হরিলুট: দায় কার?
-শুভ কিবরিয়া
বাংলাদেশের রাজনীতি সমঝোতার চেহারা পায়নি। নির্বাচন কেমন করে হবে, কোন উপায়ে নির্বাচন হলে সবাই তাকে গ্রহণযোগ্য বলবে, সেই বিতর্ক এখনো চলমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এই বিতর্কের মধ্যেই নানা রকম রাজনৈতিক সংকটকে মোকাবিলা করে, শক্ত হাতে বিরোধীদের দমন করে ক্ষমতায় টিকে আছে দোর্দণ্ড প্রতাপেই। রাজনীতি সমঝোতার চেহারা পায়নি বটে, কিন্তু অর্থনৈতিক দুর্নীতিতে একটা অলিখিত সমঝোতা
দৃশ্যমান। বিশেষত বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে আর্থিক খাতে বড় বড় দুর্নীতি ও অনাচার, একধরনের সমঝোতার মধ্য দিয়েই দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। এসব দুর্নীতির বড় হোতা বলে যারা চিহ্নিত, জনভাবনায় যারা এসব অপকর্মের নায়ক বলে বিবেচিতÑ তারা সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। তাদের খুঁটির জোর এতটাই প্রবল যে, আইনি বাধা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়াল কিংবা আদালতের সামর্থ্য কোনোটাই তাদের আটকাতে পারছে না। রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে যাচ্ছেন।
সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে নাম শোনা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর একজন অর্থ উপদেষ্টার। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে চুনোপুঁটিরা আদালতে গেছেন বটে কিন্তু সেই অর্থ উপদেষ্টার টিকিটি ছোঁয়া যায়নি। রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদেরও দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে এই অপরাধের সম্পৃক্ততা থেকে।বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে ভয়াবহ শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির উপর্যুপরি ঘটনা ঘটেছে কিন্তু এর গডফাদাররা অধরাই থেকে গেছেন। সম্প্রতি হৈ চৈ হচ্ছে বেসিক ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে। বেসিক ব্যাংকে অনিয়ম, লুটতরাজ, দুর্নীতি হয়েছে ধীরে ধীরে সবাইকে জানিয়ে। বহুদিন ধরে মানুষ জেনেছে সরকারি মালিকানাধীন এই ব্যাংকে কোনো নিয়ম মানা হয় না। এখানে কোনো আইন চলে না। আইন হচ্ছে, ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের নির্দেশনা। এখানে লোক নিয়োগ দেয়া হয় কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া। পদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ছাড়াই সাবেক চেয়ারম্যানের ইচ্ছেতেই লোক নিয়োগ পায় এই ব্যাংকে। এসব ঘটনা দিনের পর দিন মিডিয়ার উচ্চারণে, জনতার চোখের সামনে ঘটে গেছে। কিন্তু বাগেরহাট থেকে আসা সরকার মনোনীত এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর টিকিটি ছোঁয়া যায়নি।
বরং একটা মিথ চালু হয়েছে, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু উপরমহলের সুদৃষ্টি পাওয়া লোক। কেউ তার কিছু করতে পারবে না। তিনি খোদ প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কাউকে মানেন না। এমনকি সংসদে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, 'ব্যাংকটিতে হরিলুট হয়েছে। এর পেছনে ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু।' অবশ্য অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত ৮ জুলাই ২০১৫ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হুঙ্কার ছেড়েছেন, 'যতই শক্তিশালী হোক না কেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
অর্থমন্ত্রীর এই রণহুঙ্কার বাস্তবের জমিনে কোনো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ব্যাংকটির সমস্ত অপকর্মের মহানায়ক শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে খোদ দুদক থেকেই দায়মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়Ñ এসব ব্যাংকিং অপরাধের কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। বরং এসব অপরাধ বিবেচনার ভার দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর। সেখান থেকে বরাবরের মতো রাজনৈতিক ক্ষমতাশালীরা যেভাবে পার পায়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চু সেভাবেই পার পেয়ে যাচ্ছেন।
দুই.
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ২০০৯ সালে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পান। ২০১২ সালে তার নিয়োগ আরও ২ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। তার মেয়াদকালে ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য দুরবস্থা যা ঘটেছে-
এক. ২০০৮ সালে বেসিক ব্যাংকে ঋণখেলাপি ছিল শতকরা ৫ ভাগের কম। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৭% এর মতো।
দুই. বেসিক ব্যাংকে চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু একক সিদ্ধান্তে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন।
তিন. কোনো বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে, নিয়োগ নীতিমালার কোনো শর্ত প্রতিপালন না করেই সাবেক চেয়ারম্যান ৭৩১ জন কর্মকর্তাকে ব্যাংকে নিয়োগ দেন। এর মধ্যে ২৪২ জন তার নিজ জেলা বাগেরহাটের বাসিন্দা।
৭৩১ জন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যে ৩৩% তার নিজ জেলা বাগেরহাটের। বাকি ৬৭% বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই নিয়োগপ্রাপ্তরা কিসের বিনিময়ে নিয়োগ পেলেন?
