সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম?
কিচ্ছু হবে না,যদিও সারদা কেলেন্কারিতে মমতার নাম উঠেই গেল এবং নিশানায় নবান্নের উঁচুতলা!
ক্ষমতার রাজনীতিতে সবাই কিন্তু মাসতুতো ভাই অথবা ভাযরা ভাই,ভাগে কম পড়ে না,অথচ কারো কিচ্ছু হয় না!
যেমন ইউপিএ জমানায় দস্যি গরু সামলে ঘর করেছেন মনমোহন সিংহ,পালে সিংহ দেখিয়ে সেই একই তালে আছেন মোদী বাবু।কারুর নোম্বাটিও ছেঁড়া হইবো না,কাগজ পড়ে রকে গুলতানি হইবো প্রবল।
যারা অন্ধ ভক্ত,তাঁদের কিচ্ছু যায় আসে না।
যারা অভক্ত অভুক্তও বটে,তাহাদের পিছন ঠিকানায় দম নাই।
পলাশ বিশ্বাস
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহুল আলোচিত অর্থ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে এবার নাম এসেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আগে বিরোধিতা করলেও কয়েকদিন আগে মমতা বলেছেন, তদন্তে সিবিআইকে যাবতীয় সহযোগিতা করবেন। কিন্তু গতকাল তার নাম আলোচনায় আসতেই তৃণমূলের শীর্ষনেতারা এখন উল্টো কথা বলছেন। তাদের অভিযোগ, সিবিআই তদন্তের লক্ষ্য এখন সারদার 'স্বার্থরক্ষা করা'। খবর আনন্দবাজারের। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে রেলের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের সঙ্গে যৌথ ব্যবসায় নেমেছিল সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের একটি প্রতিষ্ঠান। রেল ও সারদার সংস্থার মধ্যে ওই চুক্তি সম্পাদনে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতার এক ঘনিষ্ঠ আমলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই কর্মকর্তাসহ মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সশয় সারদা সংক্রান্ত সমস্ত লেনদেন খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। - See more at: http://dainikamadershomoy.com/details_news.php?id=165441&&%20page_id=%2066#sthash.ISoP0ITY.dpuf
ক্ষমতার রাজনীতিতে সবাই কিন্তু মাসতুতো ভাই অথবা ভাযরা ভাই,ভাগে কম পড়ে না,অথচ কারো কিচ্ছু হয় না!
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মিছিল করে বা হিন্দুত্বের জযধ্বনি দিয়ে জাতের নামে বজ্জাতি করে,বাংলায় দাঙ্গা রাজনীতির কুরুক্ষেত্র বাধিয়ে,আর যা হোক ঘুগুর বাসা ভাঙ্গা হইবো না বাছাধন
ছাপোষা বাঙ্গালি বিপ্লবী যত বড়,তার চেয়ে বড় ভীতুর ডিম
পাবে না,চোরা বাজারে খাবে কাছিম ডিম
ডাকাতের দোরে কবে সিমসিম
কেয়া পাতা খাজানা মিল ভি যাতা না যাতা
ঢ্যামনা সাপের বিষ হয় না
সিবিআই তদন্তে নেতা নেত্রীর সাজা হয় না
ফ্যাতাড়ু বোম্বাচাক বা কাঙাল মালসাট সাহিত্যে সিনেমায় হয়,তার পর আরো কুছ কুছ হোতা হায়,কমসকম,খবরের কাগজে আর সবজান্তা জ্যান্ত চ্যানেলে কুছ কুছ হামেসাই হোতা হয়
বোকাচো জনতা লেকিন হরদম সোতা হায়
হাযরে হায় হায়রে হায়
বাকি যা সব কিন্তু ঢপের কেত্তন
মতাদ্রশ যেমন
দায়বদ্ধতাও তেমন মরশুমে মরশুমে হাওয়া বদলে নিম্ন চাপে রং বদলে যায়
প্যাঁদানির ভয়ে মা বাপ ও বদলে যায়
রাজনীতিতে ও জীবনে অছুত হয় না
সমাজে যদিও অছুতরাই বেশি
কিন্তু সব অছুত দিয়ে ফ্যাতাড়ু হয়না
পুজো আসছে
দমাদম কেনা কাটি কর
চোখের ঝাল মিটিয়ে নে
সব ঠেকে ঠেকে বনেদোবস্ত পুরা
শান্তিনিকেতনেও হচ্ছে
আবার কলকাত্তাতেও হচ্ছে
ধর্ষণের জয়জয়কার
প্রতিবাদ করলেই কামদুনি
বরন্চ সারদা থিমে পুজোর থিম করে ভেলকি দেখাও রে বাঙালি,থাকে যদি দম,লেকিন কাগজ পড়ে কেলিও না বালে চ্যাদরামি
বরনা মরজিনা গাহিতেই থাকিবে,কেত্তা জন্জাল
আজকালের প্রতিবেদন: সন্ধেয় ভবানীপুরের গাঁজা পার্কের কাছে ধর্ষণ করে এক মহিলাকে ট্যাক্সি করে এনে ফেলে যাওয়া হল প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ ওরফে সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ পুলিস জানিয়েছে, ওই মহিলা এলগিন রোডের একটি ভাতের হোটেলে কাজ করেন৷ ওই হোটেলের মালিক সন্দীপ৷ হোটেলটি বছর খানেক আগে রিয়াজ ও সিরাজ নামে দুই যুবককে লিজ দেওয়া হয়৷ রবিবার নতুন করে লিজ দেওয়া হয় অশোক ও অমিত নামে দুই যুবককে৷ এ নিয়ে দু'পক্ষের ঝামেলাও হয়৷ পরে অবশ্য অশোক ও অমিত লিজ ছেড়ে দিয়ে চলে যায়৷ এর পর সবাই গাঁজা পার্কে যায়৷ সেখানে খাওয়া, দাওয়া এবং মদ্যপান করে৷ তার পর এই ঘটনা৷ রাত নটা নাগাদ মহিলাকে ট্যাক্সি করে এনে ফেলে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলের সামনের রাস্তায়৷ সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়৷ মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে৷ ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ যদিও পুলিস জানিয়েছে মহিলার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে৷
আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জিকে মুখোমুখি কোনোদিন দেখিনি।নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর পর্বের আগে তাঁর কোনো বক্তব্যে আমার আগ্রহ ছিল না।দোলনা পার্কে কয়েক দফা মমতার বক্তৃতা দু মিনিটের বেশি শোনার ধৈর্য্যআমার ছিল না।তবু নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালনার প্রতিবাদে মমতার আন্দোলনকে সমর্থন করে ছিলাম,কিন্তু তাঁর রাজনীতিকে কোনোদিনই সমর্থন করিনি।
আজ যখন সারদা কেলেন্কারিতে মমতা ব্যানার্জির নাম উঠেই গেল,তখন বলতে বাধ্য হচ্ছি তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে ঢাক ঢোল পিটিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করার সিবিআই ঐতিহ্যর প্রেক্ষিতে বলা যায়,রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রেরিত এই তদন্তে অভিযুক্ত রাজনেতাদের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের আইন ব্যবস্থায় শেষ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যেহেতু তা কখনো হয়নি।
একমাত্র লালু প্রসাদ যাদবই জেল খেটেছেন সিবিআই তদন্তের ফলে।অথচ সবসময়ই গুচ্ছ গুচ্ছ রাজনেতাদের নামে,এমনকি মুখ্যমন্তরীদের নামে একের পর এক কেলেন্কারি ও দুর্নীতি ভারতীয় মীডিয়ার প্রাথমিক টিআরপি।
যেমন কয়লা কেলেন্কারি।স্বযং প্রদানমন্ত্রী অভিযুক্ত।তিনি এখন পরাজিত পদমুক্ত।তাঁকে যারা চোর সাজিয়েছিলেন ,তাঁরাই তাঁকে তদন্তের হাত থেকে রেহাই দিয়ে দিলেন।তারপর সুপ্রিম কোর্ট বলে দিল,সেই 1992 থেকে 2010 পর্যন্ত সব কটি কয়লা খনি আবন্টন বেআইনি।
কাকে ছেড়ে কাকে ধরবেন?
কেউ ত ধরা পড়ল না,বরং কৃত্তিম বিদ্যুত সঙকট দেখিয়ে একাধারে বিদ্যুত মাশুল বাড়িয়ে প্রাইভেট কোম্পানির মুনাফা বাডা়নোর তালে আছেন মশাইরা, দ্বিতীয়তঃ আবার নূতন করে নীলামীর বন্দোবস্ত,নূতন করে দুর্নীতির ইন্তজাম পাক্কা।
যার বিরুদ্ধে ইন্দিরা জমানা থেকে আজ অবধি যাবতীয় কেলেন্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ,তিনি এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে,সংবৈধানিক রক্ষাকবচের অন্তরালে,তাই ঔ সমস্ত মামলার কিনারা ও কোনো কালে হবে না।
জনগণ সবই বুঝতাছে,কদম কদম সাশুল গুনতে গুনতে সেলাই খুলতাছে হরদম,তাতে কার কি যায় আসে,রাজকার্য বোঝা বড় দায়।
যেমন ইউপিএ জমানায় দস্যি গরু সামলে ঘর করেছেন মনমোহন সিংহ,পালে সিংহ দেখিয়ে সেই একই তালে আছেন মোদী বাবু।কারুর নোম্বাটিও ছেঁড়া হইবো না,কাগজ পড়ে রকে গুলতানি হইবো প্রবল।
যারা অন্ধ ভক্ত,তাঁদের কিচ্ছু যায় আসে না।
যারা অভক্ত অভুক্তও বটে,তাহাদের পিছন ঠিকানায় দম নাই।
ভারতের সারদা কেলেঙ্কারিতে জামায়াতের নাম!
