Thursday, January 3, 2013

হরিপুরে পরমানু বিদ্যুকেন্দ্র তাহলে হচ্ছেই।এফডিআই জেহাদের পরিণতি দেখার পর এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। পলাশ বিশ্বাস http://basantipurtimes.blogspot.in/

হরিপুরে পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র তাহলে হচ্ছেই।এফডিআই জেহাদের পরিণতি দেখার পর এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই।


পলাশ বিশ্বাস


http://basantipurtimes.blogspot.in/




হরিপুরে পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র তাহলে হচ্ছেই।এফডিআই জেহাদের পরিণতি দেখার পর এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই।


বর্তমান সময়ের আলোচিত একটি শক্তি হচ্ছে নিউক্লিয়ার এনার্জি বা পরমানু শক্তি। প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্যান্য শক্তির উৎসগুলো থেকে নিউক্লিয়ার এনার্জি কিছুটা আলাদা। কারণ এই শক্তি আসে পদার্থের একেবারে কেন্দ্রস্থল নিউক্লিয়াস থেকে। নিউক্লিয়াস থেকে পাওয়া যায় বলে এই শক্তির নাম নিউক্লিয়ার এনার্জি।


 সংখ্যালঘু করপোরেট সরকার একের পর এক গণসংহার আইন ও নীতি কার্যকর করে চলেছে সংবিধানকে জলান্জলি দিয়ে সর্বদলীয় সহমতিতে।গণআন্দোলন ধর্ষণবিরোধী বিশ্বায়িত নবধনাঢ্য মধ্যমসশ্রেণীর ভারতীয় মোমবাতি বসন্তেই সীমাবদ্ধ এবং এই আন্দোলনকারিরাই আবার ভোগ সংস্কৃতির ধারক বাহক, একই সঙ্গে তাঁরা আবার অবাধ পুঁজি প্রবাহ ও মুক্ত বাজারের সবচেয়ে বড় সমর্থক, সংরক্ষণবিরোধী একাধারে, অন্যদিকে অছুত আম্বেডকর প্রণীত সংবিধানের বদলে মনুস্মৃতি ও শাস্ত্রসম্মত সংবিধানের পক্ষে এই বিশ্বায়িত জনগণ।তাঁদের আন্দোলন সংরক্ষণ বিল আটকে দেয়।ক্ষমতা ও পুঁজির ধর্ষণ সংস্কৃতি অব্যাহত রেখে মধ্যযুগীয় মৃত্যুদন্ড বিধানই নয়, বর্বর রাসায়নিক নপুংসকীকরণের পক্ষে গোটা রাজনীতিকে একমত করে।কিন্তু নক্সাল ব্রান্ডেড সোনী সোরীর সরকারী তত্বাবধানে চরম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাঁরা নীরব। নীরব কাশ্মীর ও মণিপুরের নির্যাতিতাদের প্রসঙ্গেও। ছত্তীসগড়ে সলওয়া জুড়ুম ও গুজরাতের গণসংহারে তাঁদের কিছু যায় আসে না। সশস্ত্র সৈন্যবল বিশেষাধিকার আইন, ইরোম শর্মিলার বারো বছরের আমরণ অনশন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনদ্বারা উপজাতিতদের ও তফসিলী উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব থেকে বন্চনা, জল জঙ্গল জমি জীবিকা থেকে বেদখলী, চাষিদের গণ আত্মহত্যা, বেসরকারিকরণ, করপরেট স্বার্থে করারোপণ, দেশীয় সম্পত্তি মাল্টি ন্যাশন্যাল কম্পানিগুলিকে উপহার, কুড়নকুলম আন্দোলন, জল সত্যগ্রহ, কোনও কিছু নিয়ে তাঁদের যায় আসে না।উত্পাদনপ্রণালী ও কৃষি ধ্বংসে সার্ভিস সেক্টরের, শেয়ার বাজারের জয়জয়কারেই এই শ্রেণীর জন্ম। এদেরই প্রতিভু বাঙ্গালি অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায়, কৌশিক বসু সহ দেশের সমস্ত অর্থনীতিবিদের চোখে নরেন্দ্র মোদীর পথই উন্নয়নের একমাত্র পথ।ভারত আমেরিকা পরমাণু সন্ধির ইতিহাস আমরা জানি। ভারতবর্ষীয় বর্ণহিন্দু বামপন্থীরা একনাগাড়ে চার বছর ইঊপিএ সরকারের যাবতীয় সংস্কার কর্মসুচিকে সমর্থন করার পর যখন পরমাণু চুক্তি চুড়ান্ত, ঠিক তখনই জনগণের চোখে ধুলো দিতে বিপ্লবী ভাবমুর্তি ধরে রাখতে সমর্থন তুলে নিলেন। তাঁরা বিশ্বায়নের কুঢ়ি বছরে রাস্তায় নেমে তিন তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্বেও, দেশের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে একচেটিয়া আধিপাত্য থাকা সত্বেও কোন আনদোলন করেছেন, শত্রুরাও এমন শিকায়ত করবেন না। বরং কংগ্রেস নেতৃত্ব আজও তাঁদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কথা স্মরণে আপ্লুত।হরিদেবপুর পরমাণু বিদ্যুত প্রকল্পটির জন্য চিরশত্রু মার্কিন চুল্লী ও জ্বালানি সংগ্রহেও তাংদের আপত্তি ছিল না। দিদির নন্দীগ্রাম সিঙ্গুর গণআন্দোলনের ঠ্যালায় হরিদেবপুরও সিঙ্গুর নিয়তিতে আবর্তিত হয়ে যায়। মা মাটি মানুষ সরকার কিন্তু বামপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী করপোরেট ও বাজারের যাবতীয় শক্তিসমুহের জয় যতটা, দিদির বামপন্থী আন্দোলনের ততটা নয়। এই শক্তি সমুহকে উপেক্ষা করে দিদির ক্ষমতায় টিঁকে থাকাই মুশ্কিল। প্রণাণ , মীডিয়ার বোজারু যে অংশটি দিদিকে ক্ষমতায় আনতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিল, আজ তাঁরাই বাজারের বিশ্বায়নের ও পুজির স্বার্থে দিদির সবচেয়ে বড় সমালোচক। এই চাপ দিদি কতটা নিতে পারবেন সেটাই দেখার।সিঙ্গুর কিন্তু ইতিমধ্যেই বুমেরাং। সিঙ্গুরের ভূল দিদি বরিদেবপুরে করবেন বলে মনে হয়না।


পাশে বসে মুখ্যমন্ত্রী। বিতর্কিত পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করতে ঠিক সেই মঞ্চটাকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশনের মঞ্চে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরাও। এফডিআই সহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক বিরোধিতাকে উপেক্ষা করেই এগোবেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করে সেই মনোভাবটাই ফের স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাত্‍ রাজনৈতিক বিচ্ছেদের পরে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার পাশাপাশি এলেও তাঁদের রাজনৈতিক দূরত্ব যে কমল না, তা স্পষ্ট। 

বরাবরই পরমাণু বিদুত্ প্রকল্পের পক্ষে  প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তাঁর মতে, পরিবেশের স্বার্থে পরমানু বিদ্যুতের কোনও বিকল্প নেই। ভারতে পাঁচটি পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র তৈরিতে সাহায্যের জন্য দু হাজার নয়ে রাশিয়া সফরে গিয়ে সেদেশের সংস্থা রোসাটং-এর সঙ্গে চুক্তিও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচটির মধ্যে একটি হওয়ার কথা ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের হরিপুরে। কিন্তু বরাবরই পরমাণু বিদ্যুত্কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক,ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় তিনি দেশের সর্বত্র যাবেন। সবকিছুরই একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা উচিত। যদি কেউ সেই রেখা পার করেন, তাহলে তিনি  সাধারণ মানুষের পক্ষে দাঁড়াবেন বলেও জানিয়ে ছিলেন। 

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে হরিপুরে পরমানু বিদ্যুত্কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ বাতিল হয় হরিপুর পরমাণু বিদ্যুত্ প্রকল্প। তামিলনাড়ুর কুড়ানকুলামে পরমাণু বিদুত্ প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব সংগঠনগুলি চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বিক্ষোভকারীদের পাশে আছেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়েই বৃহস্পতিবার ফের  পরমাণু বিদুত প্রকল্পের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে সেই মঞ্চেই রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্যের দাবি তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে তখন বসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রাজ্যের বেহাল আর্থিক অবস্থা সামলাতে বারবার কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সাংবিধানিক নিয়মের কথা তুলে সাহায্য দেয়নি কেন্দ্র। তৃণমূল ইউপিএ ছাড়ার পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বক্তৃতায়, ফেসবুকে বারবারই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে নকল করে বিতর্কেও জড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশনের মঞ্চেও সেই দাবিতে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তৃণমূল ইউপিএ ছেড়ে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরেও যাননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একমঞ্চে হাজির হলেন দুজন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট হল বরফ গলেনি। বদলায়নি সংঘাতের আবহ। 


বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবার্ষিকী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত এড়িয়ে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইলেন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ আর এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই পরমাণু বিদ্যুতের হয়ে ফের সওয়াল করে নাম না করে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ 
২০০৯ সালের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের সময় হরিপুরের প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে সরকারি সিলমোহর পড়েছিল৷ রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল৷ তার অন্যতম ছিল পশ্চিমবঙ্গের হরিপুর৷ কিন্তু, প্রথম থেকেই এর বিরোধী ছিল তৃণমূল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরই হরিপুরের প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প 'খারিজ' করে দেয়৷ আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষিত অবস্থানের উল্টোপথে হেঁটেই তাঁকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, আবেগ নয়, সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনার মাধ্যমে৷ পরমাণু বিদ্যুত নিয়ে পুরনো ধ্যান ধারণা পাল্টাতে হবে৷
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধু হরিপুর নয়, গোটা রাজ্যেই যখন পরমাণু বিদ্যুত্‍ প্রকল্পের সম্ভাবনা প্রায় খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার, তখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীর এভাবে পরিমাণু বিদ্যুতের পক্ষে সওয়াল অত্যন্ত তাত্‍পর্যপূর্ণ৷ এর আগে সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স'-এর হীরক জয়ন্তী বর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী পরমাণু বিদ্যুতের হয়ে সওয়াল করেছিলেন৷ ঘটনাচক্রে তখনও তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 


A report from Haripur, site of the proposed nuclear power plant

Source : Naba Dutta, General Secretary - Nagarik Mancha

The news spread like wild-fire. The foremost reaction was that of disbelief. It was unbelievable that they would be dispossessed of their land, their ancestral homestead and their livelihood related to agriculture, sea fishing and sea fish processing. It was not just their property and livelihood but their way of life that they were going to lose. Most of the rooted, jeered at the very concept of, or discussion about compensation. Cutting across party lines there was a growing sense about the need to resist.

Click here to download the report [PDF] »

http://sanhati.com/news/44/


Leaflet from Paramanu Chulli Birodhi Committee, Haripur.

A leaflet from the Paramanu Chulli Birodhi Committee, published by Sukumar Bhuyia, from Haripur - the site of the proposed nuclear power plant. Points discussed include the real cost of power plants (fighting State propaganda that it is cheap), the fact that power plants are expensive to keep functional (combating the myth that long-term costs are low), the real amount of coal reserves as quoted by the Geological Survey of India (fighting the popular myth that coal reserves are low and dwindling), the hazards of nuclear power (against the propaganda that it is actually safe), etc.

The leaflet ends with a passionate call to join the struggle against nuclear power in Bengal, India, and all over the world.

Click here to read page 1 [JPG] »
Click here to read page 2 [JPG] »

http://sanhati.com/literature/34/


Whither Haripur? - Nuclear energy option splits CPI(M) higher-ups

By Sankar Ray

On the issue of whether the nuclear option should be explored to meet power requirements in the future preferentially over coal-fired power generation, mandarins of the Communist Party of India (Marxist), the largest Leftist party in India, are more adherents of Mikhail Gorbachev's glasnost than Stalinist orthodoxy of "democratic centralism". Nonagenarian CPI(M) polit bureau member Jyoti Basu frequently claims that his party is the most democratic and disciplined of all political parties in India and once a decision is taken following inner-party debate, every party member works for implementing the decision.

The West Bengal chief minister and CPI(M) polit bureau member Buddhadeb Bhattacharjee is an unabashed proponent of nuclear option in creating additional power capacity. Speaking to The Hindu in mid-September, he said, "We just cannot avoid nuclear power". He argued that global warming forces us to look up to 'green power'. Coal-fired power, comprising 96 per cent of power generation in West Bengal is no green power, he felt. But interestingly, he interpreted his opinion as "technical rather than political," although he is far away from the realm of science and technology either academically or by practical experience.

The Nuclear Power Corporation Ltd includes Haripur, a coastal village of East Medinipur district, West Bengal, among the several new nuclear power plants. Bhattacharjee went ga-ga about it along with the commerce and industry minister Nirupam Sen, a CPI(M) central committee member and fully with the Chief Minister on wooing capitalists including MNCs for industrialization of the state. Which was why the CPI(M) state leadership stepped up campaign in favour of the proposed 3000 megawatt project. In the mid-1990s, there was a similar project proposed in the Sunderbans but the Left Front government had to drop it for strong protest from environmental scientists and South 24 Parganas district branch of the Paschimbanga Vijnan Mancha, state unit of CPI(M)-controlled All India People's Science Congress.

Prof Deb Kumar Bose, ex-chairman, West Bengal State Electricity Board, and formerly professor of economics, Indian Statistical Institute, did several econometric studies on nuclear power – published in Economic and Political Weekly – and warned against nuclear power option in the 1990s too. In the end months of 2006, when Dr Bose called on a top CPI(M) PB member to reiterate his opinion, he was told that Bhattacharjee got the matter through at the state party secretariat and hence Prof Bose, a CPI(M) member, should not write or speak about the nuclear power plant.

Prabir Purakayastha, a power technologist who worked for many years in BHEL and secretary, Delhi Science Forum, a constituent of AIPSC, dished out a profoundly different viewpoint and refuted those who are arguing for nuclear option. A Delhi state committee member of the party, Purakayastha wrote a 2670-word polemical piece -The Myth oOf Free Nuclear Energy in CPI(M)'s central organ Peoples Democracy in its 21 October 2007 issue . The notion that nuclear power will be cheaper than coal has "layers of lies built in", he said while admitting that "operating cost of a nuclear plant is lower than that of coal fired plants" . The cost of electricity includes capital cost too which is very high and consumers are to "pay for the capital cost of the plants also in the electricity charges , he pointed out . The cost of electricity using just the capital cost of the plant alone for imported reactors, he calculated, will be " Rs 3.65 per unit as against the cost per unit from coal including the fuel and all other operating costs of Rs 2.20-2.60, depending on their distance from the coal mines. If we take plants at pit heads, the cost committed by Reliance for the Sasan Ultra Mega Power Project is only Rs 1.19. Even after using high cost imported coal, the cost of power from the Mundra Ultra Mega Power project is Rs 2.26′, he argued.

Purakayastha questioned the notion that the operating cost of a nuclear power unit is lower than the thermal counterpart. According to the NPCL exercise, the operating cost of Kaiga unt, taking into consideration, fuel, heavy water etc is Rs 1.48 a unit. But the DSF leader wrote, adding the cost of capital, "the cost of electricity becomes Rs 5.13! This is more than twice that from coal fired plants."

CPI(M) general secretary Prakash Karat a few months back said at a meeting in West Bengal that nuclear power generation cost "is substantially higher than coal-based power", citing Purakayastha's data but subsequently, addressing a seminar at the Jawaharlal Nehru University he kept options for nuclear power generation open, as if to keep Bhattacharjee and West Bengal comrades in good humour. After all, West Bengal CPI(M) is the largest financial resource-base for AKG Bhavan, national headquarters of CPI(M).

However, till date opponents of nuclear power generation like Purakayastha have not been gagged. But the free-for-all space is wide open mocking the Stalinist pride of CPI(M) biggies from Basu to the CITU president M K Pandhe. Shyamal Chakraborty, a CC member, defended nuclear power saying, " After all, we cannot lag behind science". Unlike Purakayastha and like Bhattacharjee, he never had basic science subjects in his undergraduate or post-graduate classes but pretends to know science better than energy experts. Srideep Bhattacharjee, former secretary of Paschimbanga Vijnan Mancha, now a CPI(M) state committee member in a note to the state leaders strongly opposed the move towards nuclear plant, especially in the coastal zone.

Contradictions and self-contradictions (Karat's volte face) on nuclear option in future power generation plans among CPI(M) leaders weakens the rigidities of democratic centralism, one of the principal pillars of organization among 'Official Marxists". Even for the CPI(M) whose founding leaders like B T Ranadive and Promode Dasgupta asked comrades to remain unflinchingly loyal to what Stalin used to do and instruct.

http://sanhati.com/news/548/


হরিপুরে আশা রাখছেন মনমোহন


জয়ন্ত ঘোষাল (প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী),মস্কো,আনন্দবাজার পত্রিকা


সরকারের প্রধান শরিক তথা রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের হরিপুরে পরমাণু চুল্লি বসানোর ব্যাপারে এখনও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তবে বিষয়টি নিয়ে এক পা-ও এগোনোর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চায় কেন্দ্র। দ্বাদশ ভারত-রুশ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের মস্কো সফরে যাওয়ার পথে বিমানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি না হলে যে হরিপুরের প্রকল্প নিয়ে এগোনো যাবে না, সে কথা মাথায় রেখেই তাঁকে বুঝিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা চালাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, কুড়ানকুলামে পরমাণু চুল্লি গড়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভের বিষয়টি কেন্দ্র গুরুত্ব দিয়েই ভাবছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পৃথক কমিটিও গড়া হয়েছে।
তিস্তা জলচুক্তি থেকে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ গত কয়েক মাসে সরকারের প্রধান শরিক দলের সঙ্গে বারবার সঙ্ঘাত বেধেছে মনমোহন সিংহ সরকারের। যার জেরে বারেবারেই সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছু হটতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। হরিপুরের ব্যাপারে তাই আর হাত পোড়াতে চায় না কেন্দ্র। রাশিয়ার সঙ্গে পুরমাণু সহযোগিতা অটুট থাকবে জানিয়েও প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, "দেশের মানুষের নিরাপত্তার বিনিময়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না কেন্দ্র। কিন্তু দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থেই পরমাণু শক্তি প্রয়োজন। তবে তা করতে হবে সার্বিক মতৈক্যের ভিত্তিতে।"
মস্কো বিমানবন্দরে। ছবি: পিটিআই
কয়েক বছর আগেই হরিপুর, কুড়ানকুলাম-সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় রুশ প্রযুক্তিতে পরমাণু চুল্লি বসানোর ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করেছে দিল্লি। এর মধ্যে কুড়ানকুলামে কাজ শুরু হয়েও তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পড়েছে। অন্য দিকে, হরিপুরে পুরমাণু চুল্লি বসানোর ব্যাপারে কোনও কাজই হয়নি। বিরোধী দলে থাকাকালীন এবং পরে সরকারে এসেও মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনও ভাবেই হরিপুরে পরমাণু চুল্লি বসানোর প্রস্তাবে সায় দেবেন না। অগস্টে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্তও বিধানসভায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার হরিপুরে পরমাণু চুল্লি বসাতে দেবে না। রাজ্যের শাসক দল তথা কেন্দ্রের প্রধান সহযোগী দলের এমন মনোভাব জানার পরেও অবশ্য প্রধানমন্ত্রী হরিপুর নিয়ে আশাবাদী। একই রকম ভাবে কুড়ানকুলাম নিয়েও আশাবাদী তিনি। সে কারণে মস্কোর যে সংস্থাটির সঙ্গে এই চুল্লি বসানোর ব্যাপারে দিল্লির চুক্তি হয়েছে, তারা বারবার বলা সত্ত্বেও হরিপুর বা কুড়ানকুলামের বদলে অন্য কোনও জায়গার নাম দেননি মনমোহন।
ভারতে পরমাণু চুল্লি বসানোর কাজে লাগাতার বিক্ষোভে সমস্যায় রাশিয়াও। এ নিয়ে গত কয়েক বছরে তারা বারবার দিল্লিকে চাপ দিয়েছে। ক্রেমলিনের তরফেও দিল্লিকে চাপে রাখার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রুশ প্রধানমন্ত্রী পুটিন নিজের দেশেই গণবিক্ষোভে কিছুটা কোণঠাসা। অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে রাশিয়াও তাই বিষয়টি নিয়ে ভারতের উপরে এখনই চাপ বাড়াচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আজ মস্কোর বিমানে ওঠার আগে জানিয়ে দেন, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পরমাণু সহযোগিতা আগের মতোই বজায় থাকবে। কিছু সমস্যা হলেও পরমাণু সমঝোতার ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে হওয়া আগের চুক্তি যে ভাঙবে না, তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "দেশের মানুষের নিরাপত্তার বিনিময়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না কেন্দ্র। কিন্তু দেশের সামগ্রিক উন্নতির স্বার্থে পরমাণু শক্তি প্রয়োজন।"
এ বারের সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চালাবে ভারত-রাশিয়া। চন্দ্রায়ন-টু ছাড়াও একাধিক প্রকল্পে দু'দেশ হাতে হাত মিলিয়ে এগোচ্ছে। এ বারের সফরে মনমোহনের অন্য একটি মাথাব্যথা রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে ব্রিটেন-আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করুক, চায় না ভারত। রাশিয়া চায়, ওই দুই দেশ সেনা প্রত্যাহার করুক। মনমোহন আগামি কালের বৈঠকে পুটিনকে বোঝাবেন, সেনা প্রত্যাহারের পরে কাবুলের পরিস্থিতি যাতে দুশ্চিন্তার কারণ না হয়, তার জন্য যৌথ ভাবে এগোনো দরকার। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথা বলেই কৌশল স্থির করতে চায় দিল্লি।

http://abpananda.newsbullet.in/international/61/14651-%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A6%BE%20%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%A8


জোট নেই, মনমোহন-মমতা 'সংঘাত' স্পষ্ট


কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সমিত সেনগুপ্ত, এবিপি আনন্দ

কলকাতা: তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট সম্পর্ক যে ভেঙে গিয়েছে, তার ছাপ পড়ল বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে৷ ঘাসফুল আর হাত যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে, সেটাই প্রকট হয়ে গেল এদিন৷তৃণমূলের ইউপিএ ত্যাগের পর আজই প্রথম সাক্ষাত হল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিন্তু পরস্পরের মুখোমুখি হলেও বিশেষ কথা হল না মনমোহন-মমতার৷ বরং একদা সম্পর্কের যে উষ্ণতা চোখে পড়ত, জোট সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর তাঁদের প্রথম সাক্ষাতে ছত্রে ছত্রে সংঘাতের ছবিটাই স্পষ্ট হল৷ 
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের গাড়িতে চড়ে বিমানবন্দরে গিয়ে তাঁকে বিদায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছনোর ১৫ মিনিট আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি৷ বিমানবন্দরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও রাজ্য রাজনীতির সংঘাতের জেরে দু'পক্ষের কথা তো দূরের কথা, একে অপরকে দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নিল৷ এর আগে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানেও মনমোহন-মমতার রাজনৈতিক দূরত্বের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ যেহেতু তৃণমূলের ইউপিএ ত্যাগের পর প্রথমবার একমঞ্চে উপস্থিত হন দু'জনে, স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের ওপর নজর ছিল সবার৷ মঞ্চে মমতার ডানদিকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার ডানদিকে রাষ্ট্রপতি৷ কিন্তু প্রথম ২০ মিনিট কোনও কথা হল না প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর৷ উল্টে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গেই কথা বলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তারপর এক মুহূর্তের জন্য মমতা মনমোহনের সঙ্গে কথা বললেন ঠিকই, কিন্তু তাতে স্বতঃস্ফূর্ততার কোনও ছাপ ধরা পড়ল না৷ উত্তরীয় পড়ানোর সময় দু'জনে মুখোমুখি হলেন ঠিকই কিন্তু তাও যেন নিছকই আনুষ্ঠানিক৷ প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত পাশ কাটিয়েই রাষ্ট্রপতির হাতে একটি বইও তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর শহরে আগমনের দিনও বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হননি মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি পাঠিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে৷ এদিনও প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে হাজির হননি তিনি
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত বা বিদায় জানাতে মুখ্যমন্ত্রীকেই যেতে হবে, এমনটা প্রোটোকলে বলা নেই৷ কিন্তু, রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, প্রোটোকলই কি সব? রাজ্যের ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক প্রধানদের সম্পর্কের মাপকাঠি কি শুধুই রাজনীতি? বাম আমলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির থেকেছেন৷ মমতাকেও তা করতে দেখা গিয়েছে৷ তাহলে কি এবার সংঘাতের আবহে সম্পর্ক ছিন্ন হতেই সৌজন্য উধাও?   