এখানে কোনো আর্থিক লেনদেন কি হয়েছে?
এই নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কতজন খোদ চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক? কতজন সরকারের মন্ত্রী, আমলা, ব্যাংকিং বিভাগের ক্ষমতাশালীদের লোক?
বেসিক ব্যাংক এখন বলছে, তার মোট ২২৪৯ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৭০০ জন অর্থাৎ প্রায় ৩১% অযোগ্য। যাদের কোনো কাজ নেই, কিন্তু বেতন দিতে হচ্ছে।
চার. বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ২০০৯ সালে নিয়োগ পান এবং ৬ জুলাই ২০১৪, পদত্যাগ করেন।
একই সময়ে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ১ মে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন ড. আতিউর রহমান। তার গভর্নরকালীন মেয়াদেই ঘটে ব্যাংকিং জগতের এই সীমাহীন দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা।
অথচ এই ব্যাংক হরিলুটের ঘটনায় কোনো দৃশ্যমান, কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব ব্যাংক জালিয়াতি যখন ঘটছে, ব্যাংক লুটেরারা যখন দায়মুক্তি পাচ্ছে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিডিয়ায় সগর্বে উচ্চারণ করছেন, 'ব্যাংক জালিয়াতির সব দরজা এখন বন্ধ', 'অনিয়ম করলে ব্যাংককে ছাড় নয়', 'কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ফাঁকি দিয়ে অনিয়ম সম্ভব নয়'Ñ ইত্যাদি।
ব্যাংকিং জগতে, আর্থিক জগতে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি, ডেসটিনির লুট ঘটলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো শক্ত, দৃঢ়, মেরুদণ্ডময় অবস্থান জনসম্মুখে দৃশ্যমান হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নীতিবাগীশ, বক্তৃতাবাজি চলেছে বটে কিন্তু মানুষ ব্যাংকে লুটতরাজকারীদের বিরুদ্ধে তার কোনো শক্ত, দৃঢ়, নৈতিক ও বাস্তবিক অবস্থান দেখতে পায়নি।
তিন.
একটি দেশের আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে এ নৈরাজ্যের কারণ কি? কেন এসব অপরাধী বিচার ছাড়াই পার পেয়ে যান? এর কতগুলো বড় কারণ আছেÑ
এক. আর্থিক খাতের এসব দুর্বৃত্তপনা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায়। এই দুর্বৃত্তরা সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালীদের খুব কাছের লোক বলে দায়িত্বশালীরা এদের টিকিটি ছোঁবার সুযোগ পায় না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দুর্নীতি বিষয়ে দু-মুখো নীতি বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ।
দুই. মনিটরিং অথরিটি যারা থাকেন, একটা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক যে সক্ষমতা থাকে, যা দিয়ে আর্থিক খাতের সকল দুর্নীতি চ্যালেঞ্জ করা যায়Ñ যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এমন সব মেরুদণ্ডহীন, নীতিবাগীশ, বাকসর্বস্ব মানুষের হাতে দেয়া হয়Ñ যারা নিজের চেয়ার টিকিয়ে রাখার খাতিরে অপরাধীদের কাছে নতজানু হতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তিন. দুর্বৃত্তপনার একটা নিজস্ব গ্রামার থাকে। দুর্বৃত্তরা যে অনৈতিকতায় লিপ্ত থাকেন তার একটা অংশ রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক বলবান অংশের মধ্যে বিলিয়ে থাকেন। ফলে অনৈতিকতার একটা সবল প্রাতিষ্ঠানিক সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের আর্থিক খাতের এসব দুর্বৃত্তপনা প্রাতিষ্ঠানিক সিন্ডিকেটকে নানান সুবিধা দিয়ে নিজেদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখেছে।
চার.
