মহাশ্বেতার বাড়িতে হঠাত্ মমতা, মানভঞ্জনের জল্পনা
এই সময় : চারদিক থেকে থেকে হাজার চুরাশির সমালোচনায় বিদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ মহাশ্বেতা দেবিকে জন্মদিনের 'আগাম' শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন বাড়ি গিয়ে৷ শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিবেক উত্সবের মঞ্চে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে সম্প্রীতির 'শপথে' আবদ্ধ হয়েই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি চলে যান মহাশ্বেতাদেবির বাড়ি৷ বাংলায় জমি আন্দোলনের ভিত গড়ার দিনগুলোয় মমতাকে যিনি সবচেয়ে বেশি প্রেরণা যুগিয়েছিলেন সেই অশাতিপর মহাশ্বেতা দেবি তৃণমূল সরকারের প্রতি বিরুপ হয়েছেন পরিবর্তনের কয়েকমাসের মাথায়৷ কলকাতার রাজপথে ঝোলানো, পরিবর্তনপন্থীদের সেই সুবিশাল কাটআউট থেকে সাম্প্রতিককালে চুপিসাড়ে খসে গিয়েছে অনেকগুলো মুখ৷ যে মুখগুলো মমতার বাম-খেদাও অভিযানে অনুঘটকের কাজ করেছিল বলে এখনও বিশ্বাস করে গোটা রাজ্য৷ বিধানসভা ভোটের আগে মহাশ্বেতাদেবির পথ অনুসরণ করে মমতার সঙ্গত দেওয়া কবীর সুমন, সমীর আইচ, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, সুনন্দ সান্যালরা এখন নিয়ম করে প্রকাশ্যে আফশোস করছেন৷ নাগরিক অনুতাপের এমন এক আবহে মমতা- মহাশ্বেতা একান্তে কী কথা বলতে পারেন তা নিয়ে বাংলার কৌতুহল থাকাই স্বাভাবিক৷ শনিবার দু'জনের পঁচিশ মিনিটের কথোপকথনের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বিদায় নেওয়ার পর মহাশ্বেতাদেবি বলেন, 'দু'দিন পর ১৪ জানুয়ারি আমার জন্মদিন৷ মমতা সেদিন আসতে পারবে না বলে আজ আমায় শুচ্ছো জানাতে এসেছিল৷ এটা একেবারেই সৌজন্যের খাতিরে৷ অন্য কোনও ব্যাপারে কথা হয়নি৷'
এ তো গেল বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রসঙ্গ৷ ঘরেও কি সুখে আছে তৃণমূল পরিবার? একদিকে নানা ইস্যুতে তৃণমূল ভবনের ম্যানেজারদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য৷ অন্যদিকে মন্ত্রিসভার ভিতরে বাইরে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের প্রকাশ্য মতানৈক্য৷ যে কোনও বিতর্কিত ইসুত্যে দলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা যে যার মতো মুখ খুলে, সমালোচনার সিংহদুয়ার খুলে দিচ্ছেন৷ অবশেষে ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামতে বাধ্য হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষেত্রবিশেষে অন্তবর্তী সময়টুকুতে তিল সমান ঘটনাও হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাল৷ এর শেষতম উদাহরণ রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বেফাঁস মন্তব্য৷ হলুদ কার্ড লালকার্ডের অপপ্রয়োগ দেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনে তাঁর সবচেয়ে আস্থাভাজন মন্ত্রী সুব্রতবাবুকে পর্যন্ত সেন্সর করতে বাধ্য হয়েছেন৷ ক'দিন আগে বিধানসভায় বিধায়কদের মারপিট নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলে ফেলেছিলেন, 'আমাদের সংখ্যা এত বেশি যে ওদের মারলে কি হবে কল্পনা করা যায় না৷' ঠিক তার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই পার্থবাবুকেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে, 'সংযম সংখ্যার উপর নির্ভর করে না৷' তারও আগে লোবাগ্রামে পুলিশের উপর গুলি চালানোর সব দায় চেপেছিল বীরভূমের এসপি এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসির ঘাড়ে৷ লোবার দলীয় মঞ্চ থেকেই ওসিকে বদলি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বছর ঘোরার পর থেকেই শাসকদলকে কেমন ছন্নছাড়া দেখাতে শুরু করেছে৷ ১৭ মাসের মাথায় তৃণমূলকে রাস্তায় নেমে দলের জনভিত্তির প্রমাণ দিতে হচ্ছে কেন সে প্রশ্নও উঠছে৷ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতে কলকাতায় সংঠিত শক্তিপ্রদর্শন করেও ১৯ তারিখ ধর্মতলায় ফের বড়সড় জমায়েতের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ মাত্র ক'দিন আগে সিপিএমের চির-ব্রাত্য কৃষক নেতা রেজ্জাক মোল্লা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একাই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন রাজপাটের কর্ণধারদের৷ ভাঙড়ে তৃণমূলের পোস্টার বয় আরাবুল ইসলামের 'অতিতত্পরতা' এবং তাতে দলের প্রকাশ্য শীলমোহর রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনকে পর্যন্ত বিচলিত করেছে৷ উলটে এ যাবত্ পরস্পরের মুখ দর্শনে নারাজ বুদ্ধ-রেজ্জাক হাতে হাত মেলানোর সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় বহুদিন পর জনতা দেখেছে আলিমুদ্দিনের ঐক্যের ফ্রেম৷ সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে বিব্রত তৃণমূল মুখে বিরোধীদের দূর ছাই করলেও কোনও মহলের সমালোচনাই উপেক্ষা করতে পারছে না৷ ভাঙড়কে কেন্দ্র করে বামফ্রন্ট শহরে পর পর দু'দিন বড় মিছিল করার পর সরকারি দলেরও পথে নামার চার বেড়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের৷ এর উপর আবার অচিরেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে শাসক শিবির৷ অবশ্য এর প্রতিক্রিয়ায় শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সময়কে বলেছেন,'কেন্দ্রীয় সরকার আগে নিজেদের মেয়াদটা থাকাম শাসক বিরোধীর রক্তপাত দূর থেকে দেখেই প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রাজ্যে বিশেষ পরিদর্শক দল পাঠানোর লিখিত আর্জি জানিয়ে বসে আছে৷ এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি যদি প্রশাসক মমতার বিন্দুমাত্র সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়ে ফেলেন তাহলে মহাকরণের অস্বস্তি বাড়তে পারে৷
এ তো গেল বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রসঙ্গ৷ ঘরেও কি সুখে আছে তৃণমূল পরিবার? একদিকে নানা ইস্যুতে তৃণমূল ভবনের ম্যানেজারদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য৷ অন্যদিকে মন্ত্রিসভার ভিতরে বাইরে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতাদের প্রকাশ্য মতানৈক্য৷ যে কোনও বিতর্কিত ইসুত্যে দলের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা যে যার মতো মুখ খুলে, সমালোচনার সিংহদুয়ার খুলে দিচ্ছেন৷ অবশেষে ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামতে বাধ্য হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষেত্রবিশেষে অন্তবর্তী সময়টুকুতে তিল সমান ঘটনাও হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাল৷ এর শেষতম উদাহরণ রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বেফাঁস মন্তব্য৷ হলুদ কার্ড লালকার্ডের অপপ্রয়োগ দেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনে তাঁর সবচেয়ে আস্থাভাজন মন্ত্রী সুব্রতবাবুকে পর্যন্ত সেন্সর করতে বাধ্য হয়েছেন৷ ক'দিন আগে বিধানসভায় বিধায়কদের মারপিট নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলে ফেলেছিলেন, 'আমাদের সংখ্যা এত বেশি যে ওদের মারলে কি হবে কল্পনা করা যায় না৷' ঠিক তার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই পার্থবাবুকেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে, 'সংযম সংখ্যার উপর নির্ভর করে না৷' তারও আগে লোবাগ্রামে পুলিশের উপর গুলি চালানোর সব দায় চেপেছিল বীরভূমের এসপি এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসির ঘাড়ে৷ লোবার দলীয় মঞ্চ থেকেই ওসিকে বদলি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
বছর ঘোরার পর থেকেই শাসকদলকে কেমন ছন্নছাড়া দেখাতে শুরু করেছে৷ ১৭ মাসের মাথায় তৃণমূলকে রাস্তায় নেমে দলের জনভিত্তির প্রমাণ দিতে হচ্ছে কেন সে প্রশ্নও উঠছে৷ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতে কলকাতায় সংঠিত শক্তিপ্রদর্শন করেও ১৯ তারিখ ধর্মতলায় ফের বড়সড় জমায়েতের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ মাত্র ক'দিন আগে সিপিএমের চির-ব্রাত্য কৃষক নেতা রেজ্জাক মোল্লা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একাই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন রাজপাটের কর্ণধারদের৷ ভাঙড়ে তৃণমূলের পোস্টার বয় আরাবুল ইসলামের 'অতিতত্পরতা' এবং তাতে দলের প্রকাশ্য শীলমোহর রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনকে পর্যন্ত বিচলিত করেছে৷ উলটে এ যাবত্ পরস্পরের মুখ দর্শনে নারাজ বুদ্ধ-রেজ্জাক হাতে হাত মেলানোর সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় বহুদিন পর জনতা দেখেছে আলিমুদ্দিনের ঐক্যের ফ্রেম৷ সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে বিব্রত তৃণমূল মুখে বিরোধীদের দূর ছাই করলেও কোনও মহলের সমালোচনাই উপেক্ষা করতে পারছে না৷ ভাঙড়কে কেন্দ্র করে বামফ্রন্ট শহরে পর পর দু'দিন বড় মিছিল করার পর সরকারি দলেরও পথে নামার চার বেড়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের৷ এর উপর আবার অচিরেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে শাসক শিবির৷ অবশ্য এর প্রতিক্রিয়ায় শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সময়কে বলেছেন,'কেন্দ্রীয় সরকার আগে নিজেদের মেয়াদটা থাকাম শাসক বিরোধীর রক্তপাত দূর থেকে দেখেই প্রদেশ কংগ্রেস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রাজ্যে বিশেষ পরিদর্শক দল পাঠানোর লিখিত আর্জি জানিয়ে বসে আছে৷ এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রতিনিধি যদি প্রশাসক মমতার বিন্দুমাত্র সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়ে ফেলেন তাহলে মহাকরণের অস্বস্তি বাড়তে পারে৷
No comments:
Post a Comment