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/32082-2013-01-03-13-55-51


কেন্দ্রীয় সাহায্য চাই, বিজ্ঞান-মঞ্চেই সরব মমতা


কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, এবিপি আনন্দ
Thursday, 03 January 2013 



কলকাতা: বিজ্ঞান কংগ্রেসের শততম অধিবেশন মঞ্চকেই কার্যত দাবি আদায়ের মঞ্চে পরিণত করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি দাবি জানিয়েও কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ না পেলেও তিনি যে হাল ছাড়তে রাজি নন, বৃহস্পতিবার তা কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি ঘুরিয়ে দাবি পেশ করলেন৷ আর তা করতে গিয়েই টেনে আনলেন বাংলার ঐতিহ্যের কথা৷ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় থেকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো কৃতী বাঙালিদের কথা উল্লেখ করে বললেন, বাংলাকে আরও সাহায্য দিক কেন্দ্র৷ বাংলা এগোলে দেশ এগবে।
তবে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ যখন ২০২০-র মধ্যে ভারতকে বিশ্বের শক্তিধর ৫টি দেশের মধ্যে একটিতে উন্নীত করার স্বপ্নের কথা বলছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ঘুরেফিরে এল শুধুই অতীত৷ বাংলার ভবিষ্যত বা বর্তমান নিয়ে বিশেষ কোনও শব্দই খরচ করলেন না মমতা৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন নতুন নয়৷ মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তা চলছে৷ কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তা আরও জোরালো হয়েছে৷ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁরা ভিখিরি নন যে বারবার সাহায্য চাইবেন৷ আর তাই প্রধানমন্ত্রী ও বাঙালি রাষ্ট্রপতিকে একসঙ্গে পেয়ে ঘুরিয়ে নিজের দাবি পেশ করলেন৷

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/32080-2013-01-03-13-24-01


হয়ে গেল বুশের স্বাক্ষর ইন্দো-মার্কিন পরমানু চুক্তির উপর। অনেক জল্পনা-কল্পনার মধ্যে দিয়ে চুক্তিটি অবশেষে মার্কিন আইন দ্বারা স্বীকৃত হল। এ চুক্তির ফলে ভারতের জন্য পরমানু প্রযুক্তি, জ্বালানি ও খুচরা যন্ত্রপাতি ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে কেনা সহজ হবে। 

এখন থেকে মার্কিন কোম্পানি গুলি ভারতে পরমানু বিদুৎ চালিত নিউক্লিয়ার প্লান্ট স্থাপন করতে পারবে বেসামরিক পর্যায়ে। র্বতমানে ভারত বিদুৎ উৎপাদনের জন্য নির্ভরশীল হাইড্রোকর্বনের উপর মানে কয়লা, তেল ও গ্যসের উপর। বিদুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা পোড়ানোর ফলে যে কার্বন ডাই অক্্রাইড (CO2)গ্যাস বায়ু মন্ডলে নির্গত হয় তা পরিবেশে বির্পযয় ডেকে আনে। তাই পরিবেশের এই বিপর্যয় ও কয়লা সম্পদের সীমাবদ্ধতা এবং ভবিষ্যত চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারত পরমানু প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিদুৎ সমস্যার সমাধান করতে যাচ্ছে। প্রায় ১ লক্ষ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে ভারত আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে এই ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে। ভারতের আছে বিদুৎ ব্যবহারকারী বিশাল বাজার । আর উন্নত দেশ গুলির আছে বিশাল পরিমানে পারমানবিক বিদুৎ উৎপাদন করার ক্ষমতা। কিন্তুু তাদের বিদুৎ ব্যবহারকারী বিশাল বাজার নেই ভারতের মত। কিন্তুু তারা এতদিন ভারতে এধরনের বিনিয়গ করতে পারতো না। কারণ ভারতের উপর নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি হস্তান্তরের নিষেধাজ্ঞা ছিল পরমানু শক্তি ধর দেশগুলির। ১৯৭৪ সালে ভারত যখন পরমানু বোমার প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটায় তখন থেকেই তাদের উপর নিউক্লিয়ার সাপ্লাইর্য়াস গ্র"পের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। নিউক্লিয়ারস সাপ্লাইয়াস(NSG) গ্র"প হচ্ছে এমন একটি আর্ন্তজাতিক সংস্থা যারা পরমানু বানিজ্য এক দেশের সাথে আরেক দেশের করার অনুমতি প্রদান করে। বিশ্বের আটাশটি দেশ এর সদস্য। এই NSG এর আটাশটি দেশই পৃথিবীর সব দেশে পরমানু প্রযুক্তি কেনা বেচা করে থাকে। ভারত-মার্কিন এ চুক্তি অনুমোদন পাওয়ার আগে এটিকে প্রথমে এই সংস্থার অনুমোদন পেতে হয়। এই NSG সংস্থার অনুমোদন না পেলে ভারত-মার্কিন এই চুক্তি তাদের স্ব স্ব দেশের র্পালামেন্টে অনুমোদন পেলেও এটা বাস্তবায়ন করা যেত না। এই সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর পরই ফ্রান্সের কাছ থেকে বেসামরিক পর্যায়ে পরমানু বিদুৎ প্লান্ট তৈরীর প্রথম প্রস্তাব ভারতের কাছে আসে। শ্লিপ উন্নত দেশে গুলির সাথে ভারতের আস্থা ও বিশ্বাসের সর্ম্পক এবং ভারতের দীর্ঘ গনতান্ত্রিক চর্চা এবং তার সুন্দর ও স্বচ্ছ পারমানবিক নীতি এই চুক্তি করার পেছনে মূল ভুমিকা রেখেছে।


ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবার্ষিকী অধিবেশন

বিজ্ঞান গবেষণায় কলকাতার অবদান অনস্বীকার্য। বৃহস্পতিবার কলকাতার বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবার্ষিকী অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন নোবেলজয়ী বৈজ্ঞানিক। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এই বিজ্ঞানীরা বুধবারই শহরে পৌঁছন। বুধবার সন্ধেয় শহরে পৌঁছন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও।

এদিনের অনুষ্ঠানে এসে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, এই শহর উপহার দিয়েছে সেই সব নোবেল বিজেতাদের যাঁরা আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণার পুরোধা। ২০২০ সালের মধ্যে বিজ্ঞান গবেষণায় ভারতকে সারা বিশ্বে প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তিনি আরও বলেন, এদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে থাকেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সেইসব মানুষের জীবন ধারণের মানের উন্নতি করতে হবে। জলসংরক্ষণের প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও বলেন তিনি। বিজ্ঞানের উন্নতিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞান কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে এসে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে রাজ্যের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কলকাতা মেধা ও জ্ঞানের আঁতুরঘর। তাকে ঠিকভাবে লালন করতে হবে। বাংলাকে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানীর পাশাপাশি বিজ্ঞানের রাজধানী হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন 'দ্য ব্যালান্সিং অ্যাক্ট' নামক বইয়ের উদ্বোধন করেন যা ২১ জন বিশিষ্ট মহিলাকে নিয়ে রচিত।

http://bengali.yahoo.com/%E0%A6%AD-%E0%A6%A4-%E0%A6%AC-%E0%A6%9C-%E0%A6%9E-%E0%A6%A8-%E0%A6%95-%E0%A6%97-100814521.html


সায়েন্স মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা সফর সেরে ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিজিটাল ডেস্ক 
কলকাতা, ২ জুন, ২০১২

primeminister

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী। ছবি- এএফপি।

"মানুষকে আরও সহনশীলহতে হবে, পরস্পরের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা উচিত।" শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এদিন তিনি বলেন, এদেশের কৃষ্টিৃকে প্রভাবিত করে বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ওপর এদেশ নির্ভরশীল। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনেও বিজ্ঞান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি তিনি জানান, এদেশে বিজ্ঞানচর্চায় বহু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। বিজ্ঞান, গবেষণা ও আবিষ্কারের কাজে পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে সরকারের।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যে একটি সায়েন্স মিউজিয়াম গড়ার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান কেন্দ্রকে। তিনি বলেন, এই মিউজিয়াম তৈরি হলে বিজ্ঞানের শুরুর দিন থেকে সবকিছুই সংগ্রহ করে রাখা যাবে। কৃষিবিজ্ঞান থকে শিল্পৃ স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের সহযোগিতার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র আচার্য, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু এই বিজ্ঞানীদের প্রতিভার উন্মেষ হেয়েছ বাংলায়। এঁদের জন্য বাঙালি গর্ববোধ করে। অন্যদিকে রাজ্যপাল জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিচ্ছে সরকার।

শনিবার তিন ঘণ্টার ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় বায়ুসেনার বিশেষবিমানে দমদম বিমানবন্দরে নামেন তিনি। কয়কে ঘণ্টার এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের পূর্ণমন্ত্রী বিলাস রাও দেশমুখ, প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার। শনিবার সকালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালএম কে নারায়ণন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব সমর ঘোষ। কংগ্রেসের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইয়া, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান সহ অন্যান্যরা। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় পৌঁছয় সল্টেলেক সেক্টর ফাইভের বসু বিজ্ঞান মন্দিরে। সকাল ১০:৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন। এরপর সেখানকার বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বসু বিজ্ঞান মন্দিরে ইতিহাস ঐতিহ্য ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে এরপর তুলে দেওয়া হয় বসু বিজ্ঞান মন্দিরের স্মারক বই। ভিজিটার বুকে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন এবং বসু বিজ্ঞান মন্দির সম্পর্কে তাঁর সুচিন্তিত মতামত লিপিবদ্ধ করেন। সবমিলিয়ে মোট ১০ মিনিট তিনি এখানে ছিলেন। তবে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানী, গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে কোনওরকম বক্তব্য রাখেননি তিনি। এরপরই তিনি এখান থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। তাঁর এই গোটা সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষ করেই দিল্লি ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী।

http://my.anandabazar.com/content/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0-1922?page=318


সংসদে পাশ হয়ে গেল পরমানু দায়বদ্ধতা বিল। এটাকে ঠিক ভাবে বললে পরমানু দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তির বিল বলা উচিৎ। বিলটা নিয়ে সরকারের উৎসাহ এবং তা নিয়ে না না বিতর্ক অনেকদিন ধরেই চলছিল। সরকার চাইছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের আগেই বিলটা পাশ করাতে।

বিলটা নিয়ে বিতর্ক মোটামুটি তিনটি বিষয়ে–

১) যেখানে ১৯৬০ সাল থেকে দেশে পরমানু চুল্লী ব্যবহৃত হচ্ছে, হঠাৎ এখন কি এমন দরকার পড়ল নতুন বিলের।

২) ক্ষতিপূরনের পরিমান নিয়ে বিতর্ক। প্রথমে সরকার ঠিক করেছিল ৫০০ কোটি টাকা, পরে বিরোধিতার চাপে শেষ পর্যন্ত্য ১৫০০ কোটি টাকা নির্ধারন করেছে। যদিও এই পরিমান নিয়েও সঙ্গত বিরোধিতা আছে। যেখানে খোদ আমেরিকায় ক্ষতিপূরনের অঙ্ক ১১৯০ কোটি ডলার সেখানে আমেরিকান কোম্পানির জন্য এবং ভবিষ্যৎ ভারতীয় পরমানু উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা মাত্র ১৫০০ কোটি?

৩) এই আইন প্রচলিত সামাজিক দায়বদ্ধতা আইনকে লঙ্ঘন করছে। এবং মানুষের আদালতে যাওয়ার সাংবিধানিক অধিকারকেও লঙ্ঘন করছে। আমেরিকান কোম্পানির স্বার্থে সরকার ভারতীয় জনগনের fundamental rights কেড়ে নিচ্ছে।

তাহলে এই বিলের প্রয়োজন কী?
সরকারের কথায় – শুধু আমেরিকান কোম্পানি নয়, রাশিয়া, ফ্রান্স সব দেশের চুল্লী নির্মাতারাই এই দায়বদ্ধতা কমাতে বলছে। কিন্তু এসব কথায় সরকার যেটা লুকোতে চাইছে সেটা হল আমেরিকার কোম্পানীগুলোই এই আইন পাশকে সরবরাহের পূর্বসর্ত হিসেবে দিয়েছে। রাশিয়া কুদাঁকুলাম নিউক্লিয়ার প্রজেক্টে দু'টো চুল্লী দিয়েছে এবং ফ্রান্সও এভেরা চুল্লী দিয়েছে কোনো বিষেশ আইন ছাড়াই। তাহলে বিষেশ আইন ছাড়া কেউই চুল্লী দিতে রাজী হচ্ছে না এ কথা ধোপে টেকে না। আসল বিষয়টা আমেরিকান রাষ্ট্রদূত রোমার পরিষ্কার করে দিয়েছে। গত ১৫ই মার্চ সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমেরিকা চায় যত শ্রীঘ্র সম্ভব ভারত এই বিল পাশ করে ভারত-মার্কিন পরমানু চুক্তি সম্পূর্ণ করার দিকে এগোক। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে পরমানু চুক্তিরই একটা অঙ্গ এই পরমানু দায়বদ্ধতা বিল।

আমেরিকা চায় তার দেশের শিল্পপতিরা পরমানু চুল্লী নিয়ে ব্যবসা করুক, অন্য দেশে চালান দিক কোন দায়বদ্ধতা ছাড়াই। এবং এটা শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয় সব দেশের জন্যই। মানে চুল্লী নির্মানের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা নির্মানের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটির জন্য বা ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের কারনে কোনো দূর্ঘটনা ঘটলেও নির্মান সংস্থার কোনও ক্ষতিপূরন মেটানোর দায়বদ্ধতা না থাকা। আসলে আমেরিকা ১৯৫৭ সালে পাশ হওয়া প্রাইস আন্ডারসন এ্যাক্ট-এ ও দেশের পরমানু ব্যবসায়ীদের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরনের আইনি দায়বদ্ধতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবসায়ীরা সারা পৃথিবীতে, যেখানে তারা চুল্লী সরবরাহ করবে, এই ছাড় চায়। আর সেই ছাড়, যেটাকে নিন্দুকেরা বলে নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রিকে সাবসিডি, দিতে আমেরিকার সরকারও সক্রিয়ভাবে সচেষ্ট। নিউক্লিয়ার সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীদের সংস্থা International Group on Nuclear Liability (CIGNL) যার সদস্য Babcock & Wilcox Company, Bechtel Power Corporation, BWX Technologies Inc, General Electric Company, USEC Inc, Washington Group International Inc, and Westinghouse Electric Company LLC- এদের মতো সরবরাহকারীরা। তারা আমেরিকা সরকারকে চাপ দিচ্ছে সারা পৃথিবীতে এই একই ধরনেরই আইন প্রনয়ন করার জন্য। এদের সংস্থার আইনজীবি ওমার ব্রাউন আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়াকে এই ধরনের আইন পাশ করানোর জন্য চাপ দিতে।

আমাদের সরকার আরো যে কথাটা বলে দেশবাসীদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে, সেটা হোল, " পৃথিবীর সব দেশেই এই ধরনের আইন আছে"। কিন্তু সত্যিই কি তাই? জাপানে চুল্লী প্রস্তুতকারিদের দায়বদ্ধতা ১.২ বিলিয়ন ডলার, আর জাপান সরকারের দায়বদ্ধতার কোনো সীমা নেই। জার্মানী, ফিনল্যান্ড ইত্যাদী দেশে চুল্লী প্রস্তুতকারিদের দায়বদ্ধতা কোনো সীমায় বাধা নেই। রাশিয়াতেও এই ধরনের আইন নেই। প্রচলিত আইনেই দায়বদ্ধতা মেটাতে হবে। আর আমাদের দেশে আইনে চুল্লী প্রস্তুতকারিদের দায়বদ্ধতা প্রায় নেই। শুধুমাত্র ইচ্ছাকৃত বা বড়সর কোনো ত্রুটির ক্ষেত্রে (wilful act or gross negligence) কিছু দায়বদ্ধতা আছে। কিন্তু wilful act or gross negligence প্রমান করবে কে? বাকী দায়বদ্ধতা সরকার নেবে। তারমানে জনগনের ট্যাক্সএর টাকায় বিদেশী অপারেটরদের সাবসিডি দেওয়া হবে। এই জন্যই আমদের প্রধানমন্ত্রীকে সেরা বন্ধু বলেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। আপাতত আমরা সেই আনন্দেই নাচি।


ভারত -যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সম্পর্কপ্রিন্ট
প্রবাসে প্রতিদিন সম্পাদকের ডেস্ক থেকে :
শুক্রবার, 18 জুন 2010 18:07

 

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ২০০৮ সালে বিশ্বের এই দুই সামরিক পরাশক্তির মধ্যে বেসামরিক পরমানু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা গত বৃহস্পতিবার ( ৩জুন ২০১০) বলেছেন, তার সরকার ২০০৮ সালের ঐতিহাসিক বেসামরিক পরমানু সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্র"তিবদ্ধ। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারতে পরমানু স্থাপনা নির্মানে কোটি কোটি ডলারের ব্যবসা বাণিজ্যের দ্বার খুলে যেতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে এই দিনের কৌশলগত সংলাপ শেষে কৃষ্ণা বলেন ২০০৮ সালের চুক্তি চুড়ান্ত করনের লক্ষ্যে নয়াদিল্লী নতুন দায়বদ্ধতা আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে। ব্যবসায়ীদের সংগঠন মার্কিন ভারত বিজনেস কাউন্সিলের সামনে তিনি বলেন ধার্যকরা সময়সীমার মধ্যে বেশ ভালো ভাবেই আছি আমরা। অবশ্যই সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন প্রণয়নে প্রতিশ্র"তিবদ্ধ।

যাহোক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই পরমাণু সহযোগিতা বাস্তবায়িত হলে উপ মহাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক রাজনীতি নতুন মোড় নেবে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিধর দেশ। এক সময় যখন সমাজতান্ত্রিক পরাশক্তি সেভিয়েত ইউনিয়ন বহাল ছিল তখন ভারত ছিলো সোভিয়েত ব্লকভুক্ত একটি দেশ। একই সাথে ভারত ছিলো জোট নিরপেক্ষ  জোটভুক্ত। বৃটিশ উপনেবিশকরা ভারত ত্যাগের সময় দেশটিকে ত্রিখন্ড করে দুইখন্ড পাকিস্তানভুক্ত করে ১৯৪৭ সালে। ১৯৭১ সালে একখন্ড স্বাধীন বাংলাদেশ রূপে বিশ্বমানচিত্রে তার পতাকা উড়িয়ে দেয়। ৪৭ সালের কিছুকাল পরে ভারতের দার্শনিক নেতা জহরলাল নেহেরু, চীনের চৌএন লাই, সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার জোসেফ টিটো, ইন্দোনেশিয়ার সুর্কন, তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক, মিশরের জামাল আবদুল নাসের এবং আরো অনেকেই গঠন করেছিলেন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ঘড়হ. অষধরহপব গড়াবসবহঃ ঘঅগ ) জোট। কিন্তু ভারতের আর দুই অংশের পাকিস্তান ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে। সিয়েটো স্যান্টো চুক্তির অধীনে ন্যাটো সামরিক জোটের বলয়ে । ৭১ এ স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ অবশ্য জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যোগ দেয়। ৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়হভবৎবহপব ঙওঈ )  বৈঠকে যোগ দেন । অবশ্য একই সাথে বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ভুক্ত থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পর এবং সুগোশ্লাভিয়া খন্ডিত হয়ে যাওয়ার পর সোভিয়েত বলয়ভুক্ত সামরিক জোট ওয়ারশ জোট নিস্ক্রিয় হয়ে যায় এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে ভাটা পড়ে। কিন্তু ন্যাটো সামরিক জোট বহাল থাকে। বরং ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়া ফ্রান্স এবং ঐক্যবদ্ধ জার্মানী পুনরায় ন্যাটো ভুক্ত হয়। দেশে দেশে ন্যাটো সেনা বাহিনী এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী যুদ্ধের শরীকদার। দেশে দেশে যুদ্ধ বাঁধিয়ে নিজেদের লাখ লাখ সৈন্য চালান করা এবং অস্ত্র বিক্রিই হলো যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্ব লাঘব করা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটা প্রধান উপায়।

যাহোক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি কার্যকর হলে দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারতীয় উপমহাদেশের ভূরাজনীতিতে দিক পরিবর্তন সূচিত হবে এটা ধরে নেয়া যায়। কারন আজ এই একুশ শতকে আর সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই। নেই ওয়ারশ সামরিক জোট কিম্বা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যাম। ন্যাটো জোটের প্রতিদ্বন্দী কোনো সামরিক শক্তি এখন নেই। তবে ভূরাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চীন এখন সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পরাশক্তি। চীনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রতিদ্বন্দী মনে করে। বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মার্কিনীরা আধিপত্য বিস্তার করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় মনে করছে চীন, উত্তর কোরিয়া ও মায়ানমারকে। মার্কিনীরা চাচ্ছে এই অক্ষশক্তির বিপরীতে ভারতকে বন্ধু হিসেবে পেতে। হয়তো ভারতকে তারা পেয়েও যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুদ্র দরিদ্র দেশের অবস্থান কি রকম হতে পারে ?