বাংলাদেশের বর্তমান শাসকশ্রেণি তাদের শাসনভঙ্গিতে প্রায়শই সিঙ্গাপুরকে উদাহরণ টানেন। সিঙ্গাপুরের শাসক লি কুয়ান ইউ, একদলীয়-স্বৈরশাসন চালালেও সিঙ্গাপুরের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি করেন। সিঙ্গাপুরের এই শাসন পদ্ধতি নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও সিঙ্গাপুরে দুর্নীতিকে যে এক নম্বর শত্রু হিসেবে ঠাওরানো হয়েছিল এবং সর্বজনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে নজির সিঙ্গাপুর আজও রেখেছে তা নজিরবিহীন। আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইউ তার আত্মস্মৃতিতে এই পথযাত্রার কথা লিখেছেন বিস্তারিতভাবে। তার আত্মস্মৃতি 'ফ্রম থার্ড ওয়ার্ল্ড টু ফার্স্ট : দ্য সিঙ্গাপুর স্টোরি : ১৯৫৬-২০০০' বইতে একটি অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন 'কিপিং দ্য গভর্নমেন্ট ক্লিন'। এ অধ্যায়ে তিনি লিখেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার আপসহীন লড়াইয়ের কথা।
বড় দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারলে, তাদের প্রতি ক্ষমাহীন হলে ছোট দুর্নীতি জায়গা পাবে না এই ছিল তার নীতি। এ জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন করাপ্ট প্রাকটিসেস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (সিপিআইবি) নামের দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতি দমন আইনকে শক্তিশালী করেন। স্বাধীন সিপিআইবি কতটা ক্ষমতাশালী ছিল তার এক কাহিনি বলেছেন তিনি এ অধ্যায়ে। তার মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন তে চেং ওয়ান (ঞবয ঈযবধহম ডধহ)। তিনি ছিলেন জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মন্ত্রী। ১৯৮৬ সালে তার বিরুদ্ধে এক দুর্নীতির অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে একটি বেসরকারি ডেভেলপারকে বিশেষ সুবিধা দিতে তিনি ৪ লাখ সিঙ্গাপুর ডলার ঘুষ নেন। মন্ত্রী তে চেং ওয়ান এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান সিপিআইবির সিনিয়র একজন কর্মকর্তাকে তার কাজে বাধা দেন। মন্ত্রিসভার কেবিনেট সচিব লি কুয়ান ইউকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, অভিযুক্ত তে চেং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। লি কুয়ান ইউ তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন, দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অভিযুক্ত মন্ত্রীকে সাক্ষাৎ দেবেন না।
দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠানের তদন্ত চলতে থাকে। সপ্তাহখানেক পরে খবর আসে, মন্ত্রী তে চেং আত্মহত্যা করেছেন। তার সুইসাইডাল নোট পাওয়া যায়। যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে লেখেন, 'আমি গত দু' সপ্তাহ ধরে খুব বিষণœ বোধ করছিলাম। এ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দায় আমি স্বীকার করছি। এর সম্পূর্ণ দায়ভার মাথা পেতে নিচ্ছি। প্রাচ্যদেশীয় একজন ভদ্রলোক হিসেবে আমি মনে করেছি আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার এটাই সর্বোৎকৃষ্ট পথ।'
এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মৃত মন্ত্রীর বাড়িতে যান। মৃত মন্ত্রীর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার স্বামী সারাজীবন দেশের জন্য কাজ করেছেন। তাই তার প্রাপ্য তার পাওয়া উচিত। এ কথা বলে তিনি দাবি করেন, তার স্বামীকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সৎকার করা হোক। ময়নাতদন্ত হলে সবাই জানবে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। সেটা তার ও তার পরিবারের জন্য সম্মানজনক নয়। এ কথা বলে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে একজন ডাক্তার তার স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এরকম সার্টিফিকেট দিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী, তার প্রয়াত সহকর্মীর জন্য এটুকু অন্তত করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী এতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ঘুমের ওষুধ খেয়ে মন্ত্রী তে চেং আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে পরবর্তীতে সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা হয়। একটি তদন্ত দাবি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মত হন। পুরো বিষয়টির নেতিবাচক প্রচারণা মৃত মন্ত্রীর পরিবারের জন্য বেদনাদায়ক হয়ে উঠলে তার পরিবার চিরতরে সিঙ্গাপুর ত্যাগ করে।
এ ঘটনার বয়ান দিয়ে লি কুয়ান ইউ লিখছেন, আমরা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছি যেখানে জনমত সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিকে সমাজের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে গণ্য করে। যার ফলে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মন্ত্রী তে চেং ওয়ান অসম্মান ও সামাজিক ঘৃণার চাইতে মৃত্যুকেই শ্রেয় জ্ঞান করতে বাধ্য হয়েছেন।
পাঁচ.
এতিমখানার টাকা মেরে খাওয়ার অভিযোগে রাজনৈতিক দলের নেত্রী বেগম জিয়ার আদালতে বিচার হচ্ছে। ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে কথিত হুমকি দেয়ার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাদণ্ডিত হচ্ছেন।
অথচ এই হলমার্ক, ডেসটিনি, বেসিক ব্যাংক লুটেরারা, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির হোতারা, পৃষ্ঠপোষকরা অধরাই থেকে যাবেন?
এই অনাচার কি প্রকৃতি সইবে?
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment