জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় হুগলি নদীতে তলিয়ে গেল একটি যাত্রীবাহি নৌকা। নৌকাডুবিতে কমপক্ষে পাঁচ জন নিখোঁজ। উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে।
আজ দুপুর দুটো নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালির ইন্দিরাঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে হাওড়ার চেঙাইলের দিকে রওনা হয় মোটর চালিত নৌকাটি। মাঝনদীতে নৌকার মোটরের তেল শেষ হয়ে যায়। নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জাহাজের। নদীতে তলিয়ে যায় যাত্রী সমেত নৌকা।
নৌকাডুবিই এখন আমাদের থিমসংগীত।
শুধু দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর বা মারামারি নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এবার ছিঁড়ে ফেলা হল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে। আগামী কালই ঝাড়গ্রামে সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নয়াগ্রাম। ভাঙচুর করা হল তৃণমূলের কৃষক ক্ষেত মজুর সংগঠনের অফিস। ছিঁড়ে ফেলা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়ের ছবি। আর এই সবের জন্য নয়াগ্রামে তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্তর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন দলের আরেক স্থানীয় নেতা
তিনি জানিয়েছেন হামলা করা হয় তাঁর স্ত্রীর উপরেও। পুলিসে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন আক্রান্ত নেতার স্ত্রী। ভাঙচুর করা হয় ওই নেতার দোকানও। পুলিস অবশ্য অভিযোগ নেয়নি বলে দাবি করেছেন ওই নেতার স্ত্রী। তাঁর আরও অভিযোগ থানায় গেলে উল্টে তাঁর স্বামীকেই আটকে রাখে পুলিস। এর আগেও দলীয় কর্মীদের উপর হামলা অভিযোগ উঠেছিল এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল দত্তের বিরুদ্ধে।
রাজ্যে বড় শিল্পের জন্য জমি সমস্যা নিয়ে সৌগত রায়ের উস্কে দেওয়া বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কার্যত স্বীকার করে নিলেন, নতুন শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সে ভাবে লগ্নির প্রস্তাব আসছে না৷ রবিবার পার্থবাবু জানান, 'জমি কোনও সমস্যা নয়৷ সমস্যা হল প্রস্তাব৷' পার্থবাবুর এই মন্তব্যেই স্পষ্ট, রাজ্য সরকার যতই দাবি করুক না কেন, ২০১১-র মে থেকে রাজ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকার লগ্নি-প্রস্তাব এসেছে, তার মধ্যে কত টাকার লগ্নি বাস্তবে রূপায়িত হবে তা নিয়ে সরকারই সন্দিহান৷ সরকারের জমিনীতি এবং শিল্প সম্পর্কিত অন্যান্য নীতির উপযোগী লগ্নি প্রস্তাবের সংখ্যা নিয়েও সরকারের সংশয় রয়েছে৷ এমন অনেক লগ্নি প্রস্তাব রয়েছে, যেগুলির জমি-সহ সরকারের নানা নীতির কারণে দিনের আলো দেখার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ৷ রাজ্যের আর্থিক সমীক্ষাতেও স্পষ্ট, গত দু'বছরে রাজ্যে শিল্প প্রসারের হার কমে গিয়েছে৷ ২০১০-এ রাজ্যে ১৫ হাজার ৫২ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব রূপায়িত হয়েছিল৷ ২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকায়৷ আর ২০১২ সালে তা এক লাফে কমে দাঁড়িয়েছে ৩১২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকায়৷ এই অবস্থায় শিল্পের উপযোগী লগ্নি প্রস্তাব পাওয়াই যে রাজ্য সরকারের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ, তা পার্থবাবুর এ দিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট৷
শনিবার বণিকসভা সিআইআই-এর এক সভায় সৌগতবাবু 'জনঘনত্বের' সমস্যার কথা তুলে বোঝাতে চান, এ রাজ্যে জমি-মানুষ অনুপাতটাই বিপজ্জনক৷ অর্থাত্ মাথাপিছু জমির পরিমাণ খুবই কম৷ ফলে ফাঁকা জমি প্রায় নেই বললেই চলে৷ সেই কারণে বড় শিল্পে জমির অভাবের কথা বারে বারেই তুলে ধরছেন তিনি৷ তিনি এ-ও বলেন, শিল্পায়নের জন্য সরকারকেই চটজলদি জমি সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ সৌগতবাবুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন পার্থবাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, 'এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত৷ যদি কোথাও জমি নিয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তা হলে আমি ওঁকেও বলেছি আমাদের কাছে তা পাঠিয়ে দিতে৷ আমরা দেখে নেব৷' সৌগতবাবুর উদ্দেশে তিনি এ-ও বলেন, 'বিতর্ক সৃষ্টি না করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন৷'
শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের জমিনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট৷ এই নীতির ভিত্তিতেই রাজ্যে শিল্পায়নের ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে৷ পার্থবাবুর কথায়, 'জমি কোনও সমস্যা নয়৷ সমস্যা হল প্রস্তাব৷ প্রস্তাব আসুক৷ প্রস্তাব এলে আমরা বিবেচনা করে দেখব৷ কর্মসংস্থান হচ্ছে কি না দেখব৷ শুধু বিনিয়োগ হবে, অথচ নিয়োগ হবে না, তা আমরা চাই না৷ আমরা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সবই চাই৷'
জমি নিয়ে পার্থবাবুর এই বক্তব্য অবশ্য নতুন নয়৷ তিনি অতীতেও বারে বারে দাবি করেছেন, রাজ্যে শিল্পায়নের ব্যাপারে জমি কোনও ইস্যুই নয়৷ কিন্তু, এ দিন শিল্পে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ৷ শিল্প মহলের মতে, রাজ্যে এক লপ্তে বড় জমি পাওয়ার সমস্যার কারণেই অনেক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না৷ ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, শিল্পের জন্য তাঁর সরকার কোনও জমি নেবে না৷ পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার যে জমিনীতি ঘোষণা করে, তাতেও স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও বেসরকারি প্রকল্পের জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে না৷ বিনিয়োগে আগ্রহী শিল্প সংস্থাকে সরাসরি জমি কিনে নিতে হবে৷ শিল্প মহল ও বণিকসভাগুলির বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে ছোট জমির পরিমাণ অনেক বেশি, সেখানে শিল্পের জন্য জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি৷ অথচ, রাজ্য সরকার সেই সহযোগিতার হাত বাড়াতে রাজি না হওয়াতেই পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে শিল্পপতিরা ক্রমেই উত্সাহ হারাচ্ছেন৷
পুরসভার চেয়ারম্যান ছাড়াও তৃণমূলের কাউন্সিলর দীপিকা দত্ত সহ ১১ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কিন্তু মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস সহ বাকিদের গ্রেফতার না করায় বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা বাকি ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ ঘটনায় মহেশতলা পুসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
এদিকে প্রকাশ সিংহ ও পার্থপ্রতিম ঘোষের সংযোজন, মহেশতলা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধৃত ৫ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৬ ধারায় অগ্নিসংযোগ এবং ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে৷ অভিযুক্তদের আইনজীবী এদিন সওয়াল করেন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে তালিকা দেওয়া বাধ্যতামূলক৷ এই ঘটনার ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের তালিকা পেশ করা হয়নি৷ এরই ভিত্তিতেই ধৃতদের জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা৷ কিন্তু সরকারি আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন,ঘটনাটি গুরুতর৷ বহু বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে৷ তাই ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হোক৷ দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে শোনার নির্দেশ দেন৷ ২১ তারিখ মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছেন তিনি৷ একইসঙ্গে সেদিনই তদন্তকারী অফিসারকেও হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক৷ অভিযোগকারীর লিখিত বয়ানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে জনৈক চেয়ারম্যানের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল৷ তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনাও শুরু হয়৷ অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী সওয়ালে তদন্তে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ তাঁর বক্তব্য, চেয়ারম্যান কথা উল্লেখ থাকলেও আদালতে পাঠানো তদন্তকারী অফিসারের ফরওয়ার্ডিং লেটারে ওই বিষয়ের কোনও উল্লেখ রাখা হয়নি৷
এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদনকে ঘিরেও প্রশ্ন উঠেছে৷ কারণ ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে পেলে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে কি না, বা থাকলে কারা জড়িত, তার হদিশ পাওয়া সম্ভব হত বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল৷