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে এখন আগামী দিনের সম্ভাব্য সামরিক পরাশক্তিদের দ্বন্দের বাইরে থাকতে হবে। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যাম (ঘড়হ অষধরহপব গড়াবসবহঃ) যতটুকু এখনো রয়েছে বাংলাদেশকে তা অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে হবে নিরপেক্ষ অবস্থান । মায়ানমার ও ভারত এই দুই সাক্ষাৎ প্রতিবেশী দেশদুটোর সাথে পুরোপুরি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চীন রাশিয়ার সাথেও রাখতে হবে।

বাংলাদেশও পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করছে। রাশিয়ার সাথে এই চুক্তিকে হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাকা চোখে দেখতে পারে। কিন্তু তাতে ভয় পেলে চলবেনা। কারণ অবশ্যই বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে হলে যার সঙ্গে যতটুকু প্রয়োজন সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। পাশাত্যে সুইজারল্যান্ডের যে নিরপেক্ষ অবস্থান প্রাচ্যে বাংলাদেশকেও সেরকম অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ কোনো সামরিক দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে জড়ালে বাংলাদেশের মতো দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে।

ফিরে আসি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কথায়। ভারত যুক্তরাষ্ট্র বন্ধুত্ব যদি কোনো সময় সামরিক বন্ধুত্ব এমনকি সামরিক জোট ভুক্ত হয়ে ওঠে তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অবশ্যই তার প্রভাব পড়বে। তবে ভারত যদি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে পারে তবে এই অঞ্চলের সমর রাজনীতি অস্থিতিশীল হবেনা। এবিষয়ে এখনই কিছু সুনিশ্চিত মন্তব্য করা যাবেনা। আমরা শুধু অপেক্ষা করতে পারি - আলতাফ চৌধুরী

http://www.probashaprotidin.com/index.php?view=article&catid=141%3A2010-04-16-12-40-36&id=3697%3A2010-06-18-12-08-36&tmpl=component&print=1&page=&option=com_content&Itemid=104


গুন্টার গ্রাসের কবিতা এবং বিস্ফোরন্মুখ বিশ্ব পরিস্থিতি/আর একটি বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন!

গুন্টার প্রসঙ্গঃ

গুন্টার তার কবিতার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবরোধ এবং দেশটির শান্তিপূর্ণ পারমানবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবন্ধকতা দান কারী জোটের নেতা মার্কিন /ইসরায়েল এবং তাকে সমর্থন এবং সহযোগীতা দান কারী পারমানবিক শক্তিধারী পশ্চিমা দেশগুলির বিরুদ্ধে । যারা পরমানু শক্তির জোরে গোটা বিশ্বে মোড়লি করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও অব্যহত ভাবে তা করতে চায়। 

জার্মানি সম্প্রতি ইসরাইলের কাছে ছয়টি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন বিক্রির যে পরিকল্পনা করেছে তার প্রতিবাদে এ কবিতা লিখেছেন গুন্টার গ্রাস। জার্মানির এসব সাবমেরিন পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এর আগে, ১৯৯৮ এবং ২০০০ সালেও জার্মানীর পক্ষ থেকে ইসরাইলকে ডলফিন মডেলের দু'টি সাবমেরিন দেয়া হয়েছিলো। 

গুন্টার এসবের প্রতিবাদ করেছেন এবং জাতির বিবেক এবং অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিয়ন্তাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে - যে জাতির কাঁধে দুই দুটো বিশ্বযুদ্ধের অপস্মৃতি এখনো বিদ্যমান তাদের নতুন করে আর এ ধরণের কাজে জড়ানো একান্তই অনুচিত।কিন্ত চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।

৪ঠা এপ্রিলে 'যে কথা বলতেই হবে' কবিতাটি প্রকাশের পর সারা বিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন/ইসরায়েল/জার্মানীর পালপোষিত পেটোয়া বুদ্ধিজীবিরা বিভিন্ন কায়দায় ৮৪ বছরের অশিতীপর সত্যসন্ধানী গ্রাসকে বিভিন্ন কায়দায় হেনস্থা এবং অপমান করার চেষ্টা করছে।
ইতিমধ্যে এই কবিতা লেখার অপরাধে গুন্টারের ইসরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং বয়কট করা হয়েছে। 
সবশেষ খবর হলো ইরানে সম্ভাব্য ইসরাইলি হামলা ও ইসরাইলের পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে কবিতা লেখার দায়ে একদল ইসরাইলি লেখক সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার বিজয়ী জার্মান লেখক গুন্টার গ্রাসের নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে| ইসরাইলের হিব্রু লেখক সমিতি গুন্টার গ্রাসের ওই কবিতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অন্যান্য দেশের লেখকদেরকেও ওই কবিতার নিন্দায় শরিক হতে বলেছে। ঐ লেখক সমিতি ছাড়াও দলে দলে বর্ণবাদী ইহুদী ও জার্মান কর্মকর্তা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

তবে সুইডেনের সংশ্লিষ্ট একাডেমি ইহুদিদের এই আবদার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব পিটার এনগ্লান্ড গতকাল এ ব্যাপারে বলেছেন, "গুন্টার গ্রাস ১৯৯৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন কেবল সাহিত্য-মানের কারণে এবং একমাত্র মানের ভিত্তিতেই- আর এ বিষয়টি সাহিত্যের অন্যান্য নোবেল বিজয়ীদের জন্যও প্রযোজ্য।'' তিনি আরও বলেছেন, "ওই পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সুইডিশ একাডেমিতে কোনো আলোচনা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।'

এদিকে গুন্টার বুঢ়ো কিন্ত ইহুদিদের এসব কর্মকাণ্ডে মোটেও দমে যাননি, তিনি বলেছেন- ইসরাইল সম্পর্কে উচিত কথা বলায় তার প্রতি সমর্থনসূচক বার্তার বিপুল স্তুপ জমে উঠছে। এছাড়া গত ৭ এপ্রিল বার্লিনের প্রায় এক হাজার জার্মান নাগরিক গুন্টার গ্রাসের বক্তব্যের সমর্থনে মিছিল করেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হুমকি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ব্রিমিরহ্যাভেনর মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে যে সব ব্যানার ছিল তাতে লেখা ছিল 'গুন্টার গ্রাস ঠিক বলেছেন'এবং 'ধন্যবাদ তোমাকে গুন্টার গ্রাস'। সমগ্র জার্মানিতে গুন্টার গ্রাসে'র সমর্থনে অনুরূপ প্রায় ৭০টি মিছিল হয়েছে। 

এভাবে গুন্টারের প্রতি সারা বিশ্বের মানুষের সমর্থন দিন দিন বেড়েই চলেছে।পৃথিবীর দেশে দেশে তৈরী হচ্ছে গুন্টার সমর্থক ফোরাম এবং তারা গুন্টারকে অকুন্ঠ সমর্থন জানাচ্ছেন। 

ঘটনার অন্যপিঠে--- ইরানের কর্মকান্ডঃ

এদিকে ইহুদিদের প্রতি জার্মান সমর্থন এবং পারমানবিক সাবমেরিন বিক্রীর প্রতিবাদে আজ ১১ই এপ্রিল থেকে জার্মানীতে তেল রপ্তানী বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। স্পেনে তেল রপ্তানী বন্ধের একদিন পর তেহরান এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। 

ইরানের তেলখাতের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জবাবে ইরান এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে। তেহরান এখন ইতালির কাছে তেল বিক্রি না করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর আগে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও গ্রিসের কাছে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে ইরানের তেলখাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের জন্য তেহরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইইউ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর ইরানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপের ছয়টি দেশ- নেদারল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস এবং পর্তুগালে তেল রপ্তানী বন্ধের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইরানের তেল মন্ত্রণালয় সর্বপ্রথম ব্রিটেন ও ফ্রান্সে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। 
ইউরোপের এসব দেশে ইরান তেল বিক্রি বন্ধ করার ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে পেট্রোলের দাম এখন সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেট্রোলের দাম বাড়ার বিষয়টি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

এদিকে পারস্য উপসাগরে ইরানকে সামলানোর জন্য অবস্থান করছে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ গুলো। কখন কি হবে বলা বড় মুশকিল তবে এটা নিশ্চিত যে বিশ্ব পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে মারত্মক উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আর ঐ আগুণে ঘি ঢেলেছেন আমাদের বুড়ো গুন্টার গ্রাস।

এ প্রসঙ্গে ইরান জানিয়েছে যে - তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি সামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে না , তবে, সামরিক আগ্রাসনের বিষয়ে ইরান হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, তেহরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হামলা হলে তার তাৎক্ষণিক ও দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।

পারস্য উপসাগরে অবস্থানরত মার্কিন যুদ্ধজাহাজের তৎপরতার ছবি তুলেছে ইরানি গোয়েন্দা ড্রোন। ইরানের খাতামুল আম্বিয়া বিমান ঘাঁটির শীর্ষ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফারজাদ ইসমাইলি এ কথা জানিয়েছেন। জেনারেল ইসমাইল জোর দিয়ে বলেন, "ইরানের আকাশসীমা লংঘন করার মতো ক্ষমতা কোনো বিমানের নেই। যদি কোনো বিমান এ ধরনের দুঃসাহস দেখায় তাহলে তার পরিণতি হবে নিশ্চিত ধ্বংস এবং সে ধ্বংসাবশেষ জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হবে।" 
গত ডিসেম্বরে ইরানের আকাশসীমায় ঢোকার পর মার্কিন আরকিউ-১৭০ ড্রোন ভূপাতিত করার কথা উল্লেখ করে জেনারেল ইসমাইলি আরো বলেছেন, ওই সময় সামান্য ক্ষয়ক্ষতির মধ্যদিয়ে ইরানের ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ ইউনিট ড্রোনটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।

চীনের হুঁশিয়ারীঃ

ইসলামী ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে চীন বলেছে যে -, তেহরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিপদের মুখে ফেলবে। এ ছাড়া, চলমান অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বর্তমান বিশ্বকে উদ্ধার করা কঠিন হবে। 
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক দপ্তরের মহাপরিচালক চেন জিয়াওদং কদিন আগেই (রোববার) এ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, "যদি ইরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে তারাও নিশ্চিতভাবে পাল্টা হামলা চালাবে এবং এতে বৃহত্তর অঙ্গনে সামরিক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠবে এবং হরমুজ প্রণালীসহ অন্যান্য কৌশলগত রুটের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাবে আর বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দীর্ঘায়িত হবে।"

চীনা কর্মকর্তা আরো বলেন, "সম্ভাব্য যুদ্ধের রাশ টেনে ধরার জন্য এখন দায়িত্ব বর্তেছে আন্তর্জাতিক সমাজের ওপর।" 
লক্ষনীয় ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন চালানোর বিষয়ে অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তখন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এসব কথা বললেন।

ইসরাইলের অর্ন্তঘাত তৎপরতাঃ

আজ ১১ এপ্রিল ইরানে ইসরাইলি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী চক্র গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।
ইসরাইলের সঙ্গে জড়িত একটি সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়। ইরানের মধ্য ও সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে কয়েক মাস লাগাতার গোয়েন্দা অভিযানের পর এই চক্রটিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে গতকাল (মঙ্গলবার) দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলের মদদপুষ্ট এই সন্ত্রাসী চক্রটি ইরানের বিভিন্ন শহরে নাশকতামূলক ততপরতা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নাশকতা পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের আস্তানা থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণে বোমা,বিস্ফোরক দ্রব্য,মেশিনগান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
ইরানে ইসরাইল কিংবা মার্কিন গুপ্তচর আটকের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১১ সালের ৩০ মে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি শক্তিশালী স্থানীয় নেটওয়ার্ক ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার হতে গ্রেপ্তার হয়।
একই বছরের ২৪ নভেম্বর ইরান ঘোষণা করেছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র বেশ ক'জন অনুচরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে , যারা দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।

ইসরাইলে মিশরের রকেট হামলা!

পরিস্থিতি আরো ঘোরালো করার জন্যই কিনা জানিনা ৫ এপ্রিল ইসরাইল দাবি করেছে যে মিশরের সিনাই উপত্যকা থেকে তাদের ইলাত শহরে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ইসরাইলি পুলিশ দাবি করেছে,আজ (বৃহস্পতিবার)ভোরে ইলাত শহরের একটি নির্মাণাধীন এলাকায় 'গ্রাড রকেট' আঘাত হেনেছে এবং মিশরের সেনাই উপত্যকা থেকে রকেটটি নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। 

এর আগে গত বছর জর্দানের আকাবা বন্দরে দু'টি 'গ্রাড রকেট' আঘাত হেনেছিল। ওই বন্দরটি ইসরাইলের ইলাত শহরের খুব কাছে অবস্থিত। সে সময় বলা হয়েছিল, দুটি রকেটই ইলাত শহর লক্ষ্য করে ছোড়া হলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে জর্দানের বন্দরে গিয়ে পড়েছে। 

ইসরাইল, গাজাসহ গোটা ফিলিস্তিনে দখলদারি এবং হত্যা-নির্যাতন অব্যাহত রাখার কারণে আরব জনগণসহ গোটা বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে।

গোদের উপর বিষফোঁড়া--- উত্তর কোরিয়া ঃ

এদিকে শত বাধা বিপত্তির মুখেও পরমানু প্রযুক্তি করতলগত করতে চায় এরকম আর একটি দেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি উত্তর কোরিয়া আগামী ১৫ই এপ্রিলে তাদের পর্যবেক্ষন উপগ্রহ বা রকেট নিক্ষিপ্ত করতে যাচ্ছে। 

উত্তর কোরিয়া বলেছে, দেশটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা কিম ইল সুঙ্গের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের রকেটে জ্বালানি ভরার কাজ চলছে। আগামি ১৫ ই এপ্রিল কিমের জন্ম শতবার্ষিকী পালিত হবে দেশটিতে। আর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কর্মসূচি শুরু হবে বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দিন পর্যন্ত। রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি জোরেশোরে এগিয়ে যাচ্ছে বলে সেখানকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার নতুন নেতা কিম জং উন নিজে এ ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং এ জন্য উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজ সফল হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। 

মার্কিনীরা সহ অন্যান্য পরা শক্তিদের গাত্রদাহঃ

পিয়ংইয়ং কক্ষপথে পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ স্থাপনের কথা বললেও মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা বলছে, পরমাণু অস্ত্র-সজ্জিত উত্তর কোরিয়া আসলে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করবে এবং তা এ ব্যাপারে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন।উত্তর কোরিয়া ২০০৯ সালেও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার পর পৃথিবীর অক্ষপথে একটি উপগ্রহ স্থাপন করেছিল।

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার নতুন রকেট উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টার তীব্র সমালোচনা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এই উদ্যোগ আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি।

জার্মানিও আজ পিয়ং ইয়ংয়ের এ উদ্যোগকে "স্পষ্ট প্ররোচনা" বলে মন্তব্য করেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর রেড ঐলার্টঃ
সবচেয়ে বেশী রিএ্যকশন দেখিয়েছে জাপান।উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণকে বাধা দিতে জাপান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাজধানী টোকিওতে পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া, তিনটি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করেছে পূর্ব চীন সাগরে। ডেস্ট্রয়ারগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপেও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে জাপান। উত্তর কোরিয়ার এ রকেট যদি জাপান ভূখণ্ডের জন্য কোনো ধরনের হুমকি সৃষ্টি করে তাহলে তা ভূপাতিত করার জন্য এরইমধ্যে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদা। এ ধরনের উত্তেজনাকর প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তিগত ভুলের কারণেও তো বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে!

ভারত- চীন উত্তেজনাঃ

দক্ষিন এশিয়াতে আবার ভারত-চীন সর্ম্পকের অবনতি ঘটেছে। বাড়ছে উত্তেজনা।
দক্ষিণ চীন সাগরে কোন দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে ভারত চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। ৬ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ বলেছেন, দক্ষিণ চীনর সাগর হচ্ছে গোটা বিশ্বের সম্পদ। সেখানে কোন দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। দক্ষিণ চীন সাগরে তেল অনুসন্ধানের বিষয়ে চীন ভারতকে হুশিয়ারি দেয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করলেন। 

চীন গতকাল ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোর স্বার্বভৌমত্বের বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি, বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে তেল অনুসন্ধান চালানো উচিত হবে না। সেখানকার বিরোধে না জড়াতেও ভারতের প্রতি চীন আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য ওই পথ ব্যবহার করা উচিত এবং এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা কারোরই ঠিক হবে না। আসিয়ানভূক্ত দেশগুলো এ বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছে বলে তিনি জানান। 

৯ এপ্রিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের সেনাবাহিনীর দ্রুত আধুনিকায়নের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে নয়াদিল্লি। 
ভারতের প্রতিরক্ষা দফতরের ২০১১-২০১২ সালের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বত এবং সিনজিয়াং প্রদেশের অবকাঠামো দ্রুত উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে, এর ফলে ভারতের সেনাবাহিনীর তুলনায় চীনা সেনা বাহিনীর সামগ্রিক কৌশলগত অবস্থান জোরদার হয়েছে। একইসঙ্গে সেনা অভিযান চালানোর ক্ষেত্রেও অনেক বাড়তি সুবিধা পেয়েছে চীন। 
এ প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়েছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। চীন রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় হওয়ায় এ ধরনের তৎপরতা বাড়ছে।

পরদিনই ১০ই এপ্রিল এর পাশাপাশি যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে ভারতীয় প্র তিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কোনো যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত: 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ.কে.অ্যান্টনি আজ বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কোনো যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। সেনাবাহিনীর গোলা-বারুদ ঘাটতি সংক্রান্ত খবর নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সামর্থ ভারতীয় সেনা বাহিনীর রয়েছে। 

নাটের গুরু হলো মার্কিনীরা

সমশ্যা হলো বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার কথা বলছে ঐ চিহ্নিত পরমাণু অস্ত্রধারীরাই।বিশ্বের ৫৩টি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পরমাণু নিরাপত্তা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচির ঘোর বিরোধী এ রাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এ সম্মেলনে ' সুপরামর্শ' দিতে বেছে বছে এমন সব দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যেসব দেশ পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী এবং যারা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের অধিকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিশ্ব সমাজকে পরমাণু অস্ত্রের হুমকির দিকে গুরুত্ব দিতে বলে শান্তিকামী হওয়ার ভান করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক সন্ত্রাস বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। অথচ বিশ্বে কোনো দেশের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একমাত্র রেকর্ড বা কুখ্যাতির অধিকারী হয়ে আছে মার্কিন সরকার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের শেষের দিকে মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দু'টি মার্কিন পরমাণু বোমার আঘাতে নিহত হয়েছিল হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরের লাখ লাখ মানুষ। 

মার্কিন সরকারের আগে রাশিয়া ও জার্মানীও পরমাণু প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছিল। কিন্তু একমাত্র মার্কিন সরকারই গণহত্যার এই মহামারণাস্ত্র ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত বা কুণ্ঠিত হয়নি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরও মার্কিন সরকার হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করে হাজার হাজার পরমাণু বোমা তৈরি করেছে যেগুলো দিয়ে পৃথিবীকে কয়েক বার ধ্বংস করা ও জীবনের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম রয়েছে তা দিয়ে আরো কয়েক হাজার পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সরকার মিনি এটম বোমা তৈরির প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আর এসব পরমাণু বোমা মার্কিন সরকারের সৃষ্ট আঞ্চলিক যুদ্ধগুলোতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব পরমাণু বোমার প্রকৃতি এমন যে সেগুলো ব্যবহারের ফলে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের বড় ধরনের কোনো ক্ষতি ছাড়াই মানুষ হত্যার কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরমাণু অস্ত্র নিরাপত্তা সংক্রান্ত দুটি বিশ্ব সম্মেলনের কোনোটিতেই পরাশক্তিগুলোর পরমাণু অস্ত্রের গুদামকে বিশ্বের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়নি। এ সংক্রান্ত প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল ওয়াশিংটনে। অথচ মার্কিন সরকারই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি বাস্তবায়ন করতে এখনও সম্মত নয়। এনপিটি'র অন্যতম ধারা অনুযায়ী কথা ছিল ২৫ বছরের মধ্যে ওই ৫ বৃহৎ শক্তি তাদের সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করবে। কিন্তু তারা সে অঙ্গীকার বাস্তবায়ন তো করেইনি বরং নতুন প্রজন্মের বা উন্নত মডেলের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে।

এমনকি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরাইলকে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইসরাইলের কাছে অন্তত: ২০০ পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। আর এসমস্ত কাজে যুক্তরাষ্ট্রের এক গেলাশের ইয়ার হলো ইসরায়েল। তাদের পারমানবিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মার্কিনীরা অকাতরে অর্থ ব্যয় করে চলেছে। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ সার্ভিস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক কাজে ব্যয় করার জন্য ইসরাইলকে ১১ হাজার পাঁচশ' কোটি ডলার অর্থ দিয়েছে। পাশাপাশি চলতি ২০১২ সালের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩১০ কোটি ডলার।

পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি'র রয়েছে তিনটি মূল ভিত্তি। প্রথম ভিত্তি হল পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, দ্বিতীয় ভিত্তিটি হল পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা এবং তৃতীয় ভিত্তি হল বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারে বিভিন্ন দেশকে সহায়তা করা। মার্কিন সরকার ও তার মিত্র দেশগুলো প্রথম দুটি শর্ত বা ভিত্তি তো মানছেই না বরং তৃতীয় শর্তটিরও বিপরীত আচরণ করছে।

শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় গত এক দশক ধরে ইসলামী ইরানের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ সৃষ্টি করেছে মার্কিন সরকার এবং তার মিত্ররা। তারা বলছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। অথচ ইরান পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটিতে স্বাক্ষর করেছে। তাই দেশটির সমস্ত পরমাণু তৎপরতা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আই এ ই এ'র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। পরিহাসের ব্যাপার হল, জাতিসংঘের পরমাণু তদারকি সংস্থা আই এ ই এ এনপিটি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলোর ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করছে না।

অথচ সংস্থাটির বর্তমান মহাপরিচালক পশ্চিমা শক্তিগুলোর চাপের মুখে এ দাবি করেছেন যে ইরান হয়তো পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। আসলে পশ্চিমা শক্তিগুলো এটা চায় না যে ইরানের মত একটি স্বাধীনচেতা, ইসলামপন্থী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দেশ শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির অধিকারী হোক। কারণ, দেশটি শিল্পন্নোত ও স্বনির্ভর হয়ে উঠলে শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির ওপর পশ্চিমাদের একচেটিয়া কর্তৃত্ব আর থাকবে না। অন্যদিকে ইরান হয়ে উঠবে স্বাধীনচেতা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আদর্শ। তাই তারা বিভিন্ন অজুহাতে পরমাণু শক্তির ওপর একক কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

