এই সময়: প্রাক নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ শুক্র এবং শনিবার কোচবিহার, নদিয়া এবং বীরভূমে বাম-তৃণমূল সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন তিন জন৷ তার মধ্যে শাসক দলের দু'জন এবং একজন গ্রামবাসী৷ উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন জখমও হন৷ এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৷ পাশাপাশি, জেলায় জেলায় রাজনৈতিক হাঙ্গামা অব্যাহত৷ শাসক দলের সঙ্গে যেমন বিরোধীদের সংঘর্ষ হচ্ছে, তেমনই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরেও গোলমাল বাড়ছে৷
শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে গভীর রাতে কীর্তনের আসর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়৷ নিহতের নাম মৃণ্ময় সিনহা (১৮)৷ তাঁর দাদা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের স্থানীয় নেতা হওয়ায় এই নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে যায়৷ শনিবার বিকেলে কৃষ্ণনগরে যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা৷ ঘটনার প্রতিবাদে টিএমসিপি সোমবার রাজ্য জুড়ে কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার জানাবে বলে শঙ্কু জানান৷ পার্থবাবুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটকে সন্ত্রস্ত করার জন্যই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এ কাজ করেছে৷ ঘটনার জেরে শনিবার দীর্ঘক্ষণ কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া সড়ক অবরোধ করে রাখে তৃণমূল৷ নিহতের দাদা তন্ময় টিএমসিপির মাজদিয়া কলেজ ইউনিটের সভাপতি৷ তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে সুখেন ভদ্র নামে সিপিএম আশ্রিত এক দুষ্কৃতীর বচসা হয়৷ বেশি রাতে সে-ই কীর্তনের আসর থেকে ভাইকে ডেকে নেয় মিটমাট করবে বলে৷ সুখেনের বাড়ির কাছে আসতেই তাকে গুলি করা হয় বলে তন্ময়ের অভিযোগ৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র পাল্টা অভিযোগ, টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ সন্ধ্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এ দিন সন্ধ্যায় কোচবিহারে দিনহাটার খট্টিমারিতে বাম কর্মীদের সঙ্গে এক দল তৃণমূল সমর্থকের তুমুল সংঘর্ষ হয়৷ তৃণমূলের অভিযোগ, রতন বর্মণ নামে তাদেরই এক কর্মীকে লাঠি, বল্লম নিয়ে আক্রমণ করা হয়৷ ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান৷ আরও তিন দলীয় কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে৷ ফব ও সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে শাসক দলের কর্মীরা বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছিল৷ প্রতিবাদ করায় এ দিন বিকেলে হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা৷ বীরভূমের লোবা পঞ্চায়েতের মেটে গ্রামে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনাই দাস এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী প্রদীপ বাগদিকে শাসক দলের বাইক বাহিনী মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ৷ এদিনই ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ সিপিএমের অভিযোগ, সকালে তৃণমূলের বাইক বাহিনী এক দফা হুমকি দিয়ে যায়৷ কিন্ত্ত বিকেলে প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তারা জানতে পারে, কেউ মনোনয়ন তোলেননি৷ এই রাগে ফের ওই বাইক বাহিনী বোমা ছুড়তে ছুড়তে গ্রামে ঢোকে৷ গ্রামবাসীদের লক্ষ করে গুলিও চালায়৷ প্রায় ৭০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুঠপাট করে৷ ওই বোমা-গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে যান ভাস্কর মজুমদার নামে এক গ্রামবাসী৷ সন্ত্রস্ত কিছু মানুষ ভাস্করবাবুর পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে যান৷ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন, এলোপাথাড়ি বোমা-গুলি চলছে৷ হঠাত্ একটি গুলি এসে লাগে তাঁর গায়ে৷ ঘটনায় রাত পর্যন্ত পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা৷
সিপিএম রবিবার দুবরাজপুরে বারো ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে৷ শুক্রবার গভীর রাতে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য স্নেহাশিস রায়ের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের বাইক বাহিনী৷ তারকেশ্বরের মোহনবাটীতে স্নেহাশিসবাবুর বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় তাঁকে অকথ্য গালি গালাজ করা হয়৷ প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়৷ গ্রিল ভাঙার আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়৷ শনিবার স্নেহাশিসবাবু জানান, কেশবচক এলাকায় সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই ওরা চাপ দিচ্ছিল৷ তারই জেরে শুক্রবার ওই হামলা চলে৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুন্ত দাবি করে, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ চণ্ডীতলা থানা এলাকার ভগবতীপুর