প্রথম আলো ডেস্ক | আপডেট: ০২:০১, আগস্ট ৩১, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ
০Like
ভারতে সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর নাম এসেছে। সারদার অর্থ বাংলাদেশে এনে বিনিয়োগ ও এখান থেকে অন্য দেশে পাঠাতে জামায়াত নেতারা সহযোগিতা করেছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে। গতকাল শনিবার ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনা তদন্ত করছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংস্থাটির সূত্র জানায়, সারদার প্রধান সুদীপ্ত সেন ইডিকে জানিয়েছেন, তাঁদের জালিয়াতির অর্থের একটি অংশ বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করা হয়। আর কিছু অর্থ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশে পাঠানো হয়। উভয় ক্ষেত্রে সারদাকে সহায়তা করেন জামায়াতের নেতারা। বিনিময়ে তাঁরা কমিশন পান।
ইডির এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে পাঠানো অর্থের বড় অংশ আসে নগদ অর্থ হিসেবে। এরপর সেগুলো বাংলাদেশের মুদ্রায় রূপান্তর করা হয়। পরে তার কিছু অংশ রূপান্তর করা হয় পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশের মুদ্রায়।
ইডির বিভিন্ন সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, সুদীপ্ত সেন স্বীকার করেছেন যে সে দেশের রাজ্যসভার এক সদস্যের মাধ্যমে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। রাজ্যসভার ওই সদস্যকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।
সারদার সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের তদন্ত সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইডি সম্ভবত তাদের বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
জামায়াতের বক্তব্য: এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের একজন সদস্য গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের একটি ভিত্তিহীন রিপোর্ট এর আগেও প্রকাশিত হয়েছিল। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম? | | Samakal Online Version
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে রাহুল-মমতা কথার লড়াই - Prothom Alo
সারদারই স্বার্থ দেখছে তদন্ত, মমতার নাম উঠতেই সরব দল - আনন্দবাজার
আনন্দবাজার | Anandabazar Patrika: Bengali newspaper ...
সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম? | Priyo Reader
সারদা মামলার তদন্তে মমতার নাম
এক কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে সারদার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ...
এবার সারদা নিয়ে রাহুল মমতা মুখোমুখি » Bangla News 24 Live ...
সারদা কেলেঙ্কারি: পরস্পরকে দায়ী করলেন সোনিয়া ও মমতা
সারদা কেলেঙ্কারি : হিম্মত থাকলে ধরুন, ফের চ্যালেঞ্জ মমতার
অনুসন্ধানের ফলাফল
-
সারদা কেলেঙ্কারি : পরস্পরকে দুষলেন সোনিয়া ও মমতা - Daily ...
সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন মমতা! - Sharshongbad
ABP Ananda - ABP News
সারদায় প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা, বিস্ফোরক ...
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ সুপ্রিম ...
অভিযুক্তদের পাশেই দল, বার্তা মমতার - প্রচ্ছদ - natunbarta.com
wwwরwww.natunbarta.com/.../অভিযুক্তদের+পাশেই+দল,+বার্...সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতাকে জড়ালেন দলীয় এমপি কুনাল! - The ...
সারদা-কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার আগেই সরব হয়েছিলাম - Aajkaal
সারদা কেলেঙ্কারিতে চাপে থাকবে মমতা! :: দৈনিক সংবাদ
সারদা দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের পাল্টা তোপ মমতার | বাংলায় ...
kolkata24x7.com/এপার.../সারদা-দুর্নীতি-নিয়ে-বির.html
সারদা কেলেঙ্কারিতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
-
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সারদা অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই) তাদের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরে আট ঘণ্টা জেরা শেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের এপ্রিলে...
সারদা কেলেঙ্কারি - Latest News on সারদা ... - Zee News
zeenews.india.com/bengali/tags/সারদা-কেলেঙ্কারি.html
-
সারদা কেলেঙ্কারি - Get latest news on সারদা কেলেঙ্কারি. Read Breaking News on সারদাকেলেঙ্কারি updated and published at Zee News Hindi.
সারদা কেলেঙ্কারিতে শতাব্দী - Amader Shomoy
www.dainikamadershomoy.com/details_news.php?id=163013...id...
-
এতদিন সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে কোনও কথা না বললেও গতকাল মঙ্গলবার বীরভূমের একটি আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুদীপ্ত বলেন, শুধু মন্ত্রী-আমলা নেতাকর্মীই নয়, সারদা থেকে সুবিধা নিয়েছেন শতাব্দী রায়ও। তাকে সংস্থার ব্র্যান্ড ...
সারদা কেলেঙ্কারি - Oneindia Bengali
-
সারদা কেলেঙ্কারি News - Get List of Updates on সারদা কেলেঙ্কারি news, সারদা কেলেঙ্কারি breaking news and সারদা কেলেঙ্কারি current news on bengali.oneindia.in.
সারদা কেলেঙ্কারিতে নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে তদন্ত করুন ...
bengali.oneindia.in › বাংলা › নিউজ › ভারত
-
২ দিন আগে - Investigate Saradha Scam without fear, Narendra Modi tells CBI, সারদাকেলেঙ্কারির তদন্ত করুন নির্ভয়ে, সিবিআইকে বললেন নরেন্দ্র মোদী.
সারদা কেলেঙ্কারিতে মমতার নাম? | | Samakal Online Version
-
1 ঘন্টা আগে - সিবিআইর সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠেছে। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালে রেলের অধীন সংস্থা ইন্ডিয়ান.
সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
satdin.in/index.php/13-2014-04-07-17.../216-2014-05-08-15-05-03
-
জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।সর্বোচ্চ আদালতের মতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিসের তরফে এই আন্তঃরাজ্য বেআইনি অর্থ তছরূপের তদন্তে তেমন একটা অগ্রগতি হয়নি। তাছাড়া টাকা কোথায় গেল তা খুঁজে বাড় করাও যায়নি।কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত বলেও ...
আপনি পৃষ্ঠাটি 8/28/14তে দেখেছেন৷
Saradha Group financial scandal - Wikipedia, the free encyclopedia
অনুবাদিত: সারদা গ্রুপ আর্থিক কেলেঙ্কারি - উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
The Saradha Group financial scandal is a financial scam that was caused by the ... Its name is a cacography of Sarada Devi, a highly revered spiritual icon of the ...
সারদা কেলেঙ্কারিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে... - Oneindia Bengali ...
https://www.facebook.com/oneindiabengali/posts/699841103386919
-
সারদা কেলেঙ্কারিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে জেরা করল ইডি। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন ছবিতে। আরও খবর পড়তে দেখুন: http://bengali.oneindia.in/ #saradhascam...