শিলাদিত্য চৌধুরীর পর এবার প্রতাপ নস্কর। প্রশ্ন করায় পুরমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে হল মহেশতলার ষোলোবিঘা বস্তির বাসিন্দা প্রতাপ নস্করকে।আজ দুপুরে ষোলোবিঘার পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেসময় স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাপ নস্কর তাঁকে প্রশ্ন করেন, ঘটনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী আসেননি কেন? আর তাতেই ক্ষুদ্ধ হন পুরমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে পুলিস।
আক্রান্ত হন খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া চব্বিশ ঘন্টার মহিলা সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকও। তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিস গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
ভোরের আগুনে পুড়ে গিয়েছে তার ঘর। প্রশ্ন করেছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আসলেন না?" আর এই অপরাধেই ১৬ বিঘা বস্তির বাসিন্দা প্রতাপ নস্করকে 'সন্দেহ ভাজন' তকমা দিয়ে আটক করল পুলিস।
মহেশতলা পুরসভার মোল্লার গেট, সন্তোষপুর সহ সংলগ্ন এলাকা। গত এক বছরে এইসমস্ত জায়গায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকায় জমির বাজারদর এখন আকাশছোঁয়া। মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল। সেকারনেই বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই কাজের পিছনে দুলাল দাসের পাশাপাশি তাঁর ছেলে দেবাশিস দাসের নামও উঠে আসছে।
মহেশতলা, সন্তোষপুর এলাকা। জনসমাগম ক্রমেই বাড়ছে এই এলাকাগুলিতে। হু হু করে বাড়ছে জমির দামও। আর এর সঙ্গে বেড়ে চলেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও। কার্যত পাল্লা দিয়ে।
তথ্য বলছে, একের পর এক যে আগুন লাগার ঘটনা মহেশতলায় ঘটছে তার প্রায় সবকটাই সন্তোষপুর এবং সংলগ্ন এলাকায়। প্রতিক্ষেত্রে নাম উঠছে দুলাল দাস বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের।
কয়েকমাস আগে মোল্লার গেটে একটি গোডাউনে আগুন লেগেছিল। গোডাউনটির মালিক জামসেদ মোল্লা। তিনি আবার মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তখন অভিযোগ উঠেছিল, গোডাউনটির ভাড়া প্রতি বর্গফুটে তিন টাকা। জানা যাচ্ছে, এখন বাজারদর প্রতি বর্গফুটে মাত্র কুড়ি বা বাইশ টাকা। অভিযোগ, সেই কারণেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত এগোয়নি তদন্ত। আগুন কীভাবে লাগল, অগ্নিকাণ্ডের দায় কার, জানা যায় নি।
এই এলাকাতেই একটি পুরনো শুটিং ফ্লোরেও একইরকম ভাবে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রেও কেন হল, কীভাবে হল, তা স্পষ্ট হয়নি।
শনিবার যে ষোলো বিঘা বস্তিতে আগুন লাগে, সেখানেও এনিয়ে তিন-তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
শনিবার যে ষোলো বিঘা বস্তিতে আগুন লাগে, সেখানেও এনিয়ে তিন-তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। অভিযোগ উঠছে, নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন এসবের পিছনে। চেয়ারম্যান দুলাল দাসের পাশাপাশি তাঁর ছেলে দেবাশিস দাসের নাম উঠে এসেছে।
এছাড়াও প্রসেনজিত্ দাস, অচ্যুত মজুমদার, বাটানগর এলাকার বাসিন্দা পীযূষ, সুকান্ত, মঙ্গল পাঁজা, এদের নামেও অভিযোগের শেষ নেই। আর রয়েছেন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপিকা দত্ত। যার নাম রয়েছে শনিবারের ষোলো বিঘা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এফআইআরেও। একের পর এক আগুন লেগেছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আগুন বেড়েছে। পুলিস-প্রশাসন বা সরকার কিন্তু নির্বিকার।
গার্ডেনরিচের পর মহেশতলা। পুলিস খুনের পর বস্তিতে আগুন দেওয়া। ফের জড়িয়ে গেল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক চেয়ারম্যান। ষোলবিঘা বস্তির অগ্নিকাণ্ডে পুলিস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার মামলা দায়ের করেছে। সরাসরি নাম রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলরের। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ছোট ঘটনা। ফলে তদন্তের কাজ প্রভাবিত হতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরনো মানুষগুলির অবস্থা কার্যত সর্বসান্ত। আর সেই ঘটনা যেন একেবারেই গুরুত্বহীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
অথচ এলাকাবাসীর বক্তব্যেই উঠে এসেছে কীভাবে ষড়যন্ত্র করে তাঁদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা। প্রমোটিং-এর জন্যই ভোররাতে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা বস্তিবাসীদের। সেই অভিযোগেই পুলিস জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে ১১ জনের বিরুদ্ধে।
তাঁরা হলেন--আয়ুব আলি গাজি, মোমিনা বিবি, রেজ্জাক গাজি, সাহানারা বিবি, আইজুল মোল্লা, মোমেনা বিবি নাইয়া, হাসিনা বিবি, নিতাই হালদার, রফিক মোল্লা, দীপিকা দত্ত, আব্দুল রফিক মোল্লা। প্রথম পাঁচজন ইতিমধ্যে পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে।
অভিযোগের একেবারে শেষে লেখা হয়েছে, ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন চেয়ারম্যান। পুলিসও সেই অনুসারে এফআইআরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু সরাসরি দুলাল দাসের নামে মামলা হয়নি। যদিও আইনি দিক থেকে তা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ গার্ডেনরিচে পুলিস খুনের ঘটনাতেও চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসাবে অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। এখানে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সরাসরি এফআইআরে নাম রয়েছে কাউন্সিলর দীপিকা দত্তের।
শাসক দলের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর আগুন লাগিয়ে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করে বহুতল বানানোর চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য অবিচল। দুলাল দাস সম্পর্কে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর। একদিকে নিজেদের প্রভাব, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য। রাজনৈতিক প্রভাবে চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরকে আদৌ গ্রেফতার করা হবে? ষোল বিঘা বস্তির পোড়া বাতাসে এমনই আশঙ্কার ছাই উড়ে বেড়াচ্ছে।
-
নোনাডাঙ্গা « সংবাদমন্থন
songbadmanthan.com/?tag=নোনাডাঙ্গাJun 20, 2012 – Tag Archives: নোনাডাঙ্গা. আন্দোলন ... জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু থেকেই নোনাডাঙায় উচ্ছেদ হয়ে ফের ঘর বানিয়ে থাকা বস্তিবাসীদের টিঁকে থাকার লড়াই এক নতুন জটিলতার মুখোমুখি হয়েছে। বর্ষা আসছে, অথচ গোটা ... উচ্ছেদ হওয়া মজদুর পল্লি এবং শ্রমিক কলোনির বাসিন্দাদের যোগ্য পুনর্বাসনের দাবি সহ ))) · নোনাডাঙার ...
'সরকার পরিচয়পত্র করে দিয়ে পুনর্বাসন দিক' উচ্ছেদ প্রতিরোধ কর্মীর কথা ...
কলি কৌমের ঘরগুলি ভাঙতে মোতায়েন করা... উচ্ছেদ হওয়া হকারদের প্রতিবাদ — ভিডিও ... সরকার ধান কিনছে, কিন্তু ভোগান্তির আশঙ্কা ভাগচাষির পার্থ কয়াল, ফলতা, ৩১ মার্চ পাশের ছবিটা ফলতা ব্লকের সুজাপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ২৭ মার্চ তোলা। সরকারি ভাবে ক্যাম্প করে ধান কেনা হচ্ছে। তার আগে,... : শিল্প ও বাণিজ্য. : উচ্ছেদ, নোনাডাঙ্গা ...
নোনাডাঙার বস্তিবাসীদের ধরনায় পুলিশের লাঠি, গ্রেপ্তারি, বার বার ...
গত ২০ জুন মজদুর ও শ্রমিক কলোনির বাসিন্দাদের সুষ্ঠ পুনর্বাসন, এবং নাগরিক পরিষেবার দাবি নিয়ে ধর্মতলায় একটি অবস্থান ধরনার আয়োজন করে উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। সকাল থেকে চলা... এর আগে উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলন থেকে ধৃত দেবলীনা চক্রবর্তীকে ১৩ জুলাই অবধি জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে, অভিজ্ঞান সরকার এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছেন। অস্ত্র মজুত ...
2 - প্রথম পাতা
Apr 17, 2012 – ""গায়ে গতরে বড়"" তৃণমূল রাস্তায় নেমে সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতৃত্বে না গেলে এপিডিয়ারের ক্ষমতা ছিল না সিঙ্গুরে ন্যানোর কারখানা আটকানো। আরও দেখুন। নোনাডাঙ্গা নিয়ে মেতে থাকার সময়ে গোটা বাইপাস থেকে উচ্ছেদ গয়ে গিয়েছে অনেক মানুষ। ""গায়ে গতরে"" বড় না হলে অনেক জায়গায় একইসঙ্গে অন্দোলন চালানো যায়না।
6 - প্রথম পাতা
Apr 11, 2012 – যেমন ধরাযাক '' মরিজঝাপি(আমি তার আগের উধাহরণ টানছি না)থেকে শুরু কোরে নোনাডাঙ্গা .. উচ্ছেদ প্রক্রিয়া একই রকম ভাবে সক্রিয় / প্রয়োগ পদ্ধতিটি বিভিন্ন / কখনো rehabilitation এর নামে real state এর ব্যবসা / কখনো industrialization এর নামে পুজিবাদ এর নিজেস্ব সংকট মেটানোর ধান্দা / কখনো mins এর লোভে আদিবাসী উচ্ছেদ .