উপসংহার

দেখে শুনে মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আসলেই উদ্বেগজনক। ৫ এপ্রিল লেবাননের হিজবুল্লাহ'র উপ-মহাসচিব শেইখ নায়িম কাসেম বলেছেন, ইসলামী ইরান মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরোধের যে আদর্শ স্থাপন করেছে তা ধ্বংস করতেই তেহরানের ওপর নানাভাবে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) আরো বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নয় বরং ইরানের সমর্থনে গড়ে ওঠা ইসরাইলের বিরুদ্ধে 'প্রতিরোধ-মডেল'কে নিশ্চিহ্ন করতেই পাশ্চাত্য ও ইসরাইল তেহরানকে হামলার হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অব্যাহত হত্যাযজ্ঞ, আল আকসা মসজিদসহ বায়তুল মোকাদ্দাসের পবিত্র স্থানগুলোর অবমাননা এবং মানবাধিকার লংঘনের মতো ঘটনাগুলো থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরিয়ে নেয়াও ইরানের বিরুদ্ধে হামলার হুমকির একটা উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান। 

আসল কথা ইরান তাদের কর্মসূচী থেকে ফিরে আসবেনা। এ তাদের এবং তাদের মতো করে যারা চিন্তা করে সবার জন্য এক আদর্শের সংগ্রাম।সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নৈতিক সমর্থনও রয়েছে তাদের উপরে। যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের দোসর পশ্চিমা শক্তিগুলোকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই মুহুর্তে তারা ইরানকে কতখানি সহ্য করবে। ইসরাইল কিন্ত যুদ্ধ বাধিয়ে দেবার জন্য একপায়ে দাড়িয়ে রয়েছে।


বিশ্বের ধনীদের তালিকায় আরও একধাপ উঠে এলেন  মুকেশ আম্বানি। ব্লুমবার্গ কোটিপতিদের সূচকে ১৯ থেকে ১৮ স্থানে উঠে এলেন রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্টির কর্ণধার।

গত বছর মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল দুই হাজার একশো কোটি ডলার। এই বছর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার চারশো সত্তর কোটি ডলার। এক বছরে সম্পত্তি বেড়েছে তিনশো সত্তর কোটি ডলার। 

মেক্সিকোর টেলিযোগাযোগ ব্যবসাযী কার্লোস স্লিম এবছরও বিশ্বের এক নম্বর ধনীর জায়গা ধরে রেখেছেন। কার্লোসের সম্পত্তির পরিমাণ সাত হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এবছর প্রথম একশোজন ধনীর প্রত্যেকেরই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। এই একশোজনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক লক্ষ আট কোটি ডলারের বেশি। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের তহবিল গড়ার জন্যই ছবির প্রদর্শর্নী। নিজের ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধনে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রীর ২৫০ ছবি নিয়ে শুরু হল চিত্র প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। 

নেশার তাগিদেই অবসর সময়ে ছবি আঁকা। মুখোমুখি হওয়া ক্যানভাসের। কিন্তু হাজার একটা কাজের মধ্যে  কখন অবসর মেলে তাঁর? একদিকে দেড় বছরের শিশু সরকার। তাঁর হাজার একটা কাজ। কখনও জঙ্গলমহল, আবার কখনও পাহাড়। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটে বেড়ানো।  রয়েছে  ছটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলানোর ঝক্কি। বকলমে সবাই জানেন আসলে তিনিই শেষ কথা ।   তবু এই ৩৬৫ দিনে তার আঁকা আড়াইশো ছবির প্রদর্শনী।  ছবি আঁকা মানেই সময়সাপেক্ষ বিষয়। তারমধ্যে ২৫০ ছবি! কীভাবে সম্ভব? উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।  

 
তবে শুধু মনের আনন্দেই ছবি আঁকা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এই ছবি বিক্রি দল চালানোর খরচ তুলে আনা হবে। কত টাকা উঠতে পারে? গতবার ছবি বিক্রি করে দুকোটি টাকা পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারে উদ্যোক্তাদের দাবি আড়াইশো ছবি বিক্রি করে ১০ কোটি তো অবশ্যই। 


দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ড মামলায় আজ চার্জশিট দিল পুলিস। প্রায় হাজার পাতার চার্জশিট পেশ করা হয় সাকেতে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। তিরিশজনের সাক্ষ্যের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। অনুমান খুব শীঘ্রই ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হবে। 

ঘটনা ঘটেছিল ষোলোই ডিসেম্বর রাতে। তারপর তেরোদিন লড়াইয়ের পর ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যুর কাছে হার মানেন নির্যাতিতা তরুণী। তার মৃত্যুর চারদিন পর বৃহস্পতিবার এই মামলার চার্জশিট দিল পুলিস। সাকেতে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ হয় এক হাজার পাতার চার্জশিট। 

ষোলই ডিসেম্বরের গোটা ঘটনার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। নাম রয়েছে ৩০ জন সাক্ষীর। দ্রুত বিচারের জন্য মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন মামলার শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দয়ান কৃষ্ণান এই মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী। যদিও সাকেত আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের হয়ে তাঁদের কোনও আইনজীবী সওয়াল করবেন না। 

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলায় পুলিসের কঠোর ধারা প্রয়োগের দাবিতে এদিন সাকেতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। 

গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন বন্দি তিহার জেলে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। তাদের এদিন আদালতে আনা হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, খুন, অপহরণ, ডাকাতি সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিস।       


কসবায় সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের উপরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল চার জনকে। গত ৩১ ডিসেম্বর কসবার কুমোর পাড়ায় চার বছরের একটি শিশুর ওপর নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বুধবার শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর জানাজানি হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। 

সন্ধেয় এলাকার মহিলারা কসবা থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে পুলিসকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা লিখিতভাবে দিতে বলা হয়। পুলিস আইনি অসুবিধার কথা জানালে শুরু হয় বিক্ষোভ। অবরোধ করা হয় রাসবিহারী কানেক্টার। 

পুলিসের প্রতিশ্রুতিতেও অবস্থা বদলায়নি। রাতের দিকে এলাকার দখল নিয়ে নেয় একদল মদ্যপ যুবক। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সংবাদমাধ্যম। বিক্ষোভকারীরা সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে বলে। তাদের অন্যায্য দাবিতে রাজি না হলে সংবাদমাধ্যমের ওপর চড়াও হয় তারা। মারধরের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকদের লক্ষ করে ছোঁড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় ছ'টি গাড়িতে। রেহাই পাননি মহিলা সাংবাদিকরাও। তাঁদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করা হয়। ইটের আঘাতে দুই সাংবাদিক জখম হন। 


উপলক্ষ্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য। কিন্তু তার জেরে পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে নজিরবিহীন মতামত জানাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কলকাতা পুলিস কমিশনারকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে লেখা হয়েছে, দিল্লির ঘটনার তদন্তের কথা মাথায় রেখেই যেন রিপোর্ট দেওয়া হয়। দিল্লি এবং পার্ক স্ট্রিট। কখনও কেউ বলেছেন প্রেক্ষিত আলাদা। কেউ ইঙ্গিত করেছেন অন্য ঘটনা। কমিশনের মন্তব্যে উঠে এসেছে অন্য কথা। পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা ধর্ষণই নয়। এমনই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।  
 
 কাকলি ঘোষদস্তিদারের এই  মন্তব্যের জেরে এবার স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিসের কমিশনারের কাছে। তৃণমূল সাংসদ কী বলেছিলেন তা জানতে কাকলি ঘোষদস্তিদারের বক্তব্যের ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ কী বলেছিলেন তা জানতে কাকলি ঘোষদস্তিদারের বক্তব্যের ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। মামলা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানাতে হবে। মূল অভিযুক্তকে ধরার ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে হবে।
 
তিন সপ্তাহের মধ্যে পুলিস কমিশনারকে এই রিপোর্ট দিতে হবে। ওই নির্দেশে যে বক্তব্য জানিয়েছে কমিশন তাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন বলেছে, এই রিপোর্ট দেওয়ার সময় যেন দিল্লির তদন্তের ঘটনা মাথায় রাখা হয়। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডকে দিল্লির ঘটনার সঙ্গে তুলনা টেনে কার্যত কলকাতা পুলিসের সমালোচনাই করেছে কমিশন। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ঘটনা ঘটলেও এখনও মামলার চার্জ গঠনই হয়নি। এমনকী মূল অভিযুক্তও এখনও ধরা পড়েনি। বরং মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিস কমিশনার এবং হালফিল, সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের মন্তব্যে অন্য ইঙ্গিত মিলেছে। অথচ দিল্লির ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই সব অপরাধী ধরা পড়েছে এবং চার্জশিট তৈরি করে ফেলেছে পুলিস। এই অবস্থায় দিল্লির ঘটনা মনে রেখে রিপোর্ট দিতে বলার অর্থ, ফের রাজ্য সরকার আর কমিশনের সংঘাত।


উইকিলিকস'র মার্কিন কূটনীতিকের গোপন তথ্য ফাঁস, বিপাকে তৃণমূল


রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: মাওবাদী সঙ্গ, রাজ্যভাগকারি মোর্চার সমর্থন, কুপন কেলেঙ্কারি, কালো টাকার বির্তকের পর এবার উইকিলিকস কর্তৃক কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেলের পাঠানো গোপন বার্তা ফাঁসের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি এখন বেশ ব্যাকফুটে তৃণমূল। বির্তক যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না।

উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের তুলনায় মমতার নেতত্বাধীন জোট সরকার মাকির্নিদের অনেক ভালো বন্ধু হতে পারে।' 

মমতা ব্যানার্জিকে রাজ্যের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করে তার সর্ম্পকে খোঁজ খবর নিতে মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে  ২০০৯ এর ২০ অক্টোবর বার্তা পাঠিয়েছিলেন কলকাতার যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল বেথ পেইন।

বার্তায় বেথ পেইন আরও লিখেছেন, মমতা ব্যানার্জি রেলের পয়সা প্রচুর নিয়ে আসছেন তার নিজের রাজ্যে।

এর শেষ পরিচ্ছেদে লেখা হয়েছে, তার দলের প্রকাশ্য ঘোষণার মধ্যে কোনো মার্কিন বিরোধীতা নেই। কনসুলেটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দলের যোগাযোগ আছে।

এই গোপন বার্তাটি রাজ্যের নির্বাচনের আগে ফাঁস করে দিয়ে উইকিলিকস ভোটের আগে নতুন করে বির্তক সৃষ্টি করেছে।

গতকাল এই খবরটি প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাসকদল সিপিএম সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, নির্বাচনে বামদের হারানোর জন্য মার্কিনি টাকা কাজ করছে।

সিপিএম বলছে, ভারতের বামরা বরাবরই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ঘোরতর বিরোধী। সম্প্রতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পরমানু চুক্তির বিরোধীতা করে তারা প্রথম ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে।

আর ঠিক এই কারণেই তারা মনে করে যুক্তরাষ্ট্র চায় না ভারতে কোথাও বামরা ক্ষমতায় থাকুক। তাই তারা রাজ্যে তৃণমূলকে বন্ধু মনে করছে।

বৃহস্পতিবার এই বার্তাটি ফাঁস হওয়ার পর তৃণমুল-কংগ্রেস জোট এই নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ শুক্রবার বলেছেন, মার্কিনিদের নির্দেশেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি কেমন হবে তা ঠিক করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ভারতের মতো একটি স্বাধীন দেশের অঙ্গরাজ্যের ভোটে কি যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারে? এটা নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=5dcf603ef0e2567f5b99bd3f58f22a40&nttl=37356


উইকিলিকসের মালিক পাগল, দাবি মায়াবতীর

উইকিলিকিসের জালে মায়া

ডিজিটাল ডেস্ক 
কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Mayawati

মার্কিন নথির তথ্য বিপাকে ফেলেছে দলিত নেত্রীকে। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

উইকিলিকিস বিতর্কে জড়িয়ে গেলেন বহেনজী। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতী কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন উইকিলিকসের মালিকের বিরুদ্ধে। উইকিলিকসের ফাঁস করা একের পর এক গোপন মার্কিন নথির তথ্য বিপাকে ফেলেছে দলিত নেত্রীকে। এর কড়া প্রতিক্রিয়ায় মায়াবতী বলেছেন, উইকিলিকসের মালিক হয় পাগল হয়ে গেছেন অথবা তাঁর বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। মায়াবতী অবশ্য একবারও উইকিলিকসের মালিক জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের নাম উল্লেখ করেন নি। উইকিলিকসে প্রকাশিত তাঁর বিষয়ক তথ্যগুলির কড়া নিন্দা করে মায়াবতী উইকি মালিককে পাগলা গারদে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী দুর্নীতিগ্রস্ত। একথা মার্কিন দূতাবাসের আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন বিএসপির সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্র। এমনই দাবি করেছে উইকিলিকস। উইকিলিকসের দাবি, ২০০৭-এ মায়াবতী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেবল আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল। যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সতীশ চন্দ্র মিশ্র। উইকিলিসে প্রকাশিত মার্কিন কেবল অনুযায়ী সতীশ আরো বলেছিলেন, মায়াবতী স্বৈরাচারী এবং তাঁকে কেউ চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখালে কঠোর হয়ে ওঠেন মায়াবতী। সতীশ এ সব কিছু অস্বীকার করে বলেছেন, মার্কিন দূতাবাসের গোপন বার্তা ফাঁস করে যা বলা হয়েছে তা নিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

এর আগে অপর একটি মার্কিন কেবল বার্তা উদ্ধৃত করে উইকিলিকস জানিয়েছিল, ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভার সচিব শশাঙ্ক শেখর মার্কিন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স পিটার বার্লেকে বলেছিলেন যে, ভারত-মার্কিন পরমানু চুক্তিতে মায়াবতীর বিরোধীতা কথার কথা মাত্র। মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী হলেও ভারতের বিদেশ নীতির কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। যদিও মায়াবতী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন শশাঙ্ক।

http://my.anandabazar.com/content/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF-253?page=312


সর্বনাশা জি এম বীজ রুখতে খেতমজুরের পাশে বিজ্ঞানীরাও 
১৩ই সমাবেশ কলকাতায় ০০ প্রচার ট্যাবলো জেলায় জেলায়

রাহুল মজুমদার

সর্বস্ব হারানোর আতঙ্ক থেকেই সোচ্চার হুঁশিয়ারি উঠলো —'জি এম কৃষির পরীক্ষা চাষ বন্ধ হোক'। আগাম সচেতনতা নিয়েই কৃষিতে জিন বদলের প্রযুক্তিনির্ভর মার্কিন বীজ ও রাসায়নিক সংস্থার বিরুদ্ধেই এবার প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করার ডাক দিলো সমাজ সচেতন সংস্থা, কৃষিবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান পরিষদ, গবেষক সংস্থা, ক্ষেতমজুর সংগঠন ও সমাজের আরও নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন। আগামী ৯ই থেকে ১৬ই আগস্ট গোটা দেশেই এই প্রচার কর্মসূচীনির্ভর জন-আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকেই মার্কিন বীজ ও রাসায়নিক সংস্থা মনস্যান্টো ও সিনজেন্টা-র গভীর ষড়যন্ত্রমূলক অভিষন্ধী ফাঁস করেছেন কৃষিবিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রথীন্দ্রনারায়ন বসু, কৃষিবিজ্ঞানী তুষার ভট্টাচার্য, কল্যান রুদ্র, অভি দত্তমজুমদার প্রমুখেরা বলেন, দেশের সরকার চুক্তিচাষের মাধ্যমে এবং খুচরো বানিজ্যের মাধ্যমে এই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার গোপন মতলবকে কার্যকর করতে চাইছে। আমাদের রাজ্যেও এই ষড়যন্ত্র কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। বীজ কোম্পানির আগ্রাসনে কৃষক হারাতে চলেছেন তাঁর আবহমানকালের বীজের অধিকার। আর দিনে দিনে ঋণের বোঝা বেড়ে আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে, গোটা দেশে এই জি এম বীজ চাষের চেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছে এই সচেতন উদ্যোগ। তাঁরাই এদিন জানিয়েছেন, আগামী ৯ই থেকে ১৬ই আগষ্ট দেশজোড়া প্রচারের অঙ্গ হিসেবেই আগামী ১৩ই আগস্ট কলকাতায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে থেকে মার্কিন কোম্পানি মনস্যান্টো বিরোধী সমাবেশ সংগঠিত হবে এবং প্রচার ট্যাবলো বেরোবে। সচেতনতার প্রচার কর্মসূচীতেই ঐদিনেই মেট্রো চ্যানেল থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ছড়িয়ে যাবে প্রচার ট্যাবলো।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকেই কৃষিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১৯৯৮সালে মহারাষ্ট্রের বীজ কোম্পানি 'মাহিকো'কে কিনে নেওয়ার মাধ্যমেই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা মনস্যান্টোর ভারত অভিযানের শুরু। ঐ সময়েই এর প্রতিবাদে সমাজকর্মী বন্দনা শিবা এক জন-আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। মনস্যান্টোকে ভারত ছাড়ার দাবি তুলেছিলেন। এরপর থেকে দেশের নানা অংশে প্রতিবছর ৯ই থেকে ১৬ই আগষ্ট প্রতিবাদ সপ্তাহ উদযাপিত হয়। এবছর ভারতের কৃষিক্ষেত্রে এই আক্রমণের মোকাবিলা করার উদ্দেশ্য নিয়েই স্লোগান তোলা হচ্ছে সমস্ত বহুজাতিক সংস্থা ভারত থেকে দূর হঠো। বুধবার এই সাংবাদিক বৈঠকেই কৃষিবিজ্ঞানী ও সমাজ সচেতকরা জানিয়েছেন, এই রাজ্যেও জি এম বীজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। হুগলীর চুঁচুঁড়ায় এই জি এম বীজের চুক্তি চাষ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের সাধারন মানুষসহ কৃষিজীবী মানুষের সর্বনাশের আতঙ্ক নিয়েই এদিনের উদ্যোক্তাদের এক প্রতিনিধিদল গিয়েছিলেন মহাকরণে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই বিপদের কথা জানাতে। কৃষিমন্ত্রী ঐ প্রতিনিধিদলকে এই বলেই আশ্বস্ত করেছেন যে কোনভাবেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে জি এম শস্যের চাষ ঢুকতে দেবেননা।

কৃষিবিজ্ঞানী তুষার ভট্টাচার্য এদিন বলেন, মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার এই রাসায়নিক বীজ শুধু চাষের ক্ষতি করবে না, গোটা জীবমন্ডল, উদ্ভিদ জগৎ থেকে শুরু করে পতঙ্গ, প্রাণী এমনকি সমস্ত মানুষের ওপরেই ক্ষতিকারক প্রভাব ছড়াবে। এই ভয়াবহ বীজ মানুষের জিনেরও পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে। এতে ছোট প্রান্তিক চাষীরও কোন লাভ হবেনা। মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা আপাতত গোটা বিশ্বের ৪টি দেশে এই জি এম শস্য নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। অভি দত্তমজুমদার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ফুকুসিমার মত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও ভারত সরকার সমানভাবে আগ্রহী মার্কিন ভারত পরমানু চুক্তি কার্যকর করে আরো অনেকদূর এগোতে। আপাতত এই কেন্দ্রের সরকারের লক্ষ্য হল খুচরো ব্যবসায় বৃহৎ পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতের ৪২টি শস্যে দখলদারি নিতে। এই শস্যগুলিতেই বহুজাতিক রাসায়নিক সংস্থার বীজ চালু করতে চায়। নানা জায়গায় গোপনে ফিল্ড ট্রায়াল চলছে। এর প্রতিবাদেই সচেতনতার প্রচার কর্মসূচীকে হাতিয়ার করে গণ-আন্দোলনে শামিল হতে চায় এই সমাজ সচেতক সংস্থাগুলি। 'ফোরাম এগেন্স্ট মনোপলিটিক অ্যাগ্রেসন', 'টিচার্স অ্যান্ড সায়েন্টিফিক এগেন্সট ম্যাল ডেভেলপমেন্ট', 'ফ্রেন্ডস অফ ডেমোক্রেসি', 'ব্রেক থ্রু সায়েন্স সোসাইটি', 'দিশা', 'অ্যালায়েড ফর সাসটেনেবল অ্যান্ড হোলিস্টিক অগ্রিকালচার', 'লোক কল্যান পরিষদ', 'হালিশহর বিজ্ঞান পরিষদ', 'পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি', 'শ্রমজীবী মহিলা সমিতি', 'জনস্বাস্থ্য স্বাধিকার মঞ্চ', 'বায়ো পরিবার', 'হাঙ্গার ফ্রি ওয়েস্টবেঙ্গল', 'কাজলা জনকল্যান সমিতি', 'সেভ আওয়ার রাইটস ক্যাম্পেন', ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ কমিউনিকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস সেন্টার ও আরও বেশকিছু সংগঠন যৌথ উদ্যোগ নিয়েই এই সচেতনতার প্রচার কর্মসূচী সংগঠিত করছে।

http://ganashakti.com/bengali/features_details.php?featuresid=527


বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্দেশ্য নিয়েই তরজা

কুন্তক চট্টোপাধ্যায় 
কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর ২০১২

Logo

সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূর বিস্তৃত। ছবি- নিজস্ব চিত্র।

কেউ বলছেন, পেশাদারি গবেষকদের পেশ করার জন্য উপযুক্ত নয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চ। কেউ বলছেন, নোবেলজয়ী বা বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সামনে গবেষণাপত্র পেশ করাটাই রোমাঞ্চের। কারও মতে আবার, বিজ্ঞান কংগ্রেস পেশাদারি বিজ্ঞানচর্চার সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দূর বিস্তৃত। আগামী ৩ জানুয়ারি বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবর্ষের অধিবেশন শুরুর আগে এ ভাবেই তরজা জুড়লেন শহরের গবেষকেরা। পেশাদার গবেষকদের বেশিরভাগই বিষয়ভিত্তিক আলোচনাচক্রে গবেষণাপত্র পেশের দিকে ঝুঁকেছেন। তাঁদের দেখে অনেক ছাত্রছাত্রীরাও অধিবেশনে যোগ দিতে নারাজ। যদিও অন্য একটি অংশের দাবি, বিজ্ঞান কংগ্রেস এখনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে কয়েক হাজার গবেষক অধিবেশনে যোগ দিতে আসতেন না।