শুধু যে চুনো পুঁটিদের পিঠ বাঁচানোর কৌশল আয়ত্তে আনতেই হয় নাহলে যা হয়না মাইরিঃ
গৌতম চক্রবর্তী: আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সারদার এক এজেন্ট৷ টাকা ফেরত দিতে পারেননি৷ অভিযোগ, সেই ক্ষোভে ওই এজেন্টের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালালেন আমানতকারীরা৷ পরিস্হিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, পুলিস এসে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ রবিবার রাতে সোনারপুর থানার চৌহারির মানিকপুরের ঘটনা৷ এখানেই সারদা এজেন্ট অশোক চ্যাটার্জির বাড়ি৷ অশোকবাবু এক সময় সারদার হয়ে আমানত সংগ্রহ করেছিলেন৷ সারদা-কাণ্ড সামনে আসার পর আমানতকারীরা অশোকবাবুকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিতে থাকেন৷ অশোকবাবু কিছু টাকা ফেরতের ব্যবস্হা করেন৷ প্রতিশ্রুতি দেন ৩১ আগস্ট, রবিবার টাকা ফেরত দেবেন৷ কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় আমানতকারীরা অশোকবাবুর বাড়িতে এসে জানতে পারেন, তিনি টাকা ফেরত দিতে পারবেন না৷ শুরু হয়ে যায় বাক্বিতন্ডা৷ সেখানে হাজির হন শতাধিক আমানতকারী৷ তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ এরপরই উত্তেজিত আমানতকারীরা অশোকবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে আরম্ভ করেন বলে অভিযোগ৷ ইট-বৃষ্টি হতে থাকে তাঁর বাড়ির ওপর৷ পরিস্হিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে বুঝতে পেরে এলাকার মানুষ সোনারপুর থানায় খবর দেন৷ পুলিস দ্রুত ঘটনাস্হলে আসে৷ বিক্ষুব্ধ আমানতকারীদের শাম্ত করে৷ পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ সারদা এজেন্ট অশোকবাবু এবং তাঁর পরিবার ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হননি৷
পরোয়া নেহী,কিউঁকি সাস ভি কভি বহু থী এবং টিভিতে সিনেমার মত জীবন বাবু এখন রাজযোটক তাই আজকালেঃ
গৌতম রায় | |||
|
এবং পিপিপি উন্নয়নের প্রমাণঃ
আজকালের প্রতিবেদন: প্রকল্পের অনুমতি পাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় সম্তোষ প্রকাশ করল নির্মাণ সংস্হা৷ তাদের দাবি, প্রকল্পের জন্য অনুমতি পেতে অসুবিধে হচ্ছে না৷ সোমবার নিউটাউনে নোভোটেল হোটেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্হিত সালারপুরিয়া সত্ত্বা গোষ্ঠীর এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর অপূর্ব সালারপুরিয়া জানান, হোটেল তৈরির জন্য হিডকোর অনুমোদন দরকার ছিল৷ হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের সঙ্গে কথা বলি৷ তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন, নিয়ম মেনে কাজ হলে অনুমতি পেতে কোনও অসুবিধে হবে না, তাই হয়েছে৷ দ্রুত কাজ হয়েছে৷ বাংলার আরও ভাল দিন আসছে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতায় হোটেল তৈরির জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, আমাদের এই উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ৷ হোটেল-নির্মাতারা বোর্ডারদের জন্য সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্হা রেখেছেন৷ উল্লেখ্য, অ্যাকর গোষ্ঠীর হোটেল নোভোটেল৷ রাজারহাটের এই হোটেলটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল সালারপুরিয়া সত্ত্বা গোষ্ঠী৷ পূর্ব ভারতে ওই সংস্হার এটিই প্রথম প্রকল্প৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজারহাট-নিউটাউন নতুন ইকো-ট্যুরিজম অঞ্চল৷ পৃথিবীর অন্যতম গম্তব্য হয়ে উঠবে এই এলাকা৷ এখানে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক রয়েছে৷ তৈরি হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, মাদাম তুসোর মিউজিয়ামের ধাঁচে মোম-মিউজিয়াম৷ এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সাংসদ মুকুল রায়, মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি, ফরাসি দূতাবাসের প্রতিনিধি জ্য মার্ক সেরে শারলে, এদেশে অ্যাকর গোষ্ঠীর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস) জ্য মিশেল কাসে প্রমুখ৷
আবার আজকালের প্রতিবেদনঃ
সরোজ চক্রবর্তী ও সঞ্জয় বিশ্বাস: শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং, ১ সেপ্টেম্বর– উন্নয়নের ঝড় তুলে সোমবার শিলিগুড়ির জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সরাসরি চলে গেলেন পাহাড়ে৷ উত্তরবঙ্গকে নিয়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা ও প্রকল্প কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তার একটা ছবি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ক্ষুদ্রশিল্প, শিক্ষা, পর্যটন, কর্মসংস্হান, সংস্কৃতি এবং গোটা বিশ্বের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগসূত্র গড়ে তোলার স্বপ্নের ছবিটা তুলে ধরতেই স্হানীয় সেবক রোডে সার্কাস ময়দানে হাজার হাজার দর্শকের করতালিতে খুশির জোয়ার৷ ১০ আসন বিশিষ্ট বিমান পরিষেবা চালু করছেন৷ কোচবিহার-কলকাতা-দুর্গাপুর এবং সিঙ্গাপুর উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা হতেই সব মহল স্বাগত জানাল মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সপ্তাহে আপাতত ৪ দিন থাকবে এই পরিষেবা৷ সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর তাঁর হাতে যে রসদ জোগাড় হয়েছে, তার একটা অংশ বরাদ্দ হল উত্তরবঙ্গের জন্য৷ সিঙ্গাপুরের বি এ পি এলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যে চুক্তি হয়েছে, এই উন্নয়ন-যাত্রায় তারই সবুজ সঙ্কেত মিলল৷ মমতা বলেন, 'নির্বাচন ছাড়া বিরোধীদের পদধ্বনি শোনা যায় না৷ অথচ আমি প্রায় প্রতি মাসে একবার আসছি উত্তরবঙ্গে৷' মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৬০২ কোটি টাকায় 'এশিয়ান হাইওয়ে' প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে৷ পেনশন ও পাসপোর্টের জন্য কলকাতায় যেতে হবে না৷ এই পরিষেবার ব্যবস্হা থাকবে এখানে৷ এবং একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী স্হানীয় বিতর্কিত কাওয়াখালি জমির অনিচ্ছুক ২০০ জনের হাতে ৯৯ বছরের লিজ-দলিল তুলে দিয়ে বলেন, 'আমরা কারও জমি কেড়ে কোনও কাজ করতে চাই না৷' সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝিয়ে দেন৷ ৫,০০০ টাকার চেক, ছাত্রীদের সাইকেল, জমির পাট্টা, নিজ ভূমি নিজ গৃহ, ইন্দিরা আবাস যোজনা, ভলভো বাস ও নো-রিফিউজাল ট্যাক্সির লাইসেন্স বণ্টনের কর্মসূচির কাজ দ্রুত শেষ করার পর কালিম্পঙের ডেলোপাসের উদ্দেশে রওনা হলেও, পাহাড়ের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ জি টি এ নিয়ে মোর্চা মহলে দীর্ঘদিনের ক্ষোভের অবসান হবে কিনা, সে-ব্যাপারে খোদ মোর্চা নেতৃত্ব দ্বিধাগ্রস্ত৷ জি টি এ সভাসদ বিনয় তামাং বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যদি খোলা মন নিয়ে আমাদের কথা শুনতে চান, তাহলে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা থাকবে৷ পূর্ত বিভাগ ও তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলি মুখ্যমন্ত্রী এখনও জি টি এ-র হাতে দেয়নি৷ আমাদের সদস্য-সমর্থকদের সাজানো মামলায় জড়িয়ে রাখা হয়েছে৷ তার ফয়সালা হতে হবে৷' মোর্চা নেতৃত্ব এদিন এ ব্যাপারে লালকুঠিতে আলোচনা করেন৷ জি টি এ অস্হায়ী কর্মচারীদের স্হায়ীকরণের দিকটাও মোর্চা নেতৃত্ব তুলে ধরবেন৷ এদিন দুপুরের বিমানে মমতা ব্যানার্জি শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছলে লেপচা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাঁকে খাদা পরিয়ে স্বাগত জানান৷ বুধবার লেপচা উন্নয়ন বোর্ডের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান মেলা ময়দানে হচ্ছে না৷ স্হানীয় একটি স্কুলমাঠে মুখ্যমন্ত্রীকে ওঁরা সংবর্ধনা জানাবেন৷ কিন্তু এই অনুষ্ঠানের চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কালিম্পং সার্কিট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক যদি মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে জি টি এ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন, তাহলে তাঁর এবারের প্রায় ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফর সাফল্যের মুখ দেখবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে এবারও 'পাহাড় জয়'-এর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে বলে তাঁর সরকারি দলের প্রতিনিধিরা মনে করেন৷
নিশানায় নবান্নের উঁচুতলা
এত দিন কী করছিল প্রশাসন, কর্তাদের প্রশ্ন করবে সিবিআই
প্রেমাংশু চৌধুরী ও দেবজিৎ ভট্টাচার্য
নয়াদিল্লি ও কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:১৫:৪১
সিবিআইয়ের আতসকাচের নীচে এ বার খাস নবান্ন!
সারদা কেলেঙ্কারিতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এ বার এই কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন কী ভূমিকা পালন করেছে, তা খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ জন্য নবান্নের একাধিক কর্তাকে ডেকে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সিবিআই বুঝতে চায়, সারদার প্রতারণা রুখতে রাজ্য সরকার তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেছে কি? নাকি সব জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে ছিল প্রশাসন? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তার কথায়, "বেআইনি কারবার বন্ধ করতে গত তিন বছরে দিল্লি যত চিঠি দিয়েছে রাজ্যকে, তার কোনও উত্তর পায়নি কেন্দ্র।" সিবিআই-এর এক শীর্ষকর্তার দাবি, "নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মনে করছি, রাজ্য প্রশাসনের কিছুই অজানা ছিল না।"
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এই সরকারের আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক বিষয়ক বিভাগ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে ছ-ছ'টি চিঠি দিয়েছে। একটিরও উত্তর যায়নি দিল্লিতে। ওই কর্তা বলেন, "সব ক'টি চিঠির বয়ানই কার্যত একই রকম। লগ্নি সংস্থাগুলির বেআইনি আর্থিক লেনদেন ঠেকাতে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে, সে কথাই জানতে চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।"
কেন দিল্লির একটিরও চিঠির জবাব দিল না স্বরাষ্ট্র দফতর? দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, "আর্থিক বিশৃঙ্খলা দেখার মতো পরিকাঠামো আমাদের নেই। অর্থ দফতরই এ ব্যাপারে পারদর্শী।" ওই অফিসারের কথায়, আর্থিক অপরাধ দমনশাখা অর্থ দফতরের অধীনে। অর্থ দফতরই নিয়মিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি-র সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। ফলে তাঁঁর দাবি, "লগ্নি সংস্থাগুলির কাজকর্ম অর্থ দফতরেরই জানার কথা। সে কথা মাথায় রেখেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো চিঠির জবাব দেওয়ার দায়িত্ব অর্থ দফতরের।" অর্থ দফতর কী করেছে? নবান্ন সূত্র বলছে, লগ্নি সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্য সরকার যে নতুন আইন করতে উদ্যোগী হয়েছে, গত বছর সে কথাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও সেবি-কে জানিয়েছিল অর্থ দফতর। কিন্তু বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে ঠিক কতগুলো লগ্নি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তার কোনও তথ্য কিন্তু দিল্লি পায়নি বলেই সিবিআই সূত্রের খবর। ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সেবি-র পাঠানো একাধিক চিঠি ধরেও রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা যাচাই করতে চাইছে তারা।
২০১২-১৩ সালের অর্থ দফতরের রিপোর্ট বলছে, ২০১১-এর ১ এপ্রিল থেকে ২০১৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা ফেরত না পাওয়া সংক্রান্ত ৯৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। তার মধ্যে আট জন লগ্নিকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়, যার পরিমাণ ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৪৯ টাকা। প্রশ্ন হল, অর্থ দফতর যদি সমস্যার সুরাহা করেই ফেলে থাকে, তা হলে সারদা কমিশন তৈরি হওয়ার পরে লগ্নির টাকা ফেরত পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল কেন? আবেদনকারীর সংখ্যাটা এক ঝটকায় বেড়ে ১৭ লক্ষে দাঁড়াল কেন? প্রশাসনের অন্দরেই একাংশের কটাক্ষ, বেআইনি লগ্নি সংস্থাগুলির দাপাদাপি বন্ধ করতে অর্থ দফতর কতটা সক্রিয় ছিল, এই সংখ্যাতত্ত্বই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে!
সিবিআই কর্তাদের ব্যাখ্যা, সারদা-র মতো সংস্থাগুলির বেআইনি কারবার রোখার প্রধান দায়িত্ব সেবি-রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-কোম্পানি নিবন্ধকের। কিন্তু রাজ্য পুলিশের কাছে কেউ প্রতারিত হয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০-র মতো বিভিন্ন ধারায় ওই সংস্থা এবং তার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। তাকে গ্রেফতার করাও যেতে পারে। ওই সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, সারদার রমরমার সময় মমতার পুলিশ কী ভূমিকা নিয়েছিল?
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কারবার রুখতে ২০০৪ সালে বাম জমানায় অর্থ দফতরে একটি ইকনমিক অফেন্স উইং সেল তৈরি হয়েছিল। সেই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন পুলিশকর্তা নারায়ণ ঘোষকে। সারদার উত্থানের পর তিনি সেবি-র কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নারায়ণ ঘোষ ওই সেল থেকে সরে যাওয়ার পরেই সেটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সারদার ঘটনার পরেও তাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেনি নতুন সরকার। তবে দময়ন্তী সেন ডিসি (ডিডি) থাকাকালীন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কিছু ক্ষেত্রে তদন্ত করেছিল। বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য দিয়ে লোক ঠকানো হচ্ছে কি না, তারও তদন্ত হয়েছে।
২০০৭-'০৮ সাল থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তুলতে শুরু করে সারদা। কোথাও জমি, কোথাও ফ্ল্যাট-বাড়ি, কোথাও আবার পর্যটনের প্যাকেজের বিনিময়ে লগ্নি নেওয়া হয়। পাঁচ বছর পর লগ্নিকারীরা ঠকে গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতে শুরু করেন। অর্থাৎ, সারদার বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগ জমা পড়ে নতুন জমানাতেই। সারদা-সহ বহু সংস্থার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানাতেই অভিযোগ জমা পড়ে। সেই সব এফআইআর-এর তথ্য রাজ্য পুলিশের তরফে সিবিআইয়ের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। ফলে সিবিআই মনে করছে, সারদার কাজকর্ম অজানা ছিল না পুলিশ-প্রশাসনেরও। তবে সামগ্রিক ভাবে সারদা কেলেঙ্কারি রোখার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে কিছু তথ্যও মিলেছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। কী সেই তথ্য?
• ২০১০ সালেই রাজ্যের ইকনমিক অফেন্স উইং সেলের তরফে সেবি-কে সারদা-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। কাজেই বাম জমানায় সারদা-র বেআইনি কাজ কারবার সম্পর্কে জানা ছিল প্রশাসনের। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সারদা-র বিরুদ্ধে নির্দেশিকাও জারি করেছিল সেবি।
• ২০১২ সালে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ জালিয়াতি তদন্ত সংস্থা (এসএফআইও) পশ্চিমবঙ্গে সারদা-সহ সব বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কাজকারবার নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে তারা রাজ্য সরকারের কাছে বহু বার বিভিন্ন রকম তথ্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কোনও তথ্যই মেলেনি।
• বেসরকারি লগ্নি সংস্থাগুলির উপরে নজরদারি ও তাদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণে রাজ্যস্তরে যে 'কো-অর্ডিনেশন কমিটি' (এসএলসিসি) আছে, তাতে সিআইডি এবং রাজ্য অর্থ দফতরের একাধিক প্রতিনিধি রয়েছেন। সেখানে প্রায় সব বৈঠকেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাতে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি।
• ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদানীন্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও কলকাতায় গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, রাজ্য সরকারকে নিজে থেকেই আর্থিক লগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
• ২০১৩ সালে রাজ্য স্তরে ব্যাঙ্ক-কর্তাদের বৈঠকে (এসএলবিসি) সারদা-র মতো সংস্থাগুলির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভাস্কর সেন। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। ছিলেন সারদা মামলায় ধৃত সাংসদ কুণাল ঘোষও। কুণাল কেন ওই সম্মেলনে গিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
• ওই বৈঠকে ব্যাঙ্ক-কর্তাদের চাপে অর্থ দফতর জানিয়েছিল, সমস্ত জেলা শাসকদের কাছ থেকে সারদা-র মতো সংস্থাগুলির কাজকারবার নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হবে। কোনও রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ।
• ২০১১ সালে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সোমেন মিত্র প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ২০১২ সালে কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী এই সংস্থাগুলির সঙ্গে তৃণমূল যোগসাজশ নিয়ে মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান।
সিবিআই কর্তারা বলছেন, সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কোম্পানি নিবন্ধকের কিছু কর্তা-কে সুদীপ্ত সেন মাসোহারা পাঠাতেন বলে প্রমাণ মিলেছে। তাই ওই সংস্থাগুলিও নিজেদের ভূমিকা ঠিক মতো পালন করেনি বলে মনে করা হচ্ছে। একই ভাবে রাজ্য প্রশাসনও কেন চোখ বুজে ঠুঁটো হয়ে বসে রইল তা-ও বোঝা দরকার। সিবিআই সূত্র বলছে, বাম জমানায় কী হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা ছাড়া অন্যান্য অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই। প্রাথমিক ভাবে সারদা-র বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। সিবিআইয়ের বর্তমান অধিকর্তা রঞ্জিৎ সিন্হা নভেম্বরে অবসর নেবেন। তার আগে তিনি সারদা-র তদন্ত সম্পর্কে একটি রিপোর্ট পেশ করে যেতে চান।
সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা এমন নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁর বক্তব্য, "আমি কিছু বলব না।" রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ফোনই ধরেননি। প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে এসএমএস করা হলেও রাত পর্যন্ত জবাব মেলেনি। একই ভাবে প্রাক্তন অর্থসচিব (নতুন সরকারের শুরুতে তিনি ছিলেন অর্থসচিব) চঞ্চলমল বাচওয়াতও ফোন ধরেননি, এসএমএসের জবাব দেননি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বরাবরই বলেছেন, সারদা-র মতো সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় বাম জমানাতেই। তিনি এসে এদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতারও করেছেন।
সোমবার চৌরঙ্গি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, "প্রতি বার নির্বাচনের আগেই সারদা নিয়ে হইচই হয়। বিধানসভা উপনির্বাচনের আগেও তা-ই হচ্ছে। কিন্তু সর্বত্র তৃণমূলই জিতেছে।"
সহ প্রতিবেদন: পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
সারদার জমি ব্যবসার জট কাটাতেন রাজ্যের মন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২১:৩৮
ইডি অফিসে তারার দু'টি চ্যানেলের প্রাক্তন প্রধান রতিকান্ত বসু। নিজস্ব চিত্র
তদন্ত যত এগোচ্ছে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে ততই নিশ্চিত হচ্ছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে গত কয়েক বছরে জমি নিয়ে যখনই কোনও সমস্যায় পড়েছেন সুদীপ্ত, তখনই তাঁর উদ্ধারে প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রভাবশালী এই মন্ত্রীকে।
২০০৬ সালে পূর্ব বিষ্ণুপুরের কোনচৌকি এলাকায় প্রায় ১১০০ একর জমির উপর আবাসন প্রকল্প শুরু করেছিলেন সুদীপ্ত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে জমির দখল নেওয়া শুরু করেন তিনি। জোর করে জমি দখল করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকে রাজ্যের রাজনৈতিক হাওয়া ঘুরতে শুরু করে। 'হাওয়া-মোরগ' সুদীপ্ত তখন ওই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মতে, ২০০৮ সালের পর থেকেই সারদা গার্ডেন্সে যাতায়াত শুরু হয় ওই নেতার।
সিবিআই জানাচ্ছে, বিষ্ণুপুরের সারদা গার্ডেন্সে জমি কিনেছিলেন কলকাতার ভবানীপুরের ৭০ জন বাসিন্দা। দু'কোটি টাকা সারদার কাছে জমাও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সুদীপ্ত ওই সোসাইটির সদস্যদের জমির দখল দিচ্ছিলেন না। বিষ্ণুপুর থানা-সহ বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। ২০০৮ সালে ওই তৃণমূল নেতা বিষয়টি জানতে পারেন। সুদীপ্ত-র সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই সমস্যার সমাধান করেন তিনিই। ওই ঘটনার পর থেকেই সুদীপ্তর জমির ব্যবসায় এই তৃণমূল নেতা নিয়মিত ভাবে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি করছে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় সুদীপ্ত সেনের জমি সংক্রান্ত বহু সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছিলেন ওই নেতা। জমি ব্যবসার সূত্রে তাই সুদীপ্তর কাছ থেকে তিনি আর্থিক ভাবে লাভবানও হয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। জেরায় সুদীপ্ত জানিয়েছেন, ওই সময় ওই নেতার সুপারিশে নানা সংস্থায় অনুদান হিসেবে টাকা দিয়েছেন তিনি। ওই সব অনুদানের একটি বড় অংশ ওই নেতার মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের কাছে কবুল করেছেন সুদীপ্ত।
তবে যত টাকা সুদীপ্ত দিয়েছেন তার পুরোটাই সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সিবিআই অফিসারেরা। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে, সারদা গার্ডেন্স লাগোয়া একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের কথা। তদন্তকারীদের দাবি, মন্দির নির্মাণের সময়ে সুদীপ্তর কাছ থেকে যে এক কোটি টাকা ওই মন্ত্রী নিয়েছিলেন, তার মধ্যে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা মন্দির তহবিলে জমা পড়ে। বাকি টাকার কোনও হদিস নেই বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ওই টাকা কার কাছে গিয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।
প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সেবি-র (সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া) কিছু অফিসারকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এঁদের বেশির ভাগই এখন অবসরপ্রাপ্ত। যে সময় এ রাজ্যে সারদার ব্যবসায় বাড়বাড়ন্ত চলছিল, তখন এই সব অফিসার ক্ষমতার শীর্ষে ছিলেন। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সেবি-র। কিন্তু সিবিআইয়ের আশঙ্কা, তা না-করে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে যোগসাজশ গড়ে তুলেছিলেন সেবি-র কিছু অফিসার। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে রাজ্য সরকারকে সেবি একটি চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ওই চিঠি আসলে অনেক পরে লেখা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারকে পাঠানোর সময়ে পুরনো তারিখ দিয়ে (ব্যাক ডেট) সেই চিঠি পাঠানো হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, সেবি-র সঙ্গে সুদীপ্তর যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবাল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, সন্ধিরের কাছ থেকে গত কয়েক দিন ধরে যে ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও নথি উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রমাণ মিলেছে যে সেবি ও সুদীপ্তর মধ্যে মূল সংযোগকারী ছিলেন তিনিই। তাই সোমবার সন্ধিরকে আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। তাঁকে বিচারক ১০ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার কলকাতায় সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অসমের গায়ক ও চিত্রনির্মাতা সদানন্দ গগৈকেও।
সারদা তদন্তে সিবিআইয়ের পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ও (ইডি)। এ দিন তারা রতিকান্ত বসুকে সকাল থেকে জেরা করে। এক সময়ে তারা মিউজিক ও তারা নিউজ চ্যানেলের প্রধান ছিলেন এই রতিকান্ত। জেরার পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সুদীপ্ত কত টাকায় তারা-র চ্যানেলগুলি কিনেছেন সেটাই আমার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল।" রতিকান্তবাবুর দাবি অনুযায়ী, ২০০০ সালের এপ্রিলে শুরু হয় তারা নিউজ, তারা মিউজিক, তারা পঞ্জাবি এবং টিভি সাউথ-এশিয়া। মূল সংস্থার নাম ছিল ব্রডকাস্ট ওয়র্ল্ডওয়াইড লিমিটেড। সেখানে রতিকান্তবাবুর শেয়ার ছিল ১২ শতাংশ। সংস্থায় সিংহভাগ শেয়ার ছিল চেন্নাইয়ের শিবা ভেঞ্চার নামে একটি সংস্থার। প্রায় ১৭-১৮ জন মালিক ছিলেন ওই চ্যানেলগুলির।
২০১০ সালে চারটি চ্যানেলই কিনে নেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেই সময় রতিকান্ত ছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, ১৮ কোটি টাকায় ওই চারটি চ্যানেল কিনেছিলেন সুদীপ্ত। কিন্তু সেই টাকার একাংশ তিনি দিতে পারেননি। পরিবর্তে সুদীপ্ত মধ্যমগ্রামের একটি শপিং মল বন্ধক রাখেন চেন্নাইয়ের ওই সংস্থার কাছে। গ্রেফতার হওয়ার আগে সুদীপ্ত সিবিআইকে যে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানেও তিনি একই কথা জানান। সেই চিঠিতে সুদীপ্তর দাবি ছিল, চারটি চ্যানেল কেনার জন্য তিনি নগদ ১৬ কোটি টাকা দেন। বাকি ছিল আড়াই কোটি টাকার মতো। তাই শপিং মলটি তিনি বন্ধক রেখেছিলেন। কিন্তু ওই মল-এর বাজারদর তখনই ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা। আড়াই কোটি টাকা বাকি থাকলে তার বিনিময়ে ১৫ কোটির শপিং মল কেন বন্ধক রাখতে হয়েছিল, এ প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে। ফলে চারটি চ্যানেল কিনতে সুদীপ্ত ঠিক কত টাকা খরচ করেছিলেন, তা নিয়ে সংশয়ে ইডি অফিসারেরা।
আজকালের প্রতিবেদন: তাপস পাল কাণ্ডের মামলা আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের উঠছে৷ বিচারপতি নিশিতা মাত্রের এজলাসে সম্ভবত এই মামলার শুনানি আজ শুরু হবে না৷ তবে ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া অম্তর্বর্তীকালীন স্হগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হতে পারে৷ নইলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপস পালের ঘৃণ্য বিবৃতির জেরে সি আই ডি তদম্ত শুরু হয়ে যাবে৷ সোমবার তাপস পালের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এই মামলার তৃতীয় বিচারপতি নিশিতা মাত্রের এজলাসে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন৷ বিচারপতি নিশিতা মাত্রে বলেন, এই মামলার ব্যাপারে এখনও আমি প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের থেকে লিখিত কিছু পাইনি৷ তা ছাড়া মামলার ডিভিশন বেঞ্চের রায় ও অন্যান্য নথিপত্র এই এজলাসে আনাতে হবে৷ আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, অম্তর্বর্তীকালীন স্হগিতাদেশ ৪ সেপ্টেম্বর পর্যম্ত আছে৷ যদি আদালত এই ব্যাপারে শুনানি না করে, মেয়াদ বৃদ্ধি না করে বিচারপ্রার্থী সমস্যায় পড়বেন৷ তা ছাড়া এই এজলাসে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র এসে গেছে৷ বিচারপতি নিশিতা মাত্রে তখন নথিপত্র দেখেন এবং তাপস পালের আইনজীবীকে বলেন, অন্যান্য পক্ষকে নোটিস দিয়ে আদালতে আজ আসতে৷ এদিকে শোনা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ব্যস্ত থাকবেন৷ কারণ সিঙ্গুর মামলার শুনানি৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাই তাপস পাল কাণ্ডে বাড়তি সময় চাওয়া হবে৷ বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ তাপস পাল কাণ্ডে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত হওয়ায় তৃতীয় বিচারপতি নিশিতা মাত্রের এজলাসে এই মামলা এখন বিবেচনাধীন৷
ব্যারেটোর স্বজনকে সারদার টাকা
সব্যসাচী সরকার | |||
| |||
|
উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপতি: বিশ্বভারতী ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনার খোঁজ নিলেন
চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: শাম্তিনিকেতন, ১ সেপ্টেম্বর– বিশ্বভারতীর কলাভবনের ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ফোনে খবর নিলেন বিশ্বভারতীতে তাঁর মনোনীত প্রতিনিধির কাছে৷ জানতে চাইলেন বিশ্বভারতী কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ কমিটি কর্মসমিতির পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য ডাঃ সুশোভন ব্যানার্জি ফোনেই জানালেন বিস্তারিত ঘটনা৷ সুশোভনবাবুর বক্তব্য, যা ঘটেছে তা অত্যম্ত লজ্জাজনক ঘটনা, এটা অবাঞ্ছিত ঘটনা৷ সকলেই ঘৃণার চোখে দেখছেন৷ তবে ঘটনার পর বিশ্বভারতী যা যা পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটাও আমি জানিয়ে দিয়েছি৷ সুশোভনবাবু রাষ্ট্রপতির সচিবকে বলেন, অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে বিশ্বভারতী সাসপেন্ড করেছে৷ পুলিসের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে, এই ঘটনার জেরে আগামী শনিবার কলাভবনের নবীনবরণ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে৷ ওই ভবনের অধ্যক্ষ শিশির সাহানা জানিয়েছেন, এই অবস্হায় আমরা সকলে মর্মাহত, তাই আপাতত নবীনবরণ অনুষ্ঠান স্হগিত রাখা হয়েছে৷ এদিকে, পুলিস আজ সঙ্গীতকলা ছাত্রাবাসে গিয়ে ধৃত তিন ছাত্রের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে মাসুম মোল্লার নিকন ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে৷ যদিও ছাত্রীটি তাঁর ছবি মোবাইলে তোলার অভিযোগ জানিয়েছিল৷ পুলিস সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ করে মাসুমের ক্যামেরার কথা জানতে পারে পুলিস৷ ধৃতরা জানায়, ওই ক্যামেরায় আউটিং-এর ছবি তোলা আছে৷ আর পাঁচজন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে ওই ছাত্রীটিরও ছবি আছে৷ যদিও অভিযোগ উঠতেই ক্যামেরার মেমোরি কার্ড আগেই খুলে নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল কলাভবন কর্তৃপক্ষ৷ যা জমা দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে৷ তিনি অবশ্য তা ইতিমধ্যেই পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন৷ পুলিস আজকেও ফোনে ওই ছাত্রীটির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও গ্যাংটক থেকে তাঁর মা বলেন, ফোনে নয় ও মঙ্গল-বুধবার যাচ্ছে, তখনই সরাসরি কথা বলবে৷ সিকিম থেকেও ডি আই জি র্যাঙ্কের পদস্হ পুলিস অফিসারেরাও বীরভূম জেলা পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷ এই মামলার অগ্রগতি নিয়েও কথা হয়েছে তাঁদের দু'জনের মধ্যে৷ জেলা পুলিস সুপার জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখন সহযোগিতা করছেন আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি গোটা ঘটনাটি পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ এদিকে আজ বিশ্বভারতীতে পাঠরত পাহাড় এলাকার ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে৷ সন্ধের সময় গৌরপ্রাঙ্গণে তাদের বৈঠকের ধারে কাছে যেতেই সংবাদমাধ্যমকে হাতজোড় করে না আসার অনুরোধ জানিয়েছে৷ আর তারা আলোচনাও করে নিজস্ব ভাষায়৷ গোপন সূত্রের খবর, তাদের আলোচ্য বিষয় ছিল, সাম্প্রতিকালের ঘটনা ও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে৷ তবে নিজেদেরকে আরও সচেতন রাখার ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা৷ তবে দোষীদের দৃষ্টাম্তমূলক শাস্তি ও তাঁদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন৷ এদিকে, ধৃত তিন ছাত্রকে তিন দিনের পুলিস হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও চতুর্থ অপরিচিতজনের উপস্হিতির কথা বের করতে পারেনি৷ উল্লেখ করা যেতে পারে, কলাভবনের এই প্রথম বর্ষের ছাত্রী সম্প্রতি অভিযোগ করে ৮ জুলাই তিন ছাত্র অনিরুদ্ধ কর্মকার, অরিন্দম গিরি ও মাসুম মোল্লার সঙ্গে অপরিচিত একটি ছেলে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি তোলে৷ এর পর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেল করা৷
মধ্যমগ্রামে সারদার শপিং মলের হদিশ পেল ইডি
Last Updated: Tuesday, September 2, 2014 - 22:26
ওয়েব ডেস্ক: মধ্যমগ্রামে সারদা গোষ্ঠীর একটি শপিং মলের হদিশ পেল ইডি। রতিকান্ত বসুকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই সারদার এই সম্পত্তির হদিশ মেলে। ওই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে ইডি। তারা-সহ চারটি চ্যানেল কেনা নিয়ে রতিকান্ত বসুর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের মউ সই হয়। তবে ওই মউ ছাড়াও দুজনের মধ্যে নগদ টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুণাল ঘোষসহ এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ওই লেনদেনে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলেও তদন্তকারীদের দাবি। রতিকান্ত বসু অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, সুদীপ্ত সেনই তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সুদীপ্তর দেওয়া ৬ কোটির চেক বাউন্স করেছিল বলেও তাঁর দাবি।
কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি লুঠ হয়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেই লুঠের প্রমাণই পাওয়া যায় বীরভূমে সারদার কোপাই রিসর্টে। দেখা যায়, কীভাবে মাত্র ২ বছর আগে তৈরি হওয়া বিলাসবহুল রিসর্ট আজ একেবারে ভগ্নস্তূপে পরিণত।
ছোট ছোট মাটির ঘরগুলো সব যেন একেকটা পোড়ো বাড়ি। মাত্র দুবছর আগে তৈরি হওয়া সারদা গোষ্ঠীর কোপাই রিসর্টের এখন এটাই চেহারা। ২০১২ সালের বীরভূমের পারুয়ের সাত্তোর এলাকায় রিসর্টটির উদ্বোধন করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। কটেজ ছেড়ে চলে যান সেখানকার কর্মীরা। একে একে লুঠ হয়ে যায় কটেজের বহু মূল্যবান জিনিস। উনিশে অগাস্ট সিউড়ি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে সেই সম্মত্তি লুঠের কথাটাই জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন।
সুদীপ্ত সেনের এই অভিযোগ জানানোর দিনই কোপাই রিসর্ট ঘুরে দেখ আসেন সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল। মূল গেটের কাঁটাতার কেটে দুষ্কৃতীরা যে নিয়মিত ভেতরে ঢোকে তাও দেখতে পান ওই গোয়েন্দারা। দেখতে পান কিভাবে মাত্র দুবছরে খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে সারদার কোপাই রিসর্ট।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে ছাত্রীকে জোর করে টেনে হোস্টেলে নিয়ে গেল দশ ছাত্র
Last Updated: Tuesday, September 2, 2014 - 20:11
ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। দশজন ছাত্রের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ছাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর অভিযোগ, ২৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীনই তাকে জোর করে হস্টেলে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই দশ পড়ুয়া। সেখানে তাকে মাদক খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। এরপর হস্টেলেই তার শ্লীলতাহানি করা হয়। ছাত্রীর অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, অনুষ্ঠান চলাকালীন এক যুবকের সঙ্গে অশালীন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ওই ছাত্রীকে ।
এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানান হস্টেলের ছাত্ররা। এরপরেই ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে হস্টেলের কয়েকজন ছাত্র। তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। সোমবার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রী। গোটা ঘটনায় উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনই এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তাঁরা জানিয়েছেন, তদন্তে প্রকৃত ঘটনা জানার পরেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সারদার কোটি টাকা লুঠের সাক্ষ্য বহন করছে কোপাই রিসর্ট
Last Updated: Tuesday, September 2, 2014 - 11:00
বিলাসবহুল রিসর্ট আজ একেবারে ভগ্নস্তূপে পরিণত।
ছোট ছোট মাটির ঘরগুলো সব যেন একেকটা পোড়ো বাড়ি। মাত্র দুবছর আগে তৈরি হওয়া সারদা গোষ্ঠীর কোপাই রিসর্টের এখন এটাই চেহারা। ২০১২ সালের বীরভূমের পারুয়ের সাত্তোর এলাকায় রিসর্টটির উদ্বোধন করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। কটেজ ছেড়ে চলে যান সেখানকার কর্মীরা। একে একে লুঠ হয়ে যায় কটেজের বহু মূল্যবান জিনিস। উনিশে অগাস্ট সিউড়ি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে সেই সম্মত্তি লুঠের কথাটাই জানিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন।
