Tuesday, September 9, 2014

একবারও মনে হয়নি তক রক্ত,কত ঘাম,কাত হাসি কত কান্নার সঙ্গে জড়ানো মানুষের টাকা,আত্মসাতী আত্মঘাতী এই রাজনীতি মানুষের লাগে কোন কাজে? নিজের আমলেই মমতাকে হাজতে যেতে হতে পারে- মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। সত্যিই কি রাস্তায় নামার দম আছে বামেদের? CPI-M leader threatens active resistance against TMC


একবারও মনে হয়নি তক রক্ত,কত ঘাম,কাত হাসি কত কান্নার সঙ্গে জড়ানো মানুষের টাকা,আত্মসাতী আত্মঘাতী এই রাজনীতি মানুষের লাগে কোন কাজে?
নিজের আমলেই মমতাকে হাজতে যেতে হতে পারে- মন্তব্য বিরোধী দলনেতার।
সত্যিই কি রাস্তায় নামার দম আছে বামেদের?
CPI-M leader threatens active resistance against TMC

পলাশ বিশ্বাস
সত্যিই কি রাস্তায় নামার দম আছে বামেদের?এখনো? গৌতম দেবের অঙ্গভঙ্গিমা ঘন্টা খানেক বর্দাশ্ত করার পর যে এক্টিভ রেজিস্টান্সের ঘোষণা হল সেই মোতাবেক অপারেশন বর্গা বা ভারত বিভাজন পরবর্তীকালে বাংলার দিকে দিকে উদ্বাস্তু কলোনীর জন্য জমি দখলের সেই জঙ্গী আন্দোলনের কথাই বলেছেন গৌতম না অন্য কিছু?
এরগারোই সেপ্টেম্বারের মাঝে আজ আর কাল,পুজো শেষ হবে নভেম্বারের পয়লা হপ্তায়,তারপর?
বাম আন্দোলনের যে দীপশিখা নিভে গেছে 1977 এ ক্ষমতা গখলের সংশোধনবাদে,সেই আন্দোলনে কি দিশা খুঁজে পাবে বাম এবং সারা দেশে আবার প্রতিরোধে আটকে যাবে শসণের গণসংহার অশ্বমেধী সৈন্য সামন্ত,থমকে যাবে করপোরেট রাজ?
না সারদা কেলেন্কারির পদ্মপ্রলয়ের মতোই সাময়িক চমকের অঙ্গভঙ্গীর থ্যাটার হয়ে মনে রইবে গৌতম দেবের এই এক্টিভ রেসেজিস্ট্যান্স?
মেহনতী মানুষের দুনিয়া প্রতীক্ষায় রইল বসে,কবে এই পৃথীবী আবার আগের মতো হবে,কবে কে ফেরাবে সেই অরণ্য আবার?
দৈনিক আজকালে লিখেছেন সোহম সেনগুপ্ত: তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আবার সরব হলেন সি পি এম নেতা গৌতম দেব৷‌ বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে শাসক দল ভোট-দখলের পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ তুলছেন তিনি৷‌ রাজ্যের চিট ফান্ড বিতর্ক প্রসঙ্গে তাঁর হুমকি, সারদা-রোজভ্যালি-এম পি এসের অফিস দখল করে গরিব মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷‌ এম পি এসের যে ক'টা বাড়ি আছে তাতেও রেল কলোনির বাসিন্দাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হবে৷‌ আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই এই আন্দোলন চলবে৷‌ সোমবার বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সি পি এমের অফিসে বসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান পার্টির জেলা সম্পাদক গৌতম দেব৷‌ তিনি বলেন, চিটফান্ডের টাকা সারদার অ্যাম্বুলেন্সে করে মন্ত্রীদের কনভয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে পাচার হত৷‌ কালিম্পঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সভার পর রোজভ্যালির মালিক গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গেও সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ তিনি বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রত্যেক তৃণমূল প্রার্থীকে সারদার ৩২ কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল৷‌ একমাত্র উপেন বিশ্বাস সেই টাকা নেননি৷‌ মুকুল রায়কে আক্রমণ করে গৌতম দেব বলেন, আমার সঙ্গে মামলায় ১৯ দিন হাজিরা দেননি৷‌ তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর গিয়ে শিল্পের কোনও লাভ হবে না৷‌ একই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কড়া সমালোচনাও করেছেন৷‌ তিনি জানান, সি বি আইয়ের তদম্তে তাঁরা আস্হাশীল৷‌ বসিরহাট দক্ষিণের নির্বাচন নিয়ে গৌতম দেব বলেন, সন্ত্রাস করে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল৷‌ ওরা বাইরে থেকে তিন হাজার লোক ঢোকালে তাঁরাও চার হাজার লোক সেখানে ঢোকাবেন বলে জানান গৌতম দেব৷‌ আগামী ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে জেলার ১৫টি জায়গায় আইন অমান্য করবে বামফ্রন্ট৷‌ তিনি বলেন, আইন অমান্য করার জন্য বামফ্রন্ট কর্মীরা জেলে যেতেও প্রস্তুত৷‌ আগামী ৬ ডিসেম্বর কলকাতায় ৩ লক্ষ মানুষ নিয়ে তাঁরা যাবেন বলেও এদিন জানান গৌতম দেব৷‌ তিনি বলেন, কলকাতার পুলিস কমিশনার তাঁদের ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি দেননি৷‌ তাই তাঁরা হাইকোর্টে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার জন্য মামলা করবেন৷‌ ২১ জুলাই তৃণমূল শহিদ দিবস করতে পারলে তাঁদেরকে কেন সভা করতে দেওয়া হবে না তা তাঁরা জানতে চাইবেন আদালতের কাছে৷‌

A senior CPI(M) leader today threatened "active resistance" against the Trinamool Congress and chit fund companies in West Bengal while claiming that the ruling party should not misconstrue time given to it to work by the Left as its weakness.
"We will launch active resistance against Trinamool Congress and the chit fund companies in order to highlight the nexus between the two," party Central Committee member Goutam Deb told newspersons at Barasat district party office here.
"Chit fund companies have flourished under this regime and public money has been misused by these," he claimed.
"As a responsible opposition, we had given the Trinamool Congress time to work and see what it does for public good, but now we will take to the streets to protest against its misrule and conduct," he said.
Regarding the CBI investigation into the Saradha chit fund scam, Deb said, "I feel that the way investigation is advancing, it will reach a logical conclusion."
Talking about BJP's prospects at Basirhat South Assembly constituency bye-election in North 24-Parganas district, of which he is the party district president, Deb said "though they had garnered a percentage of votes in the Lok Sabha elections from here, it will be a different ball game in the Assembly polls."
Bye-elections are scheduled on September 13 at Basirhat South and Chowringhee Assembly seats.