গবেষকদের একাংশের বক্তব্য, বিজ্ঞান কংগ্রেসে এত পরিমাণে গবেষণা পত্র থাকে, তাতে পড়ার খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। সে দিক থেকে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার অনেক গুণে ভাল। তা ছাড়া, নিজের বিষয়ের বাইরে বক্তৃতা শোনার বিষয়টিও তাঁদের কাছে আগ্রহ তৈরি করে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এমিরেটাস অধ্যাপক দীপক ঘোষ বলেন, "বিজ্ঞান কংগ্রেসে গবেষণাপত্র পেশ করার চেয়ে বিষয়ভিত্তিক সেমিনারে যোগ দেওয়াটা প্রতিষ্ঠিত গবেষকদের কাছে প্রাধান্য পায়। সেখানে আলোচনার সুযোগও বেশি থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে বিখ্যাত গবেষকদের বক্তৃতাও দুর্লভ নয়।" একই মত পোষণ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-ছাত্রী মৌটুসি দত্তচৌধুরীও।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যার এমিরেটাস অধ্যাপক প্রতিমা চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, বিজ্ঞান কংগ্রেসের মতো সংগঠনে সদস্যদের অন্তর্কলহ বিখ্যাত গবেষকদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, "সংগঠনের পদ পাওয়া নিয়ে একাংশ যে ভাবে রাজনীতি করে, তাতে অনেকেই বিরক্ত।" ষাটের দশক থেকে বিজ্ঞান কংগ্রেসের আজীবন সদস্য প্রতিমাদেবী এ বার বিজ্ঞান কংগ্রেসে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন। প্রতিমাদেবীর সঙ্গে অনেকটাই সহমত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির গবেষক অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "বিজ্ঞান কংগ্রেসে বক্তা নির্বাচনে কিছুটা পক্ষপাতিত্ব কাজ করে। সে কারণে প্রতিষ্ঠিত গবেষক-বিজ্ঞানীরা যাওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন।" তিনি বা তাঁর অধীনে কাজ করা গবেষকদের কেউই এ বার বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না।

তবে বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দেওয়াটা শহরের নতুন গবেষকদের একাংশের কাছে এখনও রোমাঞ্চকর। এমনই এক জন ন্যানো-টেকনোলজির গবেষক মৈনাক পালিত। তিনি এ বারের অধিবেশনে গবেষণাপত্র পেশ না করলেও গোটা অধিবেশনেই হাজির থাকবেন। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বও পালন করবেন। মৈনাক বলেন, "আমার কয়েক জন সহপাঠী সময় মতো গবেষণাপত্র তৈরি না করতে পারার ফলেই বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না।" মৈনাকের মতোই আরও কয়েক জন গবেষক জানিয়েছেন, এ বারের বিজ্ঞান কংগ্রেসে নোবেলজয়ী এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের সামনে গবেষণাপত্র পেশ করাটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার।

অধ্যাপক দীপক ঘোষ অবশ্য বিজ্ঞান কংগ্রেসের অন্য একটি গুরুত্বের কথাও মনে করিয়েছেন। তিনি বলেন, "বিজ্ঞান কংগ্রেসে দেশের প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন। সেখানে ভবিষ্যতের নীতি-নির্ধারণটাও যথেষ্ট গুরুত্ব পায়। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনমানসে বিজ্ঞান চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজও হয়।" বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চ যে পেশাদার গবেষকদের কাছে ততটা গ্রহণযোগ্য নয়, তা মেনে নিয়েছেন বোস ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ও বিজ্ঞান কংগ্রেসের অন্যতম আঞ্চলিক সম্পাদক শিবাজী রাহা। তিনি বলেন, "বিজ্ঞান কংগ্রেসের ক্ষেত্র অনেক বেশি বিস্তৃত। পেশাদার গবেষকেরা শুধু নন, ছাত্র ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষও এখানে আসতে পারেন।" নতুন গবেষকদের কাছে এই মঞ্চ অনেক বেশি উপযোগী বলেও তাঁর দাবি।
আনন্দবাজার পত্রিকা

http://my.anandabazar.com/content/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0-3123


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: দাবি যৌথ গবেষণার
তিন দশকেও ফারাক
রইল শিল্প ও গবেষণায়

ন্দিরা গাঁধী থেকে মনমোহন সিংহ, বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধনে দেশের সব প্রধানমন্ত্রীই বিজ্ঞানের সঙ্গে শিল্প সংস্থাগুলির মেলবন্ধনের কথা বলেছেন। এমনকী, শতবর্ষের অধিবেশনের মূল বিষয়ও একই ধাঁচের বলে বিজ্ঞান কংগ্রেস সূত্রে খবর। তবে গত তিন দশকে একই বিষয়ে জোর দেওয়া হলেও কতটা সাফল্য মিলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞানীরাই। শিক্ষা-শিল্প জগতের কর্তাদের একাংশ বলছেন, কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)-এর গবেষণাগারগুলির সঙ্গে শিল্প জগতের নিবিড় যোগাযোগ থাকলেও দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ততটা এগিয়ে আসতে পারেনি। 
বিজ্ঞান কংগ্রেস সূত্রের খবর, তিন দশক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে বিজ্ঞানের সঙ্গে শিল্প সংস্থার আন্তঃসম্পর্কের কথা বলেন। এই বছর জানুয়ারিতে বিজ্ঞান কংগ্রেসের ৯৯-তম অধিবেশনেও একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বিশেষত, গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথাও জানান তিনি। 
বিজ্ঞান কংগ্রেস সূত্রের খবর, শতবর্ষে বিজ্ঞান কংগ্রেসের মূল বিষয় 'ভবিষ্যতের ভারত নির্মাণে বিজ্ঞান', যার মধ্যে অনেকেই পুরনো থিমের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন। বিজ্ঞান কংগ্রেসের এক সদস্য বলেন, "এ বার বিষয়টা 'টোটাল সায়েন্স' হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ, বিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলির উন্নতি এবং তার মাধ্যমে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটানো।" বিজ্ঞান জগতের লোকেরা বলছেন, প্রযুক্তি মানেই তার সঙ্গে শিল্প সংস্থার যোগসাজশ থাকাটা জরুরি। 
শিল্প জগতের সঙ্গে শিক্ষা-গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সম্পর্কের বাস্তব ছবিটা কী? বিভিন্ন বণিকসভার কর্তা বলছেন, "সিএসআইআর-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গবেষণাগারে শিল্প জগতের উপযোগী কাজ হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তেমন গবেষণা মিলছে না। সেখানে বেশিরভাগই তাত্ত্বিক কাজ।" ভারত চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি অশোক আইকত বলেন, "সিএসআইআর -এর গবেষণার সুফল শিল্প জগৎ পাচ্ছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কিছুটা হলেও পিছিয়ে।" শিক্ষা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গবেষণার বিষয়টিতেও জোর দিতে চাইছেন শিল্প জগতের কর্তারা। অনেকের দাবি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যা তৈরি করা হয়, তার সঙ্গে শিল্প সংস্থাগুলির চাহিদার ফারাক রয়েছে। তা-ও মাথায় রাখা উচিত। 
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের অবশ্য দাবি, পাঁচ-ছয় বছরে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় শিল্প জগতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়েছে। তিনি বলেন, "রেডিও ফিজিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, কেমিক্যাল টেকনোলজির মতো বিষয়ে শিল্প সংস্থাগুলি আগ্রহ দেখাচ্ছে।" তবে এই প্রতিযোগিতায় যে কলকাতা অনেক পরে নেমেছে, তা-ও মেনে নেন উপাচার্য। তাঁর ব্যাখ্যা, "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আদতে মূল বিজ্ঞানের (বেসিক সায়েন্স) উপরেই জোর দিত। আমাদের আলাদা করে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগও নেই, সে কথাও মনে রাখতে হবে।"
কিছু গবেষকের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আমলাতান্ত্রিক কাঠামো শিল্প জগতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের বক্তব্য, "সাধারণ গবেষণা প্রকল্পেও লাল ফিতের ফাঁস থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়।" অবশ্য পাল্টা দাবিও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের পড়ানোর চাপ থাকে। গবেষণা করতে হলে আলাদা সময় বের করতে হয়। তাই অনেক সময়ই শিল্প সংস্থাগুলির চাহিদা মতো গবেষণা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। প্রকল্পভিত্তিক গবেষণাও সেখানে করা কঠিন। 
পাশাপাশি, বৃহত্তর গবেষণা প্রকল্পে যে শিল্প জগতের ততটা আগ্রহ না থাকার কথাটিও উঠে এসেছে। বরাহনগরের ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা বিমল রায় বলেন, "শিল্প সংস্থাগুলি মূলত প্রকল্পভিত্তিক গবেষণায় টাকা খরচ করে। তবে ইদানীং কেউ কেউ বৃহত্তর গবেষণার স্বার্থেও টাকা দিচ্ছেন।" 
তা হলে শিল্প সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপায় কী? জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-এর (আইআইএম) শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অনুপ সিংহের মতে, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংস্থার চাহিদায় মিল থাকা দরকার।" তিনি মনে করেন, এই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এক দিনে গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক কাজের মধ্যে দিয়ে তা গড়ে উঠবে। 
আর এই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের কথাতেই উঠে এসেছে যৌথ গবেষণার কথা। অর্থাৎ যে প্রকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প সংস্থা, উভয়েই যুক্ত থাকবে। বণিকসভা সিআইআই-এর এক মুখপাত্র জানান, শিল্প সংস্থাগুলি ইদানীং যৌথ গবেষণা প্রকল্পের উপরেই জোর দিতে চাইছে। কেন?
গবেষক ও শিল্প কর্তারা বলছেন, গবেষণাগারে যে পণ্য তৈরি করা হয়, তার সঙ্গে বাস্তব বাজারের ফারাক থাকে। শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে যৌথ গবেষণায় সেই ফারাক দূর করা সম্ভব।
http://www.anandabazar.com/archive/1121229/29bigyan1.html

প্রদর্শনীতে নেই বাঙালি বিজ্ঞানীদের ছবি



প্রদর্শনীতে নেই বাঙালি বিজ্ঞানীদের ছবি
এই মঞ্চে হবে উদ্বোধন। তার আগে চলছে যুবভারতী সাজানোর কাজ।--- নিজস্ব চিত্র।
এই সময়: শতবর্ষ আগে এক বাঙালির হাত ধরে যে বিজ্ঞান কংগ্রেসের সূচনা হয়েছিল, আজ একশো বছর পরে অপর এক বাঙালির হাত ধরে সেই বিজ্ঞান কংগ্রেসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় দেশের 'মোস্ট প্রেস্টিজিয়াস ইভেন্ট' এবং এই রাজ্যের এই মেগা ইভেন্টের সূচনা করবেন৷ 

যেখানে অংশ নেওয়ার জন্য এ দিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ শহরে পৌঁছে গিয়েছেন৷ এসে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও৷ কিন্ত্ত রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার অভাবে মহানগরের বুকে হওয়া ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের শতবর্ষে রাজ্য সরকারের প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেলেন না বরণীয় বাঙালি বিজ্ঞানিরা৷ উঠছে এমনই অভিযোগ৷ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিজ্ঞান কংগ্রেস প্রাঙ্গনে যে বিশাল প্রদর্শনী শুরু হয়েছে সেখানে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের স্টলের মূল বিষয় বিবেকানন্দর জন্ম সার্ধশতবর্ষ৷ যেখানে স্বামীজীর সমগ্র জীবনের বিভিন্ন ঘটনাবলী তুলে ধরা হয়েছে একের পর এক ছবিতে৷ স্বামীজীকে নিয়ে প্রায় তিরিশটি ছবি রয়েছে এই প্রদর্শনীতে৷ কিন্ত্ত আমজনতার জন্য হওয়া এই প্রদর্শনীতে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের স্টলে বুধবার পর্যন্ত কোনও বাঙালি বিজ্ঞানির ছবি দেখা গেল না৷ কিংবা একশো বছর আগে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন যাঁর সভাপতিত্বে হয়েছিল সেই স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কোনও ছবিও নেই এই প্রদর্শনীতে৷ অথচ এ দিন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি তাঁর বক্তব্যে একশো বছর আগে প্রথম বিজ্ঞান কংগ্রেস সফল ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার পিছনে স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা একাধিকবার উল্লেখ করেছেন৷ 
বিজ্ঞান কংগ্রেসের একটি সেশন-ও স্যর আশুতোষের নামে করা হয়েছে৷ একই ভাবে সত্যেন্দ্রনাথ বোস, মেঘনাদ সাহা কিংবা ইউ এন ব্রহ্মচারির মতো প্রবাদপুরুষদের নামে সেশন রয়েছে কংগ্রেস৷ কিন্ত্ত রাজ্য সরকারের এই স্টলে এদের কারও ছবি দেখতে পাওয়া গেল না৷এ দিন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের স্টলে যে আধিকারিকরা ছিলেন তাঁরা অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ কিন্ত্ত এই অসংগতি এ দিনই যাঁরা এই বিশাল প্রদর্শনী দেখতে হাজির হয়েছিলেন তাঁদের চোখে পড়েছে৷ এমন কিছু টুকরো ঘটনা বাদ দিলে বিজ্ঞান কংগ্রেস উপলক্ষ্যে এ দিন সল্টলেক স্টেডিয়াম জুড়ে আক্ষরিক অর্থে কর্মযজ্ঞ চলেছে৷ 

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি কংগ্রেসের সূচনা করার পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সভাপতিত্বে হবে বিশেষ আলোচনা সভা৷ 'সায়েন্স ফর শেপিং দ্য ফিউচার অফ ইন্ডিয়া' শীর্ষক এই আলোচনা সভায় দেশের নতুন বিজ্ঞান-নীতি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিন জয়পাল রেড্ডি জানিয়েছেন যে, 'সায়েন্স টেকনোলজি ইনোভেশন পলিসি যা গত ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্র সরকার অনুমোদন করেছে তা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ শেষ এমন বিজ্ঞান-নীতি ঘোষিত হয়েছিল ২০০৩ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী৷' ১৯৫৮ সালে তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু দেশের প্রথম বিজ্ঞান-নীতি ঘোষণা করেছিলেন৷ বৃহস্পতিবার মনমোহন সিংহ দেশের চতুর্থ বিজ্ঞান-নীতি ঘোষণা করবেন৷ 

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব টি রামস্বামীর দাবি, এই নতুন নীতির ফলে শিল্পসংস্থাগুলি আরও বেশি করে গবেষণায় বিনিয়োগ করবে৷ ইতিমধ্যে ১৩০ টি সংস্থা গবেষনায় সাফল্যর জন্য পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এই কংগ্রেসে মোট ২৮ জন তরুণ গবেষককে এই পুরস্কার দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি, ২১ জন প্রখ্যাত মহিলা বিজ্ঞানীর আত্মজীবনী মূলক নিবন্ধের একটি সংকলন প্রকাশ করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সায়েন্স কংগ্রেসে জন্য ইতিমধ্যে শহরের আসতে শুরু করেছেন একের পর এক প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার নোবেল-জয়ী বিজ্ঞানী৷ জয়পাল রেড্ডি যে তালিকা দিচ্ছেন তাতে তাইওয়ানের বিজ্ঞানী ইওন লি, জাপানের ই চি নেগেশি প্রমুখ রয়েছেন৷ 

ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটির ১৭ জন ফেলো উপস্থিত থাকছেন এই কংগ্রেসে৷ অন্তত ১৫ হাজার প্রতিনিধি অংশ নেবেন এই কংগ্রেসে৷ ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই কংগ্রেসে নানা সেমিনার ও আলোচনার পাশে মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেস ও শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস হবে এর মধ্যে৷ রয়েছে চিলড্রেন সায়েনটিস্ট মিট৷ রয়েছে পাবলিক লেকচার৷ এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রয়েছে এই কংগ্রেসে৷ তবে এই ব্যস্ত নির্ঘন্টের মধ্যে সল্টলেক প্রাঙ্গনে যে বিশাল প্রদর্শনী হচ্ছে তা ইতিমধ্যে আমজনতার নজর কাড়ছে৷ বিশেষ করে প্রদর্শনী প্রাঙ্গনে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অর্জুন ট্যাঙ্ক, অগ্নি ক্ষেপনাস্ত্র, পৃথ্বী ক্ষেপনাস্ত্র৷ যা দেখতে এ দিনই ভিড় জমিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ৷ রয়েছে ডিআরডিও-র বিশেষ প্রদর্শনী৷ এছাড়া দেশের অগ্রণী গবেষণা সংস্থাগুলির শতাধিক স্টল রয়েছে এই প্রদর্শনীতে৷ এদের পাশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্টল৷ যদিও এ দিন সন্ধ্যে পর্যন্ত বহু স্টলই পুরোপুরি প্রস্ত্তত হয়নি৷ চলছে শেষ ফিনিশিং টাচ দেওয়ার কাজ৷
এ দিন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সল্টলেক স্টেডিয়াম-সহ সংলগ্ন এলাকায়৷ নিরাপত্তার জন্য ১০টি অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি চেক টিম তৈরি করা হয়েছে৷ আশেপাশের বহুতলগুলিতে বাসিন্দাদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করা হবে৷ এছাড়া স্টেডিয়ামে ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও জলের বোতল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷

উদ্ভাবনে বাণিজ্যজুড়ে 
নতুন নীতিবিজ্ঞান কংগ্রেসেই

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ২রা জানুয়ারি — কলকাতার বিজ্ঞান কংগ্রেসেই ঘোষিত হবে দেশের নতুন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতি। এই নীতিতে এবার জুড়ে দেওয়া হচ্ছে উদ্ভাবনের প্রসঙ্গও। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার অভিমুখেই যাবে এই নীতি। 

বৃহস্পতিবার থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হচ্ছে শতবর্ষের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস। চলবে ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত। বিজ্ঞান কংগ্রেসকে ঘিরে সাজো সাজো চিত্র বিধাননগরে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই থাকবেন বলে শতবর্ষের বিজ্ঞান কংগ্রেস নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। 

জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের মূল আয়োজক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিজ্ঞান কংগ্রেসে তাদের তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা নেই। ঠিক তেমনটিই যে সংস্থার হাত ধরে শতবর্ষের রাস্তা অতিক্রম করলো বিজ্ঞান কংগ্রেস পার্ক সাকার্সের সেই সংস্থা ইন্ডিয়া সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন (ইসকা)-এর ভূমিকা এবারে প্রকাশ্যে একবারের জন্যও আসেনি। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ইসকার কোন আধিকারিককে। গোটা আয়োজনের রাশ চলে গেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায়। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শতবর্ষের বিজ্ঞান কংগ্রেস কতটা জনমুখী হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

শতবর্ষের বিজ্ঞান কংগ্রেসে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। বুধবার দুপুরে রাজভবনে তিনি বিজ্ঞান কংগ্রেস নিয়ে আলাদা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। লিখিত বিবৃতি পড়ে বিজ্ঞান কংগ্রেসের গোটা অনুষ্ঠান সম্পর্কে অবহিত করলেও কলকাতার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি গবেষণার দীর্ঘ ঐতিহ্য নিয়ে তেমন আলোকপাত করেননি। দেশের কাছে একদিন উদাহরণ হয়ে উঠেছিল এই কলকাতা। 

১৯১৪সালে তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের চিন্তায় প্রথম এসেছিল দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিদদের সমবেত করে বিজ্ঞান কংগ্রেস করার কথা। ঐ বছর পার্ক স্ট্রিটের এশিয়াটিক সোসাইটিতে ১৫-১৭ই জানুয়ারি বসেছিল প্রথম জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস। ঐ সুবাদেই এবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে শতবর্ষের আয়োজক সংস্থা হিসাবে। তবুও রাজ্যপালকে দেখা গেল কলকাতায় বিজ্ঞান কংগ্রেসের জন্য কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সচিব টি রামস্বামীকে ধন্যবাদ দিতে। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বোস ইনস্টিটিউট সহযোগী আয়োজক সংস্থার ভূমিকা পালন করছে। তবে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শতবর্ষের বিজ্ঞান কংগ্রেসের সাধারণ সভাপতি তাই অর্থের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সহায়তার সামান্য ত্রুটি থাকছে না। আর এখানেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আর বোস ইনস্টিটিউটের ভূমিকা শুধুই নামে পরিণত হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সুরঞ্জন দাস কিংবা বোস ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ডঃ শিবাজী রাহা নিজেরাই অতিথির মতো ঘোরাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাপট বাড়তে থাকায় বিধাননগরে আয়োজিত পাঁচদিনের বিজ্ঞান কংগ্রেসে এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠানের যোগদান ঠিক কী হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। সাধারণ সভাপতির আসনে থাকা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি, কেন্দ্রীয় যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিবাল, রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ অন্যান্যরা। পাঁচদিনের বিজ্ঞান কংগ্রেসের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত থাকবেন পাঁচজন নোবেল বিজয়ী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভিঙ্কি রামকৃষ্ণাণ, রাজেন্দ্র পাচৌরি। সেই সঙ্গে গণিতে নোবেল বলে খ্যাত 'এবেল' পুরস্কার বিজয়ী শ্রীনিবাস ভারাধন। তাইওয়ান, জাপান, আমেরিকার নোবেল বিজয়ীদের সঙ্গে ২০টি দেশ থেকে ৬০জন বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদরা শততম বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দেবেন। শতবর্ষের জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসকে স্মরণীয় করে রাখতে কপিল সিবাল ডাকটিকিটের উদ্ধোধন করবেন। 

২০১২সালে ভুবনেশ্বরে ৯৯তম জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে মহিলা বিজ্ঞানীদের নিয়ে শুরু হয়েছিল জাতীয় মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন। এবারেও ৪ঠা জানুয়ারি বিধাননগরের এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস-এ বসবে তিনদিনের জাতীয় মহিলা বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন। উদ্ধোধন করবেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি। ঐ অধিবেশনের অঙ্গ হিসাবে আগামীকাল উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি 'দ্য ব্যালান্সিং অ্যাক্ট' নামে মহিলা বিজ্ঞানীদের জীবনী সংবলিত একটি বই উদ্বোধন করবেন। এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস—এই ৪ঠা জানুয়ারি বসবে তিনদিনের শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস। শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। 

বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে আগামীকাল দেশের চতুর্থ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতি ঘোষণা করা হবে। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি। দেশের ইতিহাসে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির চতুর্থ জাতীয় নীতি ঠিক কী তা নিয়ে গোটা দেশ আগামীকাল বিজ্ঞান কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে থাকবে। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জয়পাল রেড্ডি জানিয়েছেন, চতুর্থ জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতির নামকরণ করা হয়েছে 'সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন পলিসি'। 

এবারের নতুন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতি যে পুরোদস্তুর বাণিজ্যমুখী হতে চলেছে তা এদিন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সচিব টি রামমূর্তি তাঁর ভাষণে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার গবেষণায় শুধু টাকা দিয়েই চলবে না, এবারে নতুন খোঁজকে বাণিজ্যিকীকরণ করা চেষ্টা চলবে। সোজা কথায় নতুন খোঁজকে বিশ্ববাজারে বিক্রির চেষ্টা চালানো হবে। ২০০৩ সালে জাতীয় বিজ্ঞান মঞ্চের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই দেশের তৃতীয় এবং শেষ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। এরপর চলে গেছে ১০বছর। আবারও ২০১৩সালের বিজ্ঞান মঞ্চ থেকে দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নীতি ঘোষিত হতে চলছে। জাতীয় রূপরেখা কী হচ্ছে তা নিয়ে অপেক্ষায় আছে দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহল।

http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=34230


  1. No nuclear power plant at Haripur: West Bengal government ...

    17 Aug 2011 – KOLKATA: The West Bengal government today said it will not allow the proposed nuclear power plant at Haripur in East Midnapore district.
  2. Haripur nuclear power plant becomes bone of contention

    10 Feb 2010 – The people of Haripur, West Bengal, are angry. A nuclear power plantthey don't want is being thrust on them and their land is being taken ...
  3. West Bengal government rules out Haripur nuclear project - The Hindu

    17 Aug 2011 – The West Bengal government has ruled out the nuclear power plant atHaripur in the State's Purba Medinipur district. Replying to questions in ...
  4. haripur nuclear power plant-এর চিত্র

     - চিত্রগুলি রিপোর্ট করুন
  5. Whither Haripur? – Nuclear energy option splits CPI(M) higher-ups ...

    www.dianuke.org/whither-haripur-nuclear-energy-option-splits-cpim...
    12 May 2012 – The Nuclear Power Corporation Ltd includes Haripur, a coastal village of... district, West Bengal, among the several new nuclear power plants.
  6. Lessons from the Haripur anti-nuclear struggle — DiaNuke.org

    www.dianuke.org/lessons-from-the-haripur-anti-nuclear-struggle/
    7 Sep 2012 – The strong resistance against the proposed Haripur nuclear power plant in the Indian state of West Bengal has forced the state government to ...
  7. cndp-press-release-on-scrapping-of-proposed-nuclear-power-plant ...