বাজারে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে৷ তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সিপিএম তাণ্ডব চালিয়েছে৷ চণ্ডীতলার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ভক্তরাম পান বলেন, 'আমাদের কর্মীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক দলের হাতে৷ আমরা হামলা করব কী করে?' দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে শনিবার তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম এবং নান্নু হোসেনের অনুগামীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়৷ প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই এই গোলমাল বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ আবার শুক্রবার বেশি রাতে ভাঙড়েরই উত্তর মাধবপুর গ্রামে সিপিএম প্রার্থী সেরিনা বিবির সমর্থনে দেওয়াল লিখতে গিয়ে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়েন কর্মীরা৷ বোমাবাজিতে সিপিএমের পাঁচ কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ৷
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার বালিয়াঘাটায় সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ওয়াসিম বারির বাড়ি থেকে পুলিশ ১০৫ টি তাজা বোমা পেয়েছে৷ এই কারণে তাঁকে পুলিশ গ্রেন্তার করে৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়িতে৷ কংগ্রেসের দাবি, সেখানে সিপিএম এবং তৃণমূল হামলা করছে৷ এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ তারিখে কংগ্রেস বন্ধ ডেকেছে৷
এ দিকে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের জন বারলা গোষ্ঠীর সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পঞ্চায়েত ভোটে যৌথ প্রচার করবে বলে ঠিক হয়েছে৷ মোর্চার সম্পাদ রোশন গিরি শনিবার জানান, এ দিন তাঁরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এর মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতা এবং বিধায়ক উদয়ন গুহ এ দিন দিনহাটায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নেন৷ তিনি বলেন, 'কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ কাকতাড়ুয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে৷ তাকে চিল, কাক, শকুন কেউ ভয় পাচ্ছে না৷' বর্ধমানের জামুড়িয়াতেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হয়৷ দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে জামুরিয়া ২ নম্বর ব্লকে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়৷ মালদহের গাজোলে সিপিএম সমর্থক কলিমুদ্দিন সরকার খুনের ঘটনায় আট তৃণমূল সমর্থক গ্রেপ্তার হয়৷ তবে সিপিএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার গাজোল বন্ধ শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে৷
শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে গভীর রাতে কীর্তনের আসর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়৷ নিহতের নাম মৃণ্ময় সিনহা (১৮)৷ তাঁর দাদা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের স্থানীয় নেতা হওয়ায় এই নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে যায়৷ শনিবার বিকেলে কৃষ্ণনগরে যান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা৷ ঘটনার প্রতিবাদে টিএমসিপি সোমবার রাজ্য জুড়ে কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার জানাবে বলে শঙ্কু জানান৷ পার্থবাবুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটকে সন্ত্রস্ত করার জন্যই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এ কাজ করেছে৷ ঘটনার জেরে শনিবার দীর্ঘক্ষণ কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া সড়ক অবরোধ করে রাখে তৃণমূল৷ নিহতের দাদা তন্ময় টিএমসিপির মাজদিয়া কলেজ ইউনিটের সভাপতি৷ তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে সুখেন ভদ্র নামে সিপিএম আশ্রিত এক দুষ্কৃতীর বচসা হয়৷ বেশি রাতে সে-ই কীর্তনের আসর থেকে ভাইকে ডেকে নেয় মিটমাট করবে বলে৷ সুখেনের বাড়ির কাছে আসতেই তাকে গুলি করা হয় বলে তন্ময়ের অভিযোগ৷ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র পাল্টা অভিযোগ, টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই খুন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ সন্ধ্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