সারদা: মমতা সব জানতেন! তোপ গৌতম দেবের

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Monday, 08 September 2014 07:15 PM
submit to reddit
কলকাতা: সারদাকে হাতিয়ার করে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ গৌতম দেবের। বাদ দিলেন না মুকুল রায়কেও। তাঁর দাবি, মমতা-মুকুল সব জানেন।
অন্দরমহল থেকে ইতিমধ্যেই ধেয়ে এসেছে আক্রমণ। সারদাকাণ্ডে এবার বিরোধীদেরও সরাসরি নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে ইতিমধ্যেই সিবিআই ও ইডি তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদকে জেরা করেছে। কিন্তু প্রথমবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন একদা তাঁর ছায়াসঙ্গী, বর্তমানে জেলবন্দী সাংসদ কুণাল। শনিবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন, সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা যদি কারও কাছে পৌঁছে থাকে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
কুণাল সারদা তদন্তে মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে দেওয়ার পর, তৃণমূল যাঁকে 'সততার প্রতীক'-হিসাবে প্রচার করে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোমর বেঁধে আক্রমণে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম দেব বলেন, মমতা সব জানতেন!
কুণাল ঘোষ এক চাঞ্চল্যকর বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ডেলোতে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন বৈঠক হয়েছিল। সেই একই সুরে আক্রমণ শানান গৌতম দেব।
রবিবারই রাজ্যে এসে সারদা কেলেঙ্কারিতে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সারদা কেলেঙ্কারি যেমন তাঁদের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে,  তেমনই আক্রমণের মূল লক্ষ্য হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, সোমবার গৌতম দেবের কথা থেকেও স্পষ্ট, বিজেপির মতোই সিপিএমেরও এখন অস্ত্র সারদা, লক্ষ্য মমতা।

মমতা-মুকুলকে এ বার 'দুষ্কৃতী' বলে তোপ দাগলেন গৌতম


1

বারাসতে সিপিএম পার্টি অফিসে উত্তেজিত গৌতম দেব। ছবি: সুদীপ ঘোষ

রাজ্যপাট পরিবর্তনের আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেও তোপ অব্যাহত রেখেছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে কখনও তাচ্ছিল্য করেছেন, কখনও মানহানির মামলা ঠুকেছেন। নিজের দলেও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এ বার সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ফাঁস তৃণমূলের উপরে চেপে বসতে শুরু করায় ফের মুখ খুললেন গৌতম দেব। এবং মমতা ও তৃণমূলে তাঁর দক্ষিণ হস্ত মুকুল রায়কে 'দুষ্কৃতী' আখ্যা দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্য।
কালিম্পঙের কাছে ডেলো বাংলোয় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা যে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রথম জনসমক্ষে সেই কথা বলেছিলেন গৌতমবাবুই। বরাহনগরে গত বছরের একটি জনসভায় তাঁর সেই মন্তব্যের জন্য তৃণমূলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এখন জেলবন্দি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড সাংসদ কুণাল ঘোষের ডায়েরিতেই ডেলো পাহাড়ে মমতা-সুদীপ্তের সেই বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করেই ফের আসরে নেমেছেন গৌতমবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেও মুকুল কেন এক বারও আদালতে হাজির হননি, তুলে দিয়েছেন সেই প্রশ্নও। তাঁর তোলা অভিযোগের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি তৃণমূলের তরফে। বরং গৌতমবাবুর শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই ফের কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
দলের জেলা সম্পাদক গৌতমবাবু সোমবার তোপ দাগেন, "মমতা ও মুকুল দু'জনেই দুষ্কৃতী (ক্রিমিনাল)! যারা লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে, সেই সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন আর রোজভ্যালির গৌতম কুণ্ডুকে পাহাড়ে ডেকে নিয়ে ওঁরা
রাত ১২টার সময় বৈঠক করেছেন!" গৌতমবাবুর ব্যাখ্যা, "আসলে মমতা-মুকুল 'ক্রিমিনাল টাইপ অব পার্সোন্যালিটি! এঁরা মানসিক ভাবেও অপরাধপ্রবণ। ক্রিমিনাল পার্টি হিসেবেই তৃণমূল ইতিহাস হয়ে যাবে!" স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে প্রাক্তন এই মন্ত্রীর আরও মন্তব্য, "মমতা যদি আগে আমার কথা শুনতেন, তা হলে আজ ওঁকে এই দিন দেখতে হতো না! নেতারা লাইন দিয়ে যাচ্ছে, ৭-৮ ঘণ্টা করে জেরা করছে সিবিআই। মদন-ফদন কিস্যু না! সব মমতা জানেন! মুকুল জানেন!"
লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূল নেত্রীর পরিবারের লোকজনের অল্প সময়ে ফুলেফেঁপে ওঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন গৌতমবাবু। আলিমুদ্দিনে সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই রাতে তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিল তৃণমূলের সরকার। এ বারও তো তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে শাসক দল? গৌতমবাবুর বক্তব্য, "আমাকে ওরা জেলে পুরতে চেয়েছিল। পারেনি। আমি তো বলেছি, হয় মুকুল জেলে যাবেন, নয়তো আমি! মমতা জেলে যাবেন! মুকুলও যাবেন।" পুরনো প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই গৌতমবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, "মুকুল রায় ৩২ কোটি টাকা নগদ নিয়ে (বিধানসভা ভোটের আগে) বসেছিলেন। উপেন বিশ্বাস বাদে প্রায় সবাই সেই টাকার ভাগ নিয়েছেন। এ কথা বলায় মুকুল আমার নামে মানহানির মামলা করেছেন। আদালতে ১৯ বার আমি হাজিরা দিলেও মুকুল যাননি।"
মুকুলবাবু এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে গৌতমবাবুর অসুস্থতার প্রতি ইঙ্গিত করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, "পাগলা গারদ কোথায় আছে, গানটা মনে পড়ে গেল! প্রতিবার নির্বাচন আসে, আর প্রতিবারই এই নৃত্য দেখতে হয়! কেন অসুস্থ লোকটাকে টেনে আনে সিপিএম?"
শুধু গৌতমবাবুই নন, অন্য বিরোধীরাও মুখ্যমন্ত্রী ও শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সমানে বিঁধেছেন। কলকাতায় এ দিন বিজেপি-র সহ-সভাপতি মুখতার আব্বাস নকভি কটাক্ষ করেছেন, "মমতাকে সারা দেশ বিদ্রোহের কন্যা বলে জানত। কোথাও কোনও অন্যায়, দুর্নীতি দেখলেই তিনি প্রতিবাদে সরব হতেন। অথচ ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি পরিণত হলেন দুর্নীতির রানিতে!" প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়াও প্রশ্ন তুলেছেন, "এত কিছু হয়ে যাচ্ছে, সরকারি দলের জবাব কোথায়? কেমন যেন গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, ঘাবড়ে যাচ্ছেন!"
আর গৌতমবাবু বারেবারেই বিঁধেছেন মমতা-মুকুলকে। অভিযোগ করেছেন, "তৃণমূলের মন্ত্রী, এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের পিছনে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে করে সারদার টাকা বস্তায় ভরে মেদিনীপুর থেকে কলকাতা আসত। রাত ১টার সময় নিউ টাউনের রাস্তায় মমতা ফোন করে কুণাল ঘোষকে ডেকে পাঠাতেন। অত রাতে তো অপরাধীরা রাস্তায় থাকে!" ডেলোর বৈঠক প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, "ওই বৈঠকে আরও কথা হয়েছে। সব কথা, ছবি সময়মতো প্রকাশ হবে!"
কৌশলে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে গৌতমবাবু বলেছেন, "সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায়, গোবিন্দ নস্কর, এঁরা এ ধরনের মানুষ নন।" পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর মন্তব্য, "বামফ্রন্ট শেষ হয়ে গিয়েছে কি না, ১১ সেপ্টেম্বরের পরে কিছুটা আর বাকিটা পুজোর পর থেকে তৃণমূল বুঝতে পারবে!" গৌতমবাবুর কথায়, ১১ তারিখ থেকে তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা সারদা, রোজভ্যালি এবং এমপিএসের বিভিন্ন অফিস-বাড়িতে হানা দেবেন। কলকাতায় এমপিএসের ১৭টা বাড়ি আছে। সেগুলি বিক্রি করে মানুষকে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হবে। তা না হলে রেললাইন, ঝুপড়ি, বস্তি থেকে মানুষ (যাঁরা মূলত অর্থলগ্নি সংস্থায় আমানত করেছেন) এনে সেই সব বাড়িতে ঢুকিয়ে দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন গৌতমবাবু।



সারদাকাণ্ড: আজ খোলা হতে পারে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার রহস্যজনক লকার

Last Updated: Tuesday, September 9, 2014 - 12:36
সারদাকাণ্ড: আজ খোলা হতে পারে প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার রহস্যজনক লকার
কলকাতা: বিধাননগর আদালতে আজ সিবিআইয়ের তদন্তাধীন সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম মামলার শুনানি। বিধাননগর উত্তর থানায় দায়ের মল্লিকা চ্যাটার্জি নামে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছিল রাজ্য পুলিসের সিট। মামলার কেস নম্বর একশো দুই। সুপ্রিম কোর্টে সারদায় সিবিআই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন এই মামলাটিকেই মডেল মামলা বলে হলফনামা দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
এদিকে, সল্টলেকে সিবিআই অফিসে আজও ফের জেরা করা হচ্ছে সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে।
সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে কলম পত্রিকার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে আজ ফের জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারদাকে কলম পত্রিকা বিক্রির চুক্তিপত্রে অসঙ্গতি পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা।  চুক্তিপত্রে টাকার অঙ্কের জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, টাকার অঙ্ক স্থির না হয়ে কী করে একটি পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তর হল?
সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত ২৮  অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে  প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও। তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট শাখার লকারের চাবি। লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।    

সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে অতি তত্‍পর পুলিস

সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে অতি তত্‍পর পুলিস
ওয়েব ডেস্ক: সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে আজ অতি তত্পর ভূমিকায় দেখা গেল পুলিসকে। সকালে থানা থেকে সিবিআই অফিসে আনার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু, কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা তাঁকে জোর করে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পড়ে যান কুণাল ঘোষ। তাঁর কাঁধে ও মাথায় আঘাত লাগে।
তড়িঘড়ি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে পৌছয় চিকিত্সক দল। তাঁর প্রাথমিক চিকিতসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই গোটা সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর নিশ্চিদ্র পুলিসি নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়। যদিও, ইডি ও সিবিআই কর্তৃপক্ষের দাবি তাঁরা অতিরিক্ত কোনও নিরাপত্তার আবেদন করেননি।
এদিকে, সারদাকাণ্ডে আজ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের জেরা করছে সিবিআই। সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌছে যান মন্ত্রী মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত প্রশান্ত প্রামাণিক। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আসিফ খানকেও জেরা করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের আপ্ত সহায়ক বাদল ভট্টাচার্যকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা এবার সারদাকাণ্ডের যারা মাথা, অর্থাত্‍ মূল চক্রীদের খোঁজ শুরু করেছেন। সন্দেহভাজনদের ঘনিষ্ঠদের ডেকে পাঠানো সেই তদন্তেরই অঙ্গ। সুদীপ্ত সেন এবং কুণাল ঘোষকে জেরা করে যে নামগুলি উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এদের জেরার মাধ্যমে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রয়োজনে তাঁদের কুণাল ঘোষের সামনে বসিয়ে কিংবা সবাইকে একসঙ্গেও জেরা করা হতে পারে।   
এদিকে, সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত আঠাশে অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে  প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও।
তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট ব্রাঞ্চের লকারের চাবি। লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে।সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।  

সারদা কেলেঙ্কারির সিবিআইয়ের প্রথম মামলার শুনানি আজ

সারদা কেলেঙ্কারির সিবিআইয়ের প্রথম মামলার শুনানি আজ
বিধাননগর আদালতে আজ সিবিআইয়ের তদন্তাধীন সারদা কেলেঙ্কারির প্রথম মামলার শুনানি। বিধাননগর উত্তর থানায় দায়ের মল্লিকা চ্যাটার্জি নামে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছিল রাজ্য পুলিসের সিট।
মামলার কেস নম্বর একশো দুই। সুপ্রিম কোর্টে সারদায় সিবিআই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন এই মামলাটিকেই মডেল মামলা বলে হলফনামা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিকে, সল্টলেকে সিবিআই অফিসে আজও ফের জেরা করা হচ্ছে সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে। সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে কলম পত্রিকার প্রাক্তন সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরানকে আজ ফের জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সারদাকে কলম পত্রিকা বিক্রির চুক্তিপত্রে অসঙ্গতি পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। চুক্তিপত্রে টাকার অঙ্কের জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, টাকার অঙ্ক স্থির না হয়ে কী করে একটি পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তর হল?সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত আঠাশে অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে  প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও। তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট শাখার লকারের চাবি।
লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।    

সারদাকাণ্ডে জেরা করা হচ্ছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠদের

ওয়েব ডেস্ক: সারদাকাণ্ডে আজ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের জেরা করছে সিবিআই। সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌছে যান মন্ত্রী মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত প্রশান্ত প্রামাণিক। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আসিফ খানকেও জেরা করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের আপ্ত সহায়ক বাদল ভট্টাচার্যকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা এবার সারদাকাণ্ডের যারা মাথা, অর্থাত্‍ মূল চক্রীদের খোঁজ শুরু করেছেন। সন্দেহভাজনদের ঘনিষ্ঠদের ডেকে পাঠানো সেই তদন্তেরই অঙ্গ। সুদীপ্ত সেন এবং কুণাল ঘোষকে জেরা করে যে নামগুলি উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এদের জেরার মাধ্যমে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রয়োজনে তাঁদের কুণাল ঘোষের সামনে বসিয়ে কিংবা সবাইকে একসঙ্গেও জেরা করা হতে পারে।   
এদিকে, সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত আঠাশে অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে  প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও।
তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট ব্রাঞ্চের লকারের চাবি। লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে।সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।       

জেলে বসে কুণাল ঘোষের লেখা, মমতা ব্যানার্জি'র আঁকা ছবি ও সারদা প্রসঙ্গ  

১। ছবি বিক্রি করে টাকা তোলা ঘোষিত। এতে কোনও অন্যায় নেই। ২। বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও শিল্পপতিও এই ক্রেতার তালিকায়, এটাই তাৎপর্যপূর্ণ। ৩। এর মধ্যে বিস্তারিত যাচ্ছি না সারদা প্রসঙ্গে ঠিক যেটুকু জানি: সুদীপ্ত সেন ছবি  ...  আরও»

জাগো বাংলার টাকার উৎসও প্রশ্নের মুখে

নিজে ছবি এঁকে দলের জন্য তহবিল সংগ্রহের কথা বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন ছবি বিক্রির টাকায় তাঁর দলীয় মুখপত্র চালানোর কথাও। সারদা-তদন্তের শিকড় গভীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব টাকার উৎসও এ বার প্রশ্নের মুখে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী শুরু করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও করেছেন।


জাগো বাংলার টাকার উৎসও প্রশ্নের মুখে  

নিজে ছবি এঁকে দলের জন্য তহবিল সংগ্রহের কথা বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন ছবি বিক্রির টাকায় তাঁর দলীয় মুখপত্র চালানোর কথাও। সারদা-তদন্তের শিকড় গভীরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব টাকার উৎসও  ...  আরও

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

মমতা ব্যানার্জি'র আঁকা ছবি ও সারদা প্রসঙ্গ

১। ছবি বিক্রি করে টাকা তোলা ঘোষিত। এতে কোনও অন্যায় নেই। ২। বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী ও শিল্পপতিও এই ক্রেতার তালিকায়, এটাই তাৎপর্যপূর্ণ। ৩। এর মধ্যে বিস্তারিত যাচ্ছি না সারদা প্রসঙ্গে ঠিক যেটুকু জানি: সুদীপ্ত সেন ছবি কিনেছেন, এটা যেমন ঠিক, সুদীপ্ত সেন ছবি কেনেননি, কৌশলী বিবৃতিতে সেটাও ঠিক হতে পারে।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

মমতা-মুকুলকে এ বার 'দুষ্কৃতী' বলে তোপ দাগলেন গৌতম

রাজ্যপাট পরিবর্তনের আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেও তোপ অব্যাহত রেখেছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে কখনও তাচ্ছিল্য করেছেন, কখনও মানহানির মামলা ঠুকেছেন। নিজের দলেও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এ বার সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ফাঁস তৃণমূলের উপরে চেপে বসতে শুরু করায় ফের মুখ খুললেন গৌতম দেব। এবং মমতা ও তৃণমূলে তাঁর দক্ষিণ হস্ত মুকুল রায়কে 'দুষ্কৃতী' আখ্যা দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

পাছে মুখ খোলেন কুণাল, ধাক্কা-ধস্তাধস্তি

সাংবাদিকদের দেখে মুখ খুলতেই পিছন থেকে এক ধাক্কা। সিবিআই দফতরের সিঁড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। সোমবার সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে তুলে নিয়ে দফতরের ভিতরে চলে গেল পুলিশের একটা দল। যার নেতৃত্বে বিধাননগর দক্ষিণ থানার ওসি। সিবিআই সূত্রের খবর, পড়ে গিয়ে কপালে, হাতে, কোমরে চোট পেয়েছেন কুণাল।

কলকাতা
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

সব বলে দিয়েছি, দাবি আসিফের

শাসক দলের সঙ্গে সারদার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের একদা ঘনিষ্ঠ আরও এক জন। সোমবার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানকে জেরা করে সিবিআই। কুণাল ও আসিফকে মুখোমুখি জেরা করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এ দিন বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই সদর দফতরে হাজির হন আসিফ। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা জেরা শেষে সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। আসিফ বলেন, "২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দলের নেতাদের সঙ্গে নানা জায়গায় ঘুরেছি। যা দেখেছি, যা শুনেছি, যা বুঝেছি সবই সিবিআইকে বলেছি।"

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

অমিত আক্রমণ মোকাবিলায় ভাইপোই অস্ত্র তৃণমূল নেত্রীর

এক প্রৌঢ়কে চ্যালেঞ্জ জানালেন এক যুবা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতে কালি লাগানোর চেষ্টা করলে অমিত শাহরা পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার জমি খুঁজে পাবেন না। বিজেপি সভাপতির হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো এবং 'যুবা'র সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e



আবার সেই আজকালে দীপঙ্কর নন্দীর খবরঃ

মুকুল রায় ছাড়া তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই সোমবার চৌরঙ্গিতে প্রচার করলেন৷‌ এদিন বিকেলে মুকুল নবান্নতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন৷‌ জানা গেছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে৷‌ চৌরঙ্গি উপনির্বাচন উপলক্ষে এদিন বৌবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে প্রার্থী নয়না দাসের সমর্থনে সৌগত রায়, পার্থ চ্যাটার্জি, সুদীপ ব্যানার্জি, সুব্রত বক্সি, সাধন পান্ডে, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক ব্যানার্জি, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য পেশ করেন৷‌ সভায় ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো৷‌ প্রত্যেক নেতাই বি জে পি-কে তুমুল আক্রমণ করেন৷‌ সন্ধ্যায় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে যাওয়ার আগে পার্থ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন৷‌ তিনি সি পি এম নেতা গৌতম দেবকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি পাগলের প্রলাপ বকছেন৷‌ এ সব ছেঁদো কথায় চৌরঙ্গির জয় আটকাবে না৷‌ বি জে পি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় এসে দিল্লিতে গিয়ে বুঝতে পারলেন, চৌরঙ্গিতে তাঁদের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়৷‌ আস্তিন গুটিয়ে বি জে পি নেতারা চৌরঙ্গিতে এসে বড় বড় কথা বলে গেলেন৷‌ অসংলগ্ন কথা বললেন৷‌ পরাজয় নিশ্চিত বুঝে দিল্লির নেতারা এখন অন্য কথা বলছেন৷‌ লোকসভা নির্বাচনে হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন খরচ করেছিল বি জে পি৷‌ বাংলার মানুষ বি জে পি-কে প্রত্যাখ্যান করে মমতার হাতে ৩৪টি আসন তুলে দিয়েছিলেন৷‌ স্বাধীনতার পর কোনও দল এককভাবে এত আসন পায়নি৷‌ পার্থর অভিযোগ, টিভিতে সেজেগুজে কয়েকজন নেতা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করছেন৷‌ তিনি দাবি করেন, বাংলায় অবাধে ভোট হয়৷‌ এখানে গত তিন বছর ধরে প্রতিটি নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ৷‌ বি জে পি-তে সম্প্রতি যোগ দেওয়া কংগ্রেসের জয়প্রকাশ মজুমদারকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, আজ টিভিতে অন্য দলের হয়ে বলছেন৷‌ কাল আবার আরেকটি দলের হয়ে মতামত দেবেন৷‌ আয়ারাম-গয়ারাম চলছে৷‌ পার্থ বলেন, এক মাস টিভি চ্যানেলে কয়েকজন নেতাকে না ডাকা হলে তাঁদের নাম মানুষ ভুলে যাবেন৷‌ বাতিল হওয়া কিছু নেতা এখন চ্যানেলে গিয়ে মুখ দেখাচ্ছেন৷‌ সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে পার্থর বক্তব্য, লেবু বেশি কচলাবেন না৷‌ মমতার পাশেই বাংলার মানুষ রয়েছেন৷‌ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে এদিন সন্ধ্যায় ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো৷‌ মঞ্চে উপস্হিত ছিলেন প্রার্থী নয়না দাস৷‌ তৃণমূল যুবার ডাকে এদিনের প্রচারসভা করা হয়৷‌ যুবার সভাপতি অভিষেক বলেন, বি জে পি নেতা অমিত শাহ বাংলার ইতিহাস জানেন না৷‌ মমতার সংগ্রাম সম্পর্কে ওঁর কোনও ধারণা নেই৷‌ বাংলায় এসেছেন বাজার গরম করতে৷‌ সারদা নিয়ে অভিষেক বলেন, সারদা-কেলেঙ্কারির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কাশ্মীর থেকে ধরা হয়েছে৷‌ প্রশাসন সব রকম ব্যবস্হা নিয়েছে৷‌ তা সত্ত্বেও মমতার সততা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন৷‌ আমরা মনে করি, সাধারণ মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়৷‌ মমতা চান, সকলেই টাকা ফেরত পাক৷‌ তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সি বি আই তদম্ত করছে৷‌ আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে তদম্ত হোক৷‌ তাহলে কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তার পাশে মমতা ব্যানার্জির দল ও সরকার থাকবে না৷‌ অভিষেক বলেন, মোদির ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে মমতার ১০০ দিনের কাজের তুলনা করা উচিত৷‌ বোঝা যাবে, মমতার উন্নয়ন কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে৷‌ তা সত্ত্বেও কুৎসা, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র চলছে৷‌ বি জে পি-র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সি পি এম, কংগ্রেস এই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে৷‌ সৌগত রায়, সুদীপ ব্যানার্জি, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম– সকলেই বি জে পি-কে কড়া আক্রমণ করেন৷‌ পাশাপাশি তাঁরা সি পি এম, কংগ্রেসকেও একহাত নেন৷‌ কেউ কেউ বলেন, সি পি এম বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে৷‌ কংগ্রেসের সাইনবোর্ড খুলে পড়েছে৷‌ এঁরা প্রত্যেকেই প্রার্থী নয়না দাসকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান৷‌ অন্য দিকে আজ চৌরঙ্গি উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছে৷‌ থাকবেন তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা৷‌ দুপুরে কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যম্ত৷‌ চৌরঙ্গি নিয়ে রাজ্য নেতাদের মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বি জে পি-র বিরুদ্ধে বলতে হবে৷‌ এ-ও বলতে হবে, বাংলায় বি জে পি অশাম্তি লাগানোর চেষ্টা করছে৷‌ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে৷‌ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷‌ এ সব বন্ধ করার জন্য ভোট দিতে হবে তৃণমূলকে৷‌ অন্য দিকে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়৷‌ তিনি মাঝে মধ্যেই প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসের সমর্থনে বসিরহাটে গিয়ে প্রচার করে আসছেন৷‌ প্রচারে আছেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলিও৷‌





আজকালের প্রতিবেদন: সি বি আই জেরা করেই তথ্য পাওয়ার চেষ্টায় আপাতত৷‌ সোমবার দফায় দফায় জেরা চলে আসিফ খান, বাদল ভট্টাচার্য ও প্রশাম্ত প্রামাণিককে৷‌ জেরা করা হয় কুণাল ঘোষকেও৷‌ পরিস্হিতি যা, সারদা-কাণ্ডের তদম্তে সি বি আই তিন মাস সময় কাটিয়ে দিলেও দু'জনকে গ্রেপ্তার এবং তল্লাশি ও জেরা করা ছাড়া আর কিছু করে উঠতে পারেনি৷‌ 'লার্জার কনস্পিরেসি' কীভাবে, ও কারা জড়িত– সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে তদম্তে সেদিকটি এখনও স্পষ্ট হয়নি৷‌ জড়িত অনেক নাম৷‌ কিন্তু প্রমাণ, যা আদালতে গ্রহণযোগ্য, সেই সূত্র সন্ধানেই আপাতত ব্যস্ত সি বি আই৷‌ দু'দফায় বড় তল্লাশি এবং দশজনের বেশি লোকজনকে জেরা করার পরেও সারদা-কাণ্ডের 'চক্রাম্ত' কীভাবে, সেই সারসত্য খুঁজতেই দিন কাবার৷‌ সোমবার কুণাল ঘোষকে সি জি ও কমপ্লেক্সে আনার সময়, পুলিস তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে তুলতে গিয়ে বিপত্তি বাধায়৷‌ টাল সামলাতে না পেরে সিঁড়িতে পড়ে যান কুণাল ঘোষ৷‌ তাঁর হাতে, পায়ে চোট লাগে৷‌ ঘাড়েও অল্পবিস্তর ধাক্কা লাগে৷‌ পুলিসের এত তাড়াহুড়ো সি বি আই ভালভাবে নেয়নি৷‌ সি বি আইয়ের তদম্তকারী অফিসার কুণাল ঘোষের প্রহরায় থাকা পুলিসকর্মীদের ভর্ৎসনা করে বলেছেন, সি বি আই হেফাজতে থাকার সময় এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে৷‌ আসিফ খানকে সকাল থেকে দফায় দফায় জেরা করা হয়৷‌ সন্ধে ৭টা নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷‌ সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন আসিফ খান৷‌ তাঁকে আবার জেরা করা হতে পারে বলে সি বি আই সূত্রের খবর৷‌ আসিফ খান বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যম্ত দলের নানা নেতৃবর্গের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গেছি৷‌ তখন যা দেখেছি, যা শুনেছি, যা বুঝেছি– সবই সি বি আই-কে জানিয়েছি৷‌ যতটা আমি মনে করতে পেরেছি, সবই বলেছি৷‌ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলাম৷‌ তাই নেতৃত্বের যা কিছু আমার জানা আছে, সবই বলার চেষ্টা করেছি৷‌ এক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ খান জানান, সি বি আই তদম্তের স্বার্থে যাকে ডাকবে, তাকে তো আসতেই হবে, না হলে সে ক্লিনচিট পাবে কী করে? তদম্তের স্বার্থে বাইরে সব কিছু বলতে পারব না৷‌ সি বি আই তো এই তদম্তের চার্জশিট দেবে, তখন যদি আমি দোষী হই, তা হলে আমার নামও থাকবে৷‌ তদম্তের জন্য যতবার ডাকবে, আমি আসব৷‌ সি জি ও কমপ্লেক্সে কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, চিটফান্ড ইস্যুতে দল অত সাংবাদিক বৈঠক না করে, এই ঘটনায় নিজেদের অবস্হান স্পষ্ট করুক৷‌ দলে অভ্যম্তরীণ তদম্ত হোক৷‌ নিজের দলে তদম্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করুক৷‌ না হলে দলের কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে৷‌ তাঁরা মানুষের কাছে কিছু লুকোচ্ছেন, এই বার্তা যাচ্ছে৷‌ সোমবার আসিফ খানের থেকে সি বি আই সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি জেনে নেয়৷‌ বুধবার ডাকা হয়েছে আহমেদ হাসান ইমরানকেও৷‌ বাদল ভট্টাচার্য এবং প্রশাম্ত প্রামাণিক, দু'জনেই দুই প্রভাবশালীর খুব কাছের৷‌ তাই তাঁরা সারদা গোষ্ঠীর সম্পর্কে কিছু জানেন কি না, তা জানতে চায় সি বি আই৷‌ সুদীপ্ত ও দেবযানীর ফের জেল হেফাজত হয়েছে৷‌ এদিকে, ই ডি সেপ্টেম্বরের শেষেই চার্জশিট দিতে চলেছে বলে খবর৷‌ যদিও, বহু টাকা কোথায় গেল, সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট তথ্য হাতে নেই৷‌ প্রথম পর্বে ৩৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি নথিভুক্ত করেছিল৷‌ পরবর্তী সময়ে আরও ১৫০ কোটির সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর৷‌ যদিও সে সমস্ত সম্পত্তির সত্যাসত্য যাচাইয়ের কাজ চলছে৷‌ অবশ্য টাকার অনেক অঙ্কই মেলেনি৷‌ তবে তদম্ত-প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গেছে৷‌


সি পি এম-এর আত্মসমালোচনা
প্রচেত গুপ্ত
যুবরা পার্টির 'ভলান্টিয়ার বাহিনী', ছাত্রদের বানানো হয়েছে 'তল্পিবাহক'৷‌ এর ফলে দলের যুবফ্রন্ট এবং ছাত্রফ্রন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷‌ যুবরা হচ্ছেন বিভ্রাম্ত, ছাত্ররা হারাচ্ছে উৎসাহ৷‌ এই অবস্হা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷‌ দলের গণফ্রন্টের কড়া আত্মসমালোচনা করে সি পি এম এই মত প্রকাশ করেছে৷‌ দলের পক্ষ থেকে এই মত বিভিন্ন ফ্রন্ট নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷‌ সতর্ক করা হয়েছে পার্টি সদস্য, নেতাদের৷‌ সম্প্রতি দলের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন গণফ্রন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷‌ চুলচেরা বিচার করা হয়েছে তাদের কাজ নিয়ে, আলোচনা হয়েছে সমস্যা, দুর্বলতা নিয়ে৷‌ আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে গাইডলাইন৷‌ ছাত্রফ্রন্ট সম্পর্কে দলের মনোভাব অত্যম্ত কড়া৷‌ ছাত্র-ছাত্রীদের কেরিয়ার সর্বস্বতা, চাওয়া-পাওয়ার ঝোঁক, অভিভাবকদের চাপ, প্রাইভেটে পড়ার জন্য কলেজে কম উপস্হিতি সংগঠনের ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে বলে নেতারা মনে করছেন৷‌ সভায় উপস্হিতি কমছে৷‌ সদস্য সংগ্রহে দেখা দিচ্ছে ঘাটতি৷‌ নেতারা মনে করছেন দোষ আছে পার্টিরও৷‌ রাজনৈতিক-সাংগঠনিক পরিচর্চার অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পার্টিতে আনার কাজ উপেক্ষিত থেকে গেছে৷‌ যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল তারা নজরদারি করেননি৷‌ আবার কিছু জায়গায় নজরদারির নামে এক কথায় 'অত্যাচার' হয়েছে৷‌ ছাত্রফ্রন্টের নিচুতলায় কর্মীদের স্বাধীন ভাবে কাজ করতে না দিয়ে তাদের 'তল্পিবাহক' বানানোর চেষ্টা হয়েছে৷‌ পার্টি ও ছাত্রফ্রন্ট এর ফলে দুর্বল হয়েছে৷‌ নেতারা জানিয়েছেন এই প্রবণতা এখনও চলছে৷‌ ছাত্র-ছাত্রীরা উৎসাহ হারিয়েছে ও হারাচ্ছে৷‌ লোকসভা নির্বাচনের পরে খুব স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে ছাত্রফ্রন্টের সদস্যরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন৷‌ এই অবস্হায় জরুরি ভিত্তিতে কতগুলি কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজন আছে৷‌ নেতাদের নির্দেশ ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র সংগঠক, কর্মীদের সহায়তা করবার জন্য সর্বস্তরের পার্টি কর্মীদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে৷‌ অন্য দিকে যুবফ্রন্টের সমালোচনা করে নেতারা বলেছেন, কোনও রকম পরিবর্তন ছাড়াই নেতারা নিজেদের মতো সংগঠন পরিচালনা করছেন৷‌ লোকসভা নির্বাচনের পর সমস্যা আরও তীব্র হয়েছে৷‌ সম্মেলন ছাড়া যুবফ্রন্ট সম্পর্কে পার্টির আলাদা কোনও উৎসাহ নেই৷‌ কাজও এক৷‌ গণসংগঠনের থেকে পার্টির কাজ করতে সদস্যরা বেশি উৎসাহী৷‌ যুবফ্রন্ট অনেক সময় পার্টির 'ভলান্টিয়ার বাহিনী'-তে পরিণত হয়েছে৷‌ এতে বিভ্রাম্তি বাড়ছে৷‌ সর্বক্ষণের কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে৷‌ নেতারা বলেছেন, যুব এবং ছাত্রদের সামনে শাসকদলের 'সন্ত্রাস' মারাত্মক আকার নিয়েছে৷‌ ভয়, হুমকি, সন্ত্রাস, প্রলোভনের মাধ্যমে তাদের নতিস্বীকারে বাধ্য করাচ্ছে৷‌ সেই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বি জে পি-র প্রভাব পড়েছে৷‌ তারাও গণসংগঠন গড়ে তুলছে৷‌ নতুন বিপদ মাথা চাড়া দিয়েছে৷‌ এই অবস্হায় 'কর্তব্য' স্হির করে নিজেদের আন্দোলন, সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে বলে পার্টির নেতারা মত দিয়েছেন৷‌


তৃণমূলের দেউলিয়াপনা প্রকট হচ্ছে, বললেন রাহুল সিন্‌হা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা, ৫ই সেপ্টেম্বর—''সংবাদ মাধ্যমের ওপর নির্ভর করেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এখন সেই তিনিই উঠতে বসতে সংবাদ মাধ্যমকে গাল পাড়ছেন। এক সময় এই নেত্রীই কথায় কথায় রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সি বি আই তদন্ত চাইতেন, এখন সেই সি বি আই তাঁর চোখের বালিতে পরিণত হয়েছে। এটাই পরিহাস।'' শুক্রবার কলকাতায় বি জে পি-র কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্‌হা সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার আক্রমণাত্মক বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই কথা বলেন। সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যে সংবাদমাধ্যম তৃণমূল নেত্রীর নিত্যদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিল আজ কেন তারা হঠাৎ শত্রু হয়ে গেল ?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই রাহুল সিন্‌হা বলেন, এটাই হলো তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির দেউলিয়াপনা। যত দিন যাচ্ছে ততই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝছেন মানুষ তাঁকে এবং তাঁর দলকে প্রত্যাখ্যন করতে চাইছে। এই সত্যের একটা প্রতিফলন হবে সামনের দিনে বিধানসভার দুটি আসনের উপনির্বাচনে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট দক্ষিণ এবং কলকাতার চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচকেরা চাইছেন তাঁরা যাতে নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারেন—সেই পরিবেশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুট ও রাজ্যের শাসকদলের আস্ফালন ও গুন্ডামির ঘটনায় সন্নিগ্ধ নির্বাচকদের এই মনোভাবের কথা বি জে পি প্রতিনিধিদল গত বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে জানিয়ে এসেছে বলে জানান দলের রাজ্য সভাপতি।

তিনি এও জানান, গত সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় বি জে পি-র পূর্ব ঘোষিত মিছিলের কর্মসূচীকে বানচাল করতে পুলিস অনুমতি দিয়েও তা ফিরিয়ে নেয়। অথচ ঠিক পরের দিন তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রশাসন মিছিলের অনুমতি দেয়। জেলা পুলিস প্রশাসনের এই দ্বিচারিতা নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বি জে পি মামলা রুজু করেছে বলেও জানান রাহুল। জেলার পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট ও কোতোয়ালি থানার ও সি-র বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা।

রাহুল সিন্‌হা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, এই দল রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে নোংরামিতে ভরিয়ে দিয়েছে। 'ধর্ষণ'-এর মতো পৈশাচিকতাকে এই দল অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে জনমানসে ত্রাস তৈরি করে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস দল মনে করছে এইভাবে মানুষকে ত্রস্ত করে দলের প্রতি মানুষকে বশ্যতা মানাতে বাধ্য করবে। এই নারকীয়তা এদেশের রাজনীতিতে বিরল।