    19 Aug 2012 – Scrapping of Proposed Nuclear Power Plant in Haripur, West Bengal The Coalition for Nuclear Disarmament and Peace (CNDP) takes note of ...
  8. Nuclear power in India - Wikipedia, the free encyclopedia

    en.wikipedia.org/wiki/Nuclear_power_in_India
    By 2020, India's installed nuclear power generation capacity will increase to 20,000.... facility near the town of Haripur that intended to host six Russian reactors.
    আপনি পৃষ্ঠাটি 2বার দেখেছেন৷ সর্বশেষ সাক্ষাৎ: 2/13/11
  9. A report from Haripur, site of the proposed nuclear power plant at ...

    A report from Haripur, site of the proposed nuclear power plant. Source : Naba Dutta, General Secretary - Nagarik Mancha. The news spread like wild-fire.
    আপনি পৃষ্ঠাটি 2বার দেখেছেন৷ সর্বশেষ সাক্ষাৎ: 3/11/10
  10. Land-grabbing turns India's nuclear fight into a struggle for democracy

    13 Nov 2012 – Also read: Why I continue to fight the nuclear plant next door. To Talwar and to the villagers in Haripurnuclear power is nothing special – it is ...


  11. Haripur Nuclear power plant - India.Com

    www.india.com/topic/Haripur-Nuclear-power-plant.html
    Haripur Nuclear power plant - Get latest news on Haripur Nuclear power plant. Read stories & articles on Haripur Nuclear power plant updated and published at ...

    Kudankulam: Celebration of struggle starts this New Year

    January 1, 2013

    Press Release: 30th December 2012

    Thousands of people, brought together by the spirit of resistance, democracy and freedom gathered on the beaches of Southern Tamil Nadu- in the coastal villages of Tirunelveli. Idinthakarai village, which has been the nucleus of the Kudankulam anti-nuclear power plant struggle, welcomed hundreds of people who have come to celebrate New Year with the local communities spearheading the People's Movement Against Nuclear Energy (PMANE).

    Groups from West Bengal, Jharkhand, Chhattisgarh, Uttar Pradesh, Uttarakhand, Delhi, Odisha, Maharashtra, Gujarat, Madhya Pradesh, Andhra Pradesh, Karnataka, Goa, Pondicherry, Kerala and other regions of Tamil Nadu have assembled to salute the valiant struggle of the local people against the Kudankulam nuclear project. The local people represented the coastal villages of Idinthakarai, Kudankulam, Vairavikinaru, Kuthankuzhi, Koottappuli and Perumanal.

    The program was inaugurated by the drummers of Janwadi Sanskrutik Andolan, Odisha which got the children and youth of the local villages along with the visiting groups tapping to their beats. Fr. F. Jayakumar, parish priest of the Idinthakarai Lourde Matha Church extended a warm welcome to the visiting people. Dr. S.P. Udayakumar, an active member of the PMANE struggle committee thanked all the people who travelled long distances to come to Idinthakarai, to spend the New Year eve with the struggling people.

    "The second phase of our struggle began on the 16th of August 2011. More than 500 days since, we have sustained this struggle against the worst odds, facing extreme repression unleashed by the undemocratic and insensitive Indian state. We wish to remind Sonia Gandhi, Jayalalitha, Dr. Manmohan Singh, Karunanidhi and other such political leaders that this struggle will continue till our last breath. The last child of Kudankulam area also will resist this destruction of our land, livelihood and natural resources", said Dr. S.P. Udayakumar. The inaugural session also witnessed release of a painting, made by Madurai based artists, depicting the mowing down of the Kudankulam plant by the struggling people led by children and women.

    Testimonials by different movement groups, fighting different destructive developmental projects in different parts of the country, is planned in the next two days of the celebration gathering. Along with this, songs, dances, theatre performances, painting, sportive events, etc. have been planned to make the two day celebration of the 'New Year 2013 @ Kudankulam: Celebrating Resistance, Asserting Freedom', a memorable experience for both visiting and the local people.

    People from various walks of life including Dr. Binayak Sen, Adv. Prashant Bhushan, Admiral (Rtd) Ramdas, Achin Vinaik, Adv. Colin Gonsalves, Praful Bidwai, Gabriela Dietrich, Ashim Roy, Lalita Ramdas, Anil Choudhary, Ajitha George, Dr. Meher Engineer, T. Peter, CR Neelakandan, Sr. Celia, Vilayodi Venugopal, Laha Gopalan, and others are scheduled to address the national and local media from Lourde Matha Church premises at Idinthakarai at 3 pm on the 31st December 2012. They will be joined by local movement representatives including Dr. S P Udayakumar, Malar Manickam, Pushparayan and others.

    Today, the visiting dignitaries and groups visited the coastal villages and interacted with local villagers. Villagers cited the experiences in the struggle, from the early days in late 1980s to the latest police repression and martyrdom of local people – while in the struggle. The visiting groups were also shown the plant site and its proximity to the villages. It was clear that the plant existed in clear violation of internationally set practices of setting safe nuclear reactors, away from areas of human habitation – along with AERB norms.

    Background to the event: All through 2012, Kudankulam – the now famous epicentre of anti-nuclear struggle in Tamil Nadu, India – was in the news for the local people's valiant fight against the nuclear power plant. The place became renowned for the militancy of the local fishing communities, the clashes they had with police and the kind of state repression the people had to bear, despite being a democratic and peaceful struggle. It was also in the news for the loss of ecology and livelihood that will affect the local people, if the plant was commissioned. The Indian state has rubbished their struggle and with support from the state run atomic department scientists, setting aside the concerns of the local communities as 'unscientific apprehensions' and 'baseless fears'. However, to the dismay of many, the local people in thousands, continue to believe that their ongoing struggle shall succeed and that the nuclear plant will not be commissioned in their neighbourhood, which will destroy their lives, livelihood and the marine ecology they depend upon.

    Press Conference on 31st December will be held at Lourde Matha Church Premises, Idinthakarai at 3 pm.

    For details contact: Magline (09495531555), Bhargavi (09999563950) & Lakshmi (09791009160)


U.S.–India Civil Nuclear Agreement

From Wikipedia, the free encyclopedia
U.S. President George W. Bush and India's Prime MinisterManmohan Singh exchange handshakes in New Delhi on March 2, 2006.

The 123 Agreement signed between the United States of America and theRepublic of India is known as the U.S.-India Civil Nuclear Agreement orIndo-US nuclear deal.[1] The framework for this agreement was a July 18, 2005, joint statement by Indian Prime Minister Dr. Manmohan Singh and thenU.S. President George W. Bush, under which India agreed to separate its civil and military nuclear facilities and to place all its civil nuclear facilities underInternational Atomic Energy Agency (IAEA) safeguards and, in exchange, the United States agreed to work toward full civil nuclear cooperation with India.[2]This U.S.-India deal took more than three years to come to fruition as it had to go through several complex stages, including amendment of U.S. domestic law, specially the Atomic Energy Act of 1954,[3] a civil-military nuclearSeparation Plan in India, an India-IAEA safeguards (inspections) agreement and the grant of an exemption for India by the Nuclear Suppliers Group, an export-control cartel that had been formed mainly in response to India's first nuclear test in 1974. In its final shape, the deal places under permanent safeguards those nuclear facilities that India has identified as "civil" and permits broad civil nuclear cooperation, while excluding the transfer of "sensitive" equipment and technologies, including civil enrichment and reprocessing items even under IAEA safeguards. On August 18, 2008 the IAEA Board of Governors approved,[4] and on February 2, 2009, India signed an India-specific safeguards agreement with the IAEA.[5] Once India brings this agreement into force, inspections began in a phased manner on the 35 civilian nuclear installations India has identified in its Separation Plan.[6] The deal is seen as a watershed in U.S.-India relations and introduces a new aspect to international nonproliferation efforts.[7] On August 1, 2008, the IAEA approved the safeguards agreement with India,[8]after which the United States approached the Nuclear Suppliers Group (NSG) to grant a waiver to India to commence civilian nuclear trade.[9] The 45-nation NSG granted the waiver to India on September 6, 2008 allowing it to access civilian nuclear technology and fuel from other countries.[10] The implementation of this waiver made India the only known country with nuclear weapons which is not a party to the Non Proliferation Treaty (NPT) but is still allowed to carry out nuclear commerce with the rest of the world.[11]

The US House of Representatives passed the bill on September 28, 2008.[12] Two days later, India and France inked a similar nuclear pact making France the first country to have such an agreement with India.[13] On October 1, 2008 the US Senate also approved the civilian nuclear agreement allowing India to purchase nuclear fuel and technology from the United States.[14][15] U.S. President, George W. Bush, signed the legislation on the Indo-US nuclear deal, approved by the U.S. Congress, into law, now called the United States-India Nuclear Cooperation Approval and Non-proliferation Enhancement Act, on October 8, 2008.[16] The agreement was signed by then Indian External Affairs Minister Pranab Mukherjee and his counterpart then Secretary of State Condoleezza Rice, on October 10.[17][18]

Contents

  [hide

[edit]Overview

The Henry J. Hyde United States-India Peaceful Atomic Energy Cooperation Act of 2006, also known as the Hyde Act, is the U.S. domestic law that modifies the requirements of Section 123 of the U.S. Atomic Energy Act to permit nuclear cooperation with India[19]and in particular to negotiate a 123 Agreement to operationalize the 2005 Joint Statement. As a domestic U.S. law, the Hyde Act is binding on the United States. The Hyde Act cannot be binding on India's sovereign decisions although it can be construed as prescriptive for future U.S. reactions. As per the Vienna Convention, an international agreement such as the 123 Agreement cannot be superseded by an internal law such as the Hyde Act.[20][21][22]

The 123 agreement defines the terms and conditions for bilateral civilian nuclear cooperation, and requires separate approvals by theU.S. Congress and by Indian cabinet ministers. According to the Nuclear Power Corporation of India, the agreement will help India meet its goal of adding 25,000 MW of nuclear power capacity through imports of nuclear reactors and fuel by 2020.[23]

After the terms of the 123 agreement were concluded on July 27, 2007,[24] it ran into trouble because of stiff opposition in India from thecommunist allies of the ruling United Progressive Alliance.[25] The government survived a confidence vote in the parliament on July 22, 2008 by 275–256 votes in the backdrop of defections by some parties .[26] The deal also had faced opposition from non-proliferation activists, anti-nuclear organisations, and some states within the Nuclear Suppliers Group.[27][28] In February 2008, U.S. Secretary of State Condoleezza Rice said that any agreement would be "consistent with the obligations of the Hyde Act".[29] The bill was signed on October 8, 2008.

[edit]Background

Parties to the Non Proliferation Treaty (NPT) have a recognized right of access to peaceful uses of nuclear energy and an obligation to cooperate on civilian nuclear technology. Separately, the Nuclear Suppliers Group has agreed on guidelines for nuclear exports, including reactors and fuel. Those guidelines condition such exports on comprehensive safeguards by the International Atomic Energy Agency, which are designed to verify that nuclear energy is not diverted from peaceful use to weapons programs. Though neither India, Israel, nor Pakistan have signed the NPT, India argues that instead of addressing the central objective of universal and comprehensive non-proliferation, the treaty creates a club of "nuclear haves" and a larger group of "nuclear have-nots" by restricting the legal possession of nuclear weapons to those states that tested them before 1967, who alone are free to possess and multiply their nuclear stockpiles.[30] India insists on a comprehensive action plan for a nuclear-free world within a specific time-frame and has also adopted a voluntary "no first use policy".

Led by the U.S., other states have set up an informal group, the Nuclear Suppliers Group (NSG), to control exports of nuclear materials, equipment and technology.[31] Consequently, India was left outside the international nuclear order, which forced India to develop its own resources for each stage of the nuclear fuel cycle and power generation, including next generation reactors such as fast breeder reactors and a thorium breeder reactor[32][33] known as the Advanced Heavy Water Reactor. In addition to impelling India to achieve success in developing these new reactor technologies, the sanctions also provided India with the impetus to continue developing its own nuclear weapons technology with a specific goal of achieving self-sufficiency for all key components for weapons design, testing and production.

Given that India is estimated to possess reserves of about 80,000–112,369 tons of uranium,[34] India has more than enough fissile material to supply its nuclear weapons program, even if it restricted Plutonium production to only 8 of the country's 17 current reactors, and then further restricted Plutonium production to only 1/4 of the fuel core of these reactors.[35] According to the calculations of one of the key advisers to the US Nuclear deal negotiating team, Ashley Tellis:[35]

Operating India's eight unsafeguarded PHWRs in such a [conservative] regime would bequeath New Delhi with some 12,135–13,370 kilograms of weapons-grade plutonium, which is sufficient to produce between 2,023–2,228 nuclear weapons over and above those already existing in the Indian arsenal. Although no Indian analyst, let alone a policy maker, has ever advocated any nuclear inventory that even remotely approximates such numbers, this heuristic exercise confirms that New Delhi has the capability to produce a gigantic nuclear arsenal while subsisting well within the lowest estimates of its known uranium reserves.

However, because the amount of nuclear fuel required for the electricity generation sector is far greater than that required to maintain a nuclear weapons program, and since India's estimated reserve of uranium represents only 1% of the world's known uranium reserves, the NSG's uranium export restrictions mainly affected Indian nuclear power generation capacity. Specifically, the NSG sanctions challenge India's long term plans to expand and fuel its civilian nuclear power generation capacity from its current output of about 4GWe (GigaWatt electricity) to a power output of 20GWe by 2020; assuming the planned expansion used conventional Uranium/Plutonium fueled heavy water and light water nuclear power plants.

Consequently, India's nuclear isolation constrained expansion of its civil nuclear program, but left India relatively immune to foreign reactions to a prospective nuclear test. Partly for this reason, but mainly due to continued unchecked covert nuclear and missile proliferation activities between Pakistan, China[36][37] and North Korea,[38][39] India conducted five more nuclear tests in May, 1998 atPokhran.

India was subject to international sanctions after its May 1998 nuclear tests. However, due to the size of the Indian economy and its relatively large domestic sector, these sanctions had little impact on India, with Indian GDP growth increasing from 4.8% in 1997–1998 (prior to sanctions) to 6.6% (during sanctions) in 1998–1999.[40] Consequently, at the end of 2001, the Bush Administration decided to drop all sanctions on India.[41] Although India achieved its strategic objectives from the Pokhran nuclear tests in 1998,[42] it continued to find its civil nuclear program isolated internationally.

[edit]Rationale behind the agreement

[edit]Nuclear non-proliferation

The proposed civil nuclear agreement implicitly recognizes India's "de facto" status even without signing the NPT. The Bush administration justifies a nuclear pact with India because it is important in helping to advance the non-proliferation framework[43] by formally recognizing India's strong non-proliferation record even though it has not signed the NPT. The former Under Secretary of State of Political Affairs, Nicholas Burns, one of the architects of the Indo-U.S. nuclear deal said "India's trust, its credibility, the fact that it has promised to create a state-of-the-art facility, monitored by the IAEA, to begin a new export control regime in place, because it has not proliferated the nuclear technology, we can't say that about Pakistan." when asked whether the U.S. would offer a nuclear deal with Pakistan on the lines of the Indo-U.S. deal.[44][45][46] Mohammed ElBaradei, former head of the International Atomic Energy Agency, which would be in charge of inspecting India's civilian reactors has praised the deal as "it would also bring India closer as an important partner in the nonproliferation regime".[47] The reaction in the Western academic community was mixed. While some authors praised the agreement as bringing India closer to the NPT regime, others argued that it gave India too much leeway in determining which facilities were to be safeguarded and that it effectively rewarded India for continuously defying the Non-Proliferation Treaty by not acceding to it.[48]

[edit]Economic considerations

Financially, the U.S. also expects that such a deal could spur India's economic growth and bring in $150 billion in the next decade for nuclear power plants, of which the U.S. wants a share.[49] It is India's stated objective to increase the production of nuclear power generation from its present capacity of 4,780 MWe to 20,000 MWe in the next decade. However, the developmental economic advising firm Dalberg, which advises the IMF and the World Bank, moreover, has done its own analysis of the economic value of investing in nuclear power development in India. Their conclusion is that for the next 20 years such investments are likely to be far less valuable economically or environmentally than a variety of other measures to increase electricity production in India.[citation needed] They have noted that U.S. nuclear vendors cannot sell any reactors to India unless and until India caps third party liabilities or establishes a credible liability pool to protect U.S. firms from being sued in the case of an accident or a terrorist act of sabotage against nuclear plants. Although India's parliament passed The Civil Liability for Nuclear Damages bill on August 25, 2010,[50][51] the legislation does not meet international standards for nuclear liability as set forth in the Convention on Supplementary Compensation for Nuclear Damage, because it allows the operator to sue the supplier in case of an accident due to technical defects in the plant.[52] After theFukushima Daiichi Nuclear Power Plant in Japan, issues relating to the safety of operating nuclear power plants, compensation in the event of a radiation-leak accident, disaster clean-up costs, operator responsibility and supplier liability has once again come into the spot-light.

[edit]Strategic

Since the end of the Cold WarThe Pentagon, along with certain U.S. ambassadors such as Robert Blackwill, has requested increased strategic ties with India and a de-hyphenization of Pakistan with India, i.e. having separate policies toward India and Pakistan rather than just an "India-Pakistan" policy. The United States also sees India as a viable counter-weight to the growing influence of China,[citation needed] and a potential client and job creator.[53]

While India is self-sufficient in thorium, possessing 25% of the world's known and economically viable thorium,[54] it possesses a meager 1% of the similarly calculated global uranium reserves.[55] Indian support for cooperation with the U.S. centers on the issue of obtaining a steady supply of sufficient energy for the economy to grow. Indian opposition to the pact centers on the concessions that would need to be made, as well as the likely de-prioritization of research into a thorium fuel cycle if uranium becomes highly available given the well understood utilization of uranium in a nuclear fuel cycle.

[edit]Passing of Agreement

On March 2, 2006 in New Delhi, George W. Bush and Manmohan Singh signed a Civil Nuclear Cooperation Agreement, following an initiation during the July 2005 summit in Washington between the two leaders over civilian nuclear cooperation.[56]

Heavily endorsed by the White House, the agreement is thought to be a major victory to George W. Bush's foreign policy initiative and was described by many lawmakers as a cornerstone of the new strategic partnership between the two countries.[57] The agreement is widely considered to help India fulfill its soaring energy demands and boost U.S. and India into a strategic partnership. The Pentagon speculates this will help ease global demand for crude oil and natural gas.

On August 3, 2007, both the countries released the full text of the 123 agreement.[58] Nicholas Burns, the chief negotiator of the India-United States nuclear deal, said the U.S. has the right to terminate the deal if India tests a nuclear weapon and that no part of the agreement recognizes India as a nuclear weapons state.[59]

[edit]Hyde Act Passage in the U.S.

On December 18, 2006 President George W. Bush signed the Hyde Act into law. The Act was passed by an overwhelming 359–68 in the United States House of Representatives on July 26 and by 85–12 in the United States Senate on November 16 in a strong show of bipartisan support.[60][61][62]

The House version (H.R. 5682) and Senate version (S. 3709) of the bill differed due to amendments each had added before approving, but the versions were reconciled with a House vote of 330–59 on December 8 and a Senate voice-vote on December 9 before being passed on to President G.W. Bush for final approval.[63][64] The White House had urged Congress to expedite the reconciliation process during the end-2006 lame duck session, and recommended removing certain amendments which would be deemed deal-killers by India.[65] Nonetheless, while softened, several clauses restricting India's strategic nuclear program and conditions on having India align with U.S. views over Iran were incorporated in the Hyde Act.

In response to the language Congress used in the Act to define U.S. policy toward India, President Bush, stated "Given the Constitution's commitment to the authority of the presidency to conduct the nation's foreign affairs, the executive branch shall construe such policy statements as advisory," going on to cite sections 103 and 104 (d) (2) of the bill. To assure Congress that its work would not be totally discarded, Bush continued by saying that the executive would give "the due weight that comity between the legislative and executive branches should require, to the extent consistent with U.S. foreign policy."[66]

[edit]Political opposition in India

The Indo-US civilian nuclear agreement was met with stiff opposition by some political parties and activists in India. Although many mainstream political parties including the Congress(I) supported the deal along with regional parties like Dravida Munnetra Kazhagamand Rashtriya Janata Dal its realization ran into difficulties in the face of stiff political opposition in India. Also, in November 2007, former Indian Military chiefs, bureaucrats and scientists drafted a letter to Members of Parliament expressing their support for the deal.[67]However, opposition and criticism continued at political levels. The Samajwadi Party (SP) which was with the Left Front in opposing the deal changed its stand after discussing with ex-president of India and scientist Dr A P J Abdul Kalam. The SP then supported the government and the deal. The Indian Government survived a vote of confidence by 275–256 after the Left Front withdrew their support to the government over this dispute.[68] Incidentally, results showed ten MP's belonging to the opposing BJP party cross-voting in the favor of the government.

