Friday, August 30, 2013

আশ্বাস দিলেন না প্রাধানমন্ত্রীও

আশ্বাস দিলেন না প্রাধানমন্ত্রীও
আশ্বাস দিলেন না প্রাধানমন্ত্রীও
নয়াদিল্লি: কিছু দিন আগেই শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস, টাকার দামে পতন ও শেয়ার বাজারে ধস নামলেও এখনই ফিরছে না ১৯৯১ সালের আর্থিক সঙ্কট৷ বৃহস্পতিবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ে আবার মুখ খুললেন তিনি৷ তবে এ বার আশ্বাস নয়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যে সত্যিই কঠিন এবং তার জন্য অভ্যন্তরীণ বেশ কয়েকটি কারণই যে দায়ী, সে কথা স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনসিং৷ 



বৃহস্পতিবার লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামের পতনের বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী নেতা অরুণ জেটলি৷ তাঁর অভিযোগ, 'খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও তেলের দাম বাড়ারজোড়াফলায়দ্বিগুণহচ্ছেমূল্যবৃদ্ধিরচাপ৷এইপরিস্থিতিতেসরকারকীকরারপরিকল্পনাকরছে?' এরউত্তরেইমনমোহনেরবক্তব্য, 'দেশকঠিনঅর্থনৈতিকপরিস্থিতিরমধ্যেদিয়েযাচ্ছে, তাঅস্বীকারের উপায়নেই৷এরজন্য বেশ কিছুঅভ্যন্তরীণবিষয়ওদায়ী৷শক্তহাতেএইপরিস্থিতিরমোকাবিলাকরা প্রয়োজন৷' তবে এরপাশাপাশিমূল্যবৃদ্ধিতেবৈদেশিকপ্রভাবেরকথাওঅস্বীকারকরেননি তিনি৷ 



বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ ও সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবও এ দিন অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে৷ বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা অবশ্য এ ব্যাপারে দায়ী করেছেনভারতীয়বিচারব্যবস্থাকে৷তাঁরকথায়, 'কেন্দ্র একা এইপরিস্থিতিরজন্যদায়ী নয়৷ভোডাফোনেরসঙ্গেকরচুক্তি, কয়লা ও আকরিকলোহা খনন নিয়েসুপ্রিমকোর্ট এমন কিছু রায় দিয়েছে, যাতে সরকারকে বেশকিছুআর্থিকক্ষতিরসম্মুখীন হতে হয়েছে৷' 

অন্য দিকে, টাকার দামে পতনে শঙ্কিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার চুপ কেন? ব্যক্তিকে খুশি করতে গিয়েই কেন্দ্র দেশকে বিপাকে ফেলেছে৷ দেশকে বিক্রির চক্রান্ত চলছে৷এইকারণেইএক বছর আগে ইউপিএসরকারছেড়ে ছিল তৃণমূলকংগ্রেস৷

No comments:

Post a Comment