উল্লেখ্য, এদিন রাহুল সিন্‌হা সাংবাদিক বৈঠকের আগে নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক জীবন ও তাঁর প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা নিয়ে একটি বাংলা বই প্রকাশ করেন। 'স্বপ্নের ফেরিওয়ালা' নামে এই বইটির লেখক দুই সাংবাদিক সুজিত রায় ও রাজ মিত্র। প্রকাশক সংস্থা 'দে পাবলিকেশনস'। এরপরে রাহুল সিন্‌হা ৬ ও ৭ ই সেপ্টেম্বর কলকাতায় দলের রাজ্য কমিটির দুই দিনের অধিবেশনের কর্মসূচী জানান। জানান ৭ তারিখে বিকালে বৌবাজার এলাকায় চৌরঙ্গী বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে এক জনসভায় হাজির থাকবেন দলের সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ।

ভাবমূর্তি সঙ্কটে মমতা

কলকাতা প্রতিনিধি,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2014-09-07 13:38:52.0 BdST Updated: 2014-09-07 18:34:51.0 BdST
  • ২০১২ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমুল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মাঝখানে কুণাল ঘোষ। ছবি টেলিগ্রাফ।
  • ২০১২ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমুল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মাঝখানে কুণাল ঘোষ। ছবি টেলিগ্রাফ।
হাজার কোটি রূপির সারদা কেলেংকারি নিয়ে আদালতে নিজের দলের নেতা ও এক সময়ের ঘনিষ্টজন কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক বক্তব্যে সঙ্কটে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি।

Print Friendly and PDF






তৃণমূলের বরখাস্ত হওয়া সাংসদ কুণাল শনিবার কলকাতার সিবিআই আদালতে হাজিরা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, "সারদা মিডিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা যদি সবচেয়ে বেশি কেউ পেয়ে থাকেন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"
তার আগে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সরাসরিই দাবি তোলেন, তার আর সারদা প্রধান সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
২০১৩ সালের এপ্রিলে সারদা কেলেংকারির খবর প্রকাশ হওয়ার পর এই প্রথম সরাসরি মমতার দিকে আঙুল উঠল, যাকে 'সততার প্রতীক' হিসাবে দেখিয়ে আসছিল পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
মাত্র একদিন আগেই মমতা অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমগুলো তার এবং তার দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার শুরু করেছে। দলের ভেতর 'পচা আম' থাকলে তাদের বাদ দেয়া হবে বলেও অনুসারীদের শাসিয়ে দেন 'দিদি'।     
গত বছর বাংলা নববর্ষের দিন পশ্চিমবঙ্গের তারা নিউজ, তারা মিউজিক ও সাউথ এশিয়া টেলিভিশন বন্ধ হয়ে গেলে এর মালিক প্রতিষ্ঠান সারদা গ্রুপের কেলেংকারির খবর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে।
জানা যায়, এই গ্রুপের এমএলএম  কোম্পানি 'সারদা সম্পদ' অল্প সময়ে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে বেআইনিভাবে আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে।
এ নিয়ে শোরগোলের মধ্যে সারদা গ্রুপের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত সেন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে একটি চিঠি লিখে লাপাত্তা হয়ে যান, যে চিঠিতে তৃণমূলের সংসদ সদস্য কুণাল ঘোষ এবং সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক সঞ্জয় বসুর নাম আসে।
পরে তদন্তে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারদার আরেক সংস্থা সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস বাজার থেকে ১ হাজার ২৫৯ কোটিরও বেশি রুপি আমানত হিসাবে তোলে এবং পরে তা স্থানান্তর করা হয় গণমাধ্যম ব্যবসায়। আর ওই কাজে সাবেক সাংবাদিক কুণাল ছিলেন সুদীপ্তর অন্যতম সঙ্গী।
পরে ব্যাপক লোকসানের কথা বলে সারদা মিডিয়ার সবগুলো টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র বন্ধের ঘোষণা দেন সুদীপ্ত সেন।
শনিবার কলকাতার জনাকীর্ণ আদালতে দাঁড়িয়ে বিচারক অরবিন্দ মিশ্রর কাছে আত্মপক্ষ সমর্থণের সুযোগ চান কুণাল ঘোষ। সেই সুযোগ পেয়ে এক দমে প্রায় ১৫ মিনিট বলে যান তিনি।
এক সময় মমতার ডানহাত হিসাবে পরিচিত কুণাল বলেন, তিনি জামিন চান না। বরং মনে করেন, তার এবং সারদার সিইও সুদীপ্ত সেনের সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিৎ।
আর সুদীপ্ত নিজেকে সারদার 'বেতনভুক্ত কর্মচারী' উল্লেখ করে আদালতে বলেন, তহবিল স্থানান্তরের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে আদালতে কুণালের ওই বক্তব্য মমতাবিরোধীদের হাতে মোক্ষম অস্ত্র তুলে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর সৎ সাহস থাকলে তিনি কুণালের প্রস্তাবে রাজি হবেন। কিন্তু উনি সেই সাহস দেখাবেন কি?"
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি রাহুল সিংও কথা বলেছেন একই সুরে। তার ভাষায়, মুখ্যমন্ত্রীর এখন কুণালের 'চ্যালেঞ্জ' গ্রহণ করা উচিৎ।
রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "কুণাল ঘোষের প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি আসলেই পরিষ্কার। সিবিআইযের উচিৎ মুখ্যমন্ত্রীকে কুণাল আর সুদীপ্তর মুখোমুখি করা।"
সারদা কেলেংকারি নিয়ে 'যা যা জানেন' তা সিবিআইকে বলতে মমতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিপিএম নেতা মো. সালিম।
বিরোধীদের এই আক্রমণের মুখে নেত্রীর পক্ষে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতারাও।
দলের মহাসচিব ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, "কুণাল বুঝতে পেরেছেন যে শাস্তি হবেই। তাই খড়কুটোর মতো মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে বাঁচার চেষ্টা করছেন।"
আর নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "যে ওই কথা বলছে, সে নিজেই সারদা কেলেংকারির প্রধান আসামি। তার কথায় আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না।"




একবারও মনে হয়নি তক রক্ত,কত ঘাম,কাত হাসি কত কান্নার সঙ্গে জড়ানো মানুষের টাকা,আত্মসাতী আত্মঘাতী এই রাজনীতি মানুষের লাগে কোন কাজে?
নিজের আমলেই মমতাকে হাজতে যেতে হতে পারে- মন্তব্য বিরোধী দলনেতার।

" কেন এইভাবে কুনালের নাম টানা হচ্ছে ? সে ওখানে শুধু মিডিয়ার চাকরি করেছে । তাকে কট লক্ষ টাকা মাইনে দেওয়া হয়েছে তা তো মালিক ও কর্মীদের ভিতরের বিষয়। আমি যতদুর জেনেছি , তাকে চেক মারফৎ বেতন দেওয়া হত । তাই যদি হয় , তাহলে সেই বেতন যত লক্ষ টাকাই হোক - সেটা অবৈধ টাকা বলা যাবে না । কুনাল কে একা শিখণ্ডী খাড়া করে সরকারের নামে কুৎসা রটাচ্ছে কেউ কেউ । "

[ -- মমতা ব্যানার্জী -- ২০ মে , ২০১৩ ]
বাম নেতাদের দাবিঃ
সারদা নিয়ে বামফ্রণ্ট কিছু বলতে গেলেই নেমে এসেছে প্রচন্ড আক্রমণ। বিধানসভাও বাদ যায় নি। কিন্তু এখন সবাই বুঝতে পারছে সারদা কান্ডে তৃণমূলের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সবাই জড়িত। এবার দোষীদের কান ধরে টানা শুরু হোক, মাথা এমনিই চলে আসবে।




সারদা কেলেঙ্কারি: সিবিআইয়ের ফের জেরা আসিফ খানকে, তৃণমূল সাংসদ ইমরানকে তলব ইডি-র  

জমিতে পার্টি অফিস করতে বাধা, আইসিডিএস কর্মীর পরিবারকে মারধর করে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে  

পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ১ নম্বর ব্লকের বেনেচট্টা গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, আইসিডিএস কর্মী এবং তাঁর বাবাকে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। ...  আরও»

বন্ধ ডেল্টা জুট মিল, কর্মহীন ৩৫০০ কর্মী  

ভোট হলে হারার প্রবল সম্ভাবনা তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের৷ সেইজন্যই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে মিল বন্ধ করা হয়েছে, দাবি বিরোধী শ্রমিক ইউনিয়নগুলির৷ ...  আরও»




সবার শেষে আবার আনন্দবাজার
1

আজ থেকে আলু ব্যবসায় কর্মবিরতি, সঙ্কটের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদন

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

উর্দিতে নাচ, সিপি-কে ডাকার দাবি কমিটিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

২১শে-র স্থলে সভা নয়, কোর্টে যাবে সিপিএম

কলকাতা

ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূল সভা করতে পারবে, অথচ তাঁরা পারবেন না এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। তৃণমূল যেখানে প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ করে, সেই একই জায়গায় আগামী ৬ ডিসেম্বর সভার অনুমতি চেয়ে কয়েক দিন আগে পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএম নেতৃত্ব।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

থানার কাছেই দিন কাটালেন অধরা সুদীপ্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে এসপি-র কাছে নালিশ নির্যাতিতার বাবার

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

ব্লক বাছাই করার কাজ সারল রাজ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন ১২৪টি ব্লকে অংশগ্রহণভিত্তিক নিবিড় পরিকল্পনা রচনা পদ্ধতি (ইনটেনসিভ পার্টিসিপেটরি প্ল্যানিং এক্সারসাইজ) মেনে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হবে, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সে তালিকা তৈরি করে ফেলল রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর থেকে ব্লকগুলোতে প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্য পর্যায়ে আধিকারিক নির্বাচন করে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

আন্দোলনের হুমকি রেশন দোকানিদের

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারা ঘোষিত ভাবে রাজ্য সরকারেরই সমর্থক। কিন্তু এ বার সেই সরকারেরই বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলল রেশন দোকানের মালিকদের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত তিনটি সংগঠন। শুধু অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। সমস্যার সুরাহা না-হলে আন্দোলনে নামা এবং আইনি পথে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

সংঘর্ষ সেনা গড়ে পরিবর্তনের ডাক

রোশনী মুখোপাধ্যায়

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
5

ধাক্কা মেরে কুণালকে গাড়িতে তুলল ৩০ পুলিশের দল

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

সিঙ্গুর উপমা, সারদা-অস্ত্রে মমতাকে নিশানা অমিতের

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
6

অভিযুক্তের গুণ গাইলেন অনুব্রতও

নিজস্ব প্রতিবেদন

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

জেলে বসে কুণাল ঘোষের লেখা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের বৈঠক হয় কালিম্পংয়ের ডেলোতে হিল কাউন্সিল/জিটিএ বাংলোয়। ওখানেই মুখ্যমন্ত্রী থাকছিলেন। পরপর ২ দিন ২টি বৈঠক হয়। প্রথমটি রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে। দ্বিতীয়টি সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে। ২টি বৈঠকেই ছিলেন মমতা ব্যানার্জি/মুকুল রায়। গৌতম কুণ্ডুদের সঙ্গে বৈঠক কালিম্পং-এ কেন, আজও সেটা অজানা।

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

ইডি-তদন্তের শেষ পর্যায়েও অর্ধেক টাকার হদিস নেই

সুনন্দ ঘোষ

প্রায় অর্ধেকটাই নিরুদ্দেশ! সারদা-কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বুঝে উঠতে পারছে না, ১১০০ কোটি টাকা কী ভাবে খরচ হয়েছে। ঝাঁপ গুটানোর আগে পর্যন্ত সারদা বাজার থেকে অন্তত ২৪০০ কোটি টাকা তুলেছিল। দিন কয়েক আগে দিল্লি থেকে ইডি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের তদন্ত শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু ওই ১১০০ কোটির হিসেব এখনও অজানা।

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

সুদীপ্ত-মমতা গোপন কথার সাক্ষী সাংসদ

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
8

সেই বাড়িছাড়াই হল নিহত ছাত্রীর পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

জাল পাসপোর্টেই অভিবাসন পেরিয়ে বিমানের দরজায়

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামাকাপড় ময়লা। সঙ্গের কাপড়ের তৈরি হাতব্যাগও বেশ পুরনো। হাবভাব মোটেই বিজনেস শ্রেণির বিমানযাত্রীর মতো নয়। হাতে কিন্তু ৬০ হাজারেরও বেশি টাকার বিজনেস শ্রেণির টিকিট। অথচ কলকাতা থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য সাধারণ শ্রেণির টিকিট পাওয়া যায় ৩০ হাজার টাকাতেই। সাধারণত বিজনেস শ্রেণির যাত্রীদের 'প্রোফাইল' যেমনটা হয়, দুই যুবক যাত্রীর পোশাক, হাতের ব্যাগ আর হাবভাব তার সঙ্গে মিলছিল না।

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
10

আলুর ট্রাক আটকে মার ব্যবসায়ীকে, অভিযুক্ত পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

বিপাকে তৃণমূল, ফায়দার আশায় ফব আন্দোলনে

নিজস্ব সংবাদদাতা

সারদা-কাণ্ড থেকে শুরু করে একের পর ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ, নানা ঘটনায় শাসক দল এখন কিছুটা কোণঠাসা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে এ বার রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিল বাম শরিক ফব। ৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরেই যাচ্ছে তারা। ১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গের ৭টি জেলা জুড়ে অবস্থান, ধর্নার কর্মসূচি দিয়ে এই রাস্তায় নামা পর্বের সূচনা হচ্ছে।

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

নানা অভিযোগে জেরবার জেলে কর্মীরাও এ বার সিসিটিভি-র নজরবন্দি

অত্রি মিত্র

এত দিন বিভিন্ন জেলে সিসিটিভি নজরদারি চালাত বন্দিদের গতিবিধির উপরে। এ বার কারাকর্মীদের কাজকর্মের উপরে লক্ষ রাখতে তাঁদেরও সিসিটিভি-র আওতায় আনতে চলেছে কারা দফতর। এক শ্রেণির কারাকর্মীর বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ পেয়ে জেরবার কারা দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলের মধ্যে অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ নতুন নয়।

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
1

আদালতে বিস্ফোরক কুণাল

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
2

প্রভাবশালী-সারদা যোগ খুঁজতে তলব প্রশান্ত-বাদলকেও

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
3

শাসকের শাসনে গুটিয়ে পুলিশ, উদ্বেগে কর্তারা

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
4

বরাত মিলতেই বিক্ষোভ, বন্ধ টিটাগড় ওয়াগনস

নিজস্ব সংবাদদাতা

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e
5

আজাদ কাণ্ডে জড়াল অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের নাম

নিজস্ব প্রতিবেদন

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
e e e

No comments:

Post a Comment