As details were revealed about serious inconsistencies between what the Indian parliament was told about the deal, and the facts about the agreement that were presented by the Bush administration to the US Congress, opposition grew in India against the deal. In particular, portions of the agreement dealing with guaranteeing India a fuel supply or allowing India to maintain a strategic reserve of nuclear fuel appear to be diametrically opposed to what the Indian parliament was led to expect from the agreement:

Prime Minister Manmohan Singh's statement in parliament is totally at variance with the Bush Administration's communication to the House Foreign Affairs Committee, which says India will not be allowed to stockpile such nuclear fuel stocks as to undercut American leverage to re-impose sanctions. To drive home this point, it says the 123 Agreement is not inconsistent with the Hyde Act's stipulation—the little-known 'Barack Obama Amendment' – that the supply of nuclear fuel should be "commensurate with reasonable operating requirements". The 'strategic reserve' that is crucial to India's nuclear program is, therefore, a non-starter.[69] Furthermore, the agreement, as a result of its compliance with the Hyde Act, contained a direct linkage between shutting down US nuclear trade with India and any potential future Indian nuclear weapons test, a point that was factually inconsistent with explicit reassurances made on this subject by Prime Minister, Manmohan Singh, during final parliamentary debate on the nuclear deal. As professor Brahma Chellaney, an expert in strategic affairs and one of the authors of the Indian Nuclear Doctrine[70], explained:

While the Hyde Act's bar on Indian testing is explicit, the one in the NSG waiver is implicit, yet unmistakable. The NSG waiver is overtly anchored in NSG Guidelines Paragraph 16, which deals with the consequence of "an explosion of a nuclear device". The waiver's Section 3(e) refers to this key paragraph, which allows a supplier to call for a special NSG meeting, and seek termination of cooperation, in the event of a test or any other "violation of a supplier-recipient understanding". The recently leaked Bush administration letter to Congress has cited how this Paragraph 16 rule will effectively bind India to the Hyde Act's conditions on the pain of a U.S.-sponsored cut-off of all multilateral cooperation. India will not be able to escape from the U.S.-set conditions by turning to other suppliers.[71]

[edit]Indian parliament vote

On July 9, 2008, India formally submitted the safeguards agreement to the IAEA.[72] This development came after the Prime Minister of India Manmohan Singh returned from the 34th G8 summit meeting in Hokkaido, Japan, where he met with U.S. President George W. Bush.[73] On June 19, 2008, news media reported that Indian Prime Minister Dr. Manmohan Singh threatened to resign his position if the Left Front, whose support was crucial for the ruling United Progressive Alliance to prove its majority in the Indian parliament, continued to oppose the nuclear deal and he described their stance as irrational and reactionary.[74] According to the Hindu, External Affairs Minister Pranab Mukherjee's earlier statement said "I cannot bind the government if we lose our majority,"[75] implying that United Progressive Alliance government would not put its signature on any deal with IAEA if it lost the majority in either a 'opposition-initiated no-confidence motion' or if failing to muster a vote of confidence in Indian parliament after being told to prove its majority by the president. On July 8, 2008, Prakash Karat announced that the Left Front is withdrawing its support to the government over the decision by the government to go ahead on the United States-India Peaceful Atomic Energy Cooperation Act. The left front had been a staunch advocate of not proceeding with this deal citing national interests.[76]

On July 22, 2008 the UPA faced its first confidence vote in the Lok Sabha after the Communist Party of India (Marxist) led Left Front withdrew support over India approaching the IAEA for Indo-U.S. nuclear deal. The UPA won the confidence vote with 275 votes to the opposition's 256, (10 members abstained from the vote) to record a 19-vote victory.[77][78][79][80]

[edit]IAEA approval

The IAEA Board of Governors approved the safeguards agreement on August 1, 2008, and the 45-state Nuclear Suppliers Group next had to approve a policy allowing nuclear cooperation with India. U.S. President Bush can then make the necessary certifications and seek final approval by the U.S. Congress.[81] There were objections from Pakistan, Iran, Ireland, Norway, Switzerland, and Austria at the IAEA meeting.[82]

[edit]NSG waiver

On September 6, 2008 India was granted the waiver at the NSG meeting held in Vienna, Austria. The consensus was arrived at after overcoming misgivings expressed by Austria, Ireland, and New Zealand and is an unprecedented step in giving exemption to a country which has not signed the NPT and the Comprehensive Test Ban Treaty (CTBT)[83][84] The Indian team who worked on the deal includesManmohan SinghPranab MukherjeeShivshankar MenonShyam SaranMK NarayananAnil KakodkarRavi Grover, and DB Venkatesh Varma.[83]

[edit]Versions of U.S. draft exemption

On August 2008 U.S. draft exemption would have granted India a waiver based on the "steps that India has taken voluntarily as a contributing partner in the non-proliferation regime".[85] Based on these steps, and without further conditions, the draft waiver would have allowed for the transfer to India of both trigger list and dual-use items (including technology), waiving the full-scope safeguards requirements of the NSG guidelines.[86]

A September 2008 waiver would have recognized additional "steps that India has voluntarily taken."[87] The waiver called for notifying the NSG of bilateral agreements and for regular consultations; however, it also would have waived the full-scope safeguards requirements of the NSG guidelines without further conditions.[86]

The U.S. draft underwent further changes in an effort to make the language more acceptable to the NSG.[88]

[edit]Initial support and opposition

The deal had initial support from the United States, the United Kingdom,[89] France,[90] Japan,[91] Russia,[92] and Germany.[93][94] After some initial opposition, there were reports of Australia,[95] Switzerland,[96] and Canada[97][98] expressing their support for the deal. Selig S. Harrison, a former South Asia bureau chief of The Washington Post, has said the deal may represent a tacit recognition of India as a nuclear weapon state,[99] while former U.S. Undersecretary of State for Arms Control and International Security Robert Joseph says the "U.S. State Department made it very clear that we will not recognize India as a nuclear-weapon state".[100]

Norway, Austria, Brazil, and Japan all warned that their support for India at the IAEA did not mean that they would not express reservations at the NSG. New Zealand, which is a member of the NSG but not of the IAEA Board of Governors, cautioned that its support should not be taken for granted.[28] Ireland, which launched the non-proliferation treaty process in 1958 and signed it first in 1968, doubted India's nuclear trade agreement with the U.S.[101] Russia, a potentially large nuclear supplier to India, expressed reservations about transferring enrichment and reprocessing technology to India.[102] China argued the agreement constituted "a major blow to the international non-proliferation regime".[103] New Zealand said it would like to see a few conditions written in to the waiver: the exemption ceasing if India conducts nuclear tests, India signing the International Atomic Energy Agency's (IAEA) additional protocol, and placing limits on the scope of the technology that can be given to India and which could relate to nuclear weapons.[104] Austria, Ireland, the Netherlands, Switzerland and Scandinavian countries proposed similar amendments.[105] The nuclear deal was opposed by former U.S. president Jimmy Carter, who opined that the U.S. would be making "a dangerous deal with India"[106]

After the first NSG meeting in August 2008, diplomats noted that up to 20 of the 45 NSG states tabled conditions similar to the Hyde Act for India's waiver to do business with the NSG.[107] "There were proposals on practically every paragraph," a European diplomat said.[107] A group of seven NSG members suggested including some of the provisions of the U.S. Hyde Act in the final waiver.[108]Daryll Kimball, executive director of the Washington-based Arms Control Association, said the NSG should at a minimum "make clear that nuclear trade with India shall be terminated if it resumes testing for any reason. If India cannot agree to such terms, it suggests that India is not serious about its nuclear test moratorium pledge."[109]

[edit]Reactions following the waiver

After India was granted the waiver on September 6, the United Kingdom said that the NSG's decision would make a "significant contribution" to global energy and climate security.[110] U.S. National Security Council spokesman Gordon Johndroe said, "this is a historic achievement that strengthens global non-proliferation principles while assisting India to meet its energy requirements in an environmentally friendly manner. The United States thanks the participating governments in the NSG for their outstanding efforts and cooperation to welcome India into the global non-proliferation community. We especially appreciate the role Germany played as chair to move this process forward."[111] New Zealand praised the NSG consensus and said that it got the best possible deal with India.[112]One of India's strongest allies Russia said in a statement, "We are convinced that the exemption made for India reflects Delhi's impeccable record in the non-proliferation sphere and will guarantee the peaceful uses of nuclear exports to India."[113] Australian Foreign Minister Stephen Smith said that the NSG granted waiver because of "India's rise as a global power" and added, "If such a request was made for another country, I don't think it would have been cleared by the NSG members."[114] During his visit to India in September 2008, Smith said that Australia "understood and respected India's decision not to join the Non-Proliferation Treaty".[115]German Foreign Ministry spokesman Jens Ploetner called India a "special case" and added, "Does this agreement send an approving message to Iran? No, it absolutely does not."[116]

Initially, there were reports of People's Republic of China analyzing the extent of the opposition against the waiver at the NSG and then revealing its position over the issue.[117] On September 1, 2008, prominent Chinese newspaper People's Daily expressed its strong disapproval of the civilian agreement with India.[118] India's National Security Advisor remarked that one of the major opponents of the waiver was China and said that he would express Indian government's displeasure over the issue.[119] It was also revealed that China had abstained during the final voting process, indicating its non-approval of the nuclear agreement.[120] In a statement, Chinese delegation to the NSG said the group should address the aspirations of other countries too, an implicit reference to Pakistan.[121] There were also unconfirmed reports of India considering the cancellation of a state visit by Chinese Foreign Minister Yang Jiechi.[122]However, External Affairs Minister Pranab Mukherjee said the Chinese Foreign Minister will be welcomed "as an honored guest".[123]The Times of India noted that China's stance could have a long-term implication on Sino-Indian relations.[124]

There were some other conflicting reports on China's stance, however. The Hindu reported that though China had expressed its desire to include more stern language in the final draft, they had informed India about their intention to back the agreement.[125] In an interview to the Hindustan Times, Chinese Assistant Foreign Minister Hu Zhengyue said that "China understands India's needs for civil nuclear energy and related international cooperation."[126] Chinese Foreign Minister Yang Jiechi told India's CNN-IBN, "We didn't do anything to block it [the deal]. We played a constructive role. We also adopted a positive and responsible attitude and a safeguards agreement was reached, so facts speak louder ... than some reports".[127] During a press conference in New Delhi, Yang added, "The policy was set much before that. When consensus was reached, China had already made it clear in a certain way that we have no problem with the [NSG] statement."[128] Highlighting the importance of Sino-Indian relations, Yang remarked, "let us [India and China] work together to move beyond doubts to build a stronger relationship between us."[129]

[edit]Indian reactions

Indian PM Manmohan Singh visited Washington D.C. on September 26, 2008 to celebrate the conclusion of the agreement with U.S. President George W. Bush.[130] He also visited France to convey his appreciation for the country's stance.[131] India's External Affairs Minister Pranab Mukherjee expressed his deep appreciation for India's allies in the NSG, especially the United States, United Kingdom, France, Russia, Germany, South Africa and Brazil for helping India achieve NSG's consensus on the nuclear deal.[132]

Bhartiya Janata Party's Yashwant Sinha, who also formerly held the post of India's External Affairs Minister, criticized the Indian government's decision to seek NSG's consensus and remarked that "India has walked into the non-proliferation trap set by the U.S., we have given up our right to test nuclear weapons forever, it has been surrendered by the government".[133] However, another prominent member of the same party and India's former National Security Advisor Brajesh Mishra supported the development at the NSG and said that the waiver granted made "no prohibition" on India to conduct nuclear tests in the future.[134]

A leading advocate of the agreement was India's most eminent strategic affairs analyst K. Subrahmanyam, also known for his long and controversial championing of an Indian nuclear deterrent.[135] He argued that the convergence of strategic interests between the two nations forced such a remarkable gesture from the US, overturning its decades-long stand on non-proliferation, and that it would be unwise on India's part to spurn such an overture.[136] He also argued that not recognizing new geo-political realities would be even more foolhardy on the part of the Indian elite.[137][138]

Former President of India and noted Indian scientist, APJ Abdul Kalam, also supported the agreement and remarked that New Delhi may break its "voluntary moratorium" on further nuclear tests in "supreme national interest".[139] However, analyst M K Bhadrakumar demurred. He said that the consensus at NSG was achieved on the "basis" of Pranab Mukherjee's commitment to India's voluntary moratorium on nuclear testing and by doing so, India has entered into a "multilateral commitment" bringing it within "the ambit of the CTBT and NPT".[140]

The NSG consensus was welcomed by several major Indian companies. Major Indian corporations like Videocon GroupTata Powerand Jindal Power saw a $40 billion (U.S.) nuclear energy market in India in the next 10–15 years.[141] On a more optimistic note, some of India's largest and most well-respected corporations like Bharat Heavy Electricals LimitedNational Thermal Power Corporation andLarsen & Toubro were eyeing a $100 billion (U.S.) business in this sector over the same time period.[141] According to Hindustan Times, nuclear energy will produce 52,000 MW of electricity in India by 2020.[142]

[edit]Other reactions over the issue

More than 150 non-proliferation activists and anti-nuclear organizations called for tightening the initial NSG agreement to prevent harming the current global non-proliferation regime.[143] Among the steps called for were:[27]

  • ceasing cooperation if India conducts nuclear tests or withdraws from safeguards
  • supplying only an amount of fuel which is commensurate with ordinary reactor operating requirements
  • expressly prohibiting the transfer of enrichment, reprocessing, and heavy water production items to India
  • opposing any special safeguards exemptions for India
  • conditioning the waiver on India stopping fissile production and legally binding itself not to conduct nuclear tests
  • not allowing India to reprocess nuclear fuel supplied by a member state in a facility that is not under permanent and unconditional IAEA safeguards
  • agreeing that all bilateral nuclear cooperation agreements between an NSG member-state and India explicitly prohibit the replication or use of such technology in any unsafeguarded Indian facilities

The call said that the draft Indian nuclear "deal would be a nonproliferation disaster and a serious setback to the prospects of global nuclear disarmament" and also pushed for all world leaders who are serious about ending the arms race to "to stand up and be counted."[27]

Dr. Kaveh L Afrasiabi, who has taught political science at Tehran University, has argued the agreement will set a new precedent for other states, adding that the agreement represents a diplomatic boon for Tehran.[144] Ali Ashgar Soltanieh, the Iranian Deputy Director General for International and Political Affairs,[145] has complained the agreement may undermine the credibility, integrity and universality of the Nuclear Nonproliferation Treaty. Pakistan argues the safeguards agreement "threatens to increase the chances of a nuclear arms race in the subcontinent."[146] Pakistani Foreign Minister Shah Mahmood Qureshi has suggested his country should be considered for such an accord,[147] and Pakistan has also said the same process "should be available as a model for other non-NPT states".[148] On July 19, 2010, U.S. Secretary of State Hillary Clinton countered Pakistan statements by saying that Pakistan's checkered history on nuclear proliferation "raises red flags" regarding nuclear cooperation with Pakistan.[149] Israel is citing the Indo-U.S. civil nuclear deal as a precedent to alter Nuclear Suppliers Group (NSG) rules to construct its first nuclear power plant in the Negev desert, and is also pushing for its own trade exemptions.[150]

Brahma Chellaney, a Professor of Strategic Studies at the New Delhi-based Centre for Policy Research, argued that the wording of the U.S. exemption sought to irrevocably tether New Delhi to the nuclear non-proliferation regime. He argued India would be brought under a wider non-proliferation net, with India being tied to compliance with the entire set of NSG rules. India would acquiesce to its unilateral test moratorium being turned into a multilateral legality. He concluded that instead of the "full" civil nuclear cooperation that the original July 18, 2005, deal promised, India's access to civil nuclear enrichment and reprocessing technologies would be restricted through the initial NSG waiver.[151]

[edit]Consideration by U.S. Congress

The Bush Administration told Congress in January 2008 that the United States may cease all cooperation with India if India detonates a nuclear explosive device. The Administration further said it was not its intention to assist India in the design, construction, or operation of sensitive nuclear technologies through the transfer of dual-use items.[152] The statements were considered sensitive in India because debate over the agreement in India could have toppled the government of Prime Minister Manmohan Singh. The State Department had requested they remain secret even though they were not classified.[153] Secretary of State Condoleezza Rice also previously told the House Foreign Affairs Panel in public testimony that any agreement would "have to be completely consistent with the obligations of the Hyde Act".[29] Assistant Secretary of State for South and Central Asian Affairs Richard Boucher and the Former Assistant Secretary of State for Legislative Affairs Jeffrey Bergner also said the agreement would be in conformity with the Hyde Act.[154]

Howard Berman, chair of the U.S. House Foreign Affairs Committee, in a letter to U.S. Secretary of State Condoleezza Rice warned that an NSG waiver "inconsistent" with the 2006 Hyde Act would "jeopardise" the Indo-U.S. nuclear deal in the U.S. Congress.[155]Edward J. Markey, co-chairman of the House Bipartisan Task Force on Non-proliferation, said that there needed to be clear consequences if India broke its commitments or resumed nuclear testing.[156]

[edit]Passage in Congress

On September 28, 2008 the US House of Representatives voted 298–117 to approve the Indo-US nuclear deal.[157] On October 1, 2008 the US Senate voted 86–13 to approve the Indo-US nuclear deal.[158] The Arms Control Association said the agreement fails to make clear that an Indian nuclear test would prompt the U.S. to cease nuclear trade;[158] however, Secretary of State Condoleezza Rice said that any nuclear test by India would result in the "most serious consequences," including automatic cut-off of U.S. cooperation as well as a number of other sanctions.[159]

After Senate approval, US President George W. Bush said the deal would "strengthen our global nuclear nonproliferation efforts, protect the environment, create jobs, and assist India in meeting its growing energy needs in a responsible manner."[160] Then-US presidential candidates Barack Obama and John McCain, as well as then-Vice Presidential candidate Joe Biden, voted in support of the bill.[161]

[edit]Formal signing of the deal

There was speculation the Indo-US deal would be signed on October 4, 2008 when U.S. Secretary of State Condoleezza Rice was in India. The deal was to be inked by Indian External Affairs Minister Pranab Mukherjee and U.S. Secretary of State Condoleezza Rice. The two leaders were to sign the deal at 2 pm at the Hyderabad House in New Delhi.[162] But Mr. Mukherjee announced that India would wait for the US President to sign the 123 agreement legislation first into law and address India's concerns on fuel supply guarantees and the legal standing of the 123 agreement in the accompanying signing statement.[163]

Ms Rice was aware of the Indian decision before she left Washington. But she was very hopeful that the deal would be signed as the US state department had said that the President's signature was not prerequisite for Rice to ink the deal.[164] Rice had earlier said that there were still a number of administrative details to be worked out even as she insisted that the US would abide by the Hyde Act on the testing issue:

Secretary Rice and Indian Minister for External Affairs Pranab Mukherjee after signing the 123 agreement in Washington on October 10, 2008.

"There are a lot of administrative details that have to be worked out. This (the deal) was only passed in our Congress two days ago. The President is looking forward to signing the bill, sometime, I hope, very soon, because we'll want to use it as an opportunity to thank all of the people who have been involved in this," said Rice.[165]

In Washington, a Senate Democratic aide said that such a delay was not that unusual because legislation needed to be carefully reviewed before being sent to the White House.[166]

US President George W Bush signed the legislation on the Indo-US nuclear deal into law on October 8.[16] The new law, called the United States-India Nuclear Cooperation Approval and Non-proliferation Enhancement Act, was signed by President Bush at a brief White House function in the presence of the Secretary of State Condoleezza Rice, Energy Secretary Samuel Bodman, Vice-President Dick Cheney and the Indian Ambassador to the U.S. Ronen Sen besides a large gathering of other dignitaries.[167] The final administrative aspect of the deal was completed after Secretary of State Condoleezza Rice and External Affairs Minister Pranab Mukherjee signed the bilateral instruments of the 123 Agreement in Washington on October 10 paving the way for operationalization of the deal between the two countries.[168] [169]

[edit]Chronology of the Indo-US Nuclear Deal

July 18, 2005: President Bush and Prime Minister Singh first announce their intention to enter into a nuclear agreement in Washington.

March 1, 2006: Bush visits India for the first time.

March 3, 2006: Bush and Singh issue a joint statement on their growing strategic partnership, emphasising their agreement on civil nuclear cooperation.

July 26, 2006: The US House of Representatives passes the 'Henry J Hyde United States-India Peaceful Atomic Energy Cooperation Act of 2006,' which stipulates that Washington will cooperate with New Delhi on nuclear issues and exempt it from signing the Nuclear Nonproliferation Treaty.

July 28, 2006: In India, the Left parties demand threadbare discussion on the issue in Parliament.

November 16, 2006: The US Senate passes the 'United States-India Peaceful Atomic Energy Cooperation and US Additional Protocol Implementation Act' to "exempt from certain requirements of the Atomic Energy Act of 1954 United States exports of nuclear materials, equipment, and technology to India."

December 18, 2006: President Bush signs into law congressional legislation on Indian atomic energy.

July 27, 2007: Negotiations on a bilateral agreement between the United States and India conclude.

Aug 3, 2007: The text of the 'Agreement for Cooperation between the Government of the United States of America and the Government of India concerning peaceful uses of nuclear energy' (123 Agreement) is released by both governments.

Aug 13, 2007: Prime Minister Manmohan Singh makes a suo motu statement on the deal in Parliament.

Aug 17, 2007: The CPI(M) General Secretary Prakash Karat says the 'honeymoon (with government) may be over but the marriage can go on'.

Sept 4, 2007: In India, the UPA-Left committee to discuss nuclear deal set up.

Feb 25, 2008: Left parties in India say the ruling party would have to choose between the deal and its government's stability.

March 3–6, 2008: Left parties warn of 'serious consequences' if the nuclear deal is operationalised and set a deadline asking the government to make it clear by March 15 whether it intended to proceed with the nuclear deal or drop it.

March 7–14, 2008: The CPI writes to the Prime Minister Singh, warns of withdrawal of support if government goes ahead with the deal and puts political pressure on the Manmohan Singh government not to go with the deal.

April 23, 2008: The Indian Government says it will seek the sense of the House on the 123 Agreement before it is taken up for ratification by the American Congress.

June 17, 2008: External Affairs Minister Pranab Mukherjee meets Prakash Karat, asks the Left to allow the government to go ahead with International Atomic Energy Agency (IAEA) safeguards agreement.

June 30, 2008: The Indian Prime Minister says his government prepared to face Parliament before operationalising the deal.

July 8, 2008: Left parties in India withdraw support to government.

July 9, 2008: The draft India-specific safeguards accord with the IAEA circulated to IAEA's Board of Governors for approval.

July 10, 2008: Prime Minister Manmohan Singh calls for a vote of confidence in Parliament.

July 14, 2008: The IAEA says it will meet on August 1 to consider the India-specific safeguards agreement.

July 18, 2008: Foreign Secretary Shivshankar Menon briefs the IAEA Board of Governors and some NSG countries in Vienna on the safeguards agreement.

July 22, 2008: Government is willing to look at "possible amendments" to the Atomic Energy Act to ensure that the country's strategic autonomy will never be compromised, says Prime Minister Singh.

July 22, 2008: The UPA government led by Manmohan Singh wins trust vote in the Lok Sabha in India.

July 24, 2008: India dismisses warning by Pakistan that the deal will accelerate an atomic arms race in the sub-continent.

July 24, 2008: India launches full blast lobbying among the 45-nation NSG for an exemption for nuclear commerce.

July 25, 2008: IAEA secretariat briefs member states on India-specific safeguards agreement.