16 - প্রথম পাতা
... যুক্তি দিয়েছিলো। সে সময় কি তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের বাড়িতে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের রেখেছিলেন বুঝি? ... এই নকল বুদ্ধিজীবীদের মিছিল সুপার ফ্লপ হয়েছে আর জনসমর্থন না পেয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে নোনাডাঙ্গা থেকে হার্মাদ-মাও বাহিনী। ... গোবিন্দপুর রেল কলোনীরউচ্ছেদ-বিরোধী আন্দোলনে পূর্ণেন্দুবাবু ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন। ও-হো ...
প্রিন্ট - Prothom Alo | Most popular bangla daily newspaper
Apr 21, 2012 – সরকারের বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রম নিয়ে কয়েকবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশ ও উচ্ছেদকর্মীদের ধাওয়া-ধাওয়ি হয়েছে। এ ছাড়া বস্তিবাসী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিলের সময় পুলিশ-মিছিলকারী সংঘর্ষ ঘটেছে। চলেছে পুলিশের লাঠিপেটা ও গ্রেপ্তার। বৃহত্তর কলকাতার বাইপাস-সংলগ্ন নোনাডাঙ্গা ...
Comments - Facebook
facebook · Ipsita Pal > Bengal Politics · http://www.facebook.com/#!/notes/ipsita-pal/নোনাডাঙ্গা-উচ্ছেদ-প্রতিরোধ-কমিটির-বক্তব্য/10150847853876407?notif_t=like. Apr 30, 2012 · Remove · Report.
শহরের দুয়োরানি | Anandabazar
my.anandabazar.com/content/শহরের-দুয়োরানি২০০৫ সালে যখন গোবিন্দপুর রেল কলোনি থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের নোনাডাঙায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মনে আছে, তখন সেটা প্রায় দ্বীপান্তরের মতোই ঠেকেছিল। ... একটা মাঠ থেকে কয়েক ঘর মানুষকে উচ্ছেদ করার সরকারি খেলার কেন্দ্র না হলেও নোনাডাঙাকে এ বার চিনতেই হত। একটু আগেই যে সব .... আমিও আগে জানতাম না কোথায় নোনাডাঙ্গা.অনেকের মত ...
এটাই কি তবে প্রকৃত গণতন্ত্রে ফেরা? - | ওয়েবদুনিয়ায় বাঙালির রংবাজি
এর আগের দিনই নোনাডাঙ্গা বস্তিবাসীদের জোর করে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অব ডেমোক্র্যাটিক রাইটসের সদস্যদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মারের হাত থেকে মহিলাদেরও রেহাই দেওয়া হয় নি। ৩রাএপ্রিলের কথাই চিন্তা করুন। তৃণমূল বিধায়ক এবং কাউন্সিলাররা রীতিমত ...
কলকাতা: মহেশতলার অগ্নিকাণ্ডের পর কেন মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে এলেন না, এই প্রশ্ন তোলায় এক স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করল পুলিশ। এই ঘটনায় একদিকে বর্তমান সরকারের পুলিশের অসহিষ্ণুতা যেমন একদিকে প্রকট হয়ে উঠেছে, তেমনই তা বেলপাহাড়ীর জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি অস্বস্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ায় কৃষক পরিবারের ছেলে শিলাদিত্য চৌধুরির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেদিন কেন সারের দাম কমছে না, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন শিলাদিত্য। সেই 'অপরাধে' প্রকাশ্য সভাতেই স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মাওবাদী বলে চিহ্নিত করেছিলেন। শিলাদিত্যকে আটক করেছিল পুলিশ। কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই ঘটনার ছায়া দেখা গেল মহেশতলায়। গতকাল সেখানে ১৬ বিঘা বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন লেগে ৭০০ ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।মাথার ওপর আশ্রয় হারান অসংখ্য মানুষ। আজ সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনিতেই সেখানকার ঘরপোড়া মানুষজন আগুন লাগার পিছনে প্রোমোটিং-রাজের চক্রান্তের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। আগুন লাগার পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছেন মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাশকে। দুলালবাবু সমেত ১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেছেন বাসিন্দারা৷মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আগুন লাগল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুলালবাবুর নেতৃত্বেই চক্রান্ত করে আগুন লাগানো হয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, উচ্ছেদ করতেই এই ষড়যন্ত্র৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুলালবাবু, সম্পর্কে যিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর৷ দুলালবাবুর দাবি, ১৬ বিঘা বস্তিতে বছরে দু'-তিনবার আগুন লাগে৷ সব মিলিয়ে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বস্তিবাসীরা ফিরহাদকে হাতের কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন।তাঁদেরই একজন জানতে চান, আমরা সর্বস্ব হারালাম। আমাদের যন্ত্রণার সমব্যাথী হতে কেন এলেন না মুখ্যমন্ত্রী? সঙ্গে সঙ্গে প্রতাপ নস্কর নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও বাধা দেওয়া হয়৷অবশ্য তিনি ১৬ বিঘা বস্তির নন, মোল্লার গেটের বাসিন্দা বলে জানিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছিলেন বলেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।পরে নিজেকে তৃণমূল সমর্খক বলে দাবি করে তিনি বলেন, শুধু বলেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী কেন এলেন না। পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ আটকে রেখে ছেড়ে দেয়। হতবাক রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কেউ কি কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না? প্রশ্ন করলেই কি আটক করা হবে?
মুখ্যমন্ত্রী কেন গতকালের আগুনকে ছোট ঘটনা বলেছেন, সেই কৈফিয়তও চান স্থানীয় লোকজন৷ চক্রান্ত করে আগুন লাগানো হয়েছে বলে ফিরহাদের কাছেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁরা এজন্য আঙুল তোলেন দুলালবাবুর দিকে৷ তাঁর গ্রেফতারির দাবিও ওঠে। পুরমন্ত্রী তাঁদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস করুন৷ আইন নিজের কাজ করবে৷ প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমের সাহায্য করবে সরকার৷ কাল থেকেই ঘর বানানোর কাজ শুরু হবে।একইসঙ্গে তাঁদের বলেন, সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বাস করবেন না৷ আইন নিজের কাজ করবে৷
তবে গোটা ঘটনাটি শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ মহেশতলার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সিও৷ এদিন তিনি সেখানে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার পরই এলাকার জনাকয়েক তৃণমূল সমর্থক মুখ্যমন্ত্রীর নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/34703-2013-03-17-11-16-36
মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ অভিযুক্তকে আজ আলিপুর আদালতে তোলা হবে৷ এফআইআরে নাম থাকা বাকি ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ ঘটনায় মহেশতলা পুসভার চেয়ারম্যান, দুলাল দাসের কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক দল৷ শনিবার ভোর ৪টে নগাদ আগুন লাগে মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে৷ ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৭০০ ঝুপড়ি৷ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে, মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান সহ ১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেন বাসিন্দারা৷মহেশতলা অগ্নিকাণ্ডকে ছোট বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ৭০০ ঝুপড়ি পুড়ে যাওয়ার পর, ঘটনাস্থলে না গিয়েই কীভাবে এই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে৷ সমালোচনায় সরব বিরোধীরা৷ ঘটনা ঘটলেই চটজলদি নিদান দেন তিনি৷ রাজ্য রাজনীতির নয়া ট্র্যাডিশন৷ তালিকায় নবতম সংযোজন মহেশতলার ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ড৷ যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, ঘটনাস্থল চোখে না দেখেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, এটা ছোট আগুন৷
কিন্তু, এই ছোট আগুনের ব্যাপ্তি বা তার জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা ঠিক কীরকম?
