দরিয়ায় ভেসে গেল নিস্পাপ শিশুরা!!!
ভেসে গেল,ভেসে যায় প্রেম!!!
আহা কি আনন্দ!!!
আবার সেই দন্ডকারণ্যে শরণার্থী আন্দোলন!!!
আমাগো কোনো দ্যাশ নাই,মোরা শরণার্থী,মোদের মাতৃভাষা নেই,ইতিহাস নাই!!!
তবু ত রয়ে গেছে আরও কোটি কোটি বেনাগরিক বাচাল!!!
আসছে আবার দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে ফ্যালানি হইল ,লজ্জা হইল না , তবু ফিরে আসে হিন্দুত্বের দোহাই দিয়ে,উত্পীড়নের কারসাজিতে,রাজনীতির প্রয়োজনে!!!
পলাশ বিশ্বাস
"আমার হাত পিছলে পড়ে যায় আইলান," বাবার কান্না
সৌজন্যেঃ 24 ঘন্টা
আহা কি আনন্দ!!!
আমাগো কোনো দ্যাশ নাই,মোরা শরণার্থী,মোদের মাতৃভাষা নেই,ইতিহাস নাইআমাগো কোনো দ্যাশ নাই,মোরা শরণার্থী!!!
দরিয়ায় ভেসে গেল নিস্পাপ শিশুরা!!!
ভেসে গেল,ভেসে যায় প্রেম!!!
আহা কি আনন্দ!!!
একদিন বাংলা থেকে নির্বাসিত হয়েছিল কোটি বাহালি ভিটেছাড়া, ছন্নছাডা়,পাহাড়ে জহঙগ্লে,মরুভূমিতে দ্বাপান্তরে তাঁদের নির্বাসন!!!
ফিরে এসেছিল মরিচঝাঁপিতে যারা,আগুনে দগ্ধ হয়েছিল যারা,সুন্দরবনে জলে ডুবে যাদির শিশুরা মরেছিল,নারীরা ধর্ষিতা হয়েছিল,তারা সব,
সব ব্যাটা বাঙালের পো!!!
আজও বিচার হয়নি সেই নির্লজ্জ গণসংহারের!!!
কলিজাতে শরণার্থীর বুকে বুকে আলোর মালা হয়েছিল বুলেটের গুলিতে রক্তধারা!!!
শরণার্থীদের আলো দিতে নন্দিনী কোথাও দাঁড়ায না!!!
রক্তধারা বহিয়া যায়,মুক্তধারা বহে না,নদীরা কান্না হইয়া বহিয়া যায়!!!
তবু ত রয়ে গেছে আরও কোটি কোটি বেনাগরিক বাচাল!!!
আসছে আবার দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে ফ্যালানি হইল ,লজ্জা হইল না , তবু ফিরে আসে হিন্দুত্বের দোহাই দিয়ে,উত্পীড়নের কারসাজিতে,রাজনীতির প্রয়োজনে!!!
আবার সেই দন্ডকারণ্যে শরণার্থী আন্দোলন!!!
নাগরিকত্ব চাই!!!
সংরক্ষণ চাই!!!
মাতৃভাষার অধিকার চাই!!!
খাট ভাঙ্গা মীডিয়ায় ঔ বাঙালপোদের তবু কোনো খবর হয় না!!!
মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্তীদের জন্যতবু দরদ উথাল পাথাল!!!
যদিও শাশ্বত সত্য অকৃত্তিমঃআমাগো কোনো দ্যাশ নাই,মোরা শরণার্থী,মোদের মাতৃভাষা নেই,ইতিহাস নাইআমাগো কোনো দ্যাশ নাই,মোরা শরণার্থী!!!
আহা কি আনন্দ! প্রথম ৩০ মিনিটের মধ্যে ৫ হাজার ডলার জমা পড়ে ফান্ডে। পরবর্তী ১৬ ঘণ্টার মধ্যে ৪৫ হাজার ডলার জোগাড় হয়ে যায়! শরণার্থী বাবা, ঘুমন্ত মেয়ে আর কয়েকটি কলম : এক ছবিতে টুইটারে 'বিস্ফোরণ'. আবদুল নামের ওই প্যালেস্টানিয়ানসিরিয়ান শরণার্থী বর্তমানে ইয়ারমোক রিফিউজি ক্যাম্পে রয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন ৪ বছরের মেয়ে রিম।
আহা কি আনন্দ!খবরের কাগজ যখন রগরগে নারী দেহের কোলাজ,শয্যা সঙ্গিনীর ছবি যখন সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞাপন,এখবরে বিটলিত হওয়া মানে নেই কোনো কি বিবিসির বিশ্লেষণে উঠে শরণার্থী দুর্ভোগের কিছু চিত্র। জর্ডানে সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরের অনেক নারীই কার্যত বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন।
সীমান্তর এপারে ওপারে রমরমে কুটির শিল্পের নাম নারী ও শিশু পাচার।
তাদের শরণার্থী তকমাও জোটেনা।
ডলার আসে না ভারতবর্ষে শরণার্থীদের নামে যেহেতু ভারত আন্তর্জাতিক শরনার্থী চুক্তিতে আদৌ দস্তখত করে নি কোনোদিন।
সারা বিশ্বে ক্ষমতা দখলের হুড়োহুড়ুতে যদিও ইতিহাসে জনসংখ্যা বেনজির স্থানান্তরণে রক্তাক্ত সীমানার এপার ওপার।পূর্ব পশ্চিমে,উত্তরে দক্ষিনে সর্বত্রই কাঁটাতারে শুধু টাঙানো প্যালানির শবদেহ।
বিচলিত হওয়ার কথা নয় আদৌ যদিও বাবা-মা নিজ হাতে চুক্তিনামায় সই করে কিশোরী মেয়েদের তুলে দিচ্ছেন সৌদি ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা কনট্রাক্ট ম্যারিজ করে ৬ মাস থেকে ১ বছরের জন্য এসব মেয়েদের ব্যবহার করে শিবিরে আবার ফেরত পাঠাচ্ছেন।