Aug 1, 2008: IAEA Board of Governors adopts India- specific safeguards agreement unanimously.

Aug 21–22, 2008: The NSG meet to consider an India waiver ends inconclusively amid reservations by some countries.

Sep 4–6, 2008: The NSG meets for the second time on the issue after the US comes up with a revised draft and grants waiver to India after marathon parleys.

Sept 11, 2008: President Bush sends the text of the 123 Agreement to the US Congress for final approval.

Sept 12, 2008: US remains silent over the controversy in India triggered by President Bush's assertions that nuclear fuel supply assurances to New Delhi under the deal were only political commitments and not legally binding.

Sept 13, 2008: The State Department issues a fact sheet on the nuclear deal saying the initiative will help meet India's growing energy requirements and strengthen the non- proliferation regime by welcoming New Delhi into globally accepted nonproliferation standards and practices.

Sept 18, 2008: The Senate Foreign Relations Committee kicks off a crucial hearing on the Indo-US nuclear deal.

Sept 19, 2008: America's nuclear fuel supply assurances to India are a "political commitment" and the government cannot "legally compel" US firms to sell a "given product" to New Delhi, top officials tells Congressional panel.

Sept 21, 2008: US financial crisis diverts attention from N-deal as both the Bush Administration and the Congress are bogged down over efforts to rescue bankrupt American banks. financial crisis in the country.

Sept 26, 2008: PM Singh meets President Bush at the White House, but were not able to sign the nuclear deal as the Congress did not approve it.

Sept 27, 2008: House of Representatives approves the Indo-US nuclear deal. 298 members voted for the Bill while 117 voted against.

Oct 1, 2008: Senate approves the Indo-US civil nuclear deal with 86 votes for and 13 against.

Oct 4, 2008: Secretary of State Rice visits Delhi. India and the US unable to ink the nuclear agreement with New Delhi insisting that it would do so only after President Bush signs it into a law, an occasion when it expects certain misgivings to be cleared.

Oct 4, 2008: White House announces that President Bush will sign the legislation on the Indo-US nuclear deal into a law on October 8.

Oct 8, 2008: President Bush signs legislation to enact the landmark US-India civilian nuclear agreement.

Oct 10, 2008: The 123 Agreement between India and US is finally operationalized between the two countries after the deal is signed by External Affairs Minister Pranab Mukherjee and his counterpart Secretary of State Condoleezza Rice in Washington D C.

[edit]See also

[edit]References

  1. ^ Sultan, Maria; Mian Behzad Adil (September, 2008). "The Henry J. Hyde Act and 123 Agreement: An Assessment"(PDF). South Asian Strategic Stability Institute, London. Retrieved August 21, 2011.
  2. ^ Office of the Press Secretary (June 18, 2005). "Joint Statement Between President George W. Bush and Prime Minister Manmohan Singh"Home > News & Policies > July 2005. The White House. Retrieved August 21, 2011.
  3. ^ Vice President of the United States and President of the Senate.; Speaker of the House of Representatives. (Tuesday, January 3, 2006). "''Henry J. Hyde United States-India Peaceful Atomic Energy Cooperation Act of 2006''". The federal government of the United States of America.
  4. ^ IAEA Board Approves India-Safeguards Agreement
  5. ^ India Safeguards Agreement Signed
  6. ^ Unattributed (July 25, 2008). "Communication dated July 25, 2008 received from the Permanent Mission of India concerning a document entitled "Implementation of the India-United States Joint Statement of July 18, 2005: India's Separation Plan" (INFCIRC/731)" (pdf). International Atomic Energy Agency. Retrieved August 21, 2011.
  7. ^ Bajoria, Jayshree (November 5, 2010). "The U.S.-India Nuclear Deal"http://www.cfr.org.
  8. ^ "IAEA approves India nuclear inspection deal – International Herald Tribune"International Herald Tribune. Retrieved October 2, 2008.
  9. ^ "outlookindia.com | wired". Outlookindia.com. Retrieved October 2, 2008.
  10. ^ "Dateline Vienna: Thirty words that saved the day". Siddharth Varadarajan. Retrieved October 1, 2012.
  11. ^ 3 hours ago (3 hours ago). "AFP: India energized by nuclear pacts". Google. Retrieved October 2, 2008.
  12. ^ "House of Reps clears N-deal, France set to sign agreement-USA-World-The Times of India"The Times of India. September 29, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  13. ^ "India, France ink nuclear deal, first after NSG waiver"The Indian Express. Retrieved October 2, 2008.
  14. ^ Rajghatta, Chidanand (October 2, 2008). "Finally, it's done: India back on the nuclear train-USA-World-The Times of India"The Times of India. Retrieved October 2, 2008.
  15. ^ "Senate approves nuclear deal with India". CNN. October 1, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  16. a b "Bush signs bill on N-deal on October 8". United States Office of the Press Secretary. October 8, 2008. Retrieved October 8, 2008.
  17. ^ Done Deal: India, US seal landmark nuclear pact CNN-IBN
  18. ^ Secretary of State Condoleezza Rice and Indian Minister of External Affairs Pranab Mukherjee At the Signing of the U.S.-India Civilian Nuclear Cooperation Agreement
  19. ^ http://frwebgate.access.gpo.gov/cgi-bin/getdoc.cgi?dbname=109_cong_bills&docid=f:h5682enr.txt.pdf
  20. ^ The Indo-U.S. nuclear debate from www.gulfnews.com
  21. ^ ITGD Bureau. "India Today – India's most widely read magazine". Indiatoday.digitaltoday.in. Retrieved October 2, 2008.
  22. ^ "War of words & world views-India-The Times of India"The Times of India. July 22, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  23. ^ "At G-8, Singh, Bush reaffirm commitment to nuclear deal - Economy and Politics". Retrieved July 11, 2008.
  24. ^ "India and US confirm nuclear pact"BBC News. July 27, 2007. Retrieved May 5, 2010.
  25. ^ India: Government crisis deepens over U.S. nuclear deal
  26. ^ "Indian government survives vote". BBC News. July 22, 2008. Retrieved July 23, 2008.
  27. a b c Arms Control Association: "Decision Time on the Indian Nuclear Deal: Help Avert a Nonproliferation Disaster"
  28. a b Center for Arms Control and Non-Proliferation: U.S.-India Nuclear Energy Deal: What's Next?
  29. a b Economic Times of India: Hyde Act will haunt nuclear deal at NSG too
  30. ^ "Embassy of India: Nuclear Non-proliferation". Retrieved June 1, 2006.
  31. ^ "Nuclear Suppliers Group".
  32. ^ "A Thorium Breeder Reactor".
  33. ^ "India unveils 'world's safest nuclear reactor'".
  34. ^ "P.18, paragraph 1, Tellis, Ashley, "Atoms for War? U.S.-Indian Civilian Nuclear Cooperation and India's Nuclear Arsenal""(PDF).
  35. a b "P.31-P.36, Tellis, Ashley, "Atoms for War? U.S.-Indian Civilian Nuclear Cooperation and India's Nuclear Arsenal""(PDF).
  36. ^ Vergano, Dan (August 29, 2008). "Report says China offered widespread help on nukes"USA Today. Retrieved May 5, 2010.
  37. ^ "Against nuclear apartheid".
  38. ^ "Bermudez, Joseph S. Jr. 1998. A History of Ballistic Missile Development in the DPRK".
  39. ^ "Pakistan's Nuclear Weapons Program – 1998: The Year of Testing".
  40. ^ "Achieving 9% Growth Rate in India: A Growth Paradigm".
  41. ^ "U.S. Ready to End Sanctions on India to Build an Alliance".
  42. ^{http://www3.interscience.wiley.com/journal/118726909/abstract?CRETRY=1&SRETRY=0}
  43. ^ "Condoleezza Rice Paks a proliferation punch"The Economic Times (India). July 26, 2008. Retrieved August 3, 2008.
  44. ^ [1][dead link]
  45. ^ "Russia hints at smooth sail for India at IAEA". Ibnlive.com. Retrieved October 2, 2008.
  46. ^ http://209.85.175.104/search?q=cache:nlT8QsQA48QJ:www.ipcs.org/countIssueBrief.jsp%3Fissue%3D31+india+willing+to+sin+npt+as+a+nuclear+weapons+state&hl=en&ct=clnk&cd=6&gl=in
  47. ^ VandeHei, Jim; Linzer, Dafna (March 3, 2006). "U.S., India Reach Deal On Nuclear"The Washington Post. Retrieved March 3, 2006.
  48. ^ Müller, Jörn (2009). "The Signing of the U.S.-India Agreement Concerning Peaceful Uses of Nuclear Energy". Göttingen Journal of International Law. pp. 179–198. Retrieved April 5, 2009.
  49. ^ Linzer, Dafna (July 20, 2005). "Bush Officials Defend India Nuclear Deal"The Washington Post. Retrieved July 20, 2005.
  50. ^ [|PTI Correspondent] (August 26, 2010). "Nuclear liability bill to bring in more investment: US media"The Times of India.
  51. ^ [|PTI Correspondent] (August 25, 2010). "Lok Sabha passes Nuclear Liability Bill"The Times of India.
  52. ^ India's Nuclear Liability Dilemma, by Ashley Tellis, Carnegie Endowment for International Peace, Interviewed by Jayshree Bajoria, Staff Writer, CFR.org, November 4, 2010.
  53. ^ PTI Correspondent (February 18, 2010). "US wants Indian businesses to create jobs in America"The Times of India.
  54. ^ "Information and Issue Briefs – Thorium". World Nuclear Association. Retrieved June 1, 2006.
  55. ^ "UIC Nuclear Issues Briefing Paper No. 75 – Supply of Uranium". Uranium Information Center. Archived from the original on April 27, 2006. Retrieved June 1, 2006.
  56. ^ "Bush, India's Singh Sign Civil Nuclear Cooperation Agreement". USINFO – International Information Programs. Retrieved March 2, 2006.
  57. ^ "U.S. House votes for nuclear deal"The Hindu (Chennai, India). July 28, 2006. Retrieved July 29, 2006.
  58. ^ "U.S. and India Release Text of 123 Agreement". Archived from the original on July 9, 2008. Retrieved July 11, 2008.
  59. ^ U.S. can terminate N-deal if India conducts tests: Nicholas Burns
  60. ^ "Bush Welcomes Senate Approval of U.S.-India Nuclear Agreement". USINFO – International Information Programs. Retrieved November 17, 2006.
  61. ^ "H.R. 5682: House Vote 411: Jul 26, 2006 (109th Congress)". GovTrack. Retrieved July 26, 2006.
  62. ^ "H.R. 5682: Senate Vote 270: Nov 16, 2006 (109th Congress)". GovTrack. Retrieved November 16, 2006.
  63. ^ "Congress Passes U.S.-India Civilian Nuclear Cooperation Bill". USINFO – International Information Programs. Retrieved December 9, 2006.
  64. ^ "H.R. 5682: House Vote 541: Dec 8, 2006 (109th Congress)". GovTrack. Retrieved December 8, 2006.
  65. ^ "Nuclear deal with U.S. made easier for India to digest".Hindustan Times. Retrieved November 9, 2006.
  66. ^ "Hyde Act not binding, says Bush". CNN-IBN. Retrieved December 19, 2006.
  67. ^ "IndianExpress.com :: 'The question is can we get a better n-deal? No&#x2019". Retrieved July 11, 2008.
  68. ^ "Indian government survives vote"BBC News. July 22, 2008. Retrieved November 25, 2011.
  69. ^ "The Pioneer > Columnists"The Pioneer. India. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  70. ^ "Brahma Chellaney a strategic affairs expert, is a professor at the Centre for Policy Research. He was one of the authors of the nuclear doctrine submitted to the government for finalisation". rediff.com. Retrieved October 10, 2008.
  71. ^ "Stagecraft and Statecraft: India's retarded nuclear deterrent". Chellaney.spaces.live.com. Retrieved 2008-10-02.
  72. ^ Text of India-IAEA Safeguards Agreement
  73. ^ "India submits draft safeguards pact to IAEA"The Times of India. July 9, 2008. Retrieved July 8, 2008.
  74. ^ "PM wants to quit over nuclear deal". Retrieved July 11, 2008.
  75. ^ Varadarajan, Siddharth (July 9, 2008). "India sends safeguards agreement to IAEA Board"The Hindu (Chennai, India). Retrieved July 8, 2008.
  76. ^ "The Hindu News Update Service". Chennai, India. July 8, 2008. Retrieved July 11, 2008.
  77. ^ Sengupta, Somini (July 23, 2007). "Indian Government Survives Confidence Vote"The New York Times. Retrieved May 5, 2010.
  78. ^ Indian gov't wins trust vote in parliament_English_Xinhua
  79. ^ Default
  80. ^ Post trust vote victory, India Govt. to move forward with reforms, nuclear deal – International Business Times
  81. ^ "IAEA board gets India's safeguards agreement". rediff.com. July 9, 2008. Retrieved July 8, 2008.
  82. ^ N-deal: Getting NSG nod may not be easy
  83. a b "NSG CLEARS NUCLEAR WAIVER FOR INDIA". CNN-IBN. September 6, 2008. Retrieved September 6, 2008.
  84. ^ "INDIA JOINS NUCLEAR CLUB, GETS NSG WAIVER". NDTV.com. September 6, 2008. Retrieved September 6, 2008.
  85. ^ Carnegie Endowment (August 2008): Text of U.S. NSG Proposal on India
  86. a b NSG Guidelines
  87. ^ Arms Control Association (September 2008): Revised Indo-U.S. NSG Draft
  88. ^ Khabrein: U.S. plans nuclear rewrite to build NSG consensus
  89. ^ "UK backs India's nuke energy ambitions"The Australian. January 23, 2008.
  90. ^ "France to back India at IAEA meet-India-The Times of India"The Times of India. July 15, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  91. ^ India Times: Japan to recognise India as nuclear state
  92. ^ "Russia, India Close on Nuclear Deal". Moscowtimes.ru. February 13, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  93. ^ German leader: Much scope for India-Germany cooperation on peaceful nuclear energy – International Herald Tribune
  94. ^ "Germany for end to India's N-isolation"The Hindu(Chennai, India). October 23, 2007.
  95. ^ RTTNews – Political News and Chatter, World Political News, Forex News, Earnings Revisions
  96. ^ "Switzerland to support India's case at NSG- Politics/Nation-News-The Economic Times". Economictimes.indiatimes.com. August 17, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  97. ^ "Canada, India exploring ways to co-operate in nuclear energy"PTI – The Press Trust of India Ltd. October 10, 2007.
  98. ^ Times of India: Canada behind U.S., Britain in wooing India, says expert
  99. ^ Harrison, Selig S. (April 23, 2006). "How to Regulate Nuclear Weapons"The Washington Post. Retrieved May 5, 2010.
  100. ^ Arms Control Today (May 2006): Interview With Undersecretary of State for Arms Control and International Security Robert Joseph
  101. ^ "India's N-deal hurdle: Pak warns of arms race". CNN IBN. July 24, 2008. Retrieved July 24, 2008.
  102. ^ Times of India: India's NSG battle to focus on nuclear tech
  103. ^ Times of India: India sees red as China voices n-deal concerns
  104. ^ "NZ wants conditions written into nuclear agreement".National Business ReviewNZPA. August 20, 2008. Retrieved November 25, 2011.
  105. ^ Gulf Times: NSG 'will seek clear conditions'
  106. ^ Carter, Jimmy (March 29, 2006). "A Dangerous Deal With India"The Washington Post. Retrieved May 5, 2010.
  107. a b Daily Times: Nuclear suppliers propose terms for U.S.-India deal
  108. ^ Telegraph: Vienna blow to nuclear deal
  109. ^ AFP: Nuclear suppliers fail to reach consensus on U.S.-India deal
  110. ^ Sep 6, 2008 (September 6, 2008). "AFP: Britain hails landmark US-India nuclear deal". Google. Retrieved October 2, 2008.
  111. ^ "U.S., India welcome NSG's agreement to lift nuclear trade embargo on India_English_Xinhua". News.xinhuanet.com. Retrieved October 2, 2008.
  112. ^ "New Zealand compromises on India nuclear deal_English_Xinhua". News.xinhuanet.com. Retrieved October 2, 2008.
  113. ^ "The Hindu : International : Russia welcomes NSG waiver for India"The Hindu (Chennai, India). September 9, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  114. ^ "'India got the waiver because of its rise as global power'-India-The Times of India"The Times of India. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  115. ^ "India understands uranium stance: Smith – ABC News (Australian Broadcasting Corporation)". Australia: ABC. September 12, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  116. ^ DW Staff (jen). "Germany Grudgingly Accepts Landmark Nuclear Deal with India | Europe | Deutsche Welle | 09.09.2008". Dw-world.de. Retrieved October 2, 2008.
  117. ^ "NDTV.com: China, the main spoiler". Ndtv.com. Retrieved October 2, 2008.
  118. ^ "China state paper lashes India-U.S. nuclear deal | Markets | Reuters". In.reuters.com. September 1, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  119. ^ "China was India's secret enemy at Vienna | What NSA says". Ibnlive.com. Retrieved October 2, 2008.
  120. ^ http://www.hindustantimes.com/StoryPage/StoryPage.aspx?id=2beddd13-7339-4bcf-8484-83f7b7e2e8c6&ParentID=725c91cd-5ecf-44c4-8e4f-d5bd5791c1e4&&Headline=China+says+it+backs+India's+N-ambitions
  121. ^ "NSG should address aspirations of others too: China".The Indian Express. Retrieved October 2, 2008.
  122. ^ "India runs into the great wall of China at NSG". Ibnlive.com. Retrieved October 2, 2008.
  123. ^ "Will discuss NSG U-turn with China Foreign Min: NSA". Ibnlive.com. Retrieved October 2, 2008.
  124. ^ "Beijing 'disappoints' Delhi-India-The Times of India"The Times of India. September 7, 2008. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  125. ^ "The Hindu : Front Page : Waiver enables member states to provide India full civil nuclear cooperation"The Hindu(Chennai, India). September 7, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  126. ^ http://www.hindustantimes.com/StoryPage/StoryPage.aspx?sectionName=&id=2beddd13-7339-4bcf-8484-83f7b7e2e8c6&&Headline=China+says+it+backs+India's+N-ambitions&strParent=strParentID
  127. ^ "China denies blocking India's nuclear waiver bid | Markets | Reuters". Uk.reuters.com. September 8, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  128. ^ "We decided to back India in NSG before Vienna meeting: China- Hindustan Times"Hindustan Times. Retrieved October 2, 2008.
  129. ^ "Let's move beyond doubts to build ties: China to India – Express India"The Indian Express. Retrieved October 2, 2008.
  130. ^ "Manmohan arrives in Washington, to meet Bush". Thaindian News. Retrieved October 10, 2008.
  131. ^ "Manmohan leaves for home winding up 9 day US, France visit"The Hindu (Chennai, India). October 1, 2008. Retrieved October 10, 2008.
  132. ^ "India thanks NSG's Big Four for 'unique' waiver". Sify.com. Retrieved October 2, 2008.
  133. ^ "Gulf Daily News". Gulf-daily-news.com. Retrieved October 2, 2008.
  134. ^ "The Hindu : National : Advantage India, says Brajesh Mishra"The Hindu (Chennai, India). September 7, 2008. Retrieved October 2, 2008.
  135. ^ Sengupta, Somini (December 10, 2006). "Interests Drive U.S. to Back a Nuclear India"The New York Times. Retrieved May 5, 2010.
  136. ^http://www.aerospaceindia.org/Journals/Monsoon%202005/Indo-US%20Relations%20in%20a%20Changing%20World.pdf
  137. ^ http://www.rediff.com/news/2007/oct/13ndeal.htm
  138. ^http://www.samachaar.in/Politics/Stalling_nuclear_deal_will_be_a_historical_mistake_23244/
  139. ^ Hindustan Times: N-deal, NSG waiver good for country
  140. ^ "Asia Times Online :: South Asia news, business and economy from India and Pakistan". Atimes.com. Retrieved October 2, 2008.
  141. a b "India Inc sets eyes on $40 bn nuclear energy market- Indicators-Economy-News-The Economic Times". Economictimes.indiatimes.com. September 9, 2008. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  142. ^ Laxman, Srinivas (September 11, 2008). "N-trade: It's a $40 billion opportunity-India-The Times of India"The Times of India. Retrieved October 2, 2008.
  143. ^ The Hindu: Tighten draft waiver for India
  144. ^ Afrasiabi: Iran heartened by India's nuclear vote
  145. ^ Second Meeting of Experts of The Biological and Toxin Weapons Convention (July 2004): Statement By His Excellency Dr. Ali-Asghar Soltanieh
  146. ^ Forbes: India moves a step closer to U.S. nuclear pact
  147. ^ ISIS (July 2008): "Press Trust of India – India dismisses Pak talk of arms race due to N-deal"
  148. ^ Permanent Mission of Pakistan to the International Organizations (July 2008): Letter from Pakistan to the IAEA Board of Governors and Nuclear Suppliers Group
  149. ^ Clinton woos Pakistan on security, aid, Reuters, July 19, 2010.
  150. ^ Hindustan Times: Now, Israel wants NSG rules changed
  151. ^ "Serious implications for India in NSG draft". In.rediff.com. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  152. ^ Indian Express: Was India misled by America on nuclear deal?
  153. ^ Washington Post: In Secret Letter, Tough U.S. Line on India Nuclear Deal
  154. ^ Department of State: Answers to questions about Indo-U.S. nuclear agreement
  155. ^ "N-deal will be consistent with US domestic law"The Hindu (Chennai, India). August 8, 2008.
  156. ^ Economic Times of India: Congressional approval may not be automatic; dissenters speak out
  157. ^ Times of India: US House approves Indo-US nuke deal
  158. a b Bloomberg: Bush Wins Approval in Congress for Priority India Atomic Accord
  159. ^ The Hindu: Nuclear test will have serious consequences
  160. ^ "Bush hails Senate passage of Indo-US nuclear deal-USA-World-The Times of India"The Times of India. Retrieved October 2, 2008.[dead link]
  161. ^ Rice hails approval of India nuclear deal
  162. ^ "N-deal faces last-minute glitch". Deccan Harald.
  163. ^ "Condoleezza Rice leaves without inking deal"Economic Times (India). October 5, 2008.
  164. ^ Sunday Times (October 5, 2008), "Rice is here but deal still not on table", Times of India
  165. ^ "Rice arrives, nuclear deal not to be signed today". NDTV.com.
  166. ^ "Rice in India, may not sign nuclear deal". Reuters. October 4, 2008.
  167. ^ "Bush signs India-U.S. nuclear bill into law"The Hindu(Chennai, India). October 10, 2008. Retrieved October 13, 2008.
  168. ^ Gollust, David (October 10, 2008). "US, India Sign Civilian Nuclear Accord". Voice Of America. Retrieved December 24, 2008.
  169. ^ Times of India (October 11, 2008), "India, US seal 123 Agreement", Times of India

[edit]External links

U.S. Government links
India Government links
IAEA links
Nuclear Suppliers Group links

No comments:

Post a Comment