Thursday, July 14, 2011

Fwd: [The Sunday Indian (Bengali)] বিপিএল নিয়ে মমতার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া



---------- Forwarded message ----------
From: Sukumar Mitra <notification+kr4marbae4mn@facebookmail.com>
Date: 2011/7/14
Subject: [The Sunday Indian (Bengali)] বিপিএল নিয়ে মমতার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
To: "The Sunday Indian (Bengali)" <141952465882717@groups.facebook.com>


বিপিএল নিয়ে মমতার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সুকুমার মিত্র | জুলাই 14, 2011 14:52 'এই সভা মঞ্চ থেকে আদিবাসী সব পরিবারকে বিপিএল পরিবার বলে ঘোষণা করলাম৷ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চিফ সেক্রেটারি এই ঘোষণা কার্যকর করার জন্য ব্যবস্হা নেবেন৷' বুধবার সারেঙ্গা মিশন ময়দানে আয়োজিত এক সরকারি সভার মঞ্চ থেকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আয়ের সীমাসম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে রাজ্যের জঙ্গলমহলের সমস্ত আদিবাসীদের বিপিএল তালিকাভুত্তু ঘোষণার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে৷ খোদ জঙ্গলমহলে জনজাতিদের নিয়ে গঠিত একচেটিয়া আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মঞ্চের সম্পাদক অশোক জীবন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, বিপিএল বা দারিদ্রসীমা নিয়ে সরকারের একটা সংজ্ঞা রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার তার ওই সংজ্ঞা ও আয়ের সীমার উর্ধসীমা তুলে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এটা কীভাবে রূপায়ণ করবেন তা জানি না৷ তবে এটা তাঁর বিচার্য বিষয় নয় বলে অশোকবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, বিনা বিচারে বন্দী, মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার, যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতির অভিমুখটা তিনি সুকৌশলে ঘুরিয়ে দিচেছন৷ জেলবন্দী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতও জঙ্গলমহলের সমস্ত আদিবাসীকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করার ঘটনায় নির্লিপ্ত থেকে বলেছেন সবই হচেছ রাজনৈতিক চমক৷ সমস্যা সমাধানে মমতার সরকার আদৌ আন্তরিক যেমন নয়, তেমনি জঙ্গলমহলের মানুষেরও ওই সরকারের ওপর কোনও আস্হা নেই বলে তিনি সাফ জানিয়েছেন৷ এদিকে জনসাধারণের কমিটির মুখপাত্র জয়দেব মাহাত মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্যাকেজকে ভাঁওতাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ বাম সরকারের আমলেও যৌথবাহিনীর অভিযান চালানোর সময় এই ধরনের প্যাকেজকে সামনে আনা হয়েছিল৷ এবারও নতুন করে যৌথবাহিনীর অভিযান চালানোর আগে প্যাকেজকে সামনে আনা হচেছ বলে জয়দেববাবুর অভিযোগ৷ মঞ্চের সম্পাদক অশোকবাবু মনে করেন, আগের সরকারের পথে আরও ভয়ংকর রূপ নিয়ে এগোচেছ 'মা-মাটি-মানুষের' সরকার৷ ছত্তিশগড়ের সালওয়া জুডুমের আদলে বাহিনী তৈরি করার জন্য জঙ্গলমহলের দশ হাজার যুবককে পুলিশে চাকরিতে নিয়োগের কথা বলা হচেছ৷ কেন পুলিশে চাকরি ? অন্য কোনও দফতরে কি চাকরি করার যোগ্যতা নেই জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের? জঙ্গলমহলের মানুষ ২০০৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন তাঁদের সেই দাবির প্রতি পূর্বের সরকারের ন্যায় পরিবর্তনের সরকারও উদাসীন৷ প্রতিবাদ, আন্দোলনকে দমন করতে ডোল বা পুলিশে চাকরির টোপ জঙ্গলের মানুষকে বিভাজন করার উদ্দেশে করা হচেছ বলে তিনি মনে করেন৷ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরী বলেন, বিপিএল কারা? এই নিয়ে তো কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে আয়ের সীমাটা বাড়ানো উচিত৷ তবে অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি আধিকারিক, কর্মী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাল পদে কর্মরত ব্যাক্তি বা সম্পন্ন ব্যবসায়ী, হিমঘরের মালিক আদিবাসী হলেও তাঁরা বিপিএল তালিকাভুক্ত হয়ে গরিব মানুষের সুযোগ সুবিধায় ভাগ বসাবেন৷ এছাড়া জঙ্গলের বাইরে বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী সহ গরিব মানুষ রাজ্য সরকারের ওই নীতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন৷ পাশাপাশি জঙ্গলমহলের আদিবাসী নন এমন গরিব মানুষও সরকারের নীতি থেকে বঞ্চিত হবেন৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলের সমস্যাকে 'অন্ধের হস্তি দর্শন'-এর সঙ্গে তুলনা করেন৷ বন্দীমুক্তি ও যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে তিনি দুদিন ধরে অরণ্য পরিক্রমা করলেও তাতে অরণ্যের মূল সমস্যার কোনও স্হায়ী সমাধান হবে না৷
