Wednesday, June 19, 2013

সারদা কাণ্ডের তদন্তে এখনই সিবিআই নয়, রায় হাইকোর্টের

সারদা কাণ্ডের তদন্তে এখনই সিবিআই নয়, রায় হাইকোর্টের

কলকাতা: সারদা কেলেঙ্কারিতে এখনই সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে বিচারপতি একে বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি এমকে চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের গতিপ্রকৃতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত আপাতত চালিয়ে যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বাসবী রায়চৌধুরী। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে দাবি জানান যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে, এমনকি দেশের বাইরেও ও সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির জাল ছড়ানো। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়েই এই ঘটনার তদন্ত করানো হোক। সুদীপ্ত সেন ছাড়াও এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, তা নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আবেদনকারীর তরফে রাজ্য সরকারের তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হলেও, এই আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একজন আদালত বান্ধব নিয়োগ করা হয়। লক্ষ্মী গুপ্তা নামে সেই আদালত বান্ধবও সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত রাজ্য পুলিশের চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই মত দেন।


সারাদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে হেস্টিংস থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গত ১২ জুন সুদীপ্ত ও দেবযানীকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷ পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার দু'জনকে ফের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়৷ এদিন আদালতে সুদীপ্ত ও দেবযানীর আইনজীবীরা দু'জনের জামিনের আবেদন করেন৷ আদালতকে তাঁরা জানান, তদন্তে নতুন করে কোনও তথ্য পাওয়ার নেই৷ দীর্ঘদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার ফলে দু'জনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ যদিও জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী৷ দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সুদীপ্ত ও দেবযানীকে ২ তারিখ পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷
পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে সুদীপ্ত ও দেবযানীর স্বাক্ষরের নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ বুধবার ফের দু'জনকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের হাতে সারদাকাণ্ডের দুটি মামলায় জমা পড়া চার্জশিটের কপি তুলে দেওয়া হবে৷ পাশপাশি, বুধবার আরও একটি মামলায় চার্জশিট দাখিল করতে পারে বিধাননগর কমিশনারেট৷
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বারুইপুর থানার বেতবেড়িয়া অঞ্চলে এক লগ্নি সংস্থার এজেন্টের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ মতের নাম প্রশান্ত হালদার৷ পুলিশ সূত্রে খবর তিনি সানমার্গ ও সানন্দা নামে দুটি লগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিলেন৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক চাপের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি৷

No comments:

Post a Comment