প্রায় ১৬ একর জায়গা জুড়ে থাকা বস্তিতে আগুন লাগে৷ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অন্তত ৭০০ ঝুপড়ি৷ ঠাঁই হারিয়ে কার্যত অকূল পাথারে অন্তত দেড়-দুহাজার ঝুপড়িবাসী৷
এখন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ১৬ বিঘা জায়গা জুড়ে যে আগুন এতগুলি মানুষের আশ্রয় কেড়ে নিল, ঘটনাস্থল একবারও না ঘুরে দেখেই তাকে কীভাবে ছোট আখ্যা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমালোচনায় সরব রাজনৈতিক মহল৷
তবে এই ঘটনা অবশ্য একেবারে নতুন নয়৷ এর আগেও একাধিক ঘটনার ক্ষেত্রে এভাবেই চটজলদি নিদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
রায়গঞ্জে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পার্ক স্ট্রিট বা কাটোয়া ধর্ষণকাণ্ড থেকে গাঙ্গুলিবাগানে এবিপি আনন্দর সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনাকে সরাসরি বলে দেন সাজানো৷ ব্যঙ্গচিত্রকাণ্ডকে বলেন, এটা সাইবার ক্রাইম৷ আবার কখনও বেলপাহাড়িতে সভা থেকেই কৃষক শিলাদিত্যর গায়ে মাওবাদী তকমা এঁটে দেন৷ কিন্তু, বিভিন্ন মহলের প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও বারবার সেই ঘটনার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন? প্রশ্ন উঠছে৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/34692-2013-03-16-12-16-43
কলকাতা: মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে আগুন লাগার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ অভিযুক্তকে আজ আলিপুর আদালতে তোলা হবে৷ এফআইআরে নাম থাকা বাকি ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ ঘটনায় মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক দল৷ শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ আগুন লাগে মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে৷ ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৭০০ ঝুপড়ি৷
আগুন লাগার পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান সহ ১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের করেন বাসিন্দারা৷ গতকালই মহেশতলার অগ্নিকাণ্ডকে ছোট ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড, কাটোয়ার ধর্ষণের পর তদন্ত শুরু হতে না হতেই তিনি সাজানো ব্যাপার বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।এবারও প্রশ্ন উঠেছে, ৭০০ ঝুপড়ি পুড়ে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে না গিয়েই কীভাবে এই ব্যাখ্যা দিলেন তিনি? এই প্রশ্নও উঠছে যে, অভিযুক্ত পুর চেয়ারম্যান তাঁর দলের লোক বলে কি আগুন লাগার ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল প্রায় ১৬ একর জায়গা জুড়ে থাকা বস্তিতে আগুন লাগে৷ পুড়ে ছাই হয়ে যায় অন্তত ৭০০ ঝুপড়ি৷ ঠাঁই হারিয়ে কার্যত অকূল পাথারে অন্তত দেড়-দুহাজার ঝুপড়িবাসী৷ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ১৬ বিঘা জায়গা জুড়ে যে আগুন এতগুলি মানুষের আশ্রয় কেড়ে নিল, ঘটনাস্থল একবারও না ঘুরে দেখেই তাকে কীভাবে ছোট আখ্যা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল৷ মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আগুন লাগায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে দুলালবাবুকে৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁর নেতৃত্বেই চক্রান্ত করে আগুন লাগানো হয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগ, উচ্ছেদ করতেই এই ষড়যন্ত্র৷ এফআইআরে নাম রয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যান ছাড়াও তৃণমূলের কাউন্সিলর দীপিকা দত্ত সহ ১১ জনের৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুলালবাবু, সম্পর্কে যিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর৷ দুলালবাবুর দাবি, ১৬ বিঘা বস্তিতে বছরে দু'-তিনবার আগুন লাগে৷প্রসঙ্গ এড়িয়ে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, ঘটনায় কারা জড়িত তা দেখার কাজ পুলিশের৷ ঘটনা সম্পর্কে তিনি রিপোর্ট দেবেন সরকারকে৷
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, প্রমোটিং করার জন্যই বার বার বস্তিতে আগুন লাগাচ্ছে তৃণমূল৷
এর আগে গত বছর নভেম্বরে আগুন লাগে মহেশতলার ১৬ বিঘা বস্তিতে৷ সেবার আগুনে এক শিশুর মৃত্যু হয়৷ সেই সময়েও পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা৷ এবারও কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/34695-2013-03-17-05-15-05
চার মাসের মাথায় ফের মহেশতলার সন্তোষপুরে ১৬ বিঘা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন৷ ভোররাতের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০০টি ঝুপড়ি৷ গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ৷ দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ আগুন লাগার কারণ এখন খতিয়ে দেখছে দমকল৷
শনিবার ভোর রাতে মহেশতলা বস্তির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কয়েক ঘন্টা একঝলকে
- ভোর ৩.৫০
মহেশতলার সন্তোষপুরের ১৬ বিঘা বস্তির একটি অংশে আগুন দেখতে পান বাসিন্দারা৷ দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ ভস্মীভূত প্রায় ৭০০ ঝুপড়ি৷
- ভোর ৪.২০
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন৷ পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ৷
- ভোর ৫
ঝুপড়ির পাশেই রেল লাইন৷ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় শিয়ালদা-বজবজ লাইনের ট্রেন চলাচল৷
- সকাল ৬.৩০
দমকলের তরফে জানানো হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে৷ নতুন করে আগুন লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে ততক্ষণে পুড়ে ছাই বস্তির প্রায় ৭০০টি ঝুপড়ি৷
- সকাল ৭
ঘটনাস্থলে পৌঁছন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই৷
- সকাল ৭.৩০
আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে জানায় দমকল৷ তবে কয়েকটি জায়গা থেকে তখনও ধোঁয়া বেরোনোয় জল দেওয়ার কাজ জারি রাখে দমকল৷
- সকাল ৮
ভস্মীভূত ১৬ বিঘা বস্তি পরিদর্শণে যান আই জি দক্ষিণবঙ্গ এম কে ভট্টাচার্য৷
- সকাল ৮.৪৫
দমকলের তরফে জানানো হয় আগুন নিভে গেছে৷
- সকাল ৯
শিয়ালদা- বজবজ লাইনের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়৷
- সকাল ১১.২৫
ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র৷
বেলা ১২.৩০
১৬ বিঘা বস্তি পরিদর্শনে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী৷
দুপুর ১ টা ২৫
১৬ বিঘা বস্তি পরিদর্শনে আসেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান৷
তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা৷ কাঠগড়ায় মহেশতলার তৃণমূলের পরিচালিত পুরবোর্ডের চেয়ারপার্সন দুলাল দাস৷ যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি৷ তবে, ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/34679-2013-03-16-09-24-59
মহেশতলা | ||||
চার মাসে দু'বার পুড়ল একই বস্তি | ||||
চার মাসে দু'বার। ফের বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল একটি বস্তির কয়েকশো ঘর। শনিবার ভোরে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশনের কাছে মহেশতলা পুরসভা এলাকায় 'ষোলো বিঘা' বস্তিতে আগুন লেগে সাতশো ঘর পুড়ে কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে এ রকমই এক বিধ্বংসী আগুনে ওই বস্তির কয়েকশো ঘর পুড়ে যায়। তাতে মৃত্যুও হয়েছিল এক শিশুর। এ বার কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশের দাবি। যদিও স্থানীয়দের পাল্টা দাবি, জখম হয়েছেন দু'জন। তবে গত বারের মতো এ বারেও বস্তিবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের উচ্ছেদ করার জন্যই পরিকল্পনা করে বস্তিতে আগুন লাগানো হয়েছে। রেললাইন লাগোয়া ওই বস্তিতে আগুন লাগায় এ দিন ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকে। রেল সূত্রের খবর, লাইনের উপর দিয়ে দমকলের পাইপ নিয়ে যাওয়ায় পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়। এই ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বস্তিবাসীরা। তার ভিত্তিতে মহেশতলা পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর দীপিকা দত্ত-সহ স্থানীয় ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার দুই মহিলা-সহ পাঁচ জনকে। অভিযোগপত্রে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে মহেশতলার পুর-চেয়ারম্যান দুলাল দাসের নাম লেখা হয়েছে। | ||||
আগুনের গ্রাসে শিক্ষার অধিকারও। শনিবার, মহেশতলার সেই বস্তিতে। | ||||
