজনৈতিক চিত্রের বাইরে মানুষের স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনের উদাহরণ। তাই এ আন্দোলন আসলে বিপ্লব ছাড়া আর কিছু নয়। যদি প্রয়োজন হয় মৌলবাদীরা যদি অস্ত্র ধরে, তাহলে আমাদেরও অস্ত্র ধরতে হবে। কারণ এতদিন ধরে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ এক স্বতন্ত্র সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তলার জন্য, তারা হাল ছেড়ে দিলে তা মানবতার পরাজয়। আমার এটাও বলতে লজ্জা হচ্ছে যে আমাদের কলকাতা শহরে গতকাল মৌলবাদীদের একটি মিছিল বেরিয়েছিল যার মুখ্য ছিল বাংলাদেশে ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। এখানে শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে মৌলবাদীরা মিছিল বার করছে আর আমাদের তথাকথিত সেকুলার গণতন্ত্রের ধারক বাহকরা কিছুই বলতে পারছেন না। তারা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক এর জন্য তুষ্ট করে রাখছেন এইসব ধর্মীয় মৌলবাদীদের। লজ্জা। দুই বাংলার লজ্জা। লজ্জা। এই বাংলার লজ্জা। যেখানে বাংলাদেশের মানুষেরা নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে দেশের জন্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন, আন্দোলন করছেন, সেখানে আমাদের তথাকথিত সেকুলার দেশে মৌলবাদীদের তোল্লাই দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পথে নামতে হবে। আমাদের সোচ্চারে কথা বলতে হবে ইসলামিক এবং হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে। আমাদের বলতে হবে যারা মৌলবাদী তারা আসলে না মুসলমান না হিন্দু না মানুষ। যেসব তথাকথিত সাংবিধানিক পার্টি আমাদের এই তথাকথিত গণতন্ত্রে মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের ঘোষণা করতে হবে সমস্ত ধর্মীয় সংগঠন অবৈধ, নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের মানুষ যদি লড়াই ল্কর্তে [পারেন তাহলে আমরা কেন পারব না? শেখ হাসিনা কেন আমাদের দেশে আসতে পারবেন না? কেন আমরা সমস্ত মৌলবাদের বিরুদ্ধে পথে নামব না বন্ধুরা? আমরা তো একটা নিরুপদ্রপ পৃথিবীরই স্বপ্ন দেখি। আমরা তো চাই এক অসাম্প্রদায়িক বিশ্ব গড়ে উঠুক। আমার ভাষার দেশ, আমার দেশ তো বাংলাদেশ। সেখানে কোনো একজন মানুষ যদি মৌলবাদী হিংসার শিকার হন, তাহলে তা আমাদের লজ্জা। আমরা অনেক দিন সয়েছি এই মৌলবাদী সন্ত্রাস। আর না। আর কখনই না। যারা যারা আমার সঙ্গে সহমত, তারা প্রকাশ্যে বলুন এবং আসুন আমরাও একটা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলি। কারণ বাংলাদেশের এই আন্দোলন শুধু বাংলাদেশের নয়, আমাদের। সমগ্র উপমহাদেশের। সমগ্র মানবজাতির। |
No comments:
Post a Comment