নেপালে ভূমিকম্প পশ্চিম বাংলায় উত্সবের কাঠামো,নিদর্শন।
মনুষত্বের বিপর্যয়ে আহা কি আনন্দ।
প্রকৃতির ভয়াল প্রতিশোধে বিপর্যয় সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে,গঙ্গার ভাঙ্গণে ভেসে যায় দিনকাল,ছিটমহলের স্বাধীনতায় আহা কি আনন্দ।
24 ঘন্টার খবরঃ
আয়লান একা নয়, রোজ মরছে শয়ে শয়ে সিরিয়ান শিশু
(প্রিয়.কম) ডুবে যাওয়ার আগে বাবাকে সতর্ক করেছিল তিন বছর বয়সী সিরীয় শরণার্থী আয়লান। বলেছিল ''বাবা, মরে যেও না।'' চিরতরে চলে যাওয়ার আগে এই ছিল আয়লানের শেষ কথা। আয়লানের এক ফুপু, কানাডার টরন্টোর বাসিন্দা ফাতিমা কুর্দির বরাতে আয়লানের শেষ আকুতির খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন। গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা থেকে বের হয়ে সম্প্রতি পরিবারের সঙ্গে সাগরপথে গ্রিসে পালাবার সময় নৌকাডুবিতে মৃত্যু হয় আয়লানের। তুরস্ক উপকূলে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা তিন বছর বয়সী শিশু আয়লানের মরদেহের ছবি প্রকাশের পর তা নাড়া দিয়ে যায় বিশ্ব বিবেককে। প্রশ্ন ওঠে ইউরোপের দেশগুলোর মানবতাবোধ নিয়ে।
আয়লানের ফুপু ফাতিমা জানান, সামনে যখন একটার পর একটা বিশাল ঢেউ আসছিল আর তারই মধ্যে ভিড়ে ঠাসা শরণার্থী বোঝাই নৌকায় কোনরকমে বাবার হাত ধরে গুটিসুটি মেরে দাঁড়িয়েছিল একরত্তি আয়লান। দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে ঢেউয়ের দাপট থেকে রক্ষা করতে গিয়ে যখন নিজেই ডুবতে বসেছিলেন আবদুল্লা কুর্দি, তখন বাবাকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠেছিল ছোট্ট আয়লান, ''বাবা, মরে যেও না।''
আয়লানের এক ফুপু, কানাডার টরন্টোর বাসিন্দা ফাতিমা কুর্দি এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চিরতরে চলে যাওয়ার আগে এই ছিল আয়লানের শেষ কথা। কান্না ভেজা গলায় ফাতিমা বলেছেন, ''এক দিকে দুই ছেলে ও স্ত্রী। আর অন্য দিকে, নিজেকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা। এই দুইয়ের মধ্যে প়ড়ে যখন হাঁসফাঁস করছিল আবদুল্লা, সে সময়ই আয়লান বাবাকে বাঁচানোর জন্য চেঁচিয়ে ওঠে।''
ফাতিমা জানান ঘটনার সময় আবদুল্লার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। তখনই আবদুল্লা বোনকে জানিয়েছেন, আয়লান ও গালিপের হাত ধরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। যখন উথালপাথাল ঢেউয়ের থেকে বাচ্চাদের আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই বুঝতে পারেন যে বড় ছেলে গালিপ আর নেই। ছোট ছেলের দিকে তাকিয়ে দেখতে পান, আয়লানের চোখ থেকে রক্ত ঝরছে। ওই দৃশ্য দেখে চোখ বুজে ফেলেন আবদুল্লা। অন্য দিকে তাকিয়ে দেখতে পান, জলের মধ্যে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন স্ত্রী। আবদুল্লার কথায়, ''সর্বশক্তি দিয়ে আমি ওঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি।''
ফাতিমা জানিয়েছেন, গ্রিস পর্যন্ত আসার খরচ আবদুল্লাকে দিয়েছিলেন তিনি। ফতিমার আক্ষেপ, ''আমি যদি ওঁদের ওই সাহায্য না পাঠাতাম, তা হলে হয় তো এই দুর্ঘটনা ঘটত না।''
আবদুল্লার আর এক বোন টিমা কুর্দি, যিনি আবদুল্লাদের জন্য কানাডায় থাকার বন্দোবস্ত করেছিলেন, তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বাড়িতে বসে জানিয়েছেন, ভাইকে আর কোবানে থাকতে দেবেন না তিনি। তাঁকে কানাডায় নিজের কাছে নিয়ে আসবেন। তবে এই মুহূর্তে কোবান ছাড়তে রাজি নন আবদুল্লা। স্ত্রী ও দুই ছেলের স্মৃতি সম্বল করেই বাকি জীবনটা কোবানেই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।
http://www.epaper.eisamay.com/
No comments:
Post a Comment