Sukumar Mitra 2:56pm Jul 14
বিপিএল নিয়ে মমতার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সুকুমার মিত্র | জুলাই 14, 2011 14:52
'এই সভা মঞ্চ থেকে আদিবাসী সব পরিবারকে বিপিএল পরিবার বলে ঘোষণা করলাম৷ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে চিফ সেক্রেটারি এই ঘোষণা কার্যকর করার জন্য ব্যবস্হা নেবেন৷' বুধবার সারেঙ্গা মিশন ময়দানে আয়োজিত এক সরকারি সভার মঞ্চ থেকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আয়ের সীমাসম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে রাজ্যের জঙ্গলমহলের সমস্ত আদিবাসীদের বিপিএল তালিকাভুত্তু ঘোষণার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে৷ খোদ জঙ্গলমহলে জনজাতিদের নিয়ে গঠিত একচেটিয়া আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মঞ্চের সম্পাদক অশোক জীবন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, বিপিএল বা দারিদ্রসীমা নিয়ে সরকারের একটা সংজ্ঞা রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার তার ওই সংজ্ঞা ও আয়ের সীমার উর্ধসীমা তুলে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি এটা কীভাবে রূপায়ণ করবেন তা জানি না৷ তবে এটা তাঁর বিচার্য বিষয় নয় বলে অশোকবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথার কোনও গুরুত্ব নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, বিনা বিচারে বন্দী, মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার, যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতির অভিমুখটা তিনি সুকৌশলে ঘুরিয়ে দিচেছন৷ জেলবন্দী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতও জঙ্গলমহলের সমস্ত আদিবাসীকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করার ঘটনায় নির্লিপ্ত থেকে বলেছেন সবই হচেছ রাজনৈতিক চমক৷ সমস্যা সমাধানে মমতার সরকার আদৌ আন্তরিক যেমন নয়, তেমনি জঙ্গলমহলের মানুষেরও ওই সরকারের ওপর কোনও আস্হা নেই বলে তিনি সাফ জানিয়েছেন৷
এদিকে জনসাধারণের কমিটির মুখপাত্র জয়দেব মাহাত মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্যাকেজকে ভাঁওতাবাজি বলে আখ্যা দিয়েছেন৷ বাম সরকারের আমলেও যৌথবাহিনীর অভিযান চালানোর সময় এই ধরনের প্যাকেজকে সামনে আনা হয়েছিল৷ এবারও নতুন করে যৌথবাহিনীর অভিযান চালানোর আগে প্যাকেজকে সামনে আনা হচেছ বলে জয়দেববাবুর অভিযোগ৷
মঞ্চের সম্পাদক অশোকবাবু মনে করেন, আগের সরকারের পথে আরও ভয়ংকর রূপ নিয়ে এগোচেছ 'মা-মাটি-মানুষের' সরকার৷ ছত্তিশগড়ের সালওয়া জুডুমের আদলে বাহিনী তৈরি করার জন্য জঙ্গলমহলের দশ হাজার যুবককে পুলিশে চাকরিতে নিয়োগের কথা বলা হচেছ৷ কেন পুলিশে চাকরি ? অন্য কোনও দফতরে কি চাকরি করার যোগ্যতা নেই জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের? জঙ্গলমহলের মানুষ ২০০৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন তাঁদের সেই দাবির প্রতি পূর্বের সরকারের ন্যায় পরিবর্তনের সরকারও উদাসীন৷ প্রতিবাদ, আন্দোলনকে দমন করতে ডোল বা পুলিশে চাকরির টোপ জঙ্গলের মানুষকে বিভাজন করার উদ্দেশে করা হচেছ বলে তিনি মনে করেন৷
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরী বলেন, বিপিএল কারা? এই নিয়ে তো কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে৷ সেক্ষেত্রে আয়ের সীমাটা বাড়ানো উচিত৷ তবে অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিক্ষক, সরকারি আধিকারিক, কর্মী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভাল পদে কর্মরত ব্যাক্তি বা সম্পন্ন ব্যবসায়ী, হিমঘরের মালিক আদিবাসী হলেও তাঁরা বিপিএল তালিকাভুক্ত হয়ে গরিব মানুষের সুযোগ সুবিধায় ভাগ বসাবেন৷ এছাড়া জঙ্গলের বাইরে বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী সহ গরিব মানুষ রাজ্য সরকারের ওই নীতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন৷ পাশাপাশি জঙ্গলমহলের আদিবাসী নন এমন গরিব মানুষও সরকারের নীতি থেকে বঞ্চিত হবেন৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলমহলের সমস্যাকে 'অন্ধের হস্তি দর্শন'-এর সঙ্গে তুলনা করেন৷ বন্দীমুক্তি ও যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের প্রসঙ্গটি এড়িয়ে তিনি দুদিন ধরে অরণ্য পরিক্রমা করলেও তাতে অরণ্যের মূল সমস্যার কোনও স্হায়ী সমাধান হবে না৷

View Post on Facebook · Edit Email Settings · Reply to this email to add a comment.



--
Palash Biswas
Pl Read:
http://nandigramunited-banga.blogspot.com/

No comments:

Post a Comment