এ দিন সন্ধ্যায় কোচবিহারে দিনহাটার খট্টিমারিতে বাম কর্মীদের সঙ্গে এক দল তৃণমূল সমর্থকের তুমুল সংঘর্ষ হয়৷ তৃণমূলের অভিযোগ, রতন বর্মণ নামে তাদেরই এক কর্মীকে লাঠি, বল্লম নিয়ে আক্রমণ করা হয়৷ ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান৷ আরও তিন দলীয় কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে৷ ফব ও সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে শাসক দলের কর্মীরা বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছিল৷ প্রতিবাদ করায় এ দিন বিকেলে হামলা চালান তৃণমূল কর্মীরা৷ বীরভূমের লোবা পঞ্চায়েতের মেটে গ্রামে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনাই দাস এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী প্রদীপ বাগদিকে শাসক দলের বাইক বাহিনী মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগ৷ এদিনই ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ সিপিএমের অভিযোগ, সকালে তৃণমূলের বাইক বাহিনী এক দফা হুমকি দিয়ে যায়৷ কিন্ত্ত বিকেলে প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তারা জানতে পারে, কেউ মনোনয়ন তোলেননি৷ এই রাগে ফের ওই বাইক বাহিনী বোমা ছুড়তে ছুড়তে গ্রামে ঢোকে৷ গ্রামবাসীদের লক্ষ করে গুলিও চালায়৷ প্রায় ৭০ টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুঠপাট করে৷ ওই বোমা-গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে যান ভাস্কর মজুমদার নামে এক গ্রামবাসী৷ সন্ত্রস্ত কিছু মানুষ ভাস্করবাবুর পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে যান৷ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন, এলোপাথাড়ি বোমা-গুলি চলছে৷ হঠাত্ একটি গুলি এসে লাগে তাঁর গায়ে৷ ঘটনায় রাত পর্যন্ত পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা৷
সিপিএম রবিবার দুবরাজপুরে বারো ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে৷ শুক্রবার গভীর রাতে সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য স্নেহাশিস রায়ের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের বাইক বাহিনী৷ তারকেশ্বরের মোহনবাটীতে স্নেহাশিসবাবুর বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় তাঁকে অকথ্য গালি গালাজ করা হয়৷ প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়৷ গ্রিল ভাঙার আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়৷ শনিবার স্নেহাশিসবাবু জানান, কেশবচক এলাকায় সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই ওরা চাপ দিচ্ছিল৷ তারই জেরে শুক্রবার ওই হামলা চলে৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুন্ত দাবি করে, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ চণ্ডীতলা থানা এলাকার ভগবতীপুর বাজারে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে৷ তৃণমূল নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সিপিএম তাণ্ডব চালিয়েছে৷ চণ্ডীতলার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ভক্তরাম পান বলেন, 'আমাদের কর্মীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন শাসক দলের হাতে৷ আমরা হামলা করব কী করে?' দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে শনিবার তৃণমূলের আরাবুল ইসলাম এবং নান্নু হোসেনের অনুগামীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়৷ প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েই এই গোলমাল বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ আবার শুক্রবার বেশি রাতে ভাঙড়েরই উত্তর মাধবপুর গ্রামে সিপিএম প্রার্থী সেরিনা বিবির সমর্থনে দেওয়াল লিখতে গিয়ে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়েন কর্মীরা৷ বোমাবাজিতে সিপিএমের পাঁচ কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ৷
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার বালিয়াঘাটায় সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ওয়াসিম বারির বাড়ি থেকে পুলিশ ১০৫ টি তাজা বোমা পেয়েছে৷ এই কারণে তাঁকে পুলিশ গ্রেন্তার করে৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়িতে৷ কংগ্রেসের দাবি, সেখানে সিপিএম এবং তৃণমূল হামলা করছে৷ এর প্রতিবাদে আগামী ১৯ তারিখে কংগ্রেস বন্ধ ডেকেছে৷
এ দিকে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের জন বারলা গোষ্ঠীর সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পঞ্চায়েত ভোটে যৌথ প্রচার করবে বলে ঠিক হয়েছে৷ মোর্চার সম্পাদ রোশন গিরি শনিবার জানান, এ দিন তাঁরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এর মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতা এবং বিধায়ক উদয়ন গুহ এ দিন দিনহাটায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নেন৷ তিনি বলেন, 'কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ কাকতাড়ুয়ার মতো দাঁড়িয়ে আছে৷ তাকে চিল, কাক, শকুন কেউ ভয় পাচ্ছে না৷' বর্ধমানের জামুড়িয়াতেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি হয়৷ দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে জামুরিয়া ২ নম্বর ব্লকে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়৷ মালদহের গাজোলে সিপিএম সমর্থক কলিমুদ্দিন সরকার খুনের ঘটনায় আট তৃণমূল সমর্থক গ্রেপ্তার হয়৷ তবে সিপিএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার গাজোল বন্ধ শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে৷
No comments:
Post a Comment