এই ঘটনার পরে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "মহেশতলায় ছোট আগুন লেগেছে। একটি বস্তিতে বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। যাঁদের বাড়ি পুড়েছে, তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। সরকার থেকে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।" তিনি বলেন, "সকালে খবর পেয়ে জাভেদকে (দমকলমন্ত্রী) পাঠাই। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছেন।" বস্তির লোকজন জানান, গত বার পশ্চিম দিকে আগুন লাগে। এ দিন আগুন লাগে পূর্ব দিকে। পুলিশ সূত্রের খবর, দু'টো বাড়ির মাঝে ভোর পৌনে চারটে নাগাদ আগুন ধরে যায়। মণিরা বিবি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দরমার বেড়া থেকে আগুনের হল্কা দেখে তিনি পরিবারের সকলকে ডাকেন। তত ক্ষণে লাগোয়া ঘরগুলিতেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। বস্তির বেশির ভাগ ঘরে দরমার বেড়া এবং টালি বা প্লাস্টিকের ছাউনি। ফলে আগুন দ্রুত ছড়ায়। দমকলের কর্মীরা জানান, আগুন নেভাতে প্রথমে বজবজ এবং আলিফনগর থেকে গাড়ি যায়। কিন্তু আগুন ভয়াবহ আকার নেওয়ায় পরে কালীঘাট, বেহালা এমনকী মির্জা গালিব স্ট্রিটে দমকলের সদর দফতর থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়। ১৫টি ইঞ্জিন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। দুলু খান নামে স্থানীয় এক মহিলার দোকান রয়েছে বস্তিতে। তিনি জানান, গত বার আগুনের পরে 'ষোলো বিঘা বস্তি উন্নয়ন কমিটি' সিদ্ধান্ত নেয়, প্রতি রাতে পালা করে বস্তির ৫০-৬০ জন যুবক পাহারা দেবেন। নিয়মমতো রাত দশটা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত পাহারা থাকছে। দুলুর অভিযোগ, "শুক্রবার রাতে নিতাই হালদার নামে এক যুবক আমার দোকানে এসে বলতে শুরু করেন, যা ফয়সালা হওয়ার আজ রাতেই হবে।" | ||||
দুলুর দাবি, আগুন লাগানো হয়েছে রাতপাহারা শেষ হওয়ার পরে। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ রফিক মোল্লা, রেজ্জাক গাজি, আয়ুব আলি গাজি নামে স্থানীয় কিছু যুবক দীর্ঘদিন ধরেই বস্তিবাসীদের হুমকি দিচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, গত বার আগুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিতাই হালদার। এ দিন বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ ষোলো বিঘা বস্তিতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁকে ঘিরে বস্তির লোকজন অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ইদ্রিশ আলির সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। পরে তিনি বলেন, "গত বার বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি জানিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন জেলার সিপিএম নেতা রতন বাগচী। কিন্তু তা হয়নি।" সূর্যকান্তবাবু বস্তিবাসীদের বলেন, "সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ পরিদর্শনে এলে আপনারা বাধা দেবেন না।" তাঁর বক্তব্য, "আগুন লাগলে রাজনীতির রং দেখতে নেই।" পরে যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। বস্তির লোকজন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালে মন্ত্রী বলেন, "বস্তি থেকে কেউ উচ্ছেদ হবেন না। মহকুমাশাসককে বলেছি, কারও প্রতি যাতে অবিচার না হয়, তা নিশ্চিত করতে। কেউ ইচ্ছে করে আগুন লাগিয়ে থাকলে, তার তদন্ত হবে।" বস্তি উন্নয়ন কমিটির তরফে দমকলমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হয়, এলাকার দু'টি বড় পুকুর ভরাট হচ্ছে। অথচ, মহেশতলা থানা পুকুর ভরাটের অভিযোগ নিচ্ছে না। মন্ত্রী থানার আইসি-কে বলেন, ওই অভিযোগ গ্রহণ করতে। পরে ঘটনাস্থলে যান 'অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট'-এর চেয়ারম্যান সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, "স্থানীয় প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।" এ দিন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বস্তিবাসীদের ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য দুপুর ও রাতের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। | ||||
ছবি: রণজিৎ নন্দী | ||||
পুরনো খবর: বস্তির আগুনে মৃত ১ শিশু, নিখোঁজ ৪ http://www.anandabazar.com/17cal1.html
|
রাজ্যে শিল্পায়নে জমি কোনও সমস্যা নয়। সমস্যা হল বিনিয়োগ প্রস্তাব না
আসাটাই। এই সত্যিটাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ
চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের জমিনীতি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও কটাক্ষ করতে
ছাড়েননি তিনি।
শিল্পায়নের জন্য জমি সমস্যার চটজলদি সমাধান করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। জমির জন্য কোনও শিল্পপতি অপেক্ষা করে থাকবেন না। শনিবার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের জমিনীতিকে আরও একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বারবার অধ্যাপক সাংসদের এরকম সমালোচনায় রাজ্য সরকার যে রীতিমতো অস্বস্তিতে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যেই।
শিল্পায়নের জন্য রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন। শনিবারই তিনি জমি অধিগ্রহণে সরকারের সামিল হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। শিল্পমন্ত্রী অবশ্য সেকথা মানতে নারাজ।
অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত বড় একটা সত্যকেই স্বীকার করে নিলেন শিল্পমন্ত্রী। মেনে নিলেন রাজ্যে বিনিয়োগ প্রস্তাবই আসছে না। সেই মন্তব্য তামতের সমালোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটলেও জমিনীতি নিয়ে নিজের অবস্থানে এখনও অনড় সৌগত রায়। এদিকে শনিবারই অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন বলেন, সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সামিল না হলে কৃষকরা জমির ন্যায্য মূল্য পাবেন না।
আর এই সমালোচনার জবাব দিতে গিয়েই কার্যত রাজ্যের জমি সমস্যা নিয়ে সত্যিটা স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং শিল্পমন্ত্রীই। গত ২২ মাসে বড় কোনও বিনিয়োগের মুখ দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। যদিও, সরকারের দাবি একাধিক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু, শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট, জমিনীতির আসল অসুখটা জমি না, প্রস্তাব।
কলকাতা: বাস্তব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি ও শিল্প নীতি নিয়ে একঝাঁক প্রশ্ন তুলে দিলেন অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন।
জমি কিনতে হবে সরাসরি কৃষকদের থেকে৷ সরকার এতে হস্তক্ষেপ করবে না৷ জমি নীতি নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশেষজ্ঞ মহল ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে, এক লপ্তে জমি না পেলে শ'য়ে শ'য়ে চাষিদের কাছে গিয়ে জমি কেনা কি শিল্পপতিদের পক্ষে সম্ভব। এ ভাবে কি বড় শিল্প হবে। তৃণমূল সরকারের আসার পরে রাজ্যে নতুন কোনও বড় শিল্প কার্যত হয়ইনি৷ এর জন্য মমতার জমি নীতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বণিক ও শিল্প মহলের একাংশ৷ শনিবার রাজ্যের জমিনীতির সমালোচনায় সরব হলেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ৷ সল্টলেকে একটি অনুষ্ঠানে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, শিল্পপতিদের জমি কেনার সময় সরকারি হস্তক্ষেপ দরকার৷ তাঁর কথায়, সরকার যদি বলে না, আমরা নেই, তাহলে চাষী কী করবে টাটা বা যে-ই হোক, সে তো ১৩ হাজার লোকের সঙ্গে বসে বসে চুক্তি করবে না! জমি কেনার ক্ষেত্রে সরকার হাত গুটিয়ে নিলে দালালরাজ মাথাচাড়া দেবে বলেও মনে করেন তিনি৷ প্রণববাবু বলেছেন, শিল্পপতিরা চাইবে, সাত-আট-নজন লোক ওই গুটিকয়েক লোক চাষীর কাছ থেকে জমি কিনে শিল্পপতিদের বেচবে।চাষীর কি লাভ হবে
সরকারের জমি নীতি অনুযায়ী, একজন শিল্পপতি সরাসরি চাষির থেকে জমি কিনবেন৷ কিন্তু ছোট চাষিরা কোটিপতি লগ্নিকারীর সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারবেন না বলেও অভিমত জানিয়ছেন এই প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ৷ তাঁর পরামর্শ, জমি যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই বিদ্যুত-টেলিকমের মতো জমির ক্ষেত্রেও একটি রেগুলেটরি বোর্ড বা নিয়ন্ত্রক পর্ষদ গঠন করা দরকার
রাজ্যের জমি নীতির সমালোচনায় এর আগেও বিভিন্ন মহল সরব হয়েছে৷ জমি জটের কথা শুক্রবার বিধানসভাতে স্বীকার করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও৷ কিন্তু জট কী ভাবে কাটবে, তার কোনও দিশা তিনি এখনও দিতে পারেননি৷ যদিও জট না কাটলে শিল্প হবে না এবং শিল্প বিশেষ করে বড় শিল্প গড়া সম্ভব না হলে রাজ্যের ভবিষ্যত যে অন্ধকারাচ্ছন্ন, বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রণববাবু। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, শিল্প ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা আস্তে আস্তে সঙ্গীন হয়ে উঠবে৷।মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্রশিল্পকে আঁকড়ে ধরে শিল্পায়নে জোয়ার আনতে চাইলেও তিনি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, বড় শিল্প ছাড়া কর্মসংস্থান হবে না৷ তাঁর কথায়, অনেকেই ক্ষুদ্র শিল্পের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, তাতে অনেক কর্মসংস্থান হয় কথাটা কখনও কখনও সত্যি হলেও সবসময় নয়।অনেক সময় বড় শিল্পে কর্মসংস্থান বেশি হয়।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যে তেমন ভাবে নতুন কোনও বড় শিল্পই আসেনি৷ এর জন্য বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ রাজ্যের নীতিকেই দায়ী করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিচ্ছেন কুটির শিল্পে৷ কিন্তু প্রণববাবু মনে করেন না, কুটির শিল্পের উপর ভর করে শিল্পায়নে গতি আনা সম্ভব৷ তিনি বলেন, রাজ্যের অনেকেই নেহাত কোনও কাজ না পেয়ে পেট চালানোর জন্য কুটির শিল্পকে আঁকড়ে ধরেন৷ তাঁর সাফ কথা, এসব আসলে দুঃস্থ শিল্প৷ কুটির শিল্পের হাত ধরে তখনই কর্মসংস্থান হয়, যখন তা বড় শিল্পের অনুসারী হিসেবে কাজ করে৷