সুদীপ্ত সেনের এই অভিযোগ জানানোর দিনই কোপাই রিসর্ট ঘুরে দেখ আসেন সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল। মূল গেটের কাঁটাতার কেটে দুষ্কৃতীরা যে নিয়মিত ভেতরে ঢোকে তাও দেখতে পান ওই গোয়েন্দারা। দেখতে পান কিভাবে মাত্র দুবছরে খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে সারদার কোপাই রিসর্ট।
আবারও যৌন হেনস্থার ঘটনা কলাভবনে, সহ উপচার্যের পদত্যাগ দাবি করলেন বোলপুর সাংসদ
Last Updated: Tuesday, September 2, 2014 - 10:58
ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী। বিভাগেরই এক সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করলেন কলাভবনের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। সোমবার সন্ধেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। এদিকে বিশ্বভারতীতে একের পর এক ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অনুপম হাজরা।
অভিযোগকারিণীর দাবি, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ঘটনাটি ঘটলেও, এতদিন ভয়ে তিনি কারো কাছে বিষয়টি জানাতে পারেন নি। কিন্তু সিকিমের ছাত্রীর সঙ্গে যৌন হেনস্থার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় এবং অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায়, তিনি অভিযোগ জানানোর সাহস পান। ছাত্রীর আশা, যে ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, সোমবার বর্ধমান শহরে জেলা পরিষদের দফতরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের অনুপম হাজরা বলেন, বিশ্বভারতীর মত একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ছাত্রীরা যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না। উল্টে সব ঘটনায় চেপে যাওয়ার চেষ্টা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় তদন্তের জন্য যে কমিটি তৈরি করা হয়েছ, তাতে সহ উপাচার্যের অনুগত লোকেরাই রয়েছেন। ফলে তদন্ত কখনই নিরপেক্ষ হবে না। সেকারণে ওই কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান সাংসদ অনুপম হাজরা। পাশাপাশি কলাভবনের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সাংসদ।
সিনেমাহলে শো চলাকালীন ধর্ষিতা নাবালিকা, পরে হাসপাতালে মৃত্যু
Last Updated: Monday, September 1, 2014 - 23:37
সিনেমাহলে শো চলাকালীনই ধর্ষিতা হল এক নাবালিকা। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ঘটনা। ওই সিনেমাহলটি সিল করে দিয়েছে পুলিস। মালিককে আটক করা হয়েছে।
ঘাটালের কাছে রাধানগর বাসস্ট্যান্ডে রবিবার মেয়েটিকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। শৌচাগারের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ওই কিশোরী। এলাকার মানুষই তাকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সিনেমাহলে ধর্ষিতা হয়েছে সে। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জানায় ওই কিশোরী।রাতে তার মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিস ওই সিনেমাহলের একটি বক্সের সিটে রক্তের দাগ দেখতে পায়। রবিবার দুপুরে শো চলাকালীন ফাঁকা ওই বক্সেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিসের অনুমান। সিনেমাহল বন্ধ করে দিয়ে মালিককে আটক করেছে পুলিস। ব্যাগে পাওয়া মোবাইল থেকে নম্বর বের করে ওই নাবালিকার বাড়িতে খবর দেয় পুলিস। কিন্তু চন্দ্রকোণার কামারগেড়িয়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী কাদের সঙ্গে সিনেমাহলে গিয়েছিল? তার পরিবারের লোকজনেরও তা অজানা।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কে বা কারা? এখনও অন্ধকারে পুলিস।
সালিশি সভায় নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নিদান
Last Updated: Tuesday, September 2, 2014 - 09:59
ফের সালিশি সভায় তালিবানি ফতোয়া। নির্যাতিতাকেই জরিমানা করল বিচারসভা। ঘটনাটি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের।
অভিযোগ, শনিবার এক আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে স্থানীয় দুই যুবক। গ্রামের মোড়লের কাছে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। মোড়লের নির্দেশে রবিবার বসে সালিশি সভা। সেখানে নির্যাতিতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার নিদান দেয় সালিশি সভা। টাকা দিতে না পারলে নির্যাতিতাকে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার এক আত্মীয়ের সঙ্গে গিয়ে দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। রাতে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য মহিলাকে সিউড়ি হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। তবে দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা।
জাপ সম্রাটকে ভগবত গীতা, দেশের 'ধর্মনিরপেক্ষ বন্ধুদের' কটাক্ষ মোদির
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Tuesday, 02 September 2014 08:24 PM
টোকিও: জাপান সফরে সেদেশের সম্রাট আকিহিতোকে তাঁর ভগবত গীতা উপহার দেওয়া নিয়ে দেশে তাঁর 'ধর্মনিরপেক্ষ বন্ধুরা' শোরগোল বাঁধিয়ে দিতে পারেন, টিভিতে বিতর্কের ঝড় তুলতে পারেন বলে নিজেই কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদি।তাঁর সম্মানে এখানে প্রবাসী ভারতীয়দের আয়োজিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,।উপহার দেওয়ার জন্য গীতা নিয়ে এসেছিলাম।জানি না, এবার ভারতে কী হবে? টিভিতে এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।আমাদের 'ধর্মনিরপেক্ষ বন্ধুরা' তুফান তুলে বলতে পারেন, মোদি নিজেকে ভাবেন কী! জাপান সফরে গীতা নিয়ে যাওয়ার মানে, ওটাকেও তিনি সাম্প্রদায়িক বানিয়ে দিলেন! দেশে রাজনৈতিক বিরোধীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর এহেন শ্লেষাত্মক মন্তব্যে উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলী হাসিতে ফেটে পড়ে।হাততালির ঝড় ওঠে।মোদি আরও বলেন, ।যা-ই হোক, ওদেরও তো করে খেতে হবে।আর আমি না থাকলে ওদের পেট চলবে কী করে?
কী করে আজকাল একেবারে তুচ্ছ ব্যাপারেও বিতর্ক তৈরি করা যায়, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন মোদি। বলেন, জানি না কেন, কিন্তু এখন একেবারে ছোটখাট বিষয় নিয়েও কিছু লোক বিতর্ক বাঁধিয়ে দেয়।তবে আমার নিজের মত হল, যখনই বিশ্বের কোনও বিরাট মানুষের সঙ্গে দেখা করি, তাঁর হাতে গীতা তুলে দিই।সেজন্যই এখানে ওটা নিয়ে এসেছি।
তখনই আকিহিতোকে গীতা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আজ জাপানের মহারাজার কাছে গিয়েছিলাম। তাঁকে একটা গীতা দিয়েছি।কারণ আমার মনে হয় না, এর চেয়ে বেশি কিছু আছে আমার কাছে।এবং পৃথিবীরও এর চেয়ে বড় কিছু পাওয়ার আছে।ফের হাততালির রোল ওঠে মোদির কথায়।
তসলিমা নাসরিনকে একবছরের ভিসা দেওয়া হল, ২০১৫ অগাস্ট অবধি সক্রিয় থাকবে
ওয়েব ডেস্ক,এবিপি আনন্দ
Monday, 01 September 2014 09:20 PM
নয়াদিল্লিঃ বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্র একবছরের জন্য ভারতের ভিসা দিলেন বিতর্কিত লেখিকাকে। ২০১৫ সালের অগাস্ট মাস অবধি সক্রিয় থাকবে তাঁর ভিসা।
গত মাসে তসলিমাকে দুমাসের জন্য অস্থায়ী ভিসা দিয়েছিল ভারত সরকার, কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৫১ বছরের লেখিকার ভিসার আবেদন যাচাই করে দেখবে বলে জানিয়েছিল। তবে আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আগামী একবছরের জন্য লেখিকার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যা স্বক্রিয় থাকবে ২০১৫ সালের অগাস্ট অবধি। অগাস্টের ২ তারিখ রাজনাথ সিংহ-এর সঙ্গে দেখা করেন লেখিকা। তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তসলিমাকে তাঁর ভিসার মেয়াদবৃদ্ধির ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়।
আনন্দবাজারে আরও খবরঃ
বিনোদন শিল্পের প্রসারের আশা মমতার
অনির্বাণ রায়
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ঝর্না অধরাই, সাংসদকে পেয়ে তোলাবাজির নালিশ গ্রামবাসীর
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
অন্য বামেদের পাশে পেয়ে খুশি বিমান, এলেন না বুদ্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জট কাটাল হাইকোর্টই
নিজস্ব সংবাদদাতা
প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা পদের জন্য প্রার্থীদের এক বছরের প্রশিক্ষণ থাকলেই চলবে, নাকি দু'বছরের হতেই হবে, তা নিয়ে বিতর্ক বেধেছিল। মামলা এবং আপিল মামলাও হয়েছিল উচ্চ আদালতে। সোমবার হাইকোর্টের রায়ে আপাতত কলকাতা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা কেটে গেল।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
কাগজকল নিয়ে বৈঠকে ফের আশ্বাস শ্রমমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা
শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের কাজে নেওয়ার নাছোড় 'আবদার', আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নতুন নয়। দুর্গাপুরের প্রতাপপুর এলাকায় স্টার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কাগজ কলটি অবশ্য শুধুই তৃণমূল নয়, সিপিএম এবং এসিউসি-র নিয়োগ সংক্রান্ত ত্রিফলা চাপে উৎপাদনও বন্ধ করে দিয়েছিল। সে কারখানা এ দিনও খোলেনি। কারখানা খোলার ব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক তথা শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের আশ্বাস সত্ত্বেও তা যে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ভরসা জোগাতে পারছে না সোমবার তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন ওই কারখানার ম্যানেজার অর্ধেন্দু হাজরা।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রাজ্যের দশটি 'স্মার্ট সিটি'র তালিকা চূড়ান্ত, সমীক্ষা শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা
রাজ্যে কোন দশটি শহর 'স্মার্ট সিটি' হিসেবে গড়ে তোলা হবে, তার তালিকা চূড়ান্ত করল রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের। সেই তালিকায় রয়েছে নিউ টাউন, বোলপুর, দুর্গাপুর, বাউড়িয়া, রঘুনাথপুর, জয়গাঁ, ফুলবাড়ি, গঙ্গাসাগর, হুগলি এবং কল্যাণী। দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর, পরিকল্পনা দফতর এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। মহকুমাশাসক পদ মর্যাদার দশ জনকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বাম-সঙ্গ চাননি মমতা, পাল্টা দাবি মুকুলের
নিজস্ব সংবাদদাতা
তাঁদের দলনেত্রী জোট করতে সিপিএমকে আহ্বান জানাননি বলে সোমবার নির্বাচনী জনসভা থেকে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। উপনির্বাচনের প্রচার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে এ দিন চৌরঙ্গি বিধানসভার অর্ন্তগত বউবাজারের লেবুতলায় কেন্দ্রীয় ভাবে আয়োজিত জনসভা দিয়েই শাসক দলের প্রচার গতি পেল। সেই সভাতেই মুকুলবাবু বলেন, "আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এসইউসি-র সঙ্গে জোট ছিল।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মদনকে কি এড়াতে চাইলেন মমতা, প্রশ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা
কথা ছিল, পতাকা নাড়িয়ে নতুন বাসের উদ্বোধন করবেন তিনি। তা তো করলেনই না। উল্টে, মিনিটখানেকের জন্য বাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসেই রওনা দিলেন বিমানবন্দরের দিকে। তার মধ্যে পরিবহণ দফতরের সচিবের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গেল তাঁকে। পাশে দাঁড়ানো মন্ত্রীকে একটু 'দলছুট' দেখাল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী অবশ্যই পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
তাপস-মামলা উঠছে আজ
নিজস্ব সংবাদদাতা
তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের উস্কানিমূলক উক্তি নিয়ে সিআইডি তদন্তের উপরে স্থগিতাদেশের সময়সীমা আজ, মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর আজই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে ওঠার কথা। ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতভেদের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি তৃতীয় বেঞ্চে গিয়েছে। ওই এজলাসের বিচারপতি নিশীথা মাত্রেই ফয়সালা করবেন।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নিষ্ফল আশ্বাস মন্ত্রীর, ঝামেলায় রাজ্য ছাড়তে পারে কাগজকল
সুব্রত সীট
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মুকুলের আশ্বাসে ধর্মঘটে যাচ্ছেন না আলু ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসের পরে আলু। মুকুল রায়ের দৌত্যে উঠে গেল তিন দিনের আলু ধর্মঘটের ডাক, আজ থেকে যা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে এই মর্মে আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করা হল বলে রবিবার আলু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সেই ঝর্ণার হুমকি-মারে আত্মঘাতী যুবক
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোহন দাস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নকল নিয়ে ইস্তফা বাড়াবাড়ি, মত কৃষ্ণকলির
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আজ পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
কিশোর সাহা
সরকারি পর্যায়ে সম্পর্ক রাখলেও পরস্পরের উপরে চাপ বজায় রাখার পথেই হাঁটছে তৃণমূল ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিম্পং সফরের প্রাক্কালে রবিবার দু'দলের কর্মকাণ্ডে তাই স্পষ্ট হয়েছে। তৃণমূলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের সময়ে রীতি মেনে পাহাড়ের প্রশাসন তথা জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ যাতে উপস্থিত থাকেন, সেই ব্যাপারে এ বার তাঁকে অনুরোধ করা হয়নি।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
অসমের গায়ক ও ব্যবসায়ীকে ফের জেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ভিন্ রাজ্যেরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠেছে। তাঁদের মধ্যে অসমের গায়ক-চিত্রপরিচালক সদানন্দ গগৈ এবং ব্যবসায়ী রাজেশ বজাজ আবার পড়েছেন জেরার মুখে। সিবিআই সূত্রের খবর, রবিবার সকাল থেকেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ওই দু'জনকে জেরা করা হয়। তাতে কিছু তথ্যও মিলেছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ব্যবস্থা নিতে এত দেরি কেন, প্রশ্ন ইউজিসির
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আফতাবের উঠোনে খেলা দেখলেন নিতু, মাঠে মদন
অত্রি মিত্র
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
তদন্ত কী হবে, গুঞ্জন বিশ্বভারতীতে
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পুলিশকর্তাদের দিকেও নজর সিবিআইয়ের
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
নিয়ম ভেঙে সুদীপ্ত সেনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা কিংবা সক্রিয় ভাবে সারদা-কর্তার ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করা এমন অভিযোগ ওঠায় এখন অসম পুলিশের কয়েক জন শীর্ষকর্তা সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। সিবিআই গোয়েন্দাদের বক্তব্য, তদন্তে প্রাথমিক ভাবে সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে অসম পুলিশের একাংশের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রাস্তায় দেখা হবে, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি বুদ্ধের
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মন্দিরে যেতেন মদন-সুদীপ্ত, কর্তৃপক্ষ বলছেন চিনি না
কুন্তক চট্টোপাধ্যায়
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
হাত ধরার বন্ধু এখন কে, বিতর্ক চড়ছে কংগ্রেসে
সন্দীপন চক্রবর্তী
আগামী বিধানসভা ভোট মাথায় রেখে মিত্র-সন্ধানে নেমে বিতর্ক দানা বাঁধছে কংগ্রেসের অন্দরে! কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটে একা লড়ে তাদের হাতে-থাকা ৬টির মধ্যে চারটি আসন বাঁচাতে পেরেছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই চার আসনই মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। এই দুই জেলার বাইরে বাকি রাজ্যে দলের ফল মোটেও আশাপ্রদ নয়। রাজ্য জুড়ে কংগ্রেস ৯.৬% ভোট পেয়েছে ঠিকই।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বাসে আগুন, মৃত রাজ্যের ৫ জন
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুজোর মুখে দক্ষিণ ভারত বেড়াতে গিয়ে চলন্ত বাসের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই মহিলা-সহ এই রাজ্যের পাঁচ ভ্রমাণার্থীর। গুরুতর জখম হয়েছেন ছ'জন।শনিবার গভীর রাতে তামিলনাড়ুর রমানাথপুরম জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রামেশ্বরম মন্দির দেখে মোট ৭৮ জনের দলটি বাসে চেপে ইস্ট কোস্ট রোড ধরে কন্যাকুমারী যাচ্ছিল। চলন্ত বাসে আচমকাই আগুন লেগে যায়।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
চাপে ঢিলে হবে না সারদা তদন্ত, নির্দেশ মোদীর
জয়ন্ত ঘোষাল
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সুদীপ্তর সামনে বসিয়ে জেরার আর্জি হিমন্তের
সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করতে সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানালেন অসমের প্রাক্তন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। হিমন্ত-ঘনিষ্ঠ শিল্পী সদানন্দ গগৈকে কলকাতায় জেরা করছে সিবিআই। হিমন্তর বিরুদ্ধেও সারদা মামলায় কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
উধাও মাতঙ্গের জন্য লুক আউট নোটিসের ভাবনা
সারদা মামলায় জেরার জন্য বার বার ডাকা সত্ত্বেও, তদন্তকারীদের সামনে হাজির না-হওয়ায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংহের বিরুদ্ধে 'লুক আউট' নোটিস জারির কথা ভাবছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ মাতঙ্গের নামে ওই নোটিস জারি করেছে। কিন্তু, সিবিআইয়ের তরফে এ নিয়ে এত দিন ধরে গড়িমসির পিছনে বিজেপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতার নিকটাত্মীয়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সারদা কমিশন নিয়েই প্রশ্ন এমপিএসের
বাজার থেকে বেআইনি ভাবে টাকার তোলার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। অথচ সারদা কমিশনে হাজিরা দিতে এসে সেই কমিশনের বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ করে বসলেন এমপিএস গ্রিনারি ডেভেলপারস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রমথনাথ মান্না-সহ সব ডিরেক্টরকে সোমবার ডেকে পাঠিয়েছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার সেন। সেখানেই ওই সংস্থার আইনজীবী কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
No comments:
Post a Comment