কর্মসংস্থান না হলে তার প্রভাব যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতর উপরও পড়তে পারে, সরকারকে এ দিন কার্যত সেই অশনি সংকেতও দিয়ে প্রণববাবু বলেছেন, কাজ না পেয়েই অনেকে গুণ্ডামি করে৷ সিপিএমের গুণ্ডারা এখন তৃণমূলের ছাতার তলায় এসেছে৷
বড় শিল্প ছাড়া যে কর্মসংস্থান ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, এ কথা একাধিকবার বলেছে বিশেষজ্ঞ মহল৷ এ দিন সেই তত্ত্বের পক্ষেই আরও জোরালো সওয়াল করলেন প্রণববাবু৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক নানা ঘোষণার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কি তিনি তাঁর অবস্থান বদলাবেন।
http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/34697-2013-03-17-06-45-51
কলকাতা: জমি নীতিতে অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শিল্পমহলের একাংশ বারবারই অভিযোগ করছে, জমি জটে থমকে রয়েছে রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প৷ ধাক্কা খাচ্ছে উন্নয়ন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে জমি নীতি বদলানোর আবেদন জানিয়েছে বিরোধীরা৷ এমনকী, তাঁর জমি নীতি নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাঁর দলেরই অন্দরে৷ এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জমি জটের জেরে প্রকল্প ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকারও করে নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে জমি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে৷... কিন্তু আমরা গুলি চালিয়ে বা বুলডোজার চালিয়ে জমি অধিগ্রহণ করব না৷'
অর্থাত শিল্পহীনতায় ভুগছে রাজ্য৷ রোগের কথা সবার জানা৷ কিন্তু দাওয়াই দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী৷ সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, মমতার এই অনড় জমি নীতিরই মাসুল গুণছে রাজ্যের অগুণতি প্রকল্প৷ বেহাল বিদ্যুত্ থেকে সড়ক পরিবহণ৷ জমিজটে থমকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ৷
অনিশ্চয়তার মুখে কাটোয়ায় তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্র৷ এনটিপিসি-কে সরাসরি জমি কেনার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর৷ মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ৷ অনিশ্চিত সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্পের আলিপুরদুয়ারে ছয় লেনের রাস্তা তৈরির কাজ৷ পাততাড়ি গোটাচ্ছে আন্তর্জাতিক নির্মাণকারী সংস্থা ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক লিমিটেড৷ এসইজেড দিতে নারাজ রাজ্য সরকার৷ অনিশ্চয়তার মেঘ ইনফোসিস প্রকল্প ঘিরেও৷
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের জমি নীতির জেরে ব্যাহত শহর এবং শহরতলির গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো প্রকল্পগুলিও৷
নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পে রেলের জমি দখল করে বসে আছে প্রায় সাড়ে চারশো জবরদখলকারী৷ অভিযোগ, জবর দখল সরাতে সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার৷ নোয়াপাড়া-ব্যারাকপুর প্রকল্পে মেট্রোর পথে পড়ে গিয়েছে পুরসভার জলের পাইপলাইন৷ বিটি রোডের ওই পাইপ লাইন সরানোর অনুমতি এখনও দেয়নি পুরসভা৷ নিউ গড়িয়া-দমদম প্রকল্পে পরমা আইল্যান্ডের কাছে এলিভেটেড ট্র্যাক তৈরির জমি নেই৷ দমদম-বারাসত প্রকল্পে বারাসত স্টেশন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রেলের জমি দখল করে আছে প্রায় ২ মানুষ৷ রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, জোর করে তাদের উচ্ছেদ করা হবে না৷ জোকা-বিবাদী বাগ প্রকল্পে জোকায় টার্মিনাল তৈরির জমি মেলেনি৷ ২টি হাই টেনশন লাইন সরানো অনুমতি এখনও দেয়নি রাজ্য বিদ্যুত্ সংবহন নিগম৷
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, নতুন সরকার আসার পর এখনও রাজ্যে তেমন কোনও বড় বিনিয়োগ আসেনি৷ শিল্পে এই ভাঁটা কাটানোর জন্য একদিকে যখন বারবার জমি নীতি বদলের দাবি তুলছে শিল্পমহলের একাংশ, তখন মুখ্যমন্ত্রীর এই অনড় অবস্থান আগামী দিনে বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও প্রতিকূল করে তুলবে৷
http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/34696-2013-03-17-05-32-41
উলটো দিকে বিহারকে দেখুন।
তাঁর রাজ্যের জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই `বিশেষ মর্যাদা`র দাবি জানিয়ে আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিহারকে পিছিয়ে পড়া রাজ্য হিসেবে স্বীকার করে নীতিশ কুমারের অভিযোগ কেন্দ্র বরাবরই পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের সঙ্গে সত্ মায়ের মতো আচরণ করে।
তবে বিহারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে ক্ষান্ত থাকেননি পোড় খাওয়া এই নেতা। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক সমীকরণ টানার চেষ্টা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কাজ করার নিরিখেই ২০১৪-র গদি নিশ্চিত হবে বলে মনে করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যান্য রাজ্যগুলিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বাধা তাঁরা দিচ্ছেন না। তাঁর কথায়, "কেন্দ্র যদি একটু সাহায্য করে তাহলে বিহারও উন্নত রাজ্য হতে পারে।"
শিল্পহীনতা, তার থেকে কর্মহীনতার সমস্যা ও ভেঙে পড়া অর্থনীতির দিকে আঙুল তুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এই কারণেই বিহারের মানুষ কাজের সন্ধানে রাজ্য ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আজকের ভাষণে বারবার বিহারকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। নীতিশ কুমার বলেন, "আজকের সমাবেশ বিহারের শক্তিকে সামনে এনেছে।" বিহারকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই আজকের সমাবেশের দাবি বলে জানিয়েছেন নীতিশ।
রামলীলার সমাবেশ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই ভিড় বাড়ছিল রাজধানীতে। বিহার হয়ে দিল্লি যাওয়ার সবকটি ট্রেনে ছিল দিল্লিগামী জনতার ভিড়। সমর্থকদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থাও করেছিল বিহার সরকার। শক্তি প্রদর্শনে লড়াইয়ে রামলীলা থেকে দিল্লির রাজনীতির কারবারিদের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি নীতিশ কুমার। তবে বিহার রাজনীতি দিল্লিতে আদতে কতটা দাগ কাটতে পারবে, সে সময়ই বলবে।
অবশেষে
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধীর ভূমিকায় ছিলেন৷ সেই কারণেই 'কর' শব্দটির প্রতি তাঁর বিতৃষ্ণা জন্মেছিল কিনা, তেমন একটি তর্ক উঠতে পারে৷ বস্ত্তত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর সরকার 'সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা' চাপাবে না, চলতি কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করেই সরকার তার প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করবে৷ স্পষ্টতই বাইশ মাসের মাথায় এসে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃবর্গ হয়তো উপলব্ধি করেছেন, সরকার চালানোর নানা বাধ্যবাধকতা আছে, যার ফলে কর আদায় বৃদ্ধি চাইলেই হু হু করে বাড়ানো সম্ভব হয় না৷ অথচ সরকার তো থেমে থাকতে পারে না৷ কর্মচারীদের মাইনে দেওয়া থেকে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ সবই নির্দিষ্ট সময়ে করা চাই৷ নতুবা সরকারের বিরুদ্ধে সার্বিক ব্যর্থতার অভিযোগ উঠতে বাধ্য৷ 'কর' মানেই যে 'বোঝা' নয়, দেরিতে হলেও এই উপলব্ধি যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের হয়েছে এটা প্রকৃতই সদর্থক৷ আশা করা যায়, ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার জনমোহিনী হয়ে ওঠার রাজনীতি- যাকে পরিভাষায় 'পপুলিজ্ম' বলা হয় - পরিত্যাগ করে রাজনৈতিক বাস্তবতায় মনোনিবেশ করবেন৷ তাতেই রাজ্যের সার্বিক মঙ্গল৷ এবারের বাজেটে এই রাজনৈতিক 'পরিবর্তন'-ই সব থেকে লক্ষণীয় বিষয়৷
সিন্ডিকেট-দায় সিপিএমেরই কি, প্রশ্ন তুলছে পুরনো নথি
সন্দীপন চক্রবর্তী
কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর, ২০১১
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, দলে থাকলে প্রোমোটারি-ঠিকাদারি করা যাবে না। তাঁর নির্দেশের সূত্র ধরেই তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, প্রাক্তন শাসক দলের 'পাপের বোঝা' বর্তমান শাসক দলের ঘাড়ে চেপেছে! এবং সিপিএম নেতৃত্বও মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন, তৃণমূলের এই বক্তব্য একেবারে 'ভিত্তিহীন' নয়।
প্রোমোটার-ঠিকাদারদের জন্য দলের দরজা বন্ধ করতে চেয়ে ১১ বছর আগে 'নোট' দিয়েছিলেন সিপিএমের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস। এখন তৃণমূলের মধ্যে সিন্ডিকেট-বিতর্কের প্রেক্ষিতে সিপিএমের একাংশও ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, সেই 'নোট' পুরোপুরি কার্যকর করতে দল 'সক্রিয় ভাবে উদ্যোগী' হলে সিন্ডিকেট-চক্র এ ভাবে রাজনৈতিক শিবিরে ছড়ি ঘোরাতে পারত না। শাসক থাকার সময় যা করা যায়নি, তা-ই আবার করতে এ বারের সম্মেলন-পর্বের রূপরেখায় নতুন করে নির্দেশ জারি করতে হয়েছে বর্তমান রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুকে। বলতে হয়েছে, প্রোমোটার-ঠিকাদারদের কমিটিতে রাখা যাবে না। তবে ১১ বছর আগে দলের অন্দরে যে প্রস্তাব এবং 'নোট' কার্যকর করতে পারেনি, এখন তা কতটা করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সিপিএমেই।
মমতার এখনকার ভাষাতেই প্রয়াত অনিলবাবু ২০০০ সালের ১৪ মার্চ দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটিকে 'নোট' পাঠিয়ে বলেছিলেন, দলের সদস্যেরা প্রোমোটারি-ঠিকাদারির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। ই এম বাইপাসের সংলগ্ন এলাকায় তখন প্রোমোটার-রাজের প্রভাব বাড়ছিল। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমে তার আঁচ লেগেছিল। জেলা সম্পাদকমণ্ডলী ওই বছরেরই ১ ফেব্রুয়ারি যে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠিয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, 'প্রোমোটারি করলে দলের সভ্য হওয়া যাবে না, এ রূপ সিদ্ধান্ত' জেলা নিজেই আগে কার্যকর করতে চায়। তার জবাবেই অনিলবাবুর ওই 'নোট'।
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, সুজন চক্রবর্তী, ঋষি হালদারেরা তখন জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে সেই প্রস্তাবের 'সমর্থক' ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে সেই প্রস্তাব যে বাস্তবে দৃঢ় ভাবে আদপেই কার্যকর হয়নি, বিমানবাবুদের বর্তমান নির্দেশিকাই তার প্রমাণ। আলিমুদ্দিনের 'সক্রিয়তা'র অভাব দেখে এক সময় রাশ আলগা করেছিল জেলা কমিটিও। কালক্রমে শাসক বদলাতে সিন্ডিকেট এখন তৃণমূলের আশ্রয়ে।
প্রোমোটার-ঠিকাদারের সিন্ডিকেটের দাপট যে বন্ধ করা যায়নি, অস্বীকার করছেন না অধুনা সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তবে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলছেন, "সমস্যাটা স্বীকার করেই আমরা তার মোকাবিলার চেষ্টা করেছি। সিপিএমের মতো সংগঠন-নির্ভর দল বলে খানিকটা হলেও সমস্যাটা ঠেকানো গিয়েছে। ১০ বছর ধরে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে কলকাতার আশেপাশে বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনে আমাদের তার মাসুল দিতে হয়েছে। দলকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। অ-বামপন্থী দলে যেটা হওয়ার প্রভূত আশঙ্কা।" সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, প্রোমোটার-ঠিকাদারেরা বহু জায়গায় দলের ছত্রছায়ায় থেকেছে। দলের অনেকে তাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। কিন্তু তারা দলের নেতা হয়ে ওঠেনি। আর্থ-সামাজিক ভাবে ওই অংশের 'ক্রমবর্ধমান প্রভাব' মোকাবিলায় নিরন্তর লড়াই চালাতে হয়েছে সিপিএমকে। বস্তুত, মাঝেমধ্যেই 'পার্টি চিঠি'-তেও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে।
রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ওই সদস্যের কথায়, "বেকারি বেড়েছে। সকলের জীবিকার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে নির্মাণ শিল্পের রমরমার সঙ্গে সঙ্গে প্রোমোটার-ঠিকাদারদের প্রতিপত্তি বাড়তে বাধ্য। প্রথমে এরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আসে। তার পরে দলটাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়! এমনকী, লোকাল, জোনাল বা জেলা কমিটির সম্পাদক হতেও! সেটা কিন্তু হতে দেওয়া হয়নি!" তবে দলে এদের প্রবেশ যে একেবারে বন্ধ করা যায়নি, তার প্রমাণ রয়েছে এ বারের দলীয় সম্মেলনেই। কলকাতা শহরেই অন্তত তিনটি লোকাল কমিটিতে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন ঠিকাদারের কাজ করেন, এমন সদস্য!
প্রবীণ সিপিএম নেতা-কর্মীদের একাংশের মতে, দলে সিন্ডিকেট-রাজ গোড়ায় রুখে দেওয়ার পথে বাধা হয়েছিল আলিমুদ্দিনের 'শিথিল' মনোভাবই। অনিলবাবুর 'নোটে'ই বলা হয়েছিল, দলীয় সদস্যদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপর ওই সিদ্ধান্ত 'কার্যকর' না-করাই ভাল। অথচ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব চেয়েছিলেন, কোনও বাছবিচার না-রেখে দলে প্রোমোটারি-ঠিকাদারি বন্ধ করা হোক। কারণ, দলীয় সদস্যদের নিকট আত্মীয়দেরও সিপিএমের (তৎকালীন শাসক দল) 'নাম' ব্যবহার করে 'অসাধু' কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। আর্থিক দুর্নীতি এবং অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করতেই প্রোমোটারি-রাজের পায়ে সামগ্রিক ভাবেই বেড়ি পরাতে চেয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব। সিপিএমের একাংশের বক্তব্য, তখন আলিমুদ্দিন আত্মীয়দের 'আলাদা' করতে চাওয়ায় সার্বিক ভাবে তা কার্যকর হয়নি। আর সামগ্রিক নীতি না-থাকায় দলীয় নেতৃত্ব নিজেদের 'সুবিধা'মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেমন, স্ত্রীর নামে বেনামি জমির কারবার করার অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য স্বপন রায় শাস্তির মুখে পড়েছেন। আর স্বামী অরুণ মহেশ্বরী জমি কেলেঙ্কারি বা আর্থিক বেনিয়ম করলে স্ত্রী কেন দোষী হবেন, এই যুক্তি দেখিয়ে ছাড় পেয়ে গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার সরলা মহেশ্বরী।
প্রোমোটারি রুখতে ১১ বছর আগের উদ্যোগের সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদক এবং অধুনা পিডিএস নেতা সমীর পূততুণ্ডের কথায়, "১৯৯৪ সালে বিধানসভায় শিল্পনীতি পাশ হওয়ার পর রায়চক থেকে কলকাতার সীমানায় বাইপাসের ধারে বেশ কিছু পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নগরায়ন শুরু হতেই প্রোমোটারি-ঠিকাদারি বড় উপার্জনের রাস্তা হিসাবে সামনে আসে। দলের সদস্য তো বটেই, নিকটাত্মীয়দের ক্ষেত্রেও সেটা আটকাতে চেয়েছিলাম। রাজ্য নেতৃত্ব নিষেধাজ্ঞাটি আত্মীয়দের উপরে প্রয়োগ না-করার কথা বললেও জেলা কমিটি কিন্তু নিচু তলায় ব্যাখ্যা করার সময় আত্মীয়দেরও তার আওতায় রেখেছিল। ব্যবসা করলে পার্টি ছেড়ে দিতে হবে আর পার্টি করলে ব্যবসা এটাই মেনে চলার কথা ছিল।"
একই কথা বলছেন এখন মমতা। সিপিএম শেষ পর্যন্ত মেনে চলতে পারেনি। দেখার, মমতা তাঁর দলকে 'মানাতে' পারেন কি না।
আনন্দবাজার পত্রিকা
Update: April 15, 2012 10:27 IST
অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় ৪ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ এনেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। কারা এই ৪ জন? কী কারণে তারা অম্বিকেশ মহাপাত্র ও তাঁর প্রতিবেশীদের ওপর চড়াও হলেন। ২৪ ঘণ্টা`র অন্তর্তদন্তে জানা গিয়েছে, ৪ জনই সক্রিয় তৃণমূলের দলীয় সংগঠনে। কেউ দলের প্রভাবশালী নেতা, তো কেউ দলের সক্রিয় কর্মী।
অভিযুক্ত প্রথম জনের নাম অরূপ মুখার্জি। নয়বাদ- চক গড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। বাড়ি চক গড়িয়ায়, পঞ্চসায়রে। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত অরূপ মুখার্জি। পেশায় প্রোমোটার ও নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে সিন্ডিকেটের পাণ্ডা। দ্বিতীয় জনের নাম শেখ মুস্তাফা। ১৯, নিউ গড়িয়া হাউসিং কো-অপরেটিভেই তাঁর বাড়ি। সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। পেশায় ঠিকাদার, ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহকারী।
তৃতীয় অভিযুক্তের নাম নিশিকান্ত গড়াই। বাড়ি গড়িয়া স্টেশনের কাছে। তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। পেশায় ঠিকাদারি ও ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহকারী। এবং চতুর্থ অভিযুক্ত অমিত সর্দারের বাড়ি নয়াবাদ এলাকাতে। সক্রিয় এই তৃণমূল কর্মী সিন্ডিকেটের সঙ্গেও যুক্ত। এই অমিত সর্দারই অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। স্বাক্ষর করে লিখেছিল চকগড়িয়া ছিট নয়াবাদ তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক কমিটি। শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন শাসকদলের নেতা কর্মী হওয়ার সুবাদেই ব্যঙ্গচিত্র পাঠানোর জন্য শাস্তি দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছিল এই ৪ জন।http://zeenews.india.com/bengali/nation/syndicate-behind-cartoon-case_4792.html
Update: March 4, 2012 12:57 IST
রাজারহাটে সিন্ডিকেট ব্যবসার জাল কতটা বিস্তৃত, তা কিছুদিন আগেই বাগুইআটিতে স্বপন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু শুধু রাজারহাটই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বনেদি অঞ্চল নিউ আলিপুরে রমরমিয়ে চলছে সিন্ডিকেট রাজ। যার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক মদত।
সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে প্রোমোটার কিংবা বহুজাতিক সংস্থা। সিণ্ডিকেটের দাদাদের থেকে ছাড় পান না কেউই। কীভাবে কাজ করে এইসব সিণ্ডিকেট? ভুক্তভোগীদের অভিজ্ঞতা বলছে এই এলাকার যে কোনও ব্লকে বাড়ি করতে গেলে প্রথমেই জমির দামের মোটা টাকা দালালি হিসেবে দিতে হয় সিণ্ডিকেটের দাদাদের।
শুধু তাই নয়, সিণ্ডিকেটের কড়া নিয়ম, এলাকায় বাড়ি তৈরি করতে গেলে বাজার দরের থেকে বেশি হলেও, নির্মাণ সামগ্রী কিনতে হবে তাঁদের কাছ থেকেই।
১০০ সিএফটি মিডিয়াম কোর্স বালির বাজার দর যেখানে ২২০০ টাকা, সেখানে সিণ্ডিকেটের দর প্রায় ৩০০০ টাকা। বাজারে ১০০ সিএফটি ফুল কোর্স বালির দর ২৩০০ টাকা হলেও সিণ্ডিকেটের দাম প্রায় ৩২০০ টাকা।
১০০ সিএফটি থ্রি-ফোর্থ পিওর স্টোন চিপসের বর্তমান বাজার দর প্রায় ৪৪০০ টাকা। সিণ্ডিকেটের থেকে একই জিনিস ১৬০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন প্রোমোটাররা।
এক হাজার ইটের বর্তমান দাম সাড়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। সিণ্ডিকেট থেকে সমপরিমান ইট কিনলে দিতে হয় ৮ হাজার টাকা।
এক একটা এলাকায় আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট। কারা ঠিক করেন এই দর?
সিন্ডিকেটকে এড়িয়ে, নিউ আলিপুরে রেলের সাইডিং বা দোকান থেকে নিজে নির্মাণ সামগ্রী কিনতে গেলেও বিপত্তি। দোকান মালিকরাই খবর দিয়ে দেবেন সিন্ডিকেটের দাদাদের। অগ্নিশর্মা দাদাদের চোখ রাঙানি এবং হুমকির চেয়ে সিন্ডিকেটের হাত ধরেই তাই নির্মাণ সামগ্রী কিনতে অভ্যস্থ হয়ে গেছেন প্রোমোটাররা। কে, কার আগে বহুতল নির্মানের বরাত আদায় করতে পারে তা নিয়েও সিণ্ডিকেট গুলির মধ্যেও চলে লড়াই।
নিউ আলিপুরের এম, এন, ও এবং পি ব্লকে সিণ্ডিকেটের মূল পাণ্ডা রাজু চক্রবর্তী ও শিবু দাস। ২ জনেই তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা। এই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে রাজু এবং শিবুর গ্রিন সিগন্যাল না পেলে কাজ শুরুই করা যায় না। সত্যিই কী তাই? কিন্তু কেন? কেন রাজু চক্রবর্তী বা শিবু দাস ছাড়া কাজ করা যাবে না নিউ আলিপুরে? কে তৈরি করলেন এই অলিখিত নিয়ম? খোঁজ শুরু করেছে '২৪ ঘন্টা'।http://zeenews.india.com/bengali/nation/syndicate-rule-in-new-alipur_3701.htmlhttp://zeenews.india.com/bengali/nation/syndicate-rule-in-new-alipur_3701.html
গত বছরের শেষের দিকে বাগুইআটিতে স্বপন মন্ডল খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে রাজারহাটে সিন্ডিকেটের রমরমা। সামনে আসে কীভাবে সিন্ডিকেটের রাজের জেরে জেরবার হচ্ছে শহরের ছোট-বড় রিয়েল এস্টেট কারবারি এবং প্রোমোটাররা। শুধু রাজারহাট এলাকাতেই নয় সম্প্রতি সিন্ডিকেট ব্যবসার একই রকম দাপট সামনে এসেছে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউ আলিপুরেও।
প্রোমোটাররা বলছেন, নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট সিস্টেমের মাথায় বসে রয়েছেন ২ জন। স্বয়ংআবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর ভাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা স্বরূপ বিশ্বাস। নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট ব্যবস্থার পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত হয় এই ২ ব্যক্তির দ্বারা। স্থানীয় এক প্রোমোটারের মতে, ডেভেলপমেন্ট লাইনে কাজকর্ম নিতে গেল প্রথমেই সম্মুখীন হতে হয় স্বরূপ বিশ্বাসের। নিউ আলিপুর এলাকায় কাজ পেতে হলে স্বরূপ বিশ্বাসকে মোটা অঙ্কের টাকা না দিলে কাজ পাওয়া অসম্ভব। দাবি মতো টাকা দিয়ে দিলে এবং নিজেদের সিন্ডিকেটের লোকজনকে নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের বরাত দিলে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু এর অন্যথা হলেই বিপদ। যারপরনাই হেনস্থার শিকার হন প্রোমোটাররা।
নিউ আলিপুরের এ ব্লকের সিন্ডিকেটের পাণ্ডা কারিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী স্বরূপ বিশ্বাসের কড়া নির্দেশ থাকে প্রোমোটার এলেই জলের লাইন কেটে দেওয়ার। আর তারপর জলের লাইনের জন্যই দাবি করা হয় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। স্বরূপের মতো প্রকাশ্যে না এলেও, নিউ আলিপুরের সিন্ডিকেট সিস্টেমের অনেকাই অরূপ বিশ্বাসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে অভিযোগ। কোন এলাকার সিন্ডিকেট কে সামলাবে, তা মন্ত্রীমশাই ঠিক করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোদ সিন্ডিকেটের দাদারাই।
নিউ আলিপুরের এ ব্লকে সিণ্ডিকেটের পাণ্ডা -কারিয়া
জে ব্লকের দায়িত্বে অশ্বিনী
এম, এন, ও এবং পি ব্লকে সিন্ডিকেটের দাদা রাজু চক্রবর্তী ও শিবু দাস। ও এবং পি ব্লকে রাজু,শিবুর কাজ দেখাশোনার দায়িত্ব বুয়া ও রতনের ওপর
এরা সকলেই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। আর তাই সিন্ডিকেটের জুলুমের বিষয়ে পুলিসকে জানিয়ে কোনও দিন, কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ আতঙ্কিত প্রোমোটারদের। অরূপবাবু আবাসন দফতরের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর প্রোমোটারদের এই আতঙ্ক বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ।http://zeenews.india.com/bengali/nation/syndicate-raj-in-new-alipore_3719.html
রং না দেখেই সিন্ডিকেট আটকান, জনতাকে মমতা বৃষ্টিতে ছাতার ভিড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সুমন বল্লভ সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে এ বার জনতাকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দাগলেন প্রোমোটার-রাজের বিরুদ্ধেও। আম জনতার উদ্দেশে তিনি বললেন, "এ সব চলতে দেবেন না। যে পার্টির নেতাই হোক না কেন, কাউকে ছাড়বেন না।'' শনিবার উত্তর কলকাতার টালায় এক জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই বক্তৃতায় এ দিন বারবার ফিরে এসেছে সিন্ডিকেট ও প্রোমোটার চক্রের বিরোধিতা। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক বার জোর করে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। তাতে আটকে পড়েছে সরকারি কাজও। কখনও কখনও সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কিছু কিছু প্রোমোটারের গ্রাসে শহরের সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। আর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সিন্ডিকেটের দাপট। জোর করে ওদের মাল নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।" এই সব কাজ রুখে দিতে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি। এ দিন মমতার বক্তৃতায় উঠে এসেছে শহরের সৌন্দর্যায়নের প্রসঙ্গও। দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "এলাকায় ঘুরুন। কোথায় সবুজ নষ্ট হচ্ছে, রাস্তাঘাট খারাপ হয়ে আছে সে সব দেখুন।" শহরের সৌন্দর্য তুলে ধরতে তিনি হরিশ মুখার্জি রোডের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, "সেখানে যে ভাবে কাজ হয়েছে, সারা শহর সে ভাবে সাজাতে পারলে কলকাতার 'শ্রী' বাড়বে।
উলট-পুরাণ রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি তোলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে তৃণমূল। অথচ, সরকারি পরিবহণ থেকে ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সেই ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। শনিবার রানি রাসমণি রোডে প্রতিবাদ সভা করে আইএনটিইউসি। সরকারি পরিবহণ থেকে ভর্তুকি তোলার প্রতিবাদে তারা রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপিও দেয়। আইএনটিইউসির প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার পরিবহণের উপর থেকে ভর্তুকি তোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ভর্তুকি না তোলার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।" পরিবহণ কর্মীদের ছাঁটাই না করা এবং অবসরের পরেই তাঁদের পেনশন দেওয়ারও দাবি জানান প্রদীপবাবু।
http://www.anandabazar.com/archive/1120923/23raj3.html
No